ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে মিকেল আর্তেতা বলেছিলেন, সাহসী ফুটবল খেলবে তার দল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিকদের আরেকটি কামব্যাক রুখে দিতে ম্যাচ জুড়ে ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিল তার দল। আর বাঁচা-মরার ম্যাচে ছন্দহীন ফুটবল খেলল কার্লো আনচেলত্তির দল। লড়াই তো নয়ই, উল্টো বিশাল ব্যবধানে হেরেই তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচে আর্সেনাল জিতেছে ২-১ গোলে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আর্সেনাল।
গোলের জন্য মরিয়া রিয়াল দ্বিতীয় মিনিটেই শানায় প্রথম আক্রমণ। কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে বাম দিক থেকে বক্সে প্রবেশ করে শট নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, যা চলে যায় পোষ্টের বাইরে।
আরও পড়ুন
শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু |
![]() |
অষ্টম মিনিটে ধাক্কা খায় রিয়াল। কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিকেল মেরিনোকে টেনে বক্সের ভেতর ফেলে দেন রাউল আসেন্সিও। ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। প্রথমে মার্টিন ওডেগার্ড এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার বাঁ পায়ের পানেনকা পেনাল্টি এক হাতে আটকে দিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন থিবো কোর্তোয়া।
খানিক বাদে দারুণ স্কিলের প্রদর্শনী দেখিয়ে গোলের ভালো একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন জুড বেলিংহাম। তবে বাঁ দিক থেকে তার বাড়ানো পাস নাগাল পাননি বক্সের ভেতর থাকা রদ্রিগো।
ঘড়ির কাটায় বিশ মিনিট পার হওয়ার পর ফের বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। এবার সেটা যায় রিয়ালের পক্ষে। ডি বক্সের ভেতর এমবাপেকে ফাউল করেছিলেন ডেকলান রাইস, এই ভেবে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সাথে হলুদ কার্ডও। আর্সেনালের খেলোয়াড়দের তুমুল প্রতিবাদের মুখে ভিএআর চেকে যান রেফারি। এরপর নিজেই স্ক্রিনে ফুটেজ দেখে সরে আসেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত থেকে।
রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিলের আগে স্পট কিকের প্রস্তুতি সেরেও ফেলেছিলেন এমবাপে। সেই হতাশার কারণেই কিনা, ৩১তম মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া তার শট চলে পোষ্টের বেশ ওপর দিয়েই।
এরপর কিছুটা কমে যায় ম্যাচের গতি। তবে চল্লিশ মিনিটের পর টানা তিন কর্নার আদায় করে আর্সেনালের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে রিয়াল। তবে দলটির আক্রমণের দুই প্রাণভোমরা এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধের বাকি সময়ের পর এই অংশেও থাকেন নিস্প্রভ।
ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় সাত মিনিট, যেখানে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ভালো একটা আক্রমণ করে আর্সেনাল। রাইসের পাস থেকে বক্সের বাঁদিক থেকে কঠিন এঙ্গেল থেকে বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, যা দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।
লড়াই জমাতে রিয়ালের গোলের ভীষণ প্রয়োজন হলেও বিরতির আগেই দলটির আক্রমণের খেলোয়াড়রা দেখান বাজে পারফরম্যান্স। ফলে গোলের জন্য ছয়টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় আর্সেনাল।
আরও পড়ুন
ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা |
![]() |
রিয়ালের গোলের সামনের এই দুর্দশা চলমান থাকে বিরতির পরেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে সেভাবে প্রতিপক্ষকে চাপেই রাখতে পারেনি দলটি। ফলে অধিনায়ক লুকাস ভাজকেজ, ডেভিড আলাবা ও রদ্রিগোকে তুলে ফ্রান গার্সিয়া, এন্দ্রিক ও দানি সেবায়োসকে নামান আনচেলত্তি।
তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি আর। উল্টো ৬৪তম মিনিটে রিয়ালকে স্তব্ধ করে দেন প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করা সাকা। বক্সের বাইরে থেকে মেরিনোর বাড়ানো থ্রু বল থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে বড় লিড এনে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
তবে সেই রাশ না কাটতেই বল এবার চলে যায় আর্সেনালের জালে। প্রতিপক্ষের সীমানায় চ্যালেঞ্জ করে বলের দখল পেয়ে কোনোমতে শরীরের ভারসাম্য ধরে রেখে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন ভিনিসিয়ুস।
তবে এরপরই সেই উদ্দীপনা ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৭৫তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এমবাপে। একটা গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও বারবার আর্সেনালের জমাট ডিফেন্সের সামনে থেমে যায় রিয়ালের সব প্রচেষ্টা। তাতে হতাশা বাড়তে থাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে, যারা সেজেছিল আরও একটা কামব্যাকের প্রত্যাশায়।
গোলের জন্য রিয়ালের প্রানান্তকর চেষ্টায় বারবার হাইলাইনে উঠে খেলছিল তারা। ফলে প্রায়ই ডিফেন্সে তৈরি হচ্ছিল শুন্যতার। গোলের দেখা না পাওয়া রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ঠুকে দেন মার্তিনেল্লি।
ইনজুরি টাইমে কাউন্টার এটাক থেকে দ্রুত বল পেয়ে মেরিনো বাঁদিকে বল দেন মার্তিনেল্লিকে। ফাঁকায় থাকার কারণে অনেকটা সময় নিয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান তিনি। আর সেটাই হতাশার গভীর চাদরে ঢেকে দেয় রিয়ালকে।
২০ মে ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
২০ মে ২০২৫, ৩:৪৫ পিএম
চল্লিশ পার করেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন ভালোভাবেই। তবে বিদায়ের ডাক শুনতে পেয়েছেন পেপে রেইনা। চলতি মৌসুম শেষে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এই স্পেন গোলরক্ষক, যিনি ছিলেন দেশটির প্রথম ও একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য।
গত সোমবার রাতে ৪২ বছর বয়সী রেইনা আনুষ্ঠানিকভাবে তার অসবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বার্সেলোনার যুব একাডেমিতে বেড়ে ওঠা এই ফুটবলার লিভারপুলে খেলেছেন আটটি মৌসুম। ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে তিনি এফএ কাপ ও লিগ কাপ জিতেছেন। লিভারপুলে নিজের প্রথম তিন মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি ক্লিন শিট ধরে রাখার জন্য প্রিমিয়ার লিগের ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ পুরস্কার জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন
স্কোয়াড ছোট না করলে সিটি ছেড়ে দেওয়ার আভাস গার্দিওলার |
![]() |
লিভারপুল অধ্যায় শেষে রেইনা অব্যাহত রাখেন ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবে খেলা। একে একে প্রতিনিধিত্ব করেন বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি ও এসি মিলানকে। সবশেষ গত বছর জুলাইয়ে তিনি সেরি আ-এর এর আরেক ক্লাব কোমোর সঙ্গে চুক্তি করেন। চলতি মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ১১টি ম্যাচ খেলেছেন।
রেইনা মোভিস্টারকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ নেই তার।
“আমি একটা খুব সুন্দর ক্যারিয়ারের শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাওয়ায় আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। আমার ধারণা ছিল না যে এই মুহূর্তটা এত দ্রুত চলে আসবে। কিন্তু মনে হচ্ছে সময়টা এসে গেছে।“
রেইনা আরও জানিয়েছেন, অবসর নেওয়ার পর তিনি কোচিং ক্যারিয়ারে প্রবেশের চিন্তা করছেন।
রেইনা স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১০ বিশ্বকাপ ছাড়াও তিনি স্পেনের ২০০৮ এবং ২০১২ ইউরো জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন।
ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচ হলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই অভিজ্ঞতা। ছন্দহীন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি কেমন করবেন, সেটা নিয়ে তাই অনেকেই কিছুটা সন্দিহান। তবে তার অধীনে খেলা রাফায়েল ভারানে সেই দলে নেই। সাবেক ফরাসি ডিফেন্ডার বরং মনে করছেন, আনচেলত্তির হাত ধরে সেরা ছন্দে ফিরবে ব্রাজিল।
গত সপ্তাহে আনচেলত্তিকে ব্রাজিলের ইতিহাসের প্রথম স্থায়ী বিদেশি কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। রিয়াল মাদ্রিদের চলতি মৌসুম শেষে আগামী ২৬ মে থেকে দায়িত্ব নেবেন তিনি। আনচেলত্তির কাজের শুরুটাই হবে কঠিন সময়ে, যেখানে এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্রাজিল দল নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে।
আরও পড়ুন
স্কোয়াড ছোট না করলে সিটি ছেড়ে দেওয়ার আভাস গার্দিওলার |
![]() |
সম্প্রতি হংকং সকার সেভেনস টুর্নামেন্টের ফাঁকে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী ভারানে বলেছেন, আনচেলত্তির অভিজ্ঞতা ব্রাজিল দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
“সে জানে কীভাবে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে হয়, কীভাবে তাদের আত্মবিশ্বাস দিতে হয় আর চাপমুক্ত রাখতে হয়। কারণ এই ব্রাজিল দল এবং তাদের খেলোয়াড়দের সেই কোয়ালিটি আছে। তাদের শুধু একতাবদ্ধ হতে হবে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। জাতীয় দল মানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করা। এটা ক্লাব ফুটবলের প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জের চেয়ে একেবারেই আলাদা ব্যাপার। তবে আপনি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় মাপের শিরোপা জেতার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে আপনি যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময়ে একই রকমের সফলতা পেতে পারেন।”
রিয়ালের কোচ হিসেবে আনচেলত্তির প্রথম মেয়াদে ভারানে দুই মৌসুম খেলেছেন তার কোচিংয়ে, ছিলেন ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য। দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালে ফিরে আরও দুইবার এই প্রতিযোগিতায় শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী এই কোচ।
তবে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে তার জন্য শুরুতেই অপেক্ষা করছে কঠিন সময়। বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিল চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার চেয়ে তারা পিছিয়ে ১০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
ভারানের মতে, এই চ্যালেঞ্জে উতরে যাবেন আনচেলত্তি।
“কার্লো একজন দারুণ কোচ। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তিনি জানেন কীভাবে খেলোয়াড়দের সঠিক সময়ে সেরা পারফর্ম করার জন্য প্রস্তুত করতে হয়। আর কোচ হিসেবে এটাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়। চার বছরে বিশ্বকাপে পারফর্ম করার সুযোগ কেবল একবার সুযোগ মেলে, তাই খুব বেশি ভুলের সুযোগ নেই। আমি মনে করি তিনি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পারবেন।”
জমে ওঠা সেরি আ শিরোপার লড়াইয়ের শেষ রাউন্ডের আগে ধাক্কা নাপোলি ও ইন্তার মিলান শিবিরে। এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ায় নিজ নিজ দলের শেষ ম্যাচে ডাগআউটে থাকতে পারবেন না ক্লাব দুটির কোচ আন্তোনিও কন্তে ও সিমোনে ইনজাগি।
গত সোমবার রাতে ইতালিয়ান লিগ কর্তৃপক্ষ তাদের এই শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুধু এই দুজনই নন, গত রোববারের ম্যাচে নিজ নিজ ক্লাবের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় আরও তিন কোচও সেরি আয়ের শেষ রাউন্ডে টাচলাইন নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন
চাকরি নিয়ে প্রশ্নে টটেনহ্যাম কোচ বললেন, ‘আমি জোকার না’ |
![]() |
সবশেষ রাউন্ডে লাজিওর সাথে ইন্তার ২-১ গোলে জয়ের পথেই ছিল। পার্মার বিপক্ষে ম্যাচে নাপোলি ড্র করায় এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলে ইনজাগির দল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে চলে যেত। তবে লাজিও-ইন্টার ম্যাচের অন্তিম সময়ে রেফারি ভিএআর মনিটরে মিলানের ক্লাবটির বিপক্ষে একটি সম্ভাব্য পেনাল্টি যাচাই করতে গেলে বাঁধে বিপত্তি।
ইনজাগি এবং লাজিও কোচ মার্কো বারোনি সাইডলাইনে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় দুজনকেই লাল কার্ড দেখানো হয়। ইন্তারের বক্সে হ্যান্ডবলের কারণে লাজিও পেনাল্টি পায় এবং পেদ্রো ৯০তম মিনিটে গোল করে ২-২ সমতা আনেন।
অন্যদিকে নাপোলি অবনমন অঞ্চলে থাকা পার্মার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে। ম্যাচের ৯০তম মিনিটে নাপোলি কোচ কন্তে ও পার্মা কোচ ক্রিস্তিয়ান চিভু তীব্র বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। ফলাফলে তাদেরও লাল কার্ড দেখতে হয়।
আরও পড়ুন
অবসরে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক |
![]() |
এছাড়া এসি মিলানের কোচ সার্জিও কনসেইসাওও সেরি আয় তাদের শেষ ম্যাচ মিস করবেন। রোমার সাথে ৩-১ গোলে হারের ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখেন তিনি।
সেরি আয় শেষ রাউন্ডের আগে ৩৭ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে নাপোলি। সমান ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইন্তার।
প্রায় দুই বছর আগের ঘটনাটি নিয়ে ফুটবল বিশ্বে একটা ঝড়ই বয়ে গিয়েছিল। ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন, তা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি, যা ভালো লাগেনি স্প্যানিশ ক্লাবটির। এটির তাৎক্ষণিক সংশোধনের দাবি জানিয়ে তারা বলছে, ডকুমেন্টারিতে সেই ঘটনার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা পুরোপুরি অবাস্তব।
গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী মুক্তিপ্রাপ্ত এই ডকুমেন্টারিটি বানিয়েছে ব্রাজিলের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কন্সপিরাসাও। এটি মুক্তি পেয়েছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে। এখানে ভিনিসিয়ুসের জীবন ও ক্যারিয়ারের নানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বিশেষ ভাবে স্থান পেয়েছে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার সাথে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়।
তার একটিতে ২০২৩ সালের ২১ মে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তিয়ায় রিয়ালের সাথে দলটির ম্যাচের কিছু চিত্র দেখানো হয়, যেখানে ভিনিসিয়ুস তার দিকে ধেয়ে আসা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে একদল ভ্যালেন্সিয়া সমর্থকের সাথে তর্কে জড়ান, যার ফলে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
হলান্ডের জন্য কুফা ‘ওয়েম্বলি’ ও পেনাল্টি না নেয়া নিয়ে বিতর্ক? |
![]() |
ভ্যালেন্সিয়া এক বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিটি নিয়ে।
“ভ্যালেন্সিয়া তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে আনা অবাস্তব অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রেক্ষিতে লিখিতভাবে ডকুমেন্টারির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছে মেস্তিয়ার ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিক সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। কারণ এটা বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না। আমাদের সমর্থকদের প্রতি সবার সম্মান বজায় রাখা উচিত। ভ্যালেন্সিয়া এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে।”
স্পেন, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল, ফিফার তীব্র প্রতিক্রিয়ার এক বছর পর ওই ঘটনার জন্য তিনজন সমর্থককে কারাদণ্ড এবং স্টেডিয়ামে প্রবেশে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, স্পেনে এই ধরনের ঘটনায় আগে কাউকেই এত কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়নি।
তবে ভ্যালেন্সিয়া দাবি করেছে যে, ভিনিসিয়ুসের ডকুমেন্টারিতে যেভাবে পুরো স্টেডিয়ামের বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ দেখানো হয়েছে, সেটা অনেকটাই অতিরঞ্জিত এবং ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সন্দিহান ডে ব্রুইনা |
![]() |
নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টারিতে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত একটি ফুটেজ দেখানো হয়েছে, যেখানে সাবটাইটেলে বোঝানো হয়েছে যে দর্শকরা ভিনিসিয়ুসকে উদ্দেশ করে ‘মোনো’ (বানর) বলে চিৎকার করছিল। তবে ভ্যালেন্সিয়া ও ক্লাবের সমর্থকদের দাবি, সেদিন অধিকাংশ দর্শক ভিনিসিয়ুসকে আসলে ‘তোন্তো’ (বোকা) বলেছিলেন।
নতুন ফরম্যাটের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সূচি নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেছেন অনেক ফুটবলারই। মৌসুম শেষের ঠিক পরপরই এই টুর্নামেন্ট হওয়ায় ম্যানচেষ্টার সিটিতে চুক্তি শেষ হতে যাওয়া কেভিন ডে ব্রুইনা তাই চিন্তিত নিজের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার মনে করেন, এই বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে চোট পেলে তাতে সমস্যাই হয়ে যাবে তার।
সিটির সাথে ডে ব্রুইনার চুক্তি চলতি মৌসুমেই শেষ হয়ে যাবে। ফলে এরপরই তিনি ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন। আগামী জুন-জুলাইয়ে হতে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার জন্য অভিজ্ঞ এই ফুটবলার সিটি বা অন্য কোনো ক্লাবের সাথে স্বল্পমেয়াদি একটি চুক্তি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন
প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েই বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করবেন ইয়ামাল |
![]() |
তবে ডে ব্রুইনার মতে, ক্লাব বিশ্বকাপে খেলাটা নতুন মৌসুমে তাকে ঝামেলায় ফেলে দিতে পারে।
“আমাকে নিজের খেয়াল রাখতে হবে, কারণ আমি যদি ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে চোট পাই, তখন আমি কী করব? তখন তো কেউ আমার দায়িত্ব নেবে না। তাই খুব সম্ভবত আমি সেখানে খেলব না। তবে আমি ঠিক জানি না, হয়তো খেলতেও পারি।”
৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপের কারণে ফিফা একটি স্বল্পমেয়াদি ট্রান্সফার উইন্ডো চালু করেছে। যাতে আগামী ৩০ জুনে যাদের চুক্তি শেষ হবে, তারা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী একটি ক্লাবে যোগ দিতে পারে। ফলে ডে ব্রুইনার মত খেলোয়াড়রা শুধুমাত্র বিশ্বকাপে খেলার জন্য স্বল্পমেয়াদি চুক্তি করতে পারবেন। এরপর আবার ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
৩৩ বছর বয়সী ডে ব্রুইনা সিটির হয়ে ১০ বছর খেলেছেন। সফল এক ক্যারিয়ারে ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে ১৪টি বড় শিরোপা জিতেছেন। তবে বিস্ময়করভাবে সিটি তাকে নতুন কোনো চুক্তির প্রস্তাবই দেয়নি।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৩ দিন আগে