ফরম্যাট বদলে গেছে, বদলে গেছে কোচ থেকে শুরু করে দলের বড় একটা অংশ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচ বলেই বার্সেলোনা ভক্তদের মনে ফিরে আসছে দুটি তিক্ত অভিজ্ঞতা। প্রথম লেগে বড় জয় পাওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ার ঘটনা যে সহজেই ভোলার নয়। রোমা ও লিভারপুলের বিপক্ষে সেই দুই লড়াইয়ে প্রথম লেগে তাও ছিল বড় জয়। সেখানে এবার ইন্তার মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগে হান্সি ফ্লিকের দল করেছে ড্র। দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও তাই শেষ হাসি হাসতে হলে অতীতের সেই ‘ভূত’ তাড়ানো কিছুটা হলেও কঠিন হতে পারে বার্সেলোনার জন্য।
শুরুটা ছিল রোমাকে দিয়ে। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের নিয়ে গড়া বার্সেলোনার সেই দল শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরে মাঠে হেসেখেলেই জেতে ৪-১ গোলে, যেখানে দুটি ছিল আবার আত্মঘাতী গোল। তিন গোলে এগিয়ে থাকায়, আর সাথে দল হিসেবে রোমার সেই সময়ের সেরা পর্যায়ে না থাকা মিলিয়ে বার্সেলোনার সেমিফাইনাল নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল। তবে বিধিবাম!
আরও পড়ুন
ব্রাজিল নয়, জাতীয় দলে রাফিনিয়ার প্রথম পছন্দ ছিল ইতালি! |
![]() |
ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে প্রথম লেগে গোল করা এদিন জেকো শুরুতেই গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দেন। ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামা বার্সেলোনা অতিরিক্ত ডিফেন্সিত হতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হজম করে বসে আরও দুই গোল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪। তবে সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিপক্ষের মাঠে গোলের হিসেবে এগিয়ে বার্সাকে কাঁদিয়ে সেমিতে চলে যায় রোমাই।
এই ঘটনা যে স্রেফ ‘ফ্লুক’ ছিল না, তা প্রমাণ করতে যেন বার্সেলোনা মঞ্চস্থ করে প্রায় একই রকমের আরেকটি পারফরম্যান্স। সেমিফাইনালে কাম্প নাউয়ে প্রথম লেগে লিভারপুলকে কোনঠাসা করে মেসির দুটি ও সুয়ারেজের এক গোলে দলটি জয় পায় ৩-০ ব্যবধানে। আগের বছর রোমার কাছে ওই হারের পরও দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনা ফাইনালে খেলার পক্ষেই ভোট ছিল বেশি।
তবে আরও একবার তিন গোলের লিড নিয়ে ভজকট পাকিয়ে ফেলে বার্সেলোনা। ৫৩ মিনিট পর্যন্ত অ্যানফিল্ডে এক গোল হজম করলেও এরপরই খেই হারায় তারা। একে একে তিনটি গোল করে বসে লিভারপুল। রোমার বিপক্ষে সেই হারের তরতাজা স্মৃতির কারণেই কিনা, এই অর্ধে প্রতিটি গোল হজক করার সাথে সাথে যেন আরও মলিন ফুটবল উপহার দিতে থাকে বার্সেলোনা। তারই প্রতিশ্রুতিতে আসে বহুল চর্চিত সেই ‘কর্নার টেকেন কুইকলি’ খ্যাত গোলটি, যেখানে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অপ্রস্তুত থাকার সুযোগ নিয়ে আচমকাই গোল করে লিভারপুল। ৪-৩ গোলে হারের পর বিধ্বস্ত মেসি-পিকেদের চেহারাই বলে দিচ্ছিল, কীভাবে কি হয়ে গেল সেটা যেন তারা ঠাওরই করতে পারছেন না।
বুধবার মিলানে যে ইয়ামাল-পেদ্রিদেরও একই অভিজ্ঞতা হবে না, ঠিক এই মুহূর্তে জোর গলায় সেটা বোলার অবস্থা নেই বার্সেলোনার বড় সমর্থকেরও। রণটা খুব স্পষ্ট, সাম্প্রতিক ফর্ম কিছুটা খারাপ গেলেও গোটা মৌসুমে ইন্তার খেলছে দুর্দান্ত ফুটবল। তাছাড়া নকআউট পর্বে কোনো দলকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এর সাথে যোগ হবে প্রথম লেগে তিন গোল খাওয়া এবং দুটি নকআউট পর্বের ম্যাচে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও বাদ পড়ার ভুলে যাওয়ার স্মৃতি।
তবে এবার ভিন্ন কিছু হওয়ার বার্তাও আছে বার্সেলোনার এই দলে। দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই দলটিকে রাতারাতি বদলে দেওয়া হান্সি ফ্লিকের কাছে ইতিবাচক ফুটবলই শেষ কথা। দল ৩-৪ গোলে জিতলেও তাই তিনি আক্ষেপ করেন শেষের দিকে মিস করা একটি গোল নিয়ে। দল লিড নিলে ব পিছিয়ে থাকলেও তিনি খেলান হাই প্রেসিং ফুটবল। ফলে ৯০ মিনিট জুড়ে এই দলটিকে আটকে রাখা প্রায় অসম্ভব এক লড়াই হতে পারে ইন্তারের জন্য।
আরও পড়ুন
লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের |
![]() |
এর সাথে যোগ করতে হবে লামিন ইয়ালাম আতঙ্ক, যিনি প্রথম লেগে রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছেন ডিফেন্ডারদের। গোলও করেন একটি। সাথে আছেন সেরা ফর্মে থাকা রাফিনিয়া। আর চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে বদলি হিসেবে মাঠে ফেরার ভালো সম্ভাবনাই আছে তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভনদভস্কির, যাকে ছাড়াই কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ফ্লিকের দল।
সব মিলিয়ে অতীতের ভূত ফিরে আসার সম্ভাবনা যেমন আছে, বার্সেলোনার সামনে তেমনি সুযোগ আছে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার। ফ্লিকের দল কী সেটা করতে পারবে? উত্তর জানা যাবে যার কয়েক ঘণ্টা পরই।
No posts available.
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৫৩ পিএম
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫০ পিএম
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচটা একদমই ভালো যায়নি নিকোলাস ওতামেন্ডির। একুয়েডরের বিপক্ষে বুধবার ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে আর্জেন্টাইন এই ডিফেন্ডারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। আর এই লাল কার্ডের জন্য আগামী বছর বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিতে দর্শক হয়েই থাকতে হবে ওতামেন্ডিকে।
আকাশী-সাদা জার্সিতে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলেই জাতীয় দলকে বিদায় বলার ঘোষণা দিয়েছেন ওতামেন্ডি। একুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘তেলেফ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অবসর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান ৩৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
আরও পড়ুন
এমবাপের উদ্দেশ্যে ‘বানরের আওয়াজ করায়’ দর্শক গ্রেপ্তার |
![]() |
“সামনের এই বিশ্বকাপই হবে আমার জাতীয় দলের হয়ে শেষ প্রতিযোগিতা। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি এই জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে।”
অবসরের ঘোষণা ছাড়াও ফুটবলে ক্যারিয়ারে নিজের উত্থান-পতন নিয়ে কথার ঝাপি খুলে বসেন ওতামেন্ডি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সংগ্রাম আর লড়াই করে যোদ্ধার মতো এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
“প্রথম ডিভিশনে খেলাই আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল, তারপর সেখান থেকে জাতীয় দলে পৌঁছানো তো আরও কঠিন। আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে, জীবনে সবকিছুর দাম আছে। যোদ্ধার মতো লড়তে হবে, নিজের সেরাটা দিতে হবে। আর যেদিন কিছু হবে না, পরের দিন আবার চেষ্টা করতে হবে। সেটাই জীবন।”
আরও পড়ুন
ম্যানচেস্টার ডার্বির আগে সিটির বড় ধাক্কা |
![]() |
২০০৯ সালে পানামার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেক হয় ওতামেন্ডির। এরপর আলবিসেস্তাদের হয়ে ১২৮ ম্যাচ খেলে ৭টি গোলও করেছেন তিনি।
জাতীয় দলে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারের জীবনের সেরা মূহূর্ত কোনটি এমন প্রশ্নে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপকেই বেছে নেন তিনি।
“কাতারের সেই দিনগুলো এখনও চোখের সামনে ভাসে। কুটি (ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো) তখন শ্যাম্পেন খাচ্ছে, সিগার টানছে, এক কথায় সবকিছু যেন পাগলাটে। এই স্মৃতিগুলো সারাজীবন মাথায় গেঁথে থাকবে। সেই শিরোপার কোনও তুলনা হয় না।”
আরও পড়ুন
যত বেশি টাকা, তত বেশি সমস্যা: এমবাপে |
![]() |
বর্তমানে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার হয়ে খেলছেন ওতামেন্ডি। আর্জেন্টিনার ভেলাসে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে আর্জেন্টিনায় ফিরবেন কিনা জানতে চাইলে ভবিষ্যতের হাতেই ছেড়ে দেন তিনি।
“সত্যি বলতে, এখনও কিছু জানি না। ২০২৬ বিশ্বকাপের পর সেটা ভেবে দেখব, দেখা যাক। ফিদেও (ডি মারিয়া) ফিরে এসেছে, চমৎকার খেলছে। লেয়াও (পারেদেস)। তারা আমার বন্ধু, আর ওদের খুশি দেখে আমারও খুব আনন্দ হয়।”
গ্যালারিতে বসে বর্ণবাদী আচরণের মাশুল দিলেন স্পেনের এক দর্শক। কিলিয়ান এমবাপেকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদী অঙ্গভঙ্গি ও আওয়াজ করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই দর্শকের। ইএসপিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেনের ন্যাশনাল পুলিশ জানিয়েছে এই খবর।
স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে গত ২৪ আগস্ট রিয়েল ওভেইদোর মাঠে খেলতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। নবাগত দলটির বিপক্ষে এমবাপের জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানের সহজ জয় পায় স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি।
বুধবার স্পেনের পুলিশ জানিয়েছে, ওই ম্যাচের এক পর্যায়ে এমবাপেকে উদ্দেশ্য করে বানরের আওয়াজ ও অঙ্গভঙ্গি করেন এক দর্শক। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে এমবাপের প্রথম গোলের পর এই কাজটি করেই অভিযুক্ত সেই দর্শক।
আরও পড়ুন
যত বেশি টাকা, তত বেশি সমস্যা: এমবাপে |
![]() |
গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ওই দর্শককে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ম্যাচের পরপরই এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল লা লিগা কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই সপ্তাহ পর সেই দর্শককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
পরে এই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্বেষমূলক অপরাধের আদালতে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজার ইউরো পর্যন্ত আর্থিক জরিমানা।
সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। পরে ওই ঘটনায় তিন দর্শককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সবশেষ মৌসুমে চোটের কারণে বড় মূল্য চুকাতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের চোটে শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে পড়তে হয় ইংলিশ ক্লাবটিকে। এবার নতুন মৌসুম শুরু হতে না হতেই ফের ইনজুরি হানা দিল পেপ গার্দিওলার শিবিরে।
জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বুরকিনো ফাসোর বিপক্ষে ম্যাচে হাঁটুর চোটে পড়েছেন ম্যান সিটির মিশরিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর মারমুশ। এরই মধ্যে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ম্যানচেস্টারে ফিরছেন ২৬ বছর বয়সী ফুটবলার।
আরও পড়ুন
যত বেশি টাকা, তত বেশি সমস্যা: এমবাপে |
![]() |
প্রাথমিক স্ক্যানে চোট গুরুতর বলে নিশ্চিত করেছে ম্যান সিটি। তাতে আগামী রোববার ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে সিটির।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মারমুশের সবশেষ অবস্থা জানিয়েছে সিটি।
“ওমর মারমুশ মিশরের হয়ে আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনকালে হাঁটুর চোট পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে মিশরে করা স্ক্যান অনুযায়ী, তিনি রোববারের ম্যানচেস্টার ডার্বিতে খেলতে পারবেন না। তিনি এখন ম্যানচেস্টারে ফিরছেন, যেখানে আরও পরীক্ষা হবে এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
আরও পড়ুন
একটি নয়, অনেক ব্যালন ডি অর জেতার স্বপ্ন দেখি: ইয়ামাল |
![]() |
সিটি কোচ গার্দিওলার জন্য মারমুশের এই চোট বড় ধাক্কা হয়েই এলো। এর আগে ইনজুরিতে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন মাতেও কোভাচিচ, যোস্কো গাভার্দিওল, সাভিনহো, রায়ান চেরকি, আব্দুকাদির খুসানোভ, রিকো লুইস ও নিকো ও’রেইলি।
এর আগে সিটি ডিফেন্ডার জন স্টোন্স ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ক্যাম্পে যোগ দিলেও পেশির চোটের কারণে কোনো ম্যাচ না খেলেই ফেরত আসেন।
তারকা ফুটবলারদের চাকচিক্যময় জীবন নিয়ে সমর্থকদের আগ্রহ থাকে সবসময়ই। ইউরোপীয় ফুটবল কিংবা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের ক্লাবগুলোয় ফুটবলারদের পেছনে কাড়িকাড়ি অর্থ ঢালছে। তাতে দ্রুতই জীবন বদলে যাচ্ছে তরুণ অনেক ফুটবলারদের। বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হতে শুরু করেন তারা।
তবে সবকিছুরই তো নেতিবাচকতা আছে। দূর থেকে ফুটবলারদের জীবন আর্কষণীয় মনে হলেও মুদ্রার উল্টো পিঠও নাকি আছে। রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে তেমনটাই বলছেন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যাক্তিগত জীবনের পর্দার আড়ালের কথা বলেন তিনি। নিজের সন্তানদেরও নাকি কখনও ফুটবলকে বেছে নেওয়ার উপদেশ দেবেন না এমবাপে।
আরও পড়ুন
একটি নয়, অনেক ব্যালন ডি অর জেতার স্বপ্ন দেখি: ইয়ামাল |
![]() |
ফুটবলকে মনে প্রাণে ধারণ করেন বলেই সব নেতিবাচকতা ভুলে থাকছেন এমবাপে।
“খেলাটার প্রতি এই টানটা যদি না থাকত, তাহলে ফুটবলের দুনিয়ার অন্ধকার দিকগুলো আমাকে বহু আগেই দূরে সরিয়ে দিত।”
মাঠের খেলার বাইরেও অনেক দিক থাকে যা সমর্থকদের ধারণার মধ্যে থাকে না। দর্শকদের এসব বিষয় দেখতে হয় না বলে তাদের সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন এমবাপে।
“আমি সবসময় বলি, যারা স্টেডিয়ামে এসে শুধু খেলা দেখতে পারে, তারা খুব সৌভাগ্যবান কারণ তারা জানে না এর পেছনে কী চলে, কোন গোপন জগৎ আছে।”
আরও পড়ুন
দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা, জিমে সময় কাটালেন ফুটবলাররা |
![]() |
যে অঢেল অর্থের হাতছানি ফুটবলারদের জীবনে বড় প্রভার রাখে, সেই টাকাই যত নষ্টের গোড়া বলে মনে করেন ফরাসি তারকা।
“যত বেশি টাকা, তত বেশি সমস্যা। আমি আমার সন্তানদের কখনও ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে বলব না।”
মূলত গত মৌসুমে পিএসজি ছেড়ে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পরই যত ঝামেলায় পড়েন এমবাপে। গত জুলাইয়ে পিএসজির বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগ (যেখানে তিনি হয়রানি ও ব্ল্যাক মেইলের অভিযোগ এনেছিলেন) প্রত্যাহার করে নেন।
তবে এমবাপে এখনও দাবি করছেন তার ৫৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন ও বোনাস ফরাসি ক্লাবটি বকেয়া রেকেছে। সেই অর্থ আদায়ের জন্য তিনি আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন
রেফারির সিদ্ধান্তে খুশি নন মার্তিনেজ |
![]() |
অবশ্য সাবেক ক্লাবের সঙ্গে কোনো বিদ্বেষ নয়, শুধু প্রাপ্য অর্থটাই ফেরত চান এমবাপে।
“পিএসজির প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নেই। আমি ক্লাবটিকে ভালোবাসি, এখনও সেখানে আমার বন্ধুরা আছে। কিন্তু এই পথটাই একমাত্র উপায়, আমার প্রাপ্যটা ফেরত পাওয়ার জন্য।”
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পরশু ২-১ গোলের জয়ে দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেন এমবাপে।
ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করে জাতীয় দলের হয়ে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক রিয়াল তারকা। থিয়েরি হেনরিকে ছাপিয়ে ফ্রান্সের হয়ে তার গোল এখন ৫২, শীর্ষে থাকা অলিভার জিরুর গোল ৫৭।
কথায় বলে, স্বপ্ন সবসময় বড় দেখতে হয়। সেই দলে আছেন লামিন ইয়ামাল। ফুটবল ক্যারিয়ারে দারুণ শুরু করা স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ডের স্বপ্ন তাই অনেকগুলো ব্যালন ডি'অর জেতা।
ফ্রান্সের প্যারিসে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডিঅর পুরস্কার। পিএসজির ফরাসি তারকা ওসমান দেম্বেলের পাশাপাশি ইয়ামালও এবারের ব্যালন জয়ের অন্যতম দাবীদার।
সেই আলোচনা চলার মাঝেই এক পডকাস্টে ইয়ামাল জানিয়েছেন নিজের স্বপ্নের কথা।
আরও পড়ুন
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে দুই ‘জুজু’ |
![]() |
“আমি আমার বন্ধুদের বলেছি, আমি একটি ব্যালন ডি অর জেতার স্বপ্ন দেখি না। আমি অনেকগুলো ব্যালন ডি অর জেতার স্বপ্ন দেখি।”
এখন পর্যন্ত বার্সেলোনা ও স্পেনের হয়ে ইয়ামালের যেমন পারফরম্যান্সে, তাতে এই স্বপ্ন দেখা অবশ্যই যৌক্তিক। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বার্সেলোনার হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ইয়ামাল। গত মৌসুমে ১৮ গোলের সঙ্গে করেছেন ২৫টি অ্যাসিস্ট।
গোল-অ্যাসিস্টের বাইরেও স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন ইয়ামাল।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলার কিছু নেই: অশ্বিন |
![]() |
সেই একই ছন্দ ধরে রেখে নতুন মৌসুমের শুরুটাও করেছেন উড়ন্ত। লা লিগায় প্রথম তিন ম্যাচে দুই গোল করে ফেলেছেন ইয়ামাল। তার মতে, শেষ পর্যন্ত ব্যালন জিততে না পারলে, দায়টা থাকবে তার ওপরেই।
“আমার মতে, আমি এটি (ব্যালন ডি অর) জেতার মতো একজন ফুটবল। আর এটি যদি না হয়, তার মানে দাঁড়াবে আমি সব কিছু ঠিকভাবে করিনি অথবা আমি সব কিছু করতে চাইনি।”
“আমি অনেকগুলো ব্যালন ডি অর জিততে চাই এবং যখন এই দিন আসবে, আমি অনেক খুশি হবো।”
তবে ব্যক্তিগত সাফল্যের আগে দলকে অনেক কিছু জেতাতে চান ইয়ামাল।
“আমি শুধু জিততে থাকতে চাই। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে অনেক কিছু জিততে চাই।”