গল টেস্টে চতুর্থ দিন বাংলাদেশ দলকে যেমনটা দেখতে চেয়েছেন সমর্থকরা, তেমনটাই দেখতে পেরেছেন। তৃতীয় দিন শেষে ৩৬৪/৪ স্কোর নিয়ে লিডের স্বপ্ন দেখেছে শ্রীলঙ্কা। অফ স্পিনার নাঈম হাসানের ভয়ংকর এক স্পেলে (৩.৩-০-৫-৩) সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ১০ রানের লিড নিয়ে দিনের শেষ দুই সেশন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেয়ার পরীক্ষাটা ভালই দিয়েছে বাংলাদেশ টপ ও মিডল অর্ডাররা। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান শান্ত ৫৬ এবং মুশফিক২২ রানে আছেন অবিচ্ছিন্ন। প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রানের পার্টনারশিপে উদ্বুদ্ধ এই জুটি ইতোমধ্যে যোগ করেছেন ৪৯ রান। চতুর্থ দিন শেষে ১৮৭ রানের লিড নিয়ে গল টেস্টের চিত্রনাট্য তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
অলৌকিক কোনো দুর্ঘটনা না হলে ড্র'র দিকে ধাবিত এখন টেস্টটি।
২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে চট্টগ্রামের ছেলে নিজের হোম গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেকে করেছিলেন দারুণ কৃতি। টেস্ট অভিষেকে চেনা মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট (৫/৬১)। ২০২০সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ও ৫ উইকেটের (৫/৮২) কৃতি আছে তার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের হোম গ্রাউন্ড চট্টগ্রামে ২০২২ সালে করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং (৬/১০৬)। অথচ, টেস্ট দলে তাইজুল-মিরাজ অপরিহার্য, ব্রাত্য সেখানে নাঈম হাসান। ৭ বছরে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১৩টি। বিদেশের মাটিতে এর আগে একবারই কেবল সুযোগ পেয়েছেন, ২০১৯ সালে কনকাশন সাব হিসেবে পিঙ্ক বলের টেস্টে খেলার সেই সুযোগ পেলেও বল হাতে নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন
নাঈমের ফাইফারের পর বাংলাদেশের স্বস্তির দিন |
![]() |
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ইনজুরিতে না পড়লে গল টেস্টে নাঈম হাসানের একাদশে থাকার সম্ভাবনা ছিল না। সেই ব্যাক আপ অফ স্পিনারই অসাধ্য সাধন করেছেন। বিদেশের মাটিতে এই প্রথম টেস্টে বল হাতে নিয়ে দেখেছেন ইনিংসে ৫ উইকেটের মুখ। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা যখন লিডের সম্ভাবনা দেখেছে, তখনই নাঈম হাসান সে সম্ভাবনা নাস্যাৎ করে দিয়েছেন। লাঞ্চ ব্রেকের পর মাত্র ২০ রানে শ্রীলঙ্কার শেষ ৪ উইকেট গেছে উড়ে, সেই ৪টি উইকেটের ৩টিই নাঈমের। লাঞ্চের পর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে সেঞ্চুরির পথে পাঁ বাড়ানো কামিন্দু মেন্ডিজকে মিডল এন্ড অফ স্ট্যাম্পে পিচিং ডেলিভারিতে ফ্লিক শটের ফাঁদে ফেলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। ৮৭ রানে কামিন্দুকে থামিয়ে দিয়ে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ ভেঙ্গে ওই ওভারের শেষ বলে কুইকারে বোল্ড করেছেন থারিন্দু রত্নায়েককে (০)। নিজের এক ওভার বিরতি দিয়ে টেল এন্ডার আসিথা ফার্নান্ডোকে (৪) রিভার্স সুইপের পাতা ফাঁদ ফেলে বোল্ড করেছেন।
তৃতীয় দিন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলে চতুর্থ দিন পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের ৪র্থ ৫ উইকেট (৪৩.২-৪-১২১-৫)। পেসার হাসান মাহমুদ চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের গর্জনে পেয়েছেন ২ উইকেট। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১৯) এবং কুশল মেন্ডিজকে (৫) ফিরিয়ে দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। যে দুটি উইকেটের ভাগীদার উইকেট কিপার লিটন। দুটি ক্যাচই নিয়েছেন লিটন বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে! নাঈম হাসানের ৫ উইকেটের পাশে (৫/১২১) হাসান মাহমুদের ৩ উইকেট (৩/৭৪)। তাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে যে ব্যাটাররা ছিলেন অফ ফর্মে, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের দিকে চোখ ছিল সবার। কিন্তু ওপেনার বিজয় জানিয়ে দিলেন তিনি টেস্ট খেলতে ইচ্ছুক নন। টেস্টে ১ যুগে মাত্র ৭ টেস্ট খেলার সুযোগ নিয়ে এতোদিন নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের উপর বিরক্তিবোধ এখন আর প্রকাশ করার উপায় নেই তার। গল-এ ব্যাটিং স্বর্গে প্রথম ইনিংসে ০'র পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে থেমেছেন। প্রবথ জয়সুরিয়ার আউটসাইড অফ-এ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ। মুমিনুল থেমেছেন ১৪ রানে, থারিন্দুর বলে সুইপ করতে যেয়ে ব্যাট হয়ে হেলমেটে বল লেগে দিক পরিবর্তন করে শর্ট পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন। প্রথম ইনিংসের হতাশা কাটিয়ে সেঞ্চুরির পথে ছিলেন সাদমান। তবে ৬ষ্ঠ ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পূর্ণ করতে পারেননি এই ওপেনার। শ্রীলংকা পেসার মিলান রত্নায়েকের বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে ব্যাক প্যাডে লেগেছে বলের আঘাত, এলবিডাব্লুউতে থেমেছেন সাদমান ৭৬ রানে। ১২৬ বলের মোকাবেলায় ৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি এই ইনিংসে।
আরও পড়ুন
৫৪ টেস্ট পর বাদ পড়লেন লাবুশেন, চোটে ছিটকে দিল স্মিথকে |
![]() |
চতুর্থ দিনে পিচে বল পড়ে খানিকটা নিচু বাউন্স হয়েছে। আনইভেন বাউন্সও দেখা গেছে। ৫ম দিনে স্পিনাররা ছড়াতে পারে আতঙ্ক, তেমন পূর্বাভাসই পাওয়া যাচ্ছে। তবে চতুর্থ ইনিংসে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জের আগে তৃতীয় ইনিংসে নিজেদের ব্যাটিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করাটাই উত্তম। পঞ্চম দিনটি হোক আরও উজ্জ্বল। উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির কৃতি গড়ুক শান্ত-মুশফিক। গল টেস্টের শেষ দিনে সেদিকেই তাকিয়ে এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
No posts available.
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৩২ পিএম
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ এম
পাকিস্তান দলে তাঁর জায়গা এখন অনিয়মিত। ২০২৪ সালে দলেই জায়গা হয়নি ইমাম-উল হকের। চলতি বছর খেলেছেন শুধু তিন ম্যাচ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারও দল থেকে বাদ পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে রানের ফোয়ারা বানিয়ে ফেরার রাস্তাও তৈরি করে নিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী ইমাম।
ইমাম ছন্দে ফিরতে বেছে নেন ইংল্যান্ডের ওয়ানডে কাপে। টুর্নামেন্ট ইয়র্কশায়ারের হয়ে দেখা গেল তাঁর রুদ্ররূপ। রান করাটাই সেখানে অভ্যাসে পরিণত হয়। আট ম্যাচে চার সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে করেছেন ৬৮৮ রান। ব্যাটিং গড় ৯৮.২৮, স্ট্রাইক রেট ৯৭.৪৫।
৭ ইনিংসেই ইমাম করেছেন ৫০-এর বেশি রান। ওয়ানডে কাপের ইতিহাসে এক সংস্করণে পাঞ্চাশোর্ধ ইনিংস তাঁর চেয়ে বেশি নেই আর কারো। সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরিও তাঁর। টুর্নামেন্টের রেকর্ড বই ওলট-পালট করে দিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
রেকর্ড গড়ে ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচ |
![]() |
টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক সংস্করণে ইমাম এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাঁর ওপরে আছেন শুধু হাইনো কুন। ২০১৮ ওয়ানডে কাপে কেন্টের হয়ে ৬৯৬ রান করেছিলেন তিনি, ব্যাটিং গড় ছিল ৮৭.০০। এ জন্য তিনি অবশ্য ইমামের চেয়ে তিন ইনিংস বেশি খেলেছেন।
অন্তত ৫০০ রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ব্যাটিং গড়ও ইমামের। আর বেঞ্চমার্ক যদি ৬০০ রান ধরা হয়, তবে ইমামের গড়ই সবার সেরা। ২০১৫ ওয়ানডে কাপে গ্লুচেস্টারশায়ারের হয়ে মাইকেল ক্লিঙ্গার আট ইনিংসে করেছিলেন ৫৩১ রান, তাঁর অবিশ্বাস্য ব্যাটিং গড় ১০৬.২০।
পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ইমাম। তবে সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করেও দলকে নিয়ে যেতে পারেননি ফাইনালে। গতকাল ডিএলএস মেথডে ইয়র্কশায়ারকে ১৮ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হ্যাম্পশায়ার। ৯৭ বলে ১০৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন ইমাম। তাঁর এমন অসাধারণ পারফরম্যান্স নিশ্চয় পিসিবির নির্বাচক প্যানেলের গুড-বুকেই জায়গা পাওয়ার মতো। আবারও হয়তো নতুন করে ইমামকে নিয়ে ভাববেন তাঁরা।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নটিংহ্যামে হবে ওয়ানডে কাপের ফাইনাল। শিরোপা লড়াইয়ে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে লড়বে ওরচেস্টারশায়ার।
একশ বলের টুর্নামেন্ট দা হান্ড্রেডে নিজেদের দলের নামের স্বার্থকতা একের পর এক প্রমাণ করে চলেছে ওভাল ইনভিন্সিবলস। ইংল্যান্ডের এই প্রতিযোগিতায় টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে স্যাম বিলিংসের নেতৃত্বাধীন দল।
ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রোববার রাতের ফাইনালে ট্রেন্ট রকেটসকে ২৬ রানে হারায় ওভাল। নির্ধারিত একশ বলে ৫ উইকেটে ১৬৮ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের একশ বল খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের বেশি করতে পারেনি রকেটস।
ইংল্যান্ডের প্রথম কোনো দল হিসেবে কোনো টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ল ওভাল। বিশ্বের সব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মিলিয়ে শিরোপা হ্যাটট্রিক করা সপ্তম দল তারা।
আর টি-টোয়েন্টিতে কোনো টুর্নামেন্টে টানা সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড শিয়ালকোট স্টালিয়ন্সের। পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর শিরোপা জিতেছিল শিয়ালকোট।
হান্ড্রেডের ফাইনালে ওভালকে জেতার মতো পুঁজি এনে দেওয়ার কারিগর উইল জ্যাকস ও জর্ডান কক্স। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৫৫ বলে ৮৭ রানের জুটি। কক্সের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪০ রান। আর জ্যাকস ৪১ বলে খেলেন ম্যাচের সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস।
রকেটসের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মার্কাস স্টয়নিস। তবে নিজের ২০ বলে ৪০ রান খরচ করে ফেলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার।
রান তাড়ায় ওভালের দুই লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান সোটারের ঘূর্নিতে কাবু হয় রকেটস। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় রকেটসের পক্ষে ৩৮ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন স্টয়নিস। আর কেউ তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি।
২০ বলে মাত্র ২৫ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন সোটার। তার হাতেই ওঠে ফাইনাল সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। ম্যাচটি খেলে ৩০ ঘণ্টার ভ্রমণে ৩৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেওয়া জাম্পা ২০ বলে দেন মাত্র ২১ রান, নেন ১টি উইকেট।
আসরজুড়ে ৯ ইনিংসে ৩ ফিফটির সৌজন্যে ১৭৩.৯৩ স্ট্রাইকরেট ও ৬১.১৬ গড়ে ৩৬৭ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ওভালের জর্ডান কক্স।
হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল সফরকারীরা।
আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, তিন বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করেছে লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পাতুম নিশাঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে শতক করে ১৩৬ বলে ১২২ রান করে আউট হন এই ওপেনার। অধিনায়ক চরিত আসালঙ্কা ৬১ বল করেছেন ৭১ রান।
এর আগে টসে জিতে জিম্বাবুয়ে কে ব্যাটিংয়ে পাঠান লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে জিম্বাবুয়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে যোগ করে ৫০ রান। ২১ রান করে ব্রায়ান বেনেট আউট হলে ভাঙে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্রেন্ডন টেলরকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ রানের আরেক কার্যকর জুটি গড়েন বেন কারান। টেলর (২০) আউট হলেও ব্যাক্তিগত ফিফটি তুলে নেন কারান।
৭৯ রান করে আসিতা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কারান। শেষ দিকে সিকান্দার রাজার অপরাজিত ৫৯ রানের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ২৭৭ রান স্কোরে জমা করে জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুশমন্ত চামিরা নেন তিনটি উইকেট।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৭ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের সিরিজে- দুটোই জিতে নিল সফরকারীরা। ম্যাচসেরা হয়েছেন নিশাঙ্কা।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন সাকিব আল হাসান। উইকেটের চারপাশে একের পর এক বড় শটে মাত্র ২০ বলে ফিফটি করে ফেললেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।
সেইন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার রাতের ম্যাচে সেইন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ঝড়ো এই ইনিংস খেললেন সাকিব। ৫টি করে চার-ছক্কায় মাত্র ২৬ বলে তিনি করলেন ৬১ রান।
ইনিংসে সাকিবের স্ট্রাইক রেট- ২৩৪.৬১! তার ক্যারিয়ারের ৩৪টি ফিফটি করা ইনিংসের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড। এর আগে গত বছরের বিপিএলে ২২২.৫৮ স্ট্রাইক রেটে ৩১ বলে করেছিলেন রান।
আগের ম্যাচগুলোতে পাঁচ নম্বরে নামানো হলেও, এদিন প্রমোশন দিয়ে সাকিবকে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকনস। আর সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে জুয়েল অ্যান্ড্রু ও কারিমা গোরকে আউট করেছিলেন তাব্রেইজ শামসি। চাপের মুখে হ্যাটট্রিক বলে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। কিন্তু ব্যাট হাতে চাপের কোনো ছাপ দেখাননি তিনি।
উল্টো প্রথম দুই বলেই চার মেরে দারুণ কিছুর আভাস দেন সাকিব। পরে দশম ওভারে রস্টোন চেজের বলে পরপর দুটি ছক্কা মেরে মাত্র ১৩ বলে ২৫ রানে পৌঁছে যান ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
এরপর ১২তম ওভারে ডেভিড ভিসার ওপর দিয়ে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন সাকিব। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে টানা তিন বলে তিনটি চার মেরে দেন তিনি। এরপর লং অফের ওপর দিয়ে তিনি মারেন ছক্কা।
ওভারের শেষ বলে মিড উইকেট দিয়ে আরেকটি ছক্কা মারেন সাকিব। মাত্র ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ৩৪তম ফিফটি। সিপিএলে তার তৃতীয়।
পঞ্চাশ ছুঁয়েই থেমে যাননি সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আলজারি জোসেফের বলে এক হাতে মারেন বিশাল এক ছক্কা। তবে এরপর আর টিকতে পারেননি তিনি।
ডেলানো পটগিটারের স্লোয়ারে বড় শট মারতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন সাকিব। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন চেজ। সমাপ্তি ঘটে সাকিবের টর্নেডো ইনিংসের।