
গোল করলেই কেন উদযাপন করতে হবে? উদযাপন না করে স্থিরইবা থাকা যায় না কেন? এমন অদ্ভুত প্রশ্নের জবাবইবা কী, কোথায় থেকে এল এ সংস্কৃতি। এই উদযাপন কখনো বার্তা দেয় মানবিক, রাজনৈতিক, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। কখনো মজলুমের পক্ষে, কখনো আবার বিতর্কেরও ঝড়ও তোলে। এখন মেসি-রোনালদোদের ট্রেডমার্ক উদযাপন আবার অন্য ক্রীড়াবিদরা ধারও করেন। তবে শুরুটা অনকে আগে হলেও ক্যামেরুন কিংবদন্তি রজার মিলাকে বিবেচনা করা হয় ‘আধুনিক উদযাপনের জনক’ হিসেবে।
হরমোনের তাড়না
প্রাণির উচ্ছ্বাস-কষ্ট সব কিছুর সঙ্গে হরমোন জড়িত। গোল উদযাপনের সঙ্গে হরমোনের বড় একটা সম্পর্ক। যখন কেউ গোল করে, তখন শরীরে কিছু আলাদা হরমোন নিঃসৃত হয়, যা উদ্দীপনা, আনন্দ, আর উত্তেজনা তৈরি করে। এর মধ্যে একটি হলো ডোপামিন। এটাকে ‘হ্যাপিনেস হরমোন’ বলা হয়। গোল করার সঙ্গে সঙ্গে ডোপামিন নিঃসৃত হলে মানুষ আনন্দিত বোধ করে।
অ্যাড্রেনালিন-হরমোন নিঃসরণের ফলে উত্তেজনা ও শক্তি বেড়ে যায়। গোল করলে শরীর অনেকটা ‘ফাইট বা ফ্লাইট’ মোডে চলে যায়। দ্রুত পাম্প হয় হৃদস্পন্দন, শক্তি বৃদ্ধি পায়। আরেকটি হরমোন হলো-এন্ডোরফিন। এটা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক ও মেজাজ ভালো রাখে, যার কারণে খেলোয়াড়েরা নিজেদের অনেক বেশি শক্তিশালী ও আনন্দিত মনে করেন।
এই হরমোনগুলো একসঙ্গে কাজ করে খেলোয়াড়কে উত্তেজিত, উচ্ছ্বসিত এবং উদযাপনে পুরো শরীর ব্যবহারে উৎসাহিত করে। বোঝা গেল, গোল উদযাপন শুধু একটা শখ নয়—জৈবিক অনুভূতিও বটে!
গোল উদযাপনের সমৃদ্ধ ইতিহাস
গোল উদযাপনের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে, আধুনিক হয়েছে। গোল উদযাপনের শুরুর দিক (১৯০০–১৯৭০ দশক)। তখন খেলোয়াড়রা গোল করার পর সাধারণত হাত তুলে দর্শকদের অভিনন্দন গ্রহণ করতেন বা সতীর্থদের সঙ্গে হালকা কোলাকুলি করতেন। তখনকার খেলাধুলার রীতি ছিল অনেক বেশি সংযত এবং ‘স্পোর্টসম্যানশিপকে’ গুরুত্ব দেওয়া হতো।
আরও পড়ুন
| আফঈদাদের জন্য কিরণের বিশেষ উপহার |
|
নতুন ধারার সূচনা (১৯৭০–৮০ দশকে)
১৯৫৮, ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের দুই হাত ওপরে তোলা ও সতীর্থদের সঙ্গে আলিঙ্গন, এই উদযাপনগুলো জনপ্রিয় হয় ১৯৭০–১৯৮০ দশকে।
১৯৮০-৯০ দশকে
১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের কিংবদন্তি রজার মিলার আইকনিক উদযাপন। সে বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন মিলা। গোল করে কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে নাচ দিয়ে তাঁর ব্যতিক্রমী গোল উদযাপন, যা তখনকার ফুটবলে একদম নতুন এবং আলাদা ছিল। সে সময় এ উদযাপন ছিল বেশ আলোচিত। ‘আধুনিক উদযাপনের সূচনা’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। সেই বিশ্বকাপে ক্যামেরুন সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা আফ্রিকান ফুটবলের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
১৯৮২ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করে ইতালির মার্কো তারদেলির চিৎকার ও আবেগভরা উদযাপন—যা ‘তারদেলি স্ক্রিম’ নামে পরিচিতি পায়।
১৯৯০-০০ দশকে সৃজনশীলতার বিস্ফোরণ
খেলোয়াড়রা নিজেদের ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে শুরু করেন উদযাপনে। কিছু উদযাপনের কথা না বললেই নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এরিক ক্যান্টোনা ১৯৯৬ সালে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্থির দৃষ্টিতে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে থাকা। রব কিনের হাঁটুতে ভর দিয়ে ফ্লিপ করে উদযাপন। বিশ্বের সেরা নম্বর নাইন-ব্রাজিলের রোনালদো দুই হাত কান পর্যন্ত তুলে বিশেষ ভঙ্গিতে উদযাপন।
একবিংশ শতাব্দী
গোল উদযাপন পৌঁছে গেছে ভিন্ন মাত্রায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর–‘সিউ’ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এক ট্রেডমার্ক উদযাপন। গোল করে কর্নারে দৌড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে ঘুরে ‘সিইউউ’ বলে চিৎকার—রোনালদোর আইকনিক ভঙ্গি। নিজের সামর্থের বার্তা দেন ‘হ্যাঁ, আমি পেরেছি’।
লিওনেল মেসির জার্সি খুলে দর্শকদের দিকে উঁচিয়ে ধরা কিংবা দুই আঙুল তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা। সেজদা করে মোহাম্মদ সালাহর উদযাপন।
আরলিং হালান্ড গোল করার পর মাটিতে বসে ধ্যানমগ্ন ভঙ্গিতে ‘জেন’ উদযাপন করেন। তিনি জানান, মেডিটেশন তাঁকে শান্ত করে এবং উদযাপনটা সেই অনুভব থেকেই। হাত গুটিয়ে বুকের নিচে ভাঁজ করে দাঁড়ানো উদযাপনটি মূলত তাঁর ছোট ভাই ইথান থেকে অনুপ্রাণিত। এখন এটি এমবাপ্পের চিহ্ন হয়ে গেছে।
সামাজিক ও রাজনৈতিক বার্তা
মারিও বালোতেল্লির ‘হোয়াই অলওয়েজ মি?’ টি-শার্ট। জাদোন সানচো ও মার্কাস রাশফোর্ডের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বার্তা।
আরও পড়ুন
| মেসিকে ছাড়া ‘ফ্লোরিডা ডার্বি’ হারল মায়ামি |
|
গত ৪০ বছরে গোল উদযাপন
ফুটবলের আনন্দের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে উদযাপন। এই আবেগের বিস্ফোরণ তাৎক্ষণিক হোক বা পরিকল্পিত—মাঠে উপস্থিত দর্শক কিংবা বাড়িতে বসে খেলা দেখা মানুষদের জন্য এক সত্যিকারের বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করে। বছরের পর বছর ধরে কিছু উদযাপন হয়ে উঠেছে একেবারে প্রতীকী—বিশ্বসেরা তারকারা এগুলো করেছেন সবচেয়ে বড় মঞ্চে বিশ্বজুড়ে ভক্ত-সমর্থকেরা সেগুলো নকল করছেন সেগুলো।
ফিফার বিধি নিষেধ
উদযাপন নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার বিধি নিষেধও রয়েছে। জার্সি খুলে উদযাপন (হলুদ কার্ডের নিয়মে পড়ে), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বার্তা সম্বলিত টি-শার্ট দেখানো, দর্শকদের উস্কানিমূলক ভঙ্গির ব্যাপারে রয়েছে বিধি নিষেধ।
No posts available.
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২:৫৩ পিএম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পিএম

বাংলাদেশ ফুটবলে এখন উন্নতির জোয়ার। হামজা চৌধুরী ও সমিত সোমের আগমনে বেড়েছে দলের আত্মবিশ্বাস। যার ছাপ স্পষ্ট সাম্প্রতিক মাঠের পারফরম্যান্সেও। বাংলাদেশ ফুটবলের অগ্রগতি স্বীকার করে নিলেন ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে আজ তিনি জানালেন, আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ দল। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে দারুণ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় তিনি।
২০১০ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসে ঢাকায় খেলেছেন সান্ধু। বাংলাদেশ দলের উন্নতির বিষয়ে এই গোলকিপার বলেন, ‘এখানে খেলা সবসময়ই কঠিন। বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নতি করেছে, অবকাঠামোও ভালো।’
মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছায় ভারতীয় দল। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তেজনা কমতি নেই।
সান্ধু জানালেন, দুই দেশের ম্যাচ সবসময়ই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, ‘প্রতিবেশী হওয়ায় বাংলাদেশ সবসময়ই আমাদের বিপক্ষে ভালো করতে চায়। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ সবসময়ই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ম্যাচটা সুন্দর নাও হতে পারে, অগোছালোও হতে পারে। কিন্তু মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ভারত ম্যাচের চারদিন আগে নেপালের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ। গত মার্চে শিলংয়ে এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
ভারতের ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান এবার আত্মবিশ্বাসী স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে, ‘আমাদের লক্ষ্য সেরাটা দেওয়া। কোচের ফর্মুলা মাথায় রেখে খেলতে পারলে ফল পক্ষে আসবে। এবার জিততে চাই।’
২০১৫ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দল এবং পরে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে ঢাকায় খেলেছেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। বাংলাদেশের পরিবেশ ও দর্শকদের প্রশংসা করে এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘বাংলাদেশের দর্শকরা ফুটবল ভালোবাসে। জাতীয় স্টেডিয়ামে খেললে চাপ থাকে, তবে পরিবেশ দারুণ।’
গতকাল ঢাকায় পৌঁছায় ২৩ সদস্যের ভারতীয় দল। বাংলাদেশের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ ঝিঙ্গান বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে স্বাগত জানিয়েছে। খেলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে, এই ম্যাচও তেমন হবে আশা করি।’
আজ হালকা অ্যাক্টিভেশন সেশন আর বিকেলে ট্রেনিং করেছে ভারত। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে অফিসিয়াল ট্রেনিংয়ে অংশ নিবে ভারত।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। ড্রাগাও স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় এ ম্যাচে জয় কিংবা ড্র করলেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করবে রবার্তো মার্টিনেজের দল। হারলে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড জয় পেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে যাবে আইরিশরা। তাতে প্লে–অফের বাধা উতরে বিশ্বকাপ খেলতে হবে পর্তুগালকে।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রোনালদোকে পাচ্ছে না পর্তুগাল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা–মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের শুরুতে কয়েকটি ম্যাচেও হয়তো ‘সিআর সেভেন’কে ছাড়াই মাঠে নামতে হতে পারে পর্তুগালকে। প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে কনুই দিয়ে আঘাত করে দলকে বিপদেই ফেলেছেন তিনি।
ম্যাচের আগে দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন রোনালদো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সিআর সেভেন লিখেছেন—
“চলো দল! আজ এবং সব সময় আমরা একসাথে থাকব—পর্তুগাল ও আমাদের পতাকার জন্য!”
আর্মেনিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে পর্তুগালের মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ বলেন, রোনালদো নিজের ভুল বুঝতে পারছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বলেন—
‘ম্যাচের উত্তাপ, মুহূর্তের আবেগ, ভালো ফল না পাওয়ার হতাশা—ফুটবলে এমন ঘটনা ঘটেই। এমন এক মুহূর্তে ক্রিস (রোনালদো) এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, যা তার জন্য বিপদ ডেকে আনে। অবশ্যই, সে জানে এটা সে করতে চায়নি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়ে গেছে। সে জানে সে ভুল করেছে, এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে, রোববার আমাদের সাহায্য করতে পারবে না।’

১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার দ্বারপ্রান্তে নরওয়ে। তাদের জন্য কাজটা এতটাই সহজ যে ইতালির বিপক্ষে হার, জিত কিংবা ড্রয়ে কোনো সমস্যা নেই; কেবল ৯ গোল বা তার বেশি ব্যবধানে না হারলেই হয়।
ইতালি এই মুহূর্তে ঠিক তিন পয়েন্ট পেছনে টেবিলের শীর্ষে থাকা নরওয়ের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলা ৭ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জাল ৩৩ বার কাঁপিয়ে নরওয়ে গোল হজম করেছে মাত্র ৪টি।
তাই নরওয়ের জালে ৯ গোল দিয়ে ম্যাচ জেতা কঠিন থেকে কঠিনতর হবে ইতালির জন্য। কেননা সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে আজ ৯ গোলের ব্যবধানেই জিততে হবে চারবারের বিশ্বকাপজয়ীদের। যা এক প্রকার অসম্ভবই বটে।
শেষ পর্যন্ত এমনটা হলে ইতালিকে খেলতে হবে বিশ্বকাপ প্লে-অফ। যেখানে তারা সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। এবারও সেই প্লে-অফের পরীক্ষা দিতে হতে পারে ইতালিকে।

ম্যাচ চলাকালে নারী রেফারিকে উদ্দেশ্য করে যৌন বৈষম্যমূলক মন্তব্যের কারণে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের নন-লিগের একটি ম্যাচ। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর।
শনিবার নর্দার্ন প্রিমিয়ার লিগ মিডল্যান্ডস ডিভিশনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এএফসি রাশডেন ও ডায়মন্ডস এবং কভেন্ট্রি স্ফিঙ্কস ক্লাব। ডায়মন্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমার্ধের শেষদিকে গ্যালারি থেকে রেফারিকে উদ্দেশ্য করে একজন দর্শক ‘লিঙ্গবিদ্বেষী’ মন্তব্য করেন।
এই ঘটনাটি মাঠে থাকা ক্লাব কর্তারা শুনে ফেলেন। ম্যাচ শেষে এক বিবৃতিতে রাশডেন অ্যান্ড ডায়মন্ডস জানিয়েছে, তারা এ ঘটনায় “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও হতাশ।”
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ জানালেন ব্রাজিল কোচ |
|
ক্লাবের এক মুখপাত্র বলেন, দোষী ব্যক্তি যদি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের সহযোগিতা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়নি।
ডায়মন্ডসের কোচ এলিয়ট স্যান্ডি জানান, রেফারি খেলা থামিয়ে অভিযুক্ত দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দিতে বলেন। এরপর ম্যাচ আবার শুরু হলেও বিরতির সময় রেফারি জানান, তিনি আর নিরাপদ বা স্বস্তি বোধ করছেন না। ফলে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
স্যান্ডি বলেন, 'আজ যা ঘটেছে তার কোনো জায়গা ফুটবলে নেই। তার জন্য (রেফারি) আমার খুব খারাপ লাগছে।'
প্রত্যক্ষদর্শী বা যাদের কাছে তথ্য আছে, তাদের ক্লাবে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে ডায়মন্ডস।

ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও নতুন মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন হ্যারি কেইন। তবে এতে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না ইংল্যান্ডের তারকা ফরোয়ার্ড। ব্যালন ডি অরের মতো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেতে দলীয় ট্রফিও জিততে জানেন তিনি।
চলতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে ২৩ গোল করে ফেলেছেন কেইন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে চার ম্যাচে তার গোল তিনটি। গত মাসে লাটভিয়ার বিপক্ষে করেন দুই গোল। ওই ম্যাচ জিতেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের।
রোববার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আলবেনিয়ার মুখোমুখি হবে ইংলিশরা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ব্যালন ডি অরের ব্যাপারে। উত্তরে তিনি জানান, দলীয় ট্রফি জিততে হবে আগে।
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ জানালেন ব্রাজিল কোচ |
|
“আমি হয়তো এই মৌসুমে ১০০ গোল করতে পারি। কিন্তু আমি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অথবা বিশ্বকাপ না জিততে পারি, তাহলে খুব সম্ভবত ব্যালন ডি অর জিততে পারব না।”
“আর্লিং হলান্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই। যে কোনো ফুটবলারের ক্ষেত্রেই একই কথা। আপনাকে ওই বড় ট্রফিগুলো জিততে হবে।”
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে 'কে' গ্রুপে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে পূর্ণ ২১ পয়েন্ট পেয়েছে ইংল্যান্ড। জার্মান বুন্দেসলিগায় ১০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ।
মৌসুমের শেষ পর্যন্ত এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে ব্যালন ডি অর জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে বললেন কেইন।
“বায়ার্ন মিউনিখে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। তাই এটি আমার পক্ষে কিছুটা কাজ করতে পারে। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও তাই। ক্লাব ও দেশের হয়ে সব কিছু যদি ঠিকঠাক এগোয়, তাহলে ব্যালন ডি অরের মতো পুরস্কার জেতার আলাপ করা যেতে পারে।”