ফুটবল

গোল করেই কেন উদযাপন করতে হয়, কোথায় থেকে এল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১১ আগস্ট ২০২৫, ৮:৩৫ পিএম

news-details

গোল করলেই কেন উদযাপন করতে হবে? উদযাপন না করে স্থিরইবা থাকা যায় না কেন? এমন অদ্ভুত প্রশ্নের জবাবইবা কী, কোথায় থেকে এল এ সংস্কৃতি। এই উদযাপন কখনো বার্তা দেয় মানবিক, রাজনৈতিক, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। কখনো মজলুমের পক্ষে, কখনো আবার বিতর্কেরও ঝড়ও তোলে। এখন মেসি-রোনালদোদের ট্রেডমার্ক উদযাপন আবার অন্য ক্রীড়াবিদরা ধারও করেন। তবে শুরুটা অনকে আগে হলেও ক্যামেরুন কিংবদন্তি রজার মিলাকে বিবেচনা করা হয় ‘আধুনিক উদযাপনের জনক’ হিসেবে। 


হরমোনের তাড়না

প্রাণির উচ্ছ্বাস-কষ্ট সব কিছুর সঙ্গে হরমোন জড়িত। গোল উদযাপনের সঙ্গে হরমোনের বড় একটা সম্পর্ক। যখন কেউ গোল করে, তখন শরীরে কিছু আলাদা হরমোন নিঃসৃত হয়, যা উদ্দীপনা, আনন্দ, আর উত্তেজনা তৈরি করে। এর মধ্যে একটি হলো ডোপামিন। এটাকে ‘হ্যাপিনেস হরমোন’ বলা হয়। গোল করার সঙ্গে সঙ্গে ডোপামিন নিঃসৃত হলে মানুষ আনন্দিত বোধ করে।


অ্যাড্রেনালিন-হরমোন নিঃসরণের ফলে উত্তেজনা ও শক্তি বেড়ে যায়। গোল করলে শরীর অনেকটা ‘ফাইট বা ফ্লাইট’ মোডে চলে যায়। দ্রুত পাম্প হয় হৃদস্পন্দন, শক্তি বৃদ্ধি পায়। আরেকটি হরমোন হলো-এন্ডোরফিন। এটা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক ও মেজাজ ভালো রাখে, যার কারণে খেলোয়াড়েরা নিজেদের অনেক বেশি শক্তিশালী ও আনন্দিত মনে করেন।


এই হরমোনগুলো একসঙ্গে কাজ করে খেলোয়াড়কে উত্তেজিত, উচ্ছ্বসিত এবং উদযাপনে পুরো শরীর ব্যবহারে উৎসাহিত করে। বোঝা গেল, গোল উদযাপন শুধু একটা শখ নয়—জৈবিক অনুভূতিও বটে!


গোল উদযাপনের সমৃদ্ধ ইতিহাস

গোল উদযাপনের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে, আধুনিক হয়েছে। গোল উদযাপনের শুরুর দিক (১৯০০–১৯৭০ দশক)। তখন খেলোয়াড়রা গোল করার পর সাধারণত হাত তুলে দর্শকদের অভিনন্দন গ্রহণ করতেন বা সতীর্থদের সঙ্গে হালকা কোলাকুলি করতেন। তখনকার খেলাধুলার রীতি ছিল অনেক বেশি সংযত এবং ‘স্পোর্টসম্যানশিপকে’ গুরুত্ব দেওয়া হতো।


আরও পড়ুন

আফঈদাদের জন্য কিরণের বিশেষ উপহার আফঈদাদের জন্য কিরণের বিশেষ উপহার


নতুন ধারার সূচনা (১৯৭০–৮০ দশকে)

১৯৫৮, ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের দুই হাত ওপরে তোলা ও সতীর্থদের সঙ্গে আলিঙ্গন, এই উদযাপনগুলো জনপ্রিয় হয় ১৯৭০–১৯৮০ দশকে।


১৯৮০-৯০ দশকে

১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের কিংবদন্তি রজার মিলার আইকনিক উদযাপন। সে বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন মিলা। গোল করে কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে নাচ দিয়ে তাঁর ব্যতিক্রমী গোল উদযাপন, যা তখনকার ফুটবলে একদম নতুন এবং আলাদা ছিল। সে সময় এ উদযাপন ছিল বেশ আলোচিত। ‘আধুনিক উদযাপনের সূচনা’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। সেই বিশ্বকাপে ক্যামেরুন সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা আফ্রিকান ফুটবলের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।


১৯৮২ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করে ইতালির মার্কো তারদেলির চিৎকার ও আবেগভরা উদযাপন—যা ‘তারদেলি স্ক্রিম’ নামে পরিচিতি পায়।


১৯৯০-০০ দশকে সৃজনশীলতার বিস্ফোরণ

খেলোয়াড়রা নিজেদের ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে শুরু করেন উদযাপনে। কিছু উদযাপনের কথা না বললেই নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এরিক ক্যান্টোনা ১৯৯৬ সালে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্থির দৃষ্টিতে দর্শকদের দিকে তাকিয়ে থাকা। রব কিনের হাঁটুতে ভর দিয়ে ফ্লিপ করে উদযাপন। বিশ্বের সেরা নম্বর নাইন-ব্রাজিলের রোনালদো দুই হাত কান পর্যন্ত তুলে বিশেষ ভঙ্গিতে উদযাপন। 


একবিংশ শতাব্দী

গোল উদযাপন পৌঁছে গেছে ভিন্ন মাত্রায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর–‘সিউ’ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এক ট্রেডমার্ক উদযাপন। গোল করে কর্নারে দৌড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে ঘুরে ‘সিইউউ’ বলে চিৎকার—রোনালদোর আইকনিক ভঙ্গি। নিজের সামর্থের বার্তা দেন ‘হ্যাঁ, আমি পেরেছি’।


লিওনেল মেসির জার্সি খুলে দর্শকদের দিকে উঁচিয়ে ধরা কিংবা দুই আঙুল তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা। সেজদা করে মোহাম্মদ সালাহর উদযাপন।


আরলিং হালান্ড গোল করার পর মাটিতে বসে ধ্যানমগ্ন ভঙ্গিতে ‘জেন’ উদযাপন করেন। তিনি জানান, মেডিটেশন তাঁকে শান্ত করে এবং উদযাপনটা সেই অনুভব থেকেই। হাত গুটিয়ে বুকের নিচে ভাঁজ করে দাঁড়ানো উদযাপনটি মূলত তাঁর ছোট ভাই ইথান থেকে অনুপ্রাণিত। এখন এটি এমবাপ্পের চিহ্ন হয়ে গেছে।


সামাজিক ও রাজনৈতিক বার্তা

মারিও বালোতেল্লির ‘হোয়াই অলওয়েজ মি?’ টি-শার্ট। জাদোন সানচো ও মার্কাস রাশফোর্ডের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বার্তা। 


আরও পড়ুন

মেসিকে ছাড়া ‘ফ্লোরিডা ডার্বি’ হারল মায়ামি মেসিকে ছাড়া ‘ফ্লোরিডা ডার্বি’ হারল মায়ামি


গত ৪০ বছরে গোল উদযাপন

ফুটবলের আনন্দের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে উদযাপন। এই আবেগের বিস্ফোরণ তাৎক্ষণিক হোক বা পরিকল্পিত—মাঠে উপস্থিত দর্শক কিংবা বাড়িতে বসে খেলা দেখা মানুষদের জন্য এক সত্যিকারের বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করে। বছরের পর বছর ধরে কিছু উদযাপন হয়ে উঠেছে একেবারে প্রতীকী—বিশ্বসেরা তারকারা এগুলো করেছেন সবচেয়ে বড় মঞ্চে বিশ্বজুড়ে ভক্ত-সমর্থকেরা সেগুলো নকল করছেন সেগুলো।


ফিফার বিধি নিষেধ

উদযাপন নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার বিধি নিষেধও রয়েছে। জার্সি খুলে উদযাপন (হলুদ কার্ডের নিয়মে পড়ে), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বার্তা সম্বলিত টি-শার্ট দেখানো, দর্শকদের উস্কানিমূলক ভঙ্গির ব্যাপারে রয়েছে বিধি নিষেধ।

bottom-logo

ফুটবল

সিরিয়ান ক্লাবকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্বে বসুন্ধরা কিংস

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৩ আগস্ট ২০২৫, ২:০৬ এম

news-details

প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই। শুরুতেই গোলের দেখা পেলেন এমানুয়েল সানডে। এরপর প্রতিপক্ষের সামনে রক্ষণের দেয়াল; আর পোস্টে মেহেদি হাসান শ্রাবনের বীরত্ব। তাতে দুর্দান্ত জয় পেল বসুন্ধরা কিংস। দারুণ এই জয়ে ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্বে এখন কিংস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে এএফসিতে প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল ফুটবল) টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।


মঙ্গলবার রাতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (প্রিমিলিনারি রাউন্ড) সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। জয়সূচক গোলটি আসে এ মৌসুমেই মোহামেডান থেকে কিংসে নিয়ে আসা সানডের পা থেকে। চ্যালেঞ্জ লিগে এ নিয়ে ১৮ ম্যাচ খেলে ৮ জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস।


কাতারের দোহায় সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়ামটিকে বলা হয় সিরিয়ান ক্লাবটির দ্বিতীয় হোম ভেন্যু। তবে এদিন মাঠে বেশ কিছু দর্শক এসেছিলেন; যার মধ্যে বেশিরভাগেই ছিলেন কিংস সমর্থক। ম্যাচের শুরু থেকেই তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল সান্ডারল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা কিউবা মিচেলে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেও যার অভিষেক নিয়ে আছে আলোচনা। শেষ পর্যন্ত কিংসের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে কিউবার। তবে জয়সূচক গোল করে সব আলোই কেড়ে নিয়েছেন সানডে।


খেলার তৃতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ আসে বুসন্ধরা কিংসের সামনে। তাজের পা থেকে রাইট উইংয়ে বল পান রাকিব হোসেন। এই উইঙ্গারের ক্রসে পোস্টের সামনে বাইসাইকেল কিকে ব্যর্থ হন ডরিয়েলটন। 


ষষ্ঠ মিনিটে আর কোনো ভুল করেনি বসুন্ধরা কিংস। কর্নার থেকে এমানুয়েল সানডের গোলে লিড নেয় ঢাকার জায়ান্টরা। জটলার মধ্য থেকে বা পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন তপু, নিচু হয়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সহজেই জালে বল ঠেলে দেন সানডে। 


১৭ মিনিটে আল কামারাহর আবদুল রহমান আলারজাহকে কাটিয়ে সরাসরি শট নেন পোস্টে, তবে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন। পরের মিনিটে তাজের ব্লকে বিপদ ঘটেনি কিংস শিবিরে। ২১ মিনিটে আলাজানের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে ক্লিয়ার করেন কিংসের গোলরক্ষক শ্রাবন। দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের বারুদে শট আটকে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। 


৩৫ মিনিটে রাকিবের দারুণ ক্রস ছুটে এসে ক্লিয়ার করেন খালিদ আল হাজ্জা। ৪২ মিনিটে আবদুল্লাহ জাকরিতের শট বেড়িয়ে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। পরের মিনিটে রাফায়েলের বা পায়ের শট ঝাপিয়ে আটকে দেন আল কারামাহর গোলরক্ষক আবদুল লতিফ নাসান। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।


বিরতির পর ৫২ মিনিটে কিংসের লিড দ্বিগুণের সুযোগ হাতছাড়া হয় সানডের শট অন টার্গেটে রাখতে না পারায়। 


৫৯ মিনিটে সোহেল রানাকে তুলে নেন কোচ মাহবুব। তার বদলি হিসেবে নেমে কিংসের জার্সিতে অভিষেক হয় মোহাম্মদ হৃদয়ের। এই মৌসুমেই ঢাকা আবাহনী থেকে কিংস শিবিরে নাম লেখান এই মিডফিল্ডার।


৬১ মিনিটে গোলমুখের সামনে পেপে লিয়ে বলে মাথা ছোয়াতে পারলে গোল পেতে পারত আল কারামাহ। দুই মিনিট পর শ্রাবনের বীরত্বে বেচে যায় কিংস। তবে গোলমুখের সামনে থাকা বলে ফিরতি শটে পেপেকে বাধা দেন ডিফেন্ডার তাজ।


৬৫ মিনিটে বাংলাদেশের ক্লাবের জার্সিতে অভিষেক হয় কিউবা মিচেলের। রাফায়ালকে তুলে সান্ডারল্যান্ডের সাবেক এই ফুটবলারকে মাঠে নামান কিংস কোচ।


৮০ মিনিটে আল কারামাহর বদলি খেলোয়াড় জাকারিয়ার হেড খুজে নিচ্ছিল জাল, শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে দেন শ্রাবন। বক্সে এদিন দারুণ ছিলেন কিংসের এই গোলরক্ষক। 


৮৫ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে রাকিবের সেই দৌড়। শেষ পর্যন্ত কর্নারের কাছ থেকে ক্রস দেন, তবে ডরিয়েলটন শট নেওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। এরপর কিউবার নেওয়া কর্নার থেকে রাকিবকে গোলবঞ্চিত করে আল কারামাহর গোলরক্ষক। তবে গোল না পেলেও আফসোস থাকার কথা নয় বসুন্ধরা কিংসের। কেননা শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের লিড ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে এক মৌসুম আগে ঘরোয়া ট্রেবলজয়ীরা।

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ফুটবল

সানডের গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে বসুন্ধরা কিংস

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৩ আগস্ট ২০২৫, ১:০৭ এম

news-details

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (প্রিমিলিনারি রাউন্ড) সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহর বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশের জায়ান্ট ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে মোহাম্মদ মাহবুবের দল। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে কিংসের হয়ে লিড নেওয়া গোলটি করেন এমানুয়েল সানডে। কাতারের দোহায় সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়াম থেকে খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে টি-স্পোর্টস।


তৃতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ আসে বুসন্ধরা কিংসের সামনে। তাজের পা থেকে রাইট উইংয়ে বল পান রাকিব হোসেন। এই উইঙ্গারের ক্রসে পোস্টের সামনে বাইসাইকেল কিকে ব্যর্থ হন ডরিয়েলটন। 


তবে ষষ্ঠ মিনিটে আর কোনো ভুল করেনি কিংস। কর্নার থেকে এমানুয়েল সানডের গোলে লিড নেয় ঢাকার জায়ান্টরা। জটলার মধ্য থেকে বা পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন তপু, নিচু হয়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সহজেই জালে বল ঠেলে দেন মোহামেডান থেকে এই মৌসুমে কিংসে নাম খেলানো সানডে। 


১৭ মিনিটে আল কামারাহর আবদুল রহমান আলারজাহকে কাটিয়ে সরাসরি শট নেন পোস্টে, তবে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন। 


১৮ মিনিটে তাজের ব্লকে বিপদ ঘটেনি কিংস শিবিরে। ২১ মিনিটে আলাজানের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে ক্লিয়ার করেন কিংসের গোলরক্ষক শ্রাবন। দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের বারুদে শট আটকে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। 


৩৫ মিনিটে রাকিবের দারুণ ক্রস ছুটে এসে ক্লিয়ার করেন খালিদ আল হাজ্জা। ৪২ মিনিটে আবদুল্লাহ জাকরিতের শট বেড়িয়ে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। পরের মিনিটে রাফায়েলের বা পায়ের শট ঝাপিয়ে আটকে দেন আল কারামাহর গোলরক্ষক আবদুল লতিফ নাসান। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ফুটবল

অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:৫০ পিএম

news-details

ডারউইনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল সফরকারীরা। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সেঞ্চুরির পর কোরবিন বোশ-কাগিসো রাবাদাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেতে বেশ সহজই হয়েছে প্রোটিয়াদের।


নিজেদের মাঠে অজিরা দেখল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের হার। ২০২২ সালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে সর্বোচ্চ ৮২ রানে হেরেছে তারা।


মারারা স্টেডিয়ামে বাঁচানোর ম্যাচে ব্রেভিসের সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২১৮ রান তোলে সফরকারীরা। ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৭.৪ ওভারে ১৬৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।


আরও পড়ুন

ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড


অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৫০ রান করেন টিম ডেভিড। অ্যালেক্স কেরি ২৬ ও মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে বোশ ও কেউনা মাফাকা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।


তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় ছিল না তাদের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।


পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেটে ৫০ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৭ রানে হারায় তারা তৃতীয় উইকেট। চার নম্বরে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ব্রেভিস। চতুর্থ উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে ৫৭ বলে ১২৬ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েন তিনি।


২২ বলে ৩১ রানে ফেরেন স্টাবস। তবে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৪২ বলে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেভিস। তাঁর চেয়ে কম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ডেভিড মিলারের নামের পাশে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ব্রেভিসই।


আরও পড়ুন

প্রথমবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাদারল্যান্ড প্রথমবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাদারল্যান্ড


৫৬ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেভিস। ইনংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১২টি চার। কুড়ি ওভারের সংস্করণে প্রোটিয়াদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও এটি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাফ ডু প্লেসিস করেছিলেন ১১৯ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ২১৮ রান স্কোরে জমা করে প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জোহানেসবার্গে করেছিল ২০৪ রান। এবার সেটি ছাড়য়ে গেল তারা। ২টি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও বেন ডারশুইস।

bottom-logo

ফুটবল

লম্বা বিরতির পর ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে জামালদের

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম

news-details

লম্বা বিরতির পর আবারও ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে জাতীয় ফুটবল দলের। সবশেষ গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। সেই ম্যাচের পর প্রায় দুই মাস ছিল না কোনো ম্যাচ কিংবা ক্যাম্প।


অবশেষে আগামীকাল থেকে আবার শুরু হবে জামালদের ব্যস্ততা। ‎সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু করতে যাচ্ছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে মাঠের অনুশীলন শুরু হবে আগামী পরশু থেকে।


নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দুটি মাঠে গড়াবে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে নেপাল আছে ১৭৬ নম্বরে, বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বরে। র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে এই দুটি ম্যাচ খেলবে মূলত এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে। 


আরও পড়ুন

চ্যালেঞ্জ লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না আবাহনী, হেরে বিদায় চ্যালেঞ্জ লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না আবাহনী, হেরে বিদায়


বসুন্ধরা কিংসের জাতীয় দলের ফুটবলাররা এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে দোহায় আছেন। সেখান থেকে ফিরে ১৫ আগস্ট ক্যাম্পে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। 


৩৬ দিন ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার ঢাকায় এসেছেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। খেলোয়াড়দের আগেই টিম হোটেলে উঠেছেন তিনি।


নিজ নিজ ‎ক্লাবের ব্যস্ততার কারণে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমকে নেপালের বিপক্ষে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ। যদিও জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন, দুজনকে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন কোচ কাবরেরা।


আরও পড়ুন

‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি ‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি


আগামী ‎অক্টোবরে হোম ও অ্যাওয়ের ভিত্তিতে হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৯ অক্টোবর জাতীয় স্টেডিয়ামে আর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। 


বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে এক পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তিনে। হংকং দুই ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট অর্জন করে দুইয়ে আছে।

bottom-logo

ফুটবল

চ্যালেঞ্জ লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না আবাহনী, হেরে বিদায়

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:১০ পিএম

news-details

ঘরের মাঠে খেলা। হারলে বিদায়, জিতলে গ্রুপ পর্বে ওঠার সুযোগ। নিজেদের সমর্থকদের সামনে চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছিল ঢাকা আবাহনী। কিন্তু কিরগিস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের সঙ্গে পেরে উঠল না আকাশি-নীলরা। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ স্টেজ থেকেই হেরে বিদায় নিল মারুফুল হকের দল।


আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে মুরাস ইউনাইটেডকে আতিথেয়তা দেয় আবাহনী। যেখানে অতিথিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী। গোলশূন্য প্রথামার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে হয় দুটি গোল। দুই গোলই আসে মুরাসের মিডফিল্ডার আতায় ঝুমাশেভের থেকে।


ষষ্ঠ মিনিটে মুরাসের গোল মিস। পোস্টের সামনে থেকে নেওয়া ওলে মারচুকের বা পায়ের নিচু শট বেড়িয়ে যায় বক্সের ডান পাশ ঘেষে। অথচ শট গোলে রাখতে পারলে নিশ্চিত গোল পেতে পারতেন এই ফরোয়ার্ড, আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা তখন অনেকটাই বাম দিকে ছিলেন।


আরও পড়ুন

মুরাসকে ‘মেন্টালি’ ধংস করবে আবাহনী মুরাসকে ‘মেন্টালি’ ধংস করবে আবাহনী


এই সময় একের পর এক আক্রমণের পর গোল ১০ম মিনিটে গোল পেতে পারত মুরাস; এ যাত্রায় আবাহনীকে বাঁচিয়ে দেন মিতুল। পোস্টে চাভেল গোমেসের গতিময় সোজা শট ফিস্ট করে বের করে দেন তিনি। দুই মিনিট পর পোস্টের সামনে থেকে আলিগুলভ মাকসাতের শট কর্নারের বিনিময়ে আরেকবার ঠেকিয়ে দেন মিতুল।


অতিথিদের তীব্র আক্রমণের সামলে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় আবাহনী। ১৩ মিনিটে শাকিল হোসেনের গতিময় শট ঠেকিয়ে দেন মুরাসের গোলরক্ষক ওরেস কোস্তিক। মোরছালিনের ফিরতি শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। কর্নার পায় আবাহনী। ৫ মিনিট পর বামপ্রান্ত দিয়ে দুজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ওঠেন সুলেমান দিয়াবাতে। বক্সে এক ডিফেন্ডারের বাধার সম্মুখীন হন, উঠে নিজেকে সামলে শট নিলে বল যায় বক্সের সামান্য ওপরে দিয়ে।


২১ মিনিটে আরেকবার গোল সেভ করেন মিতুল। পরের মিনিটে বল নিয়ে একাই উপরে উঠছিলেন আল আমিন। তবে তাঁর পেছনে ছিলেন অ্যান্দ্রি বাতসুলা। সামনে গোলরক্ষক একা, তবে পোস্টে শট নেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে পেছন থেকে বল ক্লিয়ার করেন মুরাসের ওই ইউক্রেনীয় ডিফেন্ডার। দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় আবাহনীর।


৩০ মিনিটে মুরাসের ডিফেন্ডারদের ভালোই পরীক্ষা নেয় আবাহনী। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে মুরাসের কয়েকজনকে কাটান দিয়াবাতে। বাধার সামনে এক দফায় মাটিতে পরেও যান, তবে উঠে দাড়িয়ে বাম দিকে ক্রস দেন ইব্রাহীমকে দেখে। পোস্টের একদম কাছ থেকেই এই ফরোয়ার্ডের শট ছিল না লক্ষ্যে। বল কাপায় বক্সের পেছনের জাল। ওই সময় পর্যন্ত ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগটা হাতছাড়া করে আবাহনী। গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।


আরও পড়ুন

দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী


প্রথমার্ধে আটকে রাখা মুরাসের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে বসে আবাহনী। ৪৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে খানিকটা জায়গা করেই লম্বা ক্রস দেন মুরাসের ইউক্রেনিয়ান ডিফেন্ডার বাতসুলা। আবাহনীর গোলমুখ অনেকটা আনমার্কিংয়ে থাকা আতায় ঝুমাশেভ সেই ক্রস থেকে হেডে আবাহনীর জাল কাঁপান। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা।


গোল হজমের পর মুরাসের রক্ষণে চাপ বাড়ায় আবাহনী। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখাই মেলেনি। ম্যাচে সমতায় ফেরার আশায় থাকা আবাহনীকে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে চূড়ান্ত হতাশয়া ডুবিয়ে দেয় মুরাস। ৯০ মিনিটে দলটির হয়ে ব্যবধান দিগুণ করেন আতায় ঝুমাশেভ। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ডান পায়ে জোরাল শটে মিতুলকে পরাস্ত করেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে দুটি গোলই করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেরার স্মৃতি সুখকর রাখতে পারল না আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

bottom-logo