২০২৬ যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফর শেষে এবার ইংল্যান্ডে যাচ্ছে তারা। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন জাওয়াদ-তামিমরা।
আজিজুল হাকিম তামিমকে অধিনায়ক করে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে আরও পাঁচ ক্রিকেটার।
আগামী পরশু লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়ান ধরবে যুবারা। ৩ সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা।
আরও পড়ুন
মাদুশঙ্কার হ্যাটট্রিকে তীরে এসে তরি ডুবল জিম্বাবুয়ের |
![]() |
৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইংল্যান্ড সফরের ওয়ানডে সিরিজ। লাফবোরোর হাসলেগ্রেভ গ্রাউন্ডে হবে প্রথম ম্যাচ। একই ভেন্যুতে ৭ সেপ্টেম্বর হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। ১০ সেপ্টেম্বর ব্রিস্টলের সিট ইউনিক মাঠে গড়াবে তৃতীয় ম্যাচ।
সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে হবে বেকেনহামে। ১২ সেপ্টেম্বর চতুর্থ ম্যাচ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চম ম্যাচ খেলবে দুই দল কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার, সামিউন বসির, দেবাশীষ সরকার, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, স্বাধীন ইসলাম, মো. আব্দুল্লাহ, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী, সানজিদ মজুমদার, রিফাত বেগ, শাহরিয়ার আল আমিন, সাদ ইসলাম রাজিন ও ফারহান শাহরিয়ার।
স্ট্যান্ডবাই
আহমেদ শাহরিয়ার, ফারজান আহমেদ আলিফ, শাহরিয়ার আজমির, রাফিউজ্জামান রাফি ও মো. সবুজ।
No posts available.
২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৭ পিএম
২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে ৬ ম্যাচে বাংলাদেশের নামের পাশে মাত্র ১টি জয়। অথচ একটু এদিক-ওদিক হলেই তাদের জয়ের সংখ্যা হতে পারত ৪টি। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুযোগ পেয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছে, ৩টি ম্যাচে এমন হার হৃদয়বিদারক।
পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা। মাত্র ৭৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েও শেষ পর্যন্ত চাপ ধরে রাখতে পারেনি জ্যোতির দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ৭৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নেয় তারা। কিন্তু এরপর একের পর এক ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে পরাজয়ই সঙ্গী হয় তাদের।
এবার মুম্বাইয়ে সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ২ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। কিন্তু ১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ।
তাই যেখানে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যেতে পারত জ্যোতির দল, সেখানে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে তাদের।
লঙ্কানদের কাছে হারের পর অধিনায়ক বলেছেন, চাপের মুহূর্তে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি তারা।
“আমরা ৩টি ম্যাচ এমন হারলাম। এটি অবশ্যই হৃদয় বিদারক। কোনো কোনো মুহূর্তে, কোনো কোনো পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি, স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারিনি।”
“এই ধরনের রান তাড়ায় আমরা টিভিতে দেখেছি, অন্য দলগুলো ক্রিজে নিজেদের ধরে রেখেছে। কিন্তু আমরা সেটি পারিনি। আমরা এই চাপ নিতে পারিনি। আমাদের এটি নিয়ে ভাবতে হবে।”
২০৪ রানের লক্ষ্যে ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর শারমিন আক্তার সুপ্তাকে নিয়ে জুটি গড়েন জ্যোতি। তবে পেশিতে টান লাগায় ১০২ বলে ৬৪ রানে থাকা অবস্থায় মাঠ ছেড়ে উঠে যান সুপ্তা। ফলে ছেদ পড়ে ৮২ রানের জুটির।
জ্যোতির মতে, সুপ্তার ওই চোটই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
“যেভাবে ব্যাটিং করছিলাম, শুরু থেকেই এটি আমাদের ম্যাচ ছিল। আমি আর সুপ্তা খুব ভালো ব্যাটিং করছিলাম। সে যখন ক্র্যাম্পের কারণে বাইরে চলে গেল, মোমেন্টামও কিছুটা বদলে গেছে।”
“কারণ তখন স্বর্ণা এসেছে এবং আমাদের আবার জুটি গড়তে হয়েছে। ভালো যাচ্ছিল। তবে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছি। এই রান তাড়ার করার মতো ছিল।”
নারী বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের প্রধান কোচ সারোয়ার ইমরান বলেছিলেন, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে চান তারা। ফাতিমা সানাদের বিপক্ষে জয়ের পর চামারি আতাপাত্তুদের বিপক্ষে স্বপ্ন উঁকি দিয়েছিল। তবে শেষদিকে ১ রানে ৫ উইকেট হারানোতে সেমিফাইনালের আশা দেখিয়েও আসরে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে বাংলাদেশের।
নাবি মুম্বইয়ে আজ প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কাকে ২০২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। লঙ্কানরা টিকেছিল ৪৮.৪ ওভার। জবাব দিতে নেমে শারমিন আক্তার ও নিগার সুলতানার ফিফটিতে শেষ ওভার পর্যন্ত আশা বেঁচে ছিল লাল সবুজ দলের। তবে শেষ ওভারে চার উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কাকে জয় উপহার দেন আতাপাত্তু।
এদিন আগে টসে হেরে বোলিং পাওয়া বাংলাদেশকে প্রথম বলেই উইকেট উপহার দেন পেসার মারুফা আক্তার। মারুফার বলটি অনেকটা ভেতরে ঢুকে বিস্মি গুনারত্নর প্যাডে আঘাত করে। আম্পায়ার আউট দেননি, রিভিউ নিয়েই উইকেটটি পেয়েছেন মারুফা।
দ্বিতীয় উইকেটের জন্য একটু বেশিই অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ক্রিজে অনেকটা থিতু হয়ে পড়েছিল আতাপাত্তু ও হাসিনি পেরেরা। ব্যাকফুটে থাকা দলকে খেলায় ফেরান রাবেয়া খান। এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে হাফসেঞ্চুরির চার রান আগে ফেরান লঙ্কান ক্যাপ্টেনকে।
আতাপাত্তুর বিদায়ের পর দলীয় ৮৭ রানে ফেরেন হারশিদি। মাত্র ১১ বল মোকাবিলা করতে পারেন তিনি। দলীয় সেঞ্চুরির ঘরে ফেরেন কাভিশা দিলহারি।
সমান্তরালে চলতে থাকা দলের একপ্রান্ত আগলে রাখেন হাসিনি পেরেরা। সতীর্থদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে টেনে নিচ্ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত স্বর্ণা আক্তারর বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন। হাসিনি ফেরার পর আরও ১৩.১ ওভারে টিকলেও ২০২ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলেছেন আতাপাত্তু। কোটার ১০ ওভারে হাত ঘোরান তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে রান করতে নেমে রানখাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রাবেয়া হায়দার। দুই অঙ্কের রানের আগে ফেরেন অপর ওপেনার ফারজানা আক্তার। সোবহানা মোস্তারি সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে আজ ফারজানার থেকে এক রান বেশি (৮) করতে পারেন তিনি।
তাসের ঘরের মতো উইকেট পড়া থেকে দলকে উদ্ধার করেন শারমিন আক্তার ও নিগার সুলতানা। একটা পর্যায়ে ৬৪ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন শারমিন। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ১০৩ বলে ৬৪ রান করেন। এরপর স্বর্ণা ফেরেন দলীয় ১৭৬ রানে।
বাংলাদেশের মূল পতনটা ঘটে শেষ দুই ওভারে। ১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ৯৬ বলে ৭৬ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন তিনি।
৪৯তম ওভারে চতুর্থ বলে অলরাউন্ডার রিতু মনিকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এই ওভারে নিগাররা করতে পারেন কেবল তিন রান। শেষ দিকে ১ রান করতে গিয়ে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৯ রান।
শেষ ওভারের (৫০তম ওভার) প্রথম বলে রাবেয়াকে ফেরান আতাপাত্তু, দ্বিতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়েন নাহিদা আক্তার। তৃতীয় বলে নিগার আর চতুর্থ বল এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন পেসার মারুফা আক্তার। শেষ পর্যন্ত ৭ রান আগে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
২০২০ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন খারি পিয়েরে। সাড়ে পাঁচ বছর পর একদিনের ফরম্যাটে ফের ডাক পড়ে তার। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পিন-সহায়ক কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখেই পিয়েরেকে স্কোয়াডে ভিড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচে এক উইকেট নেওয়া এই স্পিনার দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।
হোম অব ক্রিকেটে বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু হবে আগামীকাল দুপুর দেড়টায়। প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয়টিতেও স্পিনবান্ধব উইকেটের সম্ভাবনা বেশি। সে অনুযায়ী দুই দলই স্পিনে দিচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব।
বাঁচা–মরার ম্যাচের আগে নিজের ও দলের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে পিয়েরে প্রথমেই জানান, ক্রিকেটই তাঁর স্বপ্ন, ধ্যান-জ্ঞান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে পেরে তিনি গর্বিত। পিয়েরে বলেন, ‘আমি পরিশ্রমী। আমি জানি, দলে টিকে থাকা চ্যালেঞ্জিং। ভালো খেলতে সবসময় সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। এটা কঠিন পথ, তবে যতটা সম্ভব নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করি।’
মিরপুরের কালো মাটির পিচ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি, জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনও। সংবাদ সম্মেলনে উইকেট প্রসঙ্গ উঠলে মানিয়ে নেওয়ার কথাই বললেন পিয়েরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘হ্যাঁ, যেমনটা বলেছি, পিচটা স্পিনারদের সহায়ক। তবে আমাদের যেকোনো উইকেটে খেলতে হবে, যেটা আমাদের জন্য নির্ধারিত হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই এখন উইকেট কেমন, সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না। আসল বিষয় হলো খেলাটা ঠিকভাবে খেলা এবং কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন পিয়েরে। তিনি জানালেন দেশে এমন উইকেটে আগেও খেলেছেন তিনি, ‘আমাদের দেশেও এমন উইকেট দেখা যায়। তবে, যেমনটা বললাম, আমাদের দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। এখানে এসে উইকেট দেখেই বোঝা গেছে, এটা স্পিনারদের সহায়ক। ঠিক জায়গায় বল ফেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেমনটা আপনি বললেন, এমন উইকেটে যদি ভালো করতে না পারেন, তাহলে চাপ অনেক বেশি থাকে।’
বাংলাদেশের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে ওয়ানডে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ে ফিরতে আগামীকালের ম্যাচটি অতিথিদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ পেল ক্যারিবিয়ানরা। ‘কাঁধে অস্বস্তিবোধ’ করার কারণে মেহেদী হাসান মিরাজদের বিপক্ষে আর মাঠে নামা হবে না শামার জোসেফের।
বাংলাদেশ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াডে ছিলেন ২৬ বছর বয়সী জোসেফ। ইনজুরির কারণে ভারত সফর মিস করেছিলেন এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার। তাঁর ফেরার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ সিরিজ। যদিও প্রথম ম্যাচে তিনি খেলেননি। কাঁধের অস্বস্তির কারণে পরের দুই ম্যাচ থেকেও ছিটকে গেছেন।
শামার জোসেফকে বাংলাদেশ সফরের টি-টোয়েন্টি দলেও রাখা হয়েছিল। তবে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ জানিয়েছে, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তাঁকে (জোসেফ) ইংল্যান্ডে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচে খেলেননি জোসেফ। চোটের কারণে সিপিএলে গায়ানা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ১২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৫টিতে খেলতে পেরেছিলেন। এরপর ভারত সফর থেকেও ছিটকে পড়েন।
জোসেফ দলে থাকলেও যে খুব বেশি লাভ হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তা বলা কঠিন। কারণ, মিরপুরের কালো মাটির পিচে দ্বিতীয় ম্যাচেও স্পিনবান্ধব উইকেট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই দুই দলই ঝুঁকছে স্পিনে ভরসা রাখার দিকে।
আগামীকাল দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে স্পিন শক্তি বাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার আকিল হোসেনকে ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আছেন বাঁহাতি পেসার র্যামন সাইমন্ডস।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আগেই ছিলেন আকিল ও সাইমন্ডস। এবার ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য তাঁদের স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে শামার জোসেফ ও জেডাইয়া ব্লেডসের জায়গায়।
দুই দলের একাদশে তিনজন
করে স্পিনার। তাঁদের সঙ্গে আছেন খণ্ডকালীন স্পিন অলরাউন্ডাররা। বোঝাই যাচ্ছিল- রাওয়ালপিন্ডি
টেস্টেও ‘ব্যাটল অব স্পিন’। প্রথম দিন ৯১ ওভারের ৬২টি করেছেন স্পিনাররা। অর্থাৎ ৬৮.১৩
শতাংশ ঘূর্ণি বল সামলাতে হয়েছে স্বাগতিক ব্যাটারদের।
এর মধ্যেও রাওয়ালপিন্ডির
অতীত পরিসংখ্যান বিবেচনায় প্রথম দিন ব্যাট হাতে ভালোই কাটল পাকিস্তানের। শান মাসুদ-আব্দুল্লাহ
শফিকের ফিফটি, সৌদ শাকিলের কার্যকর ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২৫৯ রান তুলেছে তারা। শাকিল
৪২ ও সালমান আলি আগা ১০ রান থেকে আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করবেন।
টেস্টে রাওয়ালপিন্ডির প্রথম
ইনিংসের গড় ৩৩৬ রান। উইকেট ভাঙার আগে কিছুটা ব্যাটিং সুবিধা পাওয়ার কথা ব্যাটারদের।
টস জিতে নতুন উইকেটে ব্যাটিংয়ের সুযোগ নিতে কোনো চিন্তা করতে হয়নি পাকিস্তানের অধিনায়ক
শান মাসুদকে। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে কোনো দেরি করেননি।
দুই ওপেনার ইমাম-উল হক
ও শফিক ভালো শুরুরই ইঙ্গিত দেন। প্রথম সেশনে ১২ ওভার কাটিয়ে দেন নির্বিঘ্নে। তবে ১৩তম
ওভারে ঘটে বিপর্যয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০০ উইকেটের মাইলফলকের লক্ষ্যে নেমে প্রোটিয়াদের
প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার সিমন হারমার। দুর্দান্ত এক ঘূর্ণিতে বোল্ড
করেন ইমামকে। ৩৫ বলে ১৭ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে।
৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায়
পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে শফিক-মাসুদের ১১১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিল
তারা। দ্বিতীয় সেশন বিরতির আগে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। খালি
হাতে যখন সেশন করতে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তখনই সাফল্যের দেখা পেলেন হারমার। এবার
তাঁর শিকার শফিক (৫৭)।
তারপর দ্বিতীয় টেস্টে ফেরা
অভিজ্ঞ কেশভ মহারাজের জাদুতে ফেরেন বাবর আজম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রাওয়ালপিন্ডি
টেস্টেও প্রথম ইনিংসে হলেন ব্যর্থ। ফেরেন ১৬ রানে। আরেকপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি
করেন শান। তবে সেঞ্চুরির আক্ষেপ ফেরেন মহারাজের বলে। ১৭৬ বলে আউট হন ৮৭ রানে। ইনিংসে
চিল তিনটি ছক্কা দুটি চার। তৃতীয় সেশনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (১৯) ফেরান কাগিসো রাবাদা।
দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হারমার ও মহারাজ।