
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাসল জাকির হাসানের ব্যাট। ওপেন করতে নেমে রনি তালুকদার উপহার দিলেন ফিফটি। সিলেট স্ট্রাইকার্স পেল লড়িয়ে স্কোর। রান তাড়ায় খুলনা টাইগার্সের ব্যাটারা শুরু থেকেই ইনিংস গড়লেন ধীরলয়ে। ফলে বিফলেই গেল মোহাম্মদ নাওয়াজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দুটি ক্যামিও। নার্ভ ধরে রেখে টানা ৮ রানের জয় তুলে নিল স্বাগতিক সিলেট।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৭তম ম্যাচে সিলেট আগে ব্যাটিং করে দাঁড় করিয়েছিল ৫ উইকেটে ১৮২ রান। খুলনার ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে।
রান তাড়ায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে শুরুতেই বিদায় নেন অভিজ্ঞ ওপেনার নাইম শেখ। ইমরুল কায়েসও আউট হন অল্পেই। রিস টপলিকে চার ও ছক্কা মেরে ভালো কিছুর আভাস দিলেও শুরুটা ধরে রাখতে পারেননি দারউইস রাসোলি।
আরও পড়ুন
    
| লিটন-তানজিদের রেকর্ড গড়া ম্যাচে ঢাকা পেল প্রথম জয় | 
     
 | 
        
শুরুর চাপ সামলে এরপর উইলিয়াম বোসিস্টো ও মেহেদি হাসান মিরাজ ছোট একটা জুটি গড়েন বটে, তবে দুজনই প্রায় ১০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে বল-রানের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। খুলনা অধিনায়ক মিরাজ ব্যাট হাতে আরও একবার দলকে হতাশ করে রুয়েল মিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৫ রানে।
খানিক বাদে ফিরতে হয় বোসিস্টোকেও। ৪০ বল খেলে মাত্র ৪৩ রানের এক ইনিংসে পরের ব্যাটারদের চাপে ফেলে দেন বোসিস্টো। তবে সেটা অনেকটাই সামাল দেন ছয়ে নামা নাওয়াজ। কয়েকটি বড় শটে ১৮ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
এরপর কিছুটা চেষ্টা চালান মাহিদুল ইসলাম, তবে সেটা আর যথেষ্ট হয়নি। ২০তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১৬ বলে করেন ২৮ রান। সমান দুটি করে উইকেট নেন সিলেটের দুই পেসার টপলি ও তানজিম হাসান সাকিব।
এর আগে ব্যাট হাতে সিলেটের শুরুটা আরও একবার হয় হতাশাময়। দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন দুই বিদেশী জর্জ মুন্সি ও রাহিম কর্নওয়েল। এরপরই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়া জুটি গড়েন জাকির ও রনি।
আরও পড়ুন
    
| লিটন-তানজিদের যত রেকর্ড... | 
     
 | 
        
দুজনের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীর। নাসুম আহমেদকে টানা দুই ছক্কা মেরে ছন্দ ফিরে পান আগের ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি করা জাকির। এরপর মিরাজের এক ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান নেন তিনি ও রনি মিলে। জিয়াউর রহমানকে ছক্কা মেরে মাত্র ২৯ বলে ফিফটি করেন জাকির।
অন্যপ্রান্তে ৫৬ রানে রনির বিদায়ে শেষ জয় তৃতীয় উইকেটে তাদের ১০৬ রানের জুটির। মাত্র ৬ বলে ২০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অ্যারন জোন্স। এরপর সিলেটের ইনিংস টেনে নেন জাকির একাই।
৪৬ বলে ৬ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। অধিনায়ক আরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ১৮। ২ উইকেট নেন আবু হায়দার, গুনেন ২৫ রান।
No posts available.
৪ নভেম্বর ২০২৫, ১:০৪ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ এম

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ এক যুগের বেশি সময় ধরে। তাই কোনো টুর্নামেন্ট এলেই শুধু দেখা যায় দুই দেশের মুখোমুখি লড়াই। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য তেমনই এক সুযোগ তৈরি হয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে।
কাতারের দোহায় আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট। যেখানে ১৬ নভেম্বর মুখোমুখি হবে ভারত ‘এ’ দল ও পাকিস্তান শাহিনস (‘এ’ দল)। টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে আছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ।
২০১৩ সাল থেকে হয়ে আসছে এসিসি ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ। যেটি এবার নাম বদলে হবে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ হিসেবে।
আরও পড়ুন
    
| রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ৩২ বছরের জিতেশের সঙ্গে ১৪ বছরের সূর্যবংশী | 
     
 | 
        
শুরুর দিকে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে খেলত অনূর্ধ্ব-২৩ দল। পরে উঠিয়ে দেওয়া হয় বয়সের নিয়ম। এরপর থেকে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো সাধারণত পাঠায় তাদের ‘এ’ দল।
এবার সেই টুর্নামেন্টেই মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে তাদের সঙ্গে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে ওমানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান আর আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে ভারত।
পরে ১৮ নভেম্বর ভারতের প্রতিপক্ষ ওমান আর পাকিস্তান লড়বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, হংকং ও শ্রীলঙ্কা। দুই গ্রুপের সেরা দুই দলকে নিয়ে ২১ নভেম্বর হবে সেমি-ফাইনালের দুই ম্যাচ। আর ২৩ তারিখ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে এই টুর্নামেন্টের।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের আগে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টেও মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গঠিত দল নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর হংকংয়ের টিন কোয়াং রোড রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।

ভারত জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন জিতেশ শর্মা। এটি শেষ করেই ৩২ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটার চলে যাবেন রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ খেলতে। যেখানে ভারত 'এ' দলে আছেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশীও।
কাতারের দোহায় আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ। ২০১৩ সাল থেকে চলতে থাকা ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের নামই এবার বদলে করা হয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ।
এই টুর্নামেন্টে এক সময় ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলানোর নিয়ম। যেখানে বেশি বয়সের কয়েকজন খেলতে পারতেন। তবে বয়সের বাধ্যবাধকতা এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো মূলত তাদের 'এ' দল পাঠায়। আর সহযোগী সদস্যরা খেলে জাতীয় দল নিয়ে।
রাইজিং স্টারদের নিয়ে গঠিত দলে জিতেশ ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা থাকা রমনদিপ সিংকেও নিয়েছে ভারত। দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রমনদিপ। আর জিতেশের আছে ১০ ম্যাচের অভিজ্ঞতা।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে বিবেচিত প্রিয়ানশ আরিয়া, বৈভব সূর্যবংশী, হার্শ দুবেদেরও রাখা হয়েছে এই দলে। জিতেশের নেতৃত্বে ঘোষিত দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নামান ধির। দলের ব্যাক-আপ উইকেটকিপার অভিষেক পোরেল।
আগামী ১৪ নভেম্বর টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের যাত্রা। এরপর ১৬ তারিখ পাকিস্তান ও ১৮ তারিখ ওমারের মুখোমুখি হবে তারা।
ভারত 'এ' স্কোয়াড
প্রিয়ানশ আরিয়া, বৈভব সূর্যবংশী, নেহাল ওয়াধেরা, নামান ধির (সহ-অধিনায়ক), সুরিয়ানশ শেজ, জিতেশ শর্মা (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), রমনদীপ সিং, হার্শ দুবে, আশুতোশ শর্মা, ইয়াশ ঠাকুর, গুরজাপনিত সিং, বিজয় কুমার বৈশাক, যুধভির সিং, অভিষেক পোরেল (উইকেটরক্ষক), সুয়াশ শর্মা।
স্ট্যান্ডবাই: গুরনুর ব্রার, কুমার কুশাগ্রা, তানুশ কোতিয়ান, সামির রিজভি, শেখ রশিদ

ফাস্ট বোলারদের স্বর্গ রাজ্য পাকিস্তান। ক্রিকেটকে বাঘা বাঘা সব পেসারের উপহার দিয়ে এসেছে তারা। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারের মতো বোলাররা আগুন ঝরা বোলিংয়ে ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটে সেই সোনালি সময় অতীত হলেও এই সময়েও দারুণ সব পেসার আছে দলটির।
পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের নেতৃত্বে আছেন এখন শাহীন শাহ আফ্রিদি। মিচেল স্টার্ক, জাসপ্রিত বুমরাহর মতো সময়ের সেরা বোলারদের কাতারেই আছেন বাঁ হাতি পেসার। পাকিস্তানের পাইপলাইনেও আছে বেশ কিছু দারুণ পেসার, ভবিষ্যতে যারা বল হাতে সুইংয়ের সঙ্গে গতির ঝড় তুলতে পারেন। উদীয়মান তরুণ পেসারদের মধ্যে এগিয়ে আছেন কে?
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম সম্প্রতি তরুণ উদীয়মান পেসার আলি রেজাকে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাঁর মতে, এই তরুণের গতি আর প্রতিভা তাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন
    
| বিশ্বকাপের সেরা একাদশে ভারতের ৩, পাকিস্তানেরও আছে ১ জন | 
     
 | 
        
‘উইজডেন ক্রিকেট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকরাম বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাজত্ব করা ফাস্ট বোলারদের নিয়ে কথা বলেন। সুইংয়ের জাদুকর ১৭ বছর বয়সী আলি রেজার প্রসঙ্গ বলেছেন, ‘যদিও তরুণ এই পেসার এখনো জাতীয় দলে খেলেননি, তবুও তার ভেতরে রয়েছে দারুণ সম্ভাবনা। আমি খুব একটা পাকিস্তানের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট দেখি না, তবে এই তরুণ ফাস্ট বোলার আলি রেজাকে দেখে মনে হয়েছে, ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। যদি সঠিক দিকনির্দেশনা পায় এবং বুঝতে শেখে কীভাবে একজন ভালো লাল বলের ক্রিকেটের বোলার হওয়া যায়, তবে সাদা বলের ক্রিকেটেও আপনা-আপনিই সাফল্য আসবে।’
১৭ বছর বয়সী আলি রেজা সম্প্রতি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) পেশোয়ার জালমির হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলোচনায় আসেন। ডানহাতি এই পেসার ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করেন, ইকোনমি রেট ছিল ৯.১৮। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য নির্বাচকদের প্রশংসা কুড়ান আলি রেজা।
এছাড়া পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মাত্র ৪.৯১ ইকোনমি রেটে ২৬টি উইকেট নিয়েছেন আলি। তাতে আলিকে পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ফাস্ট বোলারদের একজন বলাই যায়।

পেসার এনামুল হকের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপ করে দিলেন মুশফিকুর রহিম। বল চলে গেল সীমানার বাইরে। অভিজ্ঞ ব্যাটার পৌঁছে গেলেন শতরানে। বোলারের দিকে ফিরে তিনি করলেন খ্যাপাটে উদযাপন। পরে সিজদা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়াও জানালেন তিনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে ঢাকার বিপক্ষে তিন অঙ্কের জাদুকরী স্পর্শ পেলেন মুশফিক। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮ চার ও ২ ছক্কায় তিনি খেলেন ১১৫ রানের ইনিংস।
সিলেটের মূল মাঠে আগামী মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে মিরপুরে ওই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে মুশফিকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট ম্যাচ।
আরও পড়ুন
    
| সিরিজ শুরুর আগে মারকুটে ব্যাটারকে হারাল নিউ জিল্যান্ড | 
     
 | 
        
বহুল আকাঙ্ক্ষিত ওই মাইলফলক ছোঁয়ার আগে এনসিএল দিয়েই প্রস্তুতি সেরে নিতে চেয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটার। দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সেটি বেশ দারুণভাবেই করলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থেকে সোমবারের খেলা শেষ করেছিলেন মুশফিক। তখনও সিলেটের বাকি ছিল ৩ উইকেট। নতুন দিনের শুরুতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
তখনও তিন অঙ্ক ছুঁতে মুশফিকের প্রয়োজন ৪ রান। নাবিল সামাদকে সঙ্গে নিয়ে ওই পথ পাড়ি দেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। এনামুলের বলে স্কুপ করেই তিনি ফেটে পড়েন খ্যাপাটে উদযাপনে।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি মুশফিকের ১৯তম সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ১২টি তিনি করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সবশেষ সেঞ্চুরি ছিল ২০২২ সালের এনসিএলে, রাজশাহীর জার্সিতে তিনি করেছিলেন ১১০ রান।
সেঞ্চুরি ছুঁয়ে আরও ৩টি চার মারেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত তাইবুর পারভেজের বলে বোল্ড হয়ে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। আর ২৯০ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট। ঢাকা পায় ২০ রানের লিড।

ফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেও দলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট এনে দিতে পারেননি লরা উলভার্ট। তবে টুর্নামেন্ট শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে অন্য রকম সম্মানই দিল আইসিসি। নারী বিশ্বকাপের সেরা একাদশের নেতৃত্বে থাকছেন তারকা এই ব্যাটার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেরা একাদশে ঘোষণা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। যেখানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত থেকে আছেন ৩ জন।
রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়া অস্ট্রেলিয়া থেকেও সুযোগ পেয়েছেন ৩ জন করে ক্রিকেটার। সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়া আরেক দল ইংল্যান্ড থেকে আছেন ১ জন। এর বাইরে সবার নিচে থাকা পাকিস্তান থেকেও আছেন একজন।
আরও পড়ুন
    
| আয়ারল্যান্ড সিরিজে টিম ডিরেক্টর রাজ্জাক, ব্যাটিং কোচ আশরাফুল | 
     
 | 
        
বল হাতে আসরের সর্বোচ্চ ২২ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ২১৫ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হওয়া দিপ্তি শর্মার সঙ্গে ভারত থেকে আছেন বাঁহাতি ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও তরুণ ব্যাটার জেমিমাহ রদ্রিগেজ।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫৭১ রান করা উলভার্টের হাতেই দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্বের আর্ম ব্যান্ড। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আছেন দুই অলরাউন্ডার মারিয়ান ক্যাপ ও নাদিন ডি ক্লার্ক।
অস্ট্রেলিয়া থেকে সুযোগ পেয়েছেন তারকা অলরাউন্ডার অ্যাশলে গার্ডনার, পেস বোলিং অলরাউন্ডার ও লেগ স্পিনার অ্যালানা কিং।
বোলিং বিভাগে স্পিন সামলাবেন ইংল্যান্ডের তারকা বাঁহাতি স্পিনার সোফি এক্লেস্টোন আর উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে থাকবেন পাকিস্তানের সিদ্রা নাওয়াজ।
এই দলের দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ন্যাট সিবার-ব্রান্ট।
তিন ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ, মেল জোন্স ও ইশা গুহার সঙ্গে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার গৌরব সাক্সেনা এবং সাংবাদিক প্রতিনিধি এস্তেল বাসুদেবকে নিয়ে গঠিত প্যানেল এই একাদশ নির্বাচন করেছে।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ
স্মৃতি মান্ধানা, লরা উলভার্ট (অধিনায়ক), জেমিমাহ রদ্রিগেজ, মারিয়ান ক্যাপ, অ্যাশলে গার্ডনার, দিপ্তি শর্মা, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, নাদিন ডি ক্লার্ক, সিদ্রা নাওয়াজ (উইকেটরক্ষক), অ্যালানা কিং, সোফি এক্লেস্টোন।
দ্বাদশ ব্যক্তি: ন্যাট সিবার-ব্রান্ট