২৬ আগস্ট ২০২৫, ৫:৫০ পিএম
ইংল্যান্ড ও ল্যাঙ্কাশায়ারের সাবেক ফাস্ট বোলার কেন শাটলওয়ার্থ মারা গেছেন। ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম উইকেটশিকারিও তিনি।
১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে মেলবোর্নে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে জন স্নোর সঙ্গে নতুন বল হাতে নেন শাটলওয়ার্থ। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কিথ স্ট্যাকপোলকে আউট করে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম উইকেটশিকারি বনে যান তিনি। খেলেছেন ওয়ানড, উইকটেও পেয়েছেন একটি। যেটা জায়গা করে নিল ইতিহাসের পাতায়।
কয়েক সপ্তাহ পর নিউজিল্যান্ডে প্রথম লিস্ট-এ ম্যাচেও বল হাতে ইতিহাস গড়েন শাটলওয়ার্থ। ওয়েলিংটনের বিপক্ষে এমসিসির হয়ে প্রথম বলটি করেন এবং দুই ওপেনারকে আউট করেন, যদিও ম্যাচটি জেতে ওয়েলিংটন।
টেস্টে নজরকাড়া অভিষেক হয়েছিল শাটলওয়ার্থের। ১৯৭০ সালের অ্যাশেজে ব্রিসবেন টেস্টে অভিষেকেই নেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে ৫ টেস্ট নিয়েছেন ১২ উইকটে।
আরও পড়ুন
পূজারার চোখে সেরা ইনিংস, ভয়ংকর বোলার ও প্রতিপক্ষ |
![]() |
সেন্ট হেলেন্সে জন্ম নেওয়া শাটলওয়ার্থ ১৯৬৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগ দেন। ক্লাবটির হয়ে ৪৮৪ এবং লেস্টারশায়ারের হয়ে আরও ৯৯ উইকেট শিকার করেন তিনি। ১৯৬৮ সালে এসেক্সের বিপক্ষে ৭/৪১ ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের সাফল্যে বড় অবদান রাখেন শাটলওয়ার্থ। গিলেট কাপের টানা তিন আসর ১৯৭০, ১৯৭১ ও ১৯৭২ জয়ের পাশাপাশি দুটি সানডে লিগ শিরোপাও জেতেন তিনি। ১৯৭২ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন, উইকেটের তালিকায় ছিলেন গ্যারি সোবার্সও।
পরে লেস্টারশায়ারে খেলার পর ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে লিগ ক্রিকেট খেলেন শাটলওয়ার্থ। কিছুদিন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার পর ফার্স্ট ক্লাস আম্পায়ার হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ২০২১ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন শাটলওয়ার্থ। ৮০ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি।
No posts available.
এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে ব্যাট হাতে ৩২৩ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার হলেন মাহমুদুল হাসান জয়। বোলিংয়ে ১৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলারের খেতাব জিতলেন তার চট্টগ্রাম দলের সতীর্থ হাসান মুরাদ।
দুজনের হাতেই উঠেছে ৫০ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার ও আকিজ বাই সাইকেল।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২২ রানের পাশাপাশি আসরজুড়ে দারুণ অধিনায়কত্বের সৌজন্যে প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট হয়েছেন রংপুরের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক আকবর আলি। তাকে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল।
পুরো আসরে ৫টি ক্যাচের পাশাপাশি গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে ঝলক দেখিয়ে সেরা ফিল্ডার নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী বিভাগের এসএম মেহেরব হাসান। তাকে দেওয়া হয়েছে আকিজ বাই সাইকেল।
প্রথমবার স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতে নেমে ৮ ম্যাচে ৫.২১ ইকোনমি রেটে ১০ উইকেটের পাশাপাশি ৬টি ক্যাচ নিয়ে টুর্নামেন্টের মোস্ট প্রমিজিং ক্রিকেটার হয়েছেন মোহাম্মদ রুবেল। মেহেরবের মতো তিনিও পেয়েছেন আকিজ বাই সাইকেল।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে সুদৃশ্য ট্রফির পাশাপাশি ২০ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার পেয়েছে রংপুর বিভাগ। আর ফাইনাল হেরে রানার্স-আপ হওয়া খুলনা পেয়েছে ১০ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কে পেলেন কোন পুরস্কার
চ্যাম্পিয়ন - রংপুর বিভাগ ২০ লাখ টাকা ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি)
রানার্স আপ - খুলনা বিভাগ ১০ লাখ টাকা)
ম্যান অব দা ফাইনাল - নাসির হোসেন (২০ হাজার টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট - আকবর আলি (১ লাখ টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
সেরা ব্যাটার - মাহমুদুল হাসান জয় (৫০ হাজার টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
সেরা বোলার - হাসান মুরাদ (৫০ হাজার টাকা ও আকিজ বাই সাইকেল)
সেরা ফিল্ডার - এসএম মেহেরব হাসান (আকিজ বাই সাইকেল)
প্রমিজিং ক্রিকেটার - মোহাম্মদ রুবেল (আকিজ বাই সাইকেল)
আকবর আলিকে ক্যাপ্টেন বানাও, ট্রফি জিতে নাও। বাংলাদেশ ক্রিকেটে চাউর হাওয়া এ কথার যথাযথ যুক্তি-ভিত্তি শতভাগ সত্যে রূপ নিয়েছে। লাল-সবুজ জার্সিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো এই উইকেটকিপার ব্যাটার পঞ্চম বারের মতো অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জিতেছেন।
এনসিএল টি টোয়েন্টির প্রথম সংস্করণের পর এবারও শিরোপা জিতেছে আকবর নেতৃত্বাধীন রংপুর বিভাগ। যোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৯ ইনিংসে ৩১.৭১ গড়ে তার রান ২২২। জিতে নিয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
বাংলাদেশকে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে অধিনায়ক হিসেবে আকবরের উত্থান। এরপর ২০২২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণে রংপুরের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার অধিনায়কত্ব ২০২৩ সালে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ জোন।
গত বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরেও অধিনায়কত্ব করে রংপুরকে শিরোপা জেতান আকবর। এবারও তার যোগ্য নেতৃত্বে দল জিতে শিরোপা।
আকবর সবকটি ইনিংসে দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেন। আসরে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ঢাকার বিপক্ষে। ঢাকার বিপক্ষে ২৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সবশেষ চিটাংয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি। ২১ বলে ৪০ রান করেন উইকেটকিপার ব্যাটার।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগংয়ের বিপক্ষে আকবরের এই ক্যামিও ইনিংসের জেরেই দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার মঞ্চে ওঠে রংপুর। ফাইনালেও তার ব্যাটিং ছিল দায়িত্বশীল সুলভ। সাবলীল ব্যাটিং উপহার দিয়ে ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় বন্দরে পৌঁছে দেন।
ঘটনা একই, প্রেক্ষাপট ভিন্ন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আজ সংযুক্ত আরব আমিরাত-নেপাল ম্যাচ যেন স্মৃতিতে ফেরাল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্মৃতি। ভারতে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের কাছে শেষ বলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ৯ বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো আরব আমিরাতে।
২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় পেতে শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন পড়ে বাংলাদেশের। হার্দিক পাণ্ডিয়ার করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রান্ত বদলে স্ট্রাইকে আসেন মুশফিকুর রহিম।
হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচ হাত ছোঁয়া দূরত্বে এনে দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিক। টানা দুটি বাউন্ডারি মেরে আশা জাগান তিনি। তাতে বাকি চার বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ১ রান। তখনই ঘটে বিপত্তি। হার্দিক পাণ্ডিয়া একে একে ফেরান তিন ব্যাটার-মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগত হোমকে। মুঠোয় পুরে নেওয়া ম্যাচ গড়িয়ে পড়ে তাতেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজও ঠিক সেরকম ঘটনা ঘটে। নেপালের ১৪০ রান তাড়ায় নেমে শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন পড়ে স্বাগতিকদের। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন জাহিদ আলী। স্ট্রাইকে গিয়ে প্রথম বল হাতছাড়া করেন ধ্রুব পারাশার। তবে তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি।
এতক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক। অঘটনের শুরুটা চতুর্থ বল থেকে। যেভাবে হাতের ম্যাচ খুইয়ে বসেছিল বাংলাদেশ, সেরকম ঘটালো ক্রিকেটে উত্থান হওয়া দেশটি। চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দেন ধ্রুব। পঞ্চম বলে ক্রিজে ফিরে এক মিনিটও থিতু হতে পারেননি হায়দার আলী। দৌড়ে রান নিতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি।
শেষ বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত এক রান তুলতে পেরেছে ঠিকই। তবে ডাবলস নিতে গিয়ে বিপদ বাড়ান জুনায়েদ সিদ্দিকী। নিজ এণ্ড ফেরার আগেই স্ট্যাম্পিং হয়ে আউট হন তিনি। তাতে নেপাল ম্যাচটি জেতে ১ রানে।
প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ে যাওয়ার কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত এক গল্প লিখল রংপুর বিভাগ। টানা চার ম্যাচ জিতে আরও একবার এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলল আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খুলনাকে ৮ উইকেটে হারায় রংপুর। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। জবাবে ১৮ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় রংপুর।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির দুই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হলো রংপুর। গত আসরের ফাইনালে ঢাকা মেট্রোকে গুঁড়িয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছিল আকবরের দল।
এবারের ফাইনালে রংপুরের বড় জয়ের কারিগর নাসির হোসেন। বল হাতে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ১৯ রান খরচ করেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। পরে ওপেনিংয়ে নেমে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তার হাতেই ওঠে ফাইনাল সেরার পুরস্কার।
অথচ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে হারলেই বাদ পড়ে যেত তারা। সেই ম্যাচে নেট রান রেটের হিসেব মিটিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় তারা। এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকাকে হারায় রংপুর। আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামকে বিদায় করে জায়গা করে নেয় ফাইনালে।
ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলে ইমরানউজ্জামানের উইকেট হারায় খুলনা। এরপর স্পিন বোলিংয়ের সামনে একদমই হাত খুলতে পারেননি সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসে মাত্র ১৯ রান।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে রান আউট হন ১৫ বলে ১২ রান করা বিজয়। আর পঞ্চম বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২২ বলে মাত্র ৮ রান করতে পারেন সৌম্য। দুটি ছক্কা মারলেও ১০ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব।
প্রথম ১০ ওভারে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে মাত্র ৪৯ রান।
এরপর দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তাকে সঙ্গ দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রান করেন বাঁহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার। আর মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে ৪৪ রান।
রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
রান তাড়ায় রংপুরকে দারুণ শুরু এনে দেন নাসির ও জাহিদ জাভেদ। উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ বলে ৬১ রান যোগ করেন দুই ওপেনার। ৫ চারে ২৪ বলে ২৭ রান করে ফেরেন জাহিদ। আরও কিছু দূর এগিয়ে ১২তম ওভারে আউট হন নাসির।
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি আকবর ও নাঈম ইসলাম। দুজন মিলে মাত্র ৩৪ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ৫ চারে ৩২ বলে ৪০ রান করেন নাঈম। আকবরের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা: ২০ ওভারে ১৩৬/৮ (ইমরানউজ্জামান ০, সৌম্য ৮, এনামুল ১২, মিঠুন ৪৪, আফিফ ১৪, পারভেজ ৮, মৃত্যুঞ্জয় ২৪, জিয়া ৯*, অভিষেক ০, নাহিদুল ১১*; নাসুম ৩-০-১৭-১, নাসির ৪-১-১৯-০, হাশিম ৪-০-২৮-১, ইকবাল ২-০-১৪-১, জাহিদ ১-০-১১-০, এনামুল ২-০-১৪-১, আলাউদ্দিন ২-০-১৭-১, মামুন ২-০-১৫-২)
রংপুর: ১৭ ওভারে ১৩৮/২ (জাহিদ ২৭, নাসির ৪৬, নাঈম ৪০*, আকবর ১৯*; অভিষেক ২-০-২২-০, জিয়া ১-০-১০-০, মৃত্যুঞ্জয় ৩-০-২৭-০, নাহিদুল ৩-০-১৭-০, টিপু ৪-০-৩২-০, পারভেজ ২-০-১২-১, আফিফ ২-০-১৬-১)
ফল: খুলনাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন রংপুর
ম্যান অব দা ফাইনাল: নাসির হোসেন
এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনাল ম্যাচটা একদমই ভালো কাটল না সৌম্য সরকারের। রংপুরের স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটই তুলতে পারলেন না খুলনার বাঁহাতি ওপেনার। একের পর এক ডট খেলে উল্টো গড়লেন বিব্রতকর এক রেকর্ড।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে সপ্তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন সৌম্য। দলের বেশিরভাগ বল খেলেও প্রত্যাশামত রান তিনি করতে পারেননি। আবু হাশিমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২২ বল খেলে করেন মাত্র ৮ রান।
অস্বস্তিময় ইনিংসে সৌম্যর স্ট্রাইক রেট মাত্র ৩৬.৩৬ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ফাইনাল ম্যাচে অন্তত ২০ বল খেলা ওপেনারদের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড।
এত দিন ধরে রেকর্ডটি ছিল ড্যানজা হায়াতের। ২০১২ সালের ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর বিপক্ষে ২৩ বলে ১২ রান করেছিলেন জ্যামাইকার ওপেনার। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৫২.১৭!
প্রায় ১৩ বছর পর হায়াতকে বিব্রতকর রেকর্ডের হাত থেকে মুক্তি দিলেন সৌম্য।
ওপেনারদের বাইরে সব মিলিয়ে হিসেব করলে তালিকার তিন নম্বরে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার। চলতি বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের ওয়াখান টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে মাত্র ২০.০০ স্ট্রাইক রেটে ২০ বলে ৪ রান করেছিলেন পামির লেজেন্ডসের এমাল।
এছাড়া ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার টোয়েন্টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ২১ বলে অপরাজিত ৬ রান করেছিলেন সারাকেন্স স্পোর্টস ক্লাবের ১১ নম্বর ব্যাটার চামিন্দু পেরেরা।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে রেকর্ডটি ছিল তানবীর হায়দারের। গত বছরের এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৪০.০০ স্ট্রাইক রেটে ২০ বলে ৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন রংপুরের তানবীর।