
ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে মিকেল আর্তেতা বলেছিলেন, সাহসী ফুটবল খেলবে তার দল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিকদের আরেকটি কামব্যাক রুখে দিতে ম্যাচ জুড়ে ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিল তার দল। আর বাঁচা-মরার ম্যাচে ছন্দহীন ফুটবল খেলল কার্লো আনচেলত্তির দল। লড়াই তো নয়ই, উল্টো বিশাল ব্যবধানে হেরেই তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচে আর্সেনাল জিতেছে ২-১ গোলে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আর্সেনাল।
গোলের জন্য মরিয়া রিয়াল দ্বিতীয় মিনিটেই শানায় প্রথম আক্রমণ। কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে বাম দিক থেকে বক্সে প্রবেশ করে শট নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, যা চলে যায় পোষ্টের বাইরে।
আরও পড়ুন
| শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু |
|
অষ্টম মিনিটে ধাক্কা খায় রিয়াল। কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিকেল মেরিনোকে টেনে বক্সের ভেতর ফেলে দেন রাউল আসেন্সিও। ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। প্রথমে মার্টিন ওডেগার্ড এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার বাঁ পায়ের পানেনকা পেনাল্টি এক হাতে আটকে দিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন থিবো কোর্তোয়া।
খানিক বাদে দারুণ স্কিলের প্রদর্শনী দেখিয়ে গোলের ভালো একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন জুড বেলিংহাম। তবে বাঁ দিক থেকে তার বাড়ানো পাস নাগাল পাননি বক্সের ভেতর থাকা রদ্রিগো।
ঘড়ির কাটায় বিশ মিনিট পার হওয়ার পর ফের বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। এবার সেটা যায় রিয়ালের পক্ষে। ডি বক্সের ভেতর এমবাপেকে ফাউল করেছিলেন ডেকলান রাইস, এই ভেবে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সাথে হলুদ কার্ডও। আর্সেনালের খেলোয়াড়দের তুমুল প্রতিবাদের মুখে ভিএআর চেকে যান রেফারি। এরপর নিজেই স্ক্রিনে ফুটেজ দেখে সরে আসেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত থেকে।
রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিলের আগে স্পট কিকের প্রস্তুতি সেরেও ফেলেছিলেন এমবাপে। সেই হতাশার কারণেই কিনা, ৩১তম মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া তার শট চলে পোষ্টের বেশ ওপর দিয়েই।
এরপর কিছুটা কমে যায় ম্যাচের গতি। তবে চল্লিশ মিনিটের পর টানা তিন কর্নার আদায় করে আর্সেনালের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে রিয়াল। তবে দলটির আক্রমণের দুই প্রাণভোমরা এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধের বাকি সময়ের পর এই অংশেও থাকেন নিস্প্রভ।
ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় সাত মিনিট, যেখানে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ভালো একটা আক্রমণ করে আর্সেনাল। রাইসের পাস থেকে বক্সের বাঁদিক থেকে কঠিন এঙ্গেল থেকে বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, যা দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।
লড়াই জমাতে রিয়ালের গোলের ভীষণ প্রয়োজন হলেও বিরতির আগেই দলটির আক্রমণের খেলোয়াড়রা দেখান বাজে পারফরম্যান্স। ফলে গোলের জন্য ছয়টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় আর্সেনাল।
আরও পড়ুন
| ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা |
|
রিয়ালের গোলের সামনের এই দুর্দশা চলমান থাকে বিরতির পরেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে সেভাবে প্রতিপক্ষকে চাপেই রাখতে পারেনি দলটি। ফলে অধিনায়ক লুকাস ভাজকেজ, ডেভিড আলাবা ও রদ্রিগোকে তুলে ফ্রান গার্সিয়া, এন্দ্রিক ও দানি সেবায়োসকে নামান আনচেলত্তি।
তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি আর। উল্টো ৬৪তম মিনিটে রিয়ালকে স্তব্ধ করে দেন প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করা সাকা। বক্সের বাইরে থেকে মেরিনোর বাড়ানো থ্রু বল থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে বড় লিড এনে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
তবে সেই রাশ না কাটতেই বল এবার চলে যায় আর্সেনালের জালে। প্রতিপক্ষের সীমানায় চ্যালেঞ্জ করে বলের দখল পেয়ে কোনোমতে শরীরের ভারসাম্য ধরে রেখে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন ভিনিসিয়ুস।
তবে এরপরই সেই উদ্দীপনা ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৭৫তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এমবাপে। একটা গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও বারবার আর্সেনালের জমাট ডিফেন্সের সামনে থেমে যায় রিয়ালের সব প্রচেষ্টা। তাতে হতাশা বাড়তে থাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে, যারা সেজেছিল আরও একটা কামব্যাকের প্রত্যাশায়।
গোলের জন্য রিয়ালের প্রানান্তকর চেষ্টায় বারবার হাইলাইনে উঠে খেলছিল তারা। ফলে প্রায়ই ডিফেন্সে তৈরি হচ্ছিল শুন্যতার। গোলের দেখা না পাওয়া রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ঠুকে দেন মার্তিনেল্লি।
ইনজুরি টাইমে কাউন্টার এটাক থেকে দ্রুত বল পেয়ে মেরিনো বাঁদিকে বল দেন মার্তিনেল্লিকে। ফাঁকায় থাকার কারণে অনেকটা সময় নিয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান তিনি। আর সেটাই হতাশার গভীর চাদরে ঢেকে দেয় রিয়ালকে।
No posts available.
৭ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৪৫ পিএম

ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের বাছাইকৃত দলের সঙ্গে তিনজাতি প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে এএফ বক্সিং প্রোমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এই উপলক্ষে আগামী ১১ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবেন ব্রাজিলের ফিফা বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু।
আমন্ত্রণমূলক প্রতিযোগিতা মাঠে গড়াবে ৫ ডিসেম্বর। প্রথম দিনে ব্রাজিলের দলটির বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা একটি দল।
৮ তারিখে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। এবং ১১ তারিখ শেষ খেলায় মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
এই ম্যাচ খেলতে ২ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবে ব্রাজিল। একদিন পর আসার কথা আর্জেন্টিনার। এই আয়োজনের সার্বিক বিষয়ে অবহিত করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এএফ বক্সিং প্রোমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
সেখানে জানানো হয় আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্বকারী ক্লাব আতলেটিকো শারলন এবং ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের অধীনে বাছাইকৃত দল (যার বেশিরভাগই তরুণ প্রতিভা) নিয়ে বাংলাদেশে আসবে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান দুটি দলই হবে ওই দুই দেশের অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের তরুণ ফুটবলার নিয়ে বাছাইকৃতদের নিয়ে। সেখানে দুই-একজন সর্বশেষ যুব ফিফা বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলাররাও থাকবেন।
বাংলাদেশের দলটি কেমন হবে প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম হিল্টনের কাছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকা একমাত্র প্রতিনিধি বলেন, 'আমাদের দলটা হবে অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দল থেকে বাছাইকরা।'
এ ধরনের আয়োজনে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস আসাদুজ্জামানের, 'ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা আসলে বিশ্ব মিডিয়া বাংলাদেশের ফুটবলে দৃষ্টি দেবেন। আমি বিশ্বাস করি এই খেলার পর বিশ্ব স্পোর্টস বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসবেন বলে বিশ্বাস করি।'
বাংলাদেশে বিশ্ব মিডিয়ার নজর থাকবে আরও একটি কারণে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যে পা রাখতে চলেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার কাফু। বাংলাদেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাফুর পাঠানো ভিডিও বার্তা বড় পর্দায় দেখানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশে এই আয়োজন সামনে রেখে চমক রেখেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। জানান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বাতিস্তুতা, ভেনন এবং ক্যানেজিয়াকে আনা হবে। তবে তিন জনের মধ্যে থেকে কাকে উড়িয়ে আনা হবে সেটি নিশ্চিত করা যায়নি এখন। তবে এই তিনজনের যে কোনো একজন আসছেন এটি অনেকটাই নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

ঘরে ফেরার আনন্দের সঙ্গে তুলনা হয়না কিছুরই। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ঘরে ফিরছে বার্সেলোনাও। সংস্কারের কারণে মাসের পর মাস চেনা আঙিনা থেকে দূরে থাকার পর, হান্সি ফ্লিকের দল পা রাখতে যাচ্ছে ক্যাম্প ন্যু-এর নবনির্মিত ঘাসে।
৮৯০ দিন পর স্পটিফাই ক্যাম্প ন্যু-তে ফিরল বার্সা। ২০২৩ সালের মে’তে মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচে শেষবার এখানে বল গড়িয়েছিল। প্রায় ২৩ হাজার উচ্ছ্বসিত সমর্থকের উপস্থিতিতে আজ শুক্রবার সকালে কাতালান ক্লাবটির ফুটবলাররা চিরচেনা উঠানে এক উন্মুক্ত অনুশীলন সেশনের মাধ্যমে ফিরে। সমর্থকদের জন্য মুহূর্তটা ঐতিহাসিক আর আবেগঘন বলাই যায়।
অবশ্য বার্সেলোনার প্রধান স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ এখনো শতভাগ শেষ হয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার দিনক্ষণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি তারা। বার্সা ইতিমধ্যেই নবনির্মিত ক্যাম্প ন্যু-তে ম্যাচ আয়োজনের প্রথম অনুমোদন পেয়েছে। তবে দ্বিতীয় অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ম্যাচ আয়োজন করবে না লা লিগার ক্লাবটি। সেই অনুমতি মিললে প্রায় ৪৫,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা নিয়ে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে।
স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক খোলার মুহূর্ত থেকেই পরিবেশ ছিল উত্তেজিত। হর্ষধ্বনি আর জোরালো করতালিতে নিজেদের ঘরকে নতুন করে বরণ করে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। নতুন চেহারায় প্রিয় স্টেডিয়াম দেখতে আসা রাকেল নামের এক বার্সা সমর্থক ছিল দারুণ রোমাঞ্চিত। তাঁর মতে, ‘এটা হবে ইউরোপের সেরা স্টেডিয়াম।’ স্কুল ফাঁকি দিয়ে জীবনের প্রথমবার ক্যাম্প ন্যু দেখে বেশ খুশি নোয়া নামের এখ খুদে সমর্থকও।
ক্যাম্প ন্যু-এর ভেতরের রোমাঞ্চ অনুভব করার অভিজ্ঞতা হয়নি বার্সেলোনার অনেক সদস্যেরই। তাদের মধ্যে আছেন কোচ হানসি ফ্লিক নিজেও। এ ছাড়া ভয়চেক সেজনি ও মার্কাস র্যাশফোর্ড—যাদের কেবল প্রতিপক্ষ হিসেবে এই মাঠে নামার অভিজ্ঞতা আছে। লা মাসিয়ার তরুণ প্রতিভার মার্ক কাসাদো, দানি ওলমো, ফারমিন লোপেজ, জেরার্দ মার্টিন, মার্ক বার্নাল এবং পাও কুবারসি—প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক এই মাঠে পা রাখলেন।
নভেম্বরের শেষ দিকে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হতে পারে ক্যাম্প ন্যূ-তে। বার্সেলোনা ২২ নভেম্বর আতলেতিক বিলবাও কিংবা ২৯ নভেম্বর দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচেই হয়তো আসতে পারে সেই ক্ষণ।

চলতি মাসে সার্বিয়া ও আলবেনিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। এই দুই ম্যাচ সামনে রেখে দল ঘোষণা করেছেন ইংল্যান্ড কোচ টমাস টুখেল। দলে ফিরেছেন জুড বেলিংহাম ও ফিল ফোডেন।
রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার বেলিংহাম কাঁধের চোট থেকে ফিরে আসার পর অক্টোবরের ম্যাচে ছিলেন না। ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফোডেনও মার্চে লাটভিয়ার বিপক্ষে খেলার পর দলে জায়গা পাননি।
ক্রিস্টাল প্যালেসের অ্যাডাম ওয়ার্টন দলে ডাক পেয়েছেন আবারও। ২১ বছর বয়সী অ্যাডাম শেষবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ২০২৪ সালের জুনে।
প্রথমবার দলে ডাকা হয়েছে বোর্নমাউথের তরুণ মিডফিল্ডার অ্যালেক্স স্কটকে। ২২ বছর বয়সী স্কট ১১ ম্যাচ খেলেছেন ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে। চোট কাটিয়ে এ মৌসুমে বোর্নমাউথে নিয়মিত খেলছেন তিনি।
বায়ার লেভারকুসেনের জারেল কোয়ানসাহও জায়গা পেয়েছেন দলে। তবে বাদ পড়েছেন মরগান গিবস-হোয়াইট, রুবেন লফটুস-চিক, ওলি ওয়াটকিনস ও মাইলস লুইস-স্কেলি।
ইংল্যান্ড ইতিমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। অক্টোবরে লাটভিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে দলটি। ৬ ম্যাচে সব জিতে ১৮ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আলবেনিয়া। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে সার্বিয়া।
১৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মাঠ ওয়েম্বলিতে খেলবে ইংল্যান্ড, ১৬ নভেম্বর আলবেনিয়ার মাঠে নামবে দলটি। এই দুটি ম্যাচই হবে বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।
গোলকিপার: ডিন হেন্ডারসন
গোলকিপার:
ডিন হেন্ডারসন
গোলকিপার:
ডিন হেন্ডারসন (ক্রিস্টাল প্যালেস), জর্ডান পিকফোর্ড (এভারটন), নিক পোপ (নিউক্যাসল)।
ডিফেন্ডার:
ড্যান বার্ন (নিউক্যাসল), মার্ক গেহি (ক্রিস্টাল প্যালেস), রিস জেমস (চেলসি), এজরি কনসা (অ্যাস্টন ভিলা), নিকো ও’রেইলি (ম্যানচেস্টার সিটি), জারেল কোয়ানসাহ (বায়ার লেভারকুজেন), ডজেড স্পেন্স (টটেনহ্যাম), জন স্টোনস (ম্যানচেস্টার সিটি)।
মিডফিল্ডার:
এলিয়ট অ্যান্ডারসন (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ), জর্ডান হেন্ডারসন (ব্রেন্টফোর্ড), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), মরগান রজার্স (অ্যাস্টন ভিলা), অ্যালেক্স স্কট (বোর্নমাউথ), অ্যাডাম ওয়ার্টন (ক্রিস্টাল প্যালেস)।
ফরোয়ার্ড:
জ্যারড বোয়েন (ওয়েস্ট হ্যাম), এবেরেচি এজে (আর্সেনাল), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), অ্যান্থনি গর্ডন (নিউক্যাসল), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), মার্কাস র্যাশফোর্ড (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল)।

৮৭ রানের লক্ষ্য। ৩ ওভারে ১ উইকেটে পাকিস্তান তুলে ফেলে ৪১ রান। তারপরই পুড়ল কপাল। বৃষ্টি বাগড়ায় ম্যাচ আর হলো না। হংকং সিক্সেসে ডাক ওয়ার্থ লুইস (ডিএল) পদ্ধতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত জয় পায় ২ রানে।
মং ককের মিশন রোড গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ব্যাংটিয়ে নেমে ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৬ রান তোলে ভারত। ওপেনার রবিন উথাপ্পা ১১ বলে ২৮ রান করেন, আরেক ওপেনার ভারত ছিপলি করেন ১৩ বলে ২৪ রান। শেষ দিকে দিনেশ কার্তিকের ৬ বলে ১৭ রানের ক্যামিওর কল্যাণে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৬।
রান তাড়ায় ভালো ভাবেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। তবে তিন ওভার খেলা হওয়ার পর নামে বৃষ্টি। সে সময় পাকিস্তানের রান ছিলো ৩ ওভারে ৪১ রান। পাকিস্তানের ওপেনার খাজা নাফে ৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন, ওয়ানডাউনে নামা আবদুল সামাদ অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১৬ রানে। এরপর আর খেলা মাঠে না গড়ালে ডিএল পদ্বতিতে জয় পায় ভারত।
দুই ম্যাচে এক জয় ও এক হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে পাকিস্তান। এক ম্যাচে এক জয় নিয়ে টেবিলের দুইয়ে ভারত।

ইউরোপা লিগের ম্যাচকে ঘিরে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচ শুরুর আগে অ্যাস্টন ভিলা ও ইসরায়েলের ম্যাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের বিক্ষোভ থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বয়স ১৭ থেকে ৬৭ বছরের মধ্যে। এদের বেশির ভাগকে বর্ণবাদমূলক আচরণ ও জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। একজন ২১ বছর বয়সী যুবককে স্টেডিয়ামে আতশবাজি নিক্ষেপের চেষ্টা করার জন্য এবং আরেকজনকে মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুখোশ খুলতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজনকে এবং পুলিশি নির্দেশ অমান্য করায় আরও একজন ১৭ বছর বয়সী ছেলেকে আটক করা হয়।
বৃহত্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ ও যুক্তরাজ্যের আরও ২৫টি পুলিশ বাহিনীর মোট ৭০০–এর বেশি সদস্য মাঠে মোতায়েন ছিল। স্টেডিয়ামের বাইরে ঘোড়া, কুকুর, ড্রোন এবং সড়ক ইউনিটও ব্যবহার করা হয়।
উত্তেজনার মধ্যেও ম্যাচ সুন্দরভাবেই হয়। বার্মিংহামের ভিলা পার্কের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলা ২-০ গোলে জয় পায়। স্টেডিয়ামের ভিতরের পরিবেশ ছিল তুলনামূলক শান্ত, অনেক আসন খালি দেখা যায়।
গত মাসে অ্যাস্টন ভিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এই ম্যাচে ম্যাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বার্মিংহামের সেফটি অ্যাডভাইজরি গ্রুপ এই সিদ্ধান্ত নেয়। যুক্তরাজ্যের স্কাই নিউজ জানায়, সিদ্ধান্তটি নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে নেওয়া হয়েছে। পুলিশসূত্রে জানা যায়, ম্যাকাবির কিছু সমর্থক ‘হুলিগানিজমে’ জড়িত থাকার ইতিহাস রয়েছে।
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের চিফ সুপারিনটেনডেন্ট টম জয়স বলেন,
‘হুমকির কারণে নয়, বরং ম্যাকাবি সমর্থকদের একাংশের বেপরোয়া আচরণের তথ্য ছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
গত এক বছরে ইসরায়েল–প্যালেস্টাইন পরিস্থিতি ঘিরে ম্যাকাবি সমর্থকদের প্রতি নজর আরও বেড়েছে। ইউরোপা লিগের গত মৌসুমে আমস্টারডামে আয়াক্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ম্যাকাবি সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হন। পাঁচজনকে হাসপাতালে নিতে হয়।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাকাবি সমর্থকরা আরববিরোধী স্লোগান দেন, ফিলিস্তিনি পতাকা পুড়িয়ে ফেলে এবং একটি ট্যাক্সি ভাঙচুর করে। শহরের মেয়র পরে ঘোষণা দেন, ভবিষ্যতে তিনি আর ম্যাকাবি দলকে আতিথ্য দেবেন না।
ফুটবল বিশেষজ্ঞ নিকোলাস ব্লিংকো সংবাদ সংস্থা আল–জাজিরাকে বলেন,
‘ম্যাকাবি সমর্থকদের একটি অংশ ক্রমেই ডানপন্থী ও বর্ণবাদী আচরণের দিকে ঝুঁকছে। এজন্যই ঝুঁকি বাড়ছে।’