
শ্রেয়াস অবস্থা এখন স্থিতিশীল। গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে গুরুতর চোট পান আইয়ার। সিডনির এক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিতে হয় আইয়ারকে। আজ সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একা পোস্টে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানালেন আয়ার।
৩০ বছর বয়সী ভারতীয় ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘আমি বর্তমানে পুর্নবাসন প্রক্রিয়ায় আছি এবং প্রতিদিন ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার পথে আছি। ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ — এটা সত্যিই অনেক অর্থ বহন করে। ধন্যবাদ, আমাকে আপনার হৃদয়ে রাখার জন্য।’
বিসিসিআইয়ের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ জানিয়েছেন অন্তত দুই মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে শ্রেয়াস আইয়ারকে, ‘আমরা শ্রীয়াসের পরিস্থিতি নজরে রাখছি। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত মনে হচ্ছে তিনি জানুয়ারিতে মাঠে ফিরতে সক্ষম হবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি বিমানে উড়ার উপযুক্ত হবেন না, আমরা তাকে সিডনিতেই রাখব।’
আরও পড়ুন
| প্রিমিয়ার লিগে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় হ্যাজার্ড |
|
এর আগে বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়ার সই করা এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রেয়াস আইয়ার তলপেটে চোট পান। এতে তার প্লীহা কেটে যায় এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়। আঘাতটি দ্রুত শনাক্ত করা হয় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তপাত বন্ধ করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
গত ২৫ অক্টোবর সিডনির এসসিজিতে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ নিতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান আইয়ার। প্রথমে চোট গুরুতর মনে না হলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর ভেতরের ক্ষতটা পরীক্ষায় ধরা পড়ে। আইয়ার বর্তমানে ভারতের শুধু ওয়ানডে দলেই খেলছেন। ভারতের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আগামী ৩০ নভেম্বর রাঁচিতে হবে এই সিরিজ।
No posts available.
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ৩:৩৬ পিএম

হাতের তালুর মতো চেনা প্রিয় অ্যানফিল্ডে গতকাল কারাবাও কাপে খেলতে নেমেছিল লিভারপুল। প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ফেভারিট ছিল আর্নে স্লটের দল। গ্যালারিতে উপস্থিত প্রায় ৬০ হাজার দর্শকের অধিকাংশই গলা মেলালেন সেই চিরচেনা ক্লাব অ্যান্থেমে— “ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন”।
সমর্থকদের সেই পূর্ণ সমর্থনও জয়ে রূপ নিতে পারেনি। চিয়েসা ও ম্যাক অ্যালিস্টারদের অনুপ্রাণহীন পারফরম্যান্সে শেষ আটে ওঠার ম্যাচে ০–৩ ব্যবধানে হেরেছে লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে এই হার শুধু বিদায়ই নয়, ৯১ বছর পর ঘরের মাঠে এমন লজ্জার স্মৃতি বয়ে আনল ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির জন্য।
বুধবার রাতে ইংলিশ লিগ কাপের চতুর্থ রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়ার দিনে টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি স্মরণে এনেছে ৯১ বছর আগের ইতিহাস। সবশেষ ঘরের মাঠে সেই ১৯৩৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এফএ কাপে বোল্টন ওয়ান্ডারার্সের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।
অ্যানফিল্ডে প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করা লিভারপুল শেষ অর্ধে আরও একটা গোল হজম করে। বারবার চেষ্টা করেও সমতা কিংবা ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি স্বাগতিকদের। দলের এমন বাজে অবস্থা দেখে বেজায় অসন্তুষ্ট কোচ স্লট। ম্যাচ শেষে বলেছেন, এমন হার লিভারপুলের সঙ্গে যায় না।
তিনি বলেন,
‘ফুটবলে যে কোনো ম্যাচই হেরে যাওয়া বড় ধাক্কা, বিশেষ করে সেটি যদি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়। তবে গত মৌসুমে লিগ কাপের এই রাউন্ডগুলোর ম্যাচে যেমন দল বেছে নিতাম, আজকেও তেমনই নিয়েছি।’
পরবর্তী কথাগুলো বলতে গিয়ে একটু মন খারাপ করে বসেন নেদারল্যান্ডস। তিনি বলেন,
‘সাত ম্যাচের মধ্যে ছয় পরাজয় অবশ্যই লিভারপুলের সঙ্গে যায় না। সাত ম্যাচে ছয় পরাজয়ের নানা কারণও আছে। তবে এত হারের পেছনে কোনো কারণই আসলে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই কোনো যুক্তি আমি দেখাতে পারি বা কারণ তুলে ধরতে পারি না, কিন্তু কোনোটিই যথেষ্ট হবে না। কারণ লিভারপুলের মতো দলের জন্য ছয় ম্যাচে পাঁচ হার বা সাত ম্যাচে ছয় হার মানে অনেক বেশিই।’

সময় বড্ড নিষ্ঠুর। সময় নামক বাস্তবতা এড়ানোর সুযোগ নেই কারও। ফুটবল ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে এসে লিওনেল মেসি সেটা ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সিংহভাগ যাদের সঙ্গে কাটিয়েছেন, অনেকেই বুটজোড়া তুলে রেখেছেন, কেউবা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন বিদায়ের।
সতীর্থদের করুণ বিদায়ের সুর প্রবলভাবেই ধাক্কা দিচ্ছে মেসিকে। স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে সময় ফুরিয়ে আসছে।
অবসরের প্রসঙ্গ আসলে কমবেশি সব খেলোয়াড়াই খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। বিস্ময়ের আতিশয্যায় অনেকে যাকে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী মনে করেন সেই মেসি তো আসলে রক্তমাংসের মানুষই। বাকি আট-দশ জন ফুটবলারের মতো আর্জেন্টাইন মহাতারকাও অবসরের কথা উঠলে একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন।
অ্যাপল টিভিকে ফ্যাব্রিজিও রোমানোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি কথা বলেন অবসর নিয়ে। বার্সেলোনার পর ইন্টার মায়ামির দুই সতীর্থ সার্জিও বুসকেতস ও জর্দি আলবার অবসরের ঘোষণা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় আটবারের ব্যালন ডি’অরকে। সতীর্থদের অবসর নিজের আসন্ন বিদায়ের কথাও মনে করিয়ে দেয় মেসিকে, ‘সত্যি বলতে, এটা খুব কঠিন। কারণ প্রথমেই বুঝতে পারবেন— আপনি পুরো পেশাজীবনটা ফুটবলেই কাটিয়ে দিয়েছেন, তারপর দেখবেন আপনার চারপাশের মানুষগুলো একে একে বিদায় নিচ্ছে, আর তখন বুঝতে পারবেন, নিজের সময়ও খুব দূরে নয়।’
ইন্টার মায়ামির মৌসুম শেষ হলেই বিদায় নেবেন বুসকেতস ও আলবা। বার্সেলোনায় একসঙ্গে কাটানো ঐতিহাসিক সময়ের পর মায়ামিতেও পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে— এবার স্থায়ীভাবে।
মেসি আরও যোগ করেন, ‘মাঠে এবং মাঠের বাইরে সবসময় দারুণ বোঝাপড়া ছিল আমাদের। পরিবারের সঙ্গেও অনেক কিছু ভাগ করে নিয়েছি। তাই এটা আসলে বন্ধুদের হারানোর মতোই— মাঠেও, মাঠের বাইরেও। আর অবশ্যই, তাদের জন্যও এটা কঠিন সময়, কারণ যেটাকে তুমি এত ভালোবেসে বড় হয়েছ, সেটা ছেড়ে যাওয়া কখনোই সহজ কিছু নয়।’
ইন্টার মায়ামির হয়ে লিওনেল মেসি এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছেন। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা সম্প্রতি ক্লাবটির সঙ্গে নিজের চুক্তি ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। ২০২৫ এমএলএস কাপ প্লে-অফে লড়ছেন। নেশভিল এফসির বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম রাউন্ড মেসির দল জিতেছে ৩-১ গোলে। আগামী রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের বিপক্ষে জয় পেলেই প্লে অফের বাধা উতরাবে মায়ামি

গোল করেছেন হ্যারি কেইন, জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। চলতি মৌসুম আর যাই হোক, এই ঘটনার কোনো হেরফের হচ্ছে না। সূর্যের উদয়-অস্তের মতোই যেন নিয়ম হয়ে গেছে কেইনের গোল আর বাভারিয়ানদের জয়।
জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে গতকাল রাতে কোলোনিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন। বড় জয়ের ম্যাচে জোড়া গোল করেন কেইন। এই জয় ২০২৫-২৬ মৌসুমের সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ জিতে নতুন করে ইতিহাস লিখল ভিনসেন্ট কোম্পানির দল।
আরও পড়ুন
| ভয়াবহ চোটে পড়া আয়ারের মাঠে ফেরার সময় জানাল বিসিসিআই |
|
সবশেষ ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে টানা ১৩ ম্যাচ জিতেছিল ইতালির বনেদি ক্লাব এসি মিলান। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এতদিন পর্যন্ত অক্ষত ছিল এই রেকর্ড। উড়তে থাকা বায়ার্ন এবার সেই রেকর্ড নিজেদের করে নিল।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। ৩১ মিনিটের পিছিয়ে পড়ার পাঁচ মিনিট পরই বায়ার্নকে সমতায় ফেরান লুইস দিয়াজ। এরপর ৩৮ ও ৬৪ মিনিটে জোড়া গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন কেইন। চলতি মৌসুমে জার্মান জায়ান্টদের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২২ গোল হলো ইংলিশ ফরোয়ার্ডের। ৭২ মিনিটে দলের শেষ গোলটি আসে মাইকলে ওলিসের নৈপণ্যে।
আগামী শনিবার বায়ার্ন মিউনিখের পরের ম্যাচ বুন্দেসলিগায় লেভারকুসেনের বিপক্ষে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ‘হল অব ফেমে’ জায়গা পেলেন চেলসির কিংবদন্তি এডেন হ্যাজার্ড। ২৬তম ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ লিগটির সর্বকালের সেরাদের তালিকায় যোগ হলো বেলজিয়ামের সাবেক এই ফরোয়ারর্ডের নাম। যে তালিকায় আছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, থিঁয়েরি হেনরি, স্টিভেন জেরার্ডের মতো কিংবদন্তিরা।
কিংবদন্তিদের এই তালিকায় নিজের নাম যোগ হওয়ায় গর্বিত হ্যাজার্ড, ‘প্রিমিয়ার লিগ হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আমার জন্য অনেক অর্থ বহন করে। আমি এই কিংবদন্তিদের সঙ্গে থাকা নিয়ে খুবই গর্বিত এবং মনে করি আমরা একটি দুর্দান্ত দল গঠন করতে পারি।
প্রিমিয়ার লিগে ২৪৫ ম্যাচে ৮৫ গোল এবং ৫৪ অ্যাসিস্ট আছে হ্যাজার্ডের। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৫১তম স্থানে আছেন অবসরে চলে যাওয়া ৩২ বছর বয়সী তারকা। তবে গোল-অ্যাসিস্টের চেয়ে ড্রিবলিংয়ের দক্ষতা, সৃজনশীলতার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন হ্যাজার্ড।
২০১২ সালে চেলসিতে যোগ দিয়ে ক্লাবটিতে সাত বছরের ক্যারিয়ারে ছয়টি বড় ট্রফি জিতেন হ্যাজার্ড। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দুটি লিগ শিরোপা, একটি এফএ কাপ, একটি লিগ কাপ ও দুটি ইউরোপা লিগের শিরোপা জেতান তিনি।
আরও পড়ুন
| আর্সেনাল-সিটি-চেলসির জয়ের রাতে লিভারপুলের আরেকটি হতাশা |
|
অবশ্য ক্লাব ক্যারিয়ারে দলীয় সাফল্যের বেশিরভাগই পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটিতে দুটি লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রে, সুপারকোপা, সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। কিন্তু দলের এসব অর্জনে তেমন কোনো অবদানই ছিল না তাঁর। ১৩ কোটি ইউরোতে হ্যাজার্ডকে ২০১৯ সালে দলে ভেড়ায় রিয়াল। তবে চোটের কারণে ক্যারিয়ারের এই অংশে বেশিরভাগ সময় মাঠের বাইরেই ছিলেন তিনি।
ছোটোবেলায় মজার জন্য ফুটবল খেলা হ্যাজার্ড এখন বিশেষ এক স্বীকৃতেই পেলেন। চেলসির কিংবদন্তি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে মজার জন্য ফুটবল খেলতাম, বাগানে আমার ভাইদের সঙ্গে, কিন্তু সবসময় স্বপ্ন ছিল সেরা স্তরে খেলার। মাঠে দর্শকদের বিনোদন দিতে চাইতাম, যারা টিকেট কিনে আসতেন বা টিভিতে দেখতেন। এই স্বীকৃতি পাওয়া আমার এবং আমার পরিবারের জন্য বিশেষ। আমার বাবা-মাও ছিলেন ফুটবলার এবং এখন আমার সন্তানরাও খেলাধুলা পছন্দ করে।’
গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক অধিনায়ক গ্যারি নেভিলও হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন। ২৪ জন হল অব ফেম সদস্যের দ্বারা চলতি বছর হ্যাজার্ড ও নেভিলকে নির্বাচিত করা হয় । ২০২১ সাল থেকে এই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে প্রিমিয়ার লিগ।

ইউরোপিয়ান সুপার লিগ পরিকল্পনার মূল হোতা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সুখবর। মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালত রিয়ালের পক্ষে রায় দিয়েছে। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি এখন এই প্রতিযোগিতা ভেস্তে দেওয়ার জন্য ইউরোপিয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউয়েফার কাছে ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষতিপূরণ’ চাইছে।
রিয়াল মাদ্রিদ অফিসিয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মাদ্রিদ প্রাদেশিক আদালত ইউয়েফা, স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) এবং লা লিগার আপিল খারিজ করেছে। আদালত নিশ্চিত করেছে যে সুপার লিগ বন্ধ করতে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের “মুক্ত প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত নিয়ম” লঙ্ঘন করেছে এবং আধিপত্যের অবস্থান অন্যয়ভাবে ব্যবহার করেছে।’
২০২১ সালের এপ্রিলে ইউরোপিয় ফুটবল তোলপাড় করা এক প্রস্তাব উঠে আসে । ইউরোপের ১২টি বড় ক্লাব মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে উয়েফা, ফিফা সহ ফুটবলার ও ক্লাব সমর্থকদের বিরোধিতার মুখে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরে আসে প্রায় সব ক্লাব। মূল হোতা রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ লড়ে যান একাই।
আরও পড়ুন
| আর্সেনাল-সিটি-চেলসির জয়ের রাতে লিভারপুলের আরেকটি হতাশা |
|
রিয়াল মাদ্রিদ তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে এই রায়কে ‘মাইলফলকের মুহূর্ত’ হিসেবে উদযাপন করছে, যা দীর্ঘকালীন আইনি দ্বন্দ্বে তাদের অবস্থানকে বৈধতা দিয়েছে। ক্লাবটি জানিয়েছে, এই রায় ‘ক্লাবের ক্ষতিপূরণের দাবি জানানোর পথ খুলে দিয়েছে।
বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ আরও জানিয়েছে , ২০২৫ সালের ইউয়েফা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সংস্কার আনার জন্য। ক্লাবের দাবি, এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল ‘স্বচ্ছ শাসন, আর্থিক স্থিতিশীলতা, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং দর্শকদের বিনোদনের উন্নয়ন নিশ্চিত করা, যেখানে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে দেখার সুযোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অবশ্য এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছেন রিয়াল। যার ফলে ক্লাব ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি পথ অনুসরণ করবে এবং একই সঙ্গে তাদের লক্ষ্য পুনরায় নিশ্চিত করেছে—‘বৈশ্বিক ফুটবল ও দর্শকদের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়া।’
রিয়ালের বিবৃতির পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউয়েফা। আদালতের এই রায় সুপার লিগকে বৈধ করেনা বলে জানায় সংস্থাটি, ‘ইউয়েফা মাদ্রিদ আপিল আদালতের রায় গ্রহণ করেছে, যা তথাকথিত “সুপার লিগ” সম্পর্কিত। এই রায় ২০২১ সালে ঘোষিত প্রকল্পকে বৈধ করে না, এবং ২০২২ সালে গৃহীত ও ২০২৪ সালে ইউয়েফার বর্তমান অনুমোদন নিয়মাবলীকে ক্ষুণ্ন করে না; এই নিয়মগুলি সম্পূর্ণ কার্যকর রয়েছে।’
ইউইএফএ নিশ্চিত করেছে যে তারা আদালতের এই রায় সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের আগে সিদ্ধান্ত নেবে। খেলাধুলার যোগ্যতা, উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার, সংহতি এবং ফুটবল পিরামিডের সুরক্ষার জন্য ইউরোপীয় স্পোর্টস মডেল রক্ষা করার কথা বলে ইউয়েফা।