২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩:৩৫ পিএম

লক্ষ্যটা ছিল পাহাড়সম। তবু লড়াইয়ে কমতি রাখল না রাজশাহী বিভাগ। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না তারা। অনায়াস জয়েই জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) যাত্রা শুরু করল চট্টগ্রাম বিভাগ।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিনে স্থানীয় দলকে ১১২ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। ৪৮২ রানের বিশাল লক্ষ্যে সব উইকেট হারিয়ে ৩৭০ রানের বেশি করতে পারেনি রাজশাহী।
৪২ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল রাজশাহী। শেষ দিনে ৪৪.৫ ওভারের বেশি খেলতে পারেনি তারা। স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে ১৫১ রান।
আগের দিন ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা এসএম মেহেরব হাসান দিনের শুরুতেই ফিরে যান ৬০ রানে। আর ৫৬ রান নিয়ে খেলতে নামা প্রীতম কুমার শেষ পর্যন্ত খেলেন ৮৩ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন
| আজই তাহলে টি-টোয়েন্টির ‘রাজা’ হচ্ছেন বাবর |
|
সপ্তম উইকেটে তাইজুল ইসলাম ও শাকির হোসেন শুভ্র মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ৩০ বলে ৩০ রান করে আউট হন তাইজুল শাকিরের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৯৬ বলে ৫২ রান।
চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। এছাড়া আহমেদ শরীফ ও নাঈম হাসানের শিকার ২টি করে উইকেট।
দলের বড় জয়ের নায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি। প্রথম ইনিংসে ১২৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান অভিজ্ঞ মিডল-অর্ডার ব্যাটার। তবে ৯২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবশ্য তিনিই জেতেন।
প্রথম ইনিংসে রাব্বির সঙ্গে জয়ের সেঞ্চুরিতে ৪০১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে সাব্বির হোসেন ও সাব্বির রহমান ফিফটি করলেও ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী।
পরে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম। বাকি কাজ সারেন বোলাররা।
No posts available.
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৫৬ পিএম
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৪২ পিএম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোটে পড়েন ভারতের সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। সেই চোটের কারণে সিডনির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এই ব্যাটারকে। আইয়ারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। ভারতীয় এই ব্যাটারের পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও পাঁচ থেকে সাত দিন সময় প্রয়োজন।
আজ ক্রিকবাজের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর আইয়ার এখন স্থিতিশীল রয়েছেন। তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখন স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং নিজেই ছোটোখাটো কাজ সারছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইয়ারের শারীরিক অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। বিসিসিআই পরিবারের এক সদস্যকে সিডনিতে পাঠানোরও ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
আরও পড়ুন
| এশিয়া কাপ থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভারতের |
|
আইয়ারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপডেট দিয়েছেন ভারতীয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। আজ টি টোয়েন্টি সিরিজের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
'ওর (সূর্যকুমার) চোটের খবর জানার পরই প্রথম দিন আমি ফোন করি। তখন জানলাম, ওর ফোন নেই। তাই ফিজিও কামলেশকে ফোন করি। উনি জানান, আইয়ার স্থিতিশীল। এখন কথা বলছে, মেসেজের জবাব দিচ্ছে। সবকিছু ভালোই আছে। ও বলেছে, আরও কয়েকদিন নিজের যত্ন নেবে। তবে ওর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে ভালো খবর।'
আরও পড়ুন
| র্যাঙ্কিংয়ের তিন বিভাগেই সেরা তিনে অজি অলরাউন্ডার |
|
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে জিতলেও, ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে ভারত। আগামীকাল থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলে নেই আইয়ার। ভারতের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। রাঁচিতে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু সেই সিরিজ।

আগামী বছর ভারতে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। সহযোগী আয়োজক হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা। আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এশিয়া কাপ থেকেই নেওয়া শুরু করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন দলটির অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিরই অংশ বলছেন সূর্যকুমার,
'প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপ দিয়েই, এখনও তা চলমান। এটা ভাবছি না যে, বিদেশে এসে খেলছি বলে এটি আলাদা সিরিজ। এটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিরই অংশ, তবে একই সঙ্গে এটা চ্যালেঞ্জিংও, তাই আমি নিশ্চিত দারুণ সিরিজ হবে।'
আরও পড়ুন
| র্যাঙ্কিংয়ের তিন বিভাগেই সেরা তিনে অজি অলরাউন্ডার |
|
ওয়ানডে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে ভারত। সাম্প্রতিক পাওয়ার-প্লেতে আগ্রাসী ব্যাটিং করছেন মিচেল মার্শরা। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং নিয়ে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার বলেন,
'এটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জ। আমরা দেখেছি তারা (অস্ট্রেলিয়া) কীভাবে ওয়ানডে সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। পাওয়ার-প্লে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।'
ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না ভারতের অভিজ্ঞ পেসার জাসপ্রিত বুমরা। কাল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরছেন তিনি। কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নিতে হয় সেটি বুমরাহ ভালো জানেন বলে মনে করেন ভারত অধিনায়ক,
'সে (বুমরাহ) এত বছর ধরে যেভাবে ক্রিকেট খেলছে, নিজেকে সবসময় সেরা পর্যায়ে রেখেছে। সে জানে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়, কীভাবে খেলতে হয়। আমি মনে করি দলের মধ্যে সে-ই এদেশে (দক্ষিণ আফ্রিকা) সবচেয়ে বেশি এসেছে, সবাই তার সঙ্গে কথা বলেছে।'
আরও পড়ুন
| শেষ দিনে জিসানের ৩ রানের আক্ষেপ |
|
ভারত দলে অনেক বিকল্প থাকায় একাদশ নির্বাচন করাও কঠিন বলে মনে করেন সূর্যকুমার,
'এটা এক ধরনের মাথাব্যথা, এত বিকল্প আছে দলে! পেসার, স্পিনার, ওপেনার থেকে সাত নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিং অপশন। তাই যাদের খেলানো যাচ্ছে না, তাদের বোঝানো একটু কঠিন।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে চোটের কারণে খেলতে পারেননি অলরাউন্ডার নীতিশ কুমার রেড্ডি। টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফিরছেন তিনি। সূর্যকুমার বলেন,
'আমার মনে হয় সে ভালো আছে। গতকাল কিছুটা রান করেছে, নেটে ব্যাটিং করেছে। আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন, তাই বিশ্রাম নিয়েছে।’
মানুকা ওভালে আগামীকাল ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া দুইটায়।

ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল এক কীর্তি গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনিং অলরাউন্ডার অ্যাশলে গার্ডনার। একই সময়ে ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডার- তিন বিভাগেই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা তিনে উঠলেন ২৮ বছর বয়সী এই তারকা ক্রিকেটার।
মেয়েদের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যেখানে এমন উচ্চতায় উঠেছেন গার্ডনার, যেখানে হয়তো আগে পৌঁছাতে পারেননি কোনো নারী বা পুরুষ ক্রিকেটার।
সবশেষ এই হালনাগাদে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে গার্ডনার। ব্যাটারদের তালিকায় তিনি দ্বিতীয় ও বোলারদের মধ্যে তিন নম্বরে অবস্থান করছেন।
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে ৮৮.৩৩ গড় ও ১২৮.০১ গড়ে ২৬৫ এবং চমৎকার অফ স্পিনে ৭ উইকেট নিয়েছেন গার্ডনার। এর পুরস্কার হিসেবেই র্যাঙ্কিংয়ের তিন বিভাগেই পেয়েছেন সেরা তিনে থাকার কৃতিত্ব।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে ৩২৬ রানে নিয়ে যান গার্ডনার। সেদিন তিনি খেলেন ৮৩ বলে ১১৫ রানের ইনিংস।
পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মাত্র ৭৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান গার্ডনার।
এসব পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে ৬ ধাপ লাফিয়ে দুইয়ে উঠেছেন তিনি। তার ওপরে শুধু ভারতের স্মৃতি মান্ধানা।

প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করে সত্তর পেরিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন জিসান আলম। দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরির আরও কাছে পৌঁছালেন তিনি। কিন্তু জাদুকরী তিন অঙ্ক ছোঁয়া হলো না ঢাকা বিভাগের তরুণ ওপেনারের।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে ড্র হয়েছে ঢাকা ও রংপুরের মধ্যকার ম্যাচ। শেষ দিনে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার বেদনায় পুড়েছেন জিসান।
সিলেটের একাডেমি মাঠে প্রথম ইনিংসে ২২১ রানে অলআউট হয় ঢাকা। জবাবে ৩৫৮ রানের পুঁজি গড়ে ১৩৭ রানের লিড পায় রংপুর। দ্বিতীয়বারে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৩৩ রান করে ঢাকা।
রংপুরের সামনে দাঁড়ায় ১৯৭ রানের লক্ষ্য। শেষ দিনে আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৬ উইকেটে ১১৫ রান করে আকবরের দল।
ক্যারিয়ারের ৩৪তম সেঞ্চুরি করা নাঈম ইসলামের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিনে জিসানের ব্যাট থেকে আসে ১৪ চারে ৯৭ রানের ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে আশিকুর রহমান শিবলি ও জিসান মিলে গড়েন ১৩০ রানের জুটি। শিবলির ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।
সিলেটের মূল মাঠে ময়মনসিংহ ও সিলেটের মধ্যকার ম্যাচটিও নিষ্ফলা ড্র হয়। চার দিনের শেষ হয়নি ম্যাচের তিন ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে আবু হায়দার রনি ও আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে ৪০১ রান করে জাতীয় লিগে প্রথম খেলতে নামা ময়মনসিংহ। জবাবে সৈকত আলির ১৭৫ রানের সঙ্গে বাকিদের অবদানে ৪৮৯ রান করে সিলেট।
৮৮ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৭২ রান করে ময়মনসিংহ। এরপর ড্র মেনে নেয় দুই দল। আরিফুল ৬২ ও নাঈম শেখ করেন ৫৮ রান।
আরিফুলের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রথম যুব ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতায় ৪ ওভার আগেই থেমে যাওয়া ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক যুবারা।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৫ রান করে আফগানিস্তান। রান তাড়ায় ৪৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান করে বাংলাদেশ।
এরপর আর আলোকস্বল্পতায় খেলা সম্ভব হয়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।
সিরিজে শুভসূচনার পেছনে বড় কারিগর ইকবাল হোসেন ইমন ও কালাম সিদ্দিকি এলিন। বল হাতে যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট নেন ইমন। আর ব্যাটিংয়ে এই ফরম্যাটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন কালাম।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো হয়নি। মাত্র ১৫ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই তারকা ব্যাটার জাওয়াদ আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
তৃতীয় উইকেটে রিফাত বেগের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন কালাম। ৩০ বলে ২৬ রান করে ফেরেন রিফাত।
এরপর ম্যারাথন জুটি গড়েন কালাম ও রিজান হোসেন। ভাগ্যের সহায়তাও পান দুজন। উইকেটের পেছনে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেন আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৩৯ রান যোগ করেন কালাম ও রিজান। নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই আউট হয়ে যান কালাম। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ চারে ১১৯ বলে ১০১ রান।
এরপর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে নিয়ে এগোতে থাকেন রিজান। কিন্তু আলোর অভাবে পুরোটা খেলে ম্যাচ জেতানো হয়নি তার।
২ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় ৯৬ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন রিজান। আব্দুল্লাহ করেন ১৯ বলে ১২ রান।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৪৭ রানে ২ উইকেট নেন মুজিব উর রহমানের মতো একই অ্যাকশনে বোলিং করা ওয়াহিদউল্লাহ জাদরান।
ম্যাচের প্রথমভাগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান পায় আফগানিস্তান। খালিদ ওমরজাইকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন ইমন। পরের ওভারে আরেক ওপেনার ওসমান সাদাতকে ফেরান মোহাম্মদ সবুজ।
চার নম্বরে নেমে হাল ধরেন উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই। তবে অন্য প্রান্ত থেকে তেমন সমর্থন পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১৩৭ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন উজাইরউল্লাহ। কিন্তু ম্যাচ শেষে তাকে থাকতে হয় পরাজিত দলে।
১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৫৭ রানে ৫ উইকেট নেন ইমন। পেস বোলিং অলরাউন্ডার রিজানের শিকার ৫৪ রানে ২ উইকেট।
একই মাঠে শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯: ৫০ ওভারে ২৬৫/৯ (খালিদ ৩৪, ওসমান ১৫, ফয়সাল ৩৩, উজাইরউল্লাহ ১৪০*, মাহবুব ১২, বরকত ১, আজিজউল্লাহ ১৪, খাতির ৩, ওমরজাই ০, জাইতুল্লাহ ০; ফাহাদ ৬.৪-০-৩৬-০, ইমন ১০-১-৫৭-৫, সবুজ ৫.২-০-৩০-১, রাতুল ৭-০-৩৪-০, রিজান ১০-০-৫৪-২, রাফি ৭-০-৩০-০, তামিম ৪-০-২৩-১)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৬ ওভারে ২৩১/৪ (জাওয়াদ ১০, রিফাত ২৬, তামিম ০, কালাম ১০১, রিজান ৭৫*, আব্দুল্লাহ ১২*; ওমরজাই ৮-০-৩৬-১, ওয়াহিদউল্লাহ ১০-০-৪৭-২, খাতির ৬-০-৩৫-০, জাইতুল্লাহ ১০-০-৩৪-১, মাহবুব ৬-০-৩২-০, উজাইরউল্লাহ ৬-০-৪৩-০)
ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ৫ রানে জয়ী