
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং মানে শুধু রান নয়; ধৈর্য, মনোবল ও মানসিক দৃঢ়তাও। এ সবকিছুর প্রতিচ্ছবি যেন ছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। এশিয়ার মন্থর, অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি থেকে ইংল্যান্ডের সবুজ উইকেট, সব কন্ডিশনেই ভারতের আস্থার প্রতীক। ১৫ বছরের ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে ১০৩ টেস্ট, ৭১৯৫ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন পূজারা। জানিয়েছেন, নিজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ও কঠিন প্রতিপক্ষের নামও।
এক সাক্ষাৎকারে পূজারা জানালেন নিজের স্মরণীয় ইনিংসের কথা। তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ইনিংস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৫ সালে কলম্বোতে করা অপরাজিত ২৮৯ বলে ১৪৫ রান। এই ইনিংসের কল্যাণে ভারত প্রথম ইনিংসে পেয়েছিল লিড, জেতে সিরিজও।
ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস প্রসঙ্গে পূজারা বলেন,
‘সেটি ছিল একটি অপরাজিত ইনিংস, আমাকে ওপেন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সিরিজ তখন ১-১-এ সমতায়, এবং পিচ খুবই কঠিন ছিল। প্রথম দুই টেস্ট আমি খেলিনি, তাই সেই ইনিংসটি আমার কাছে স্মরণীয়।'
তবে ২০১৮ সালের অ্যাডিলেড টেস্টে করা ১২৩ রানকেও রাখলেন ওপরের দিকে, কারণ সেটিই ছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের প্রথম সিরিজ জয়। এ ছাড়া ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুতে অজিদের বিপক্ষে ৯২ রানের ইনিংসে এবং ২০২১ সালের গ্যাবা টেস্টের ৫৬ রানকে ভোলার নয় বলে উল্লেখ করেন পূজারা। সাবেক ভারতীয় ব্যাটার বলেন,
'অস্ট্রেলিয়ার শক্ত প্রতিরোধ ঠেকাতে দীর্ঘ সময় ব্যাট করা জরুরি ছিল। একবার থিতু হয়ে গেলে আরও শট খেলতে ইচ্ছা হয়, তবে সেই পরিস্থিতিতে রান করা খুবই কঠিন। ভালোভাবে ডিফেন্স করলে টিকে থাকা সম্ভব।'
পূজারার চোখের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তারা সহজে কাউকে জিততে দেয় না এবং তাদের পেসারদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। পূজারা বলেন,
‘অস্ট্রেলিয়া সহজে জিততে দেয় না। এমনকি বিজয় খুব কাছে থাকলেও তারা রান তোলাকে কঠিন করে তোলে। অষ্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্ত থাকা এবং পুরোপুরি প্রস্তুত থাকা জরুরি।'
আরও পড়ুন
| সুপার ওভার জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৫ দল |
|
অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের আগে ভালো প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ বললেন পূজারা,
‘যদি ভালোভাবে প্রস্তুত না থাকেন, তারা কৌশল, ধৈর্য এমনকি স্লেজিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করবে। এ কারণেই আমি কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি।'
২০১৭ সালে রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫২৫ বলে ২০২ রান ও ৬৭২ মিনিট লড়াই করেছিলেন পূজারা। সেটিও ছিল দুর্দান্ত এক ইনিংস। দীর্ঘ ইনিংস খেলার রহস্য প্রসঙ্গে বলেন
'ছোটবেলা থেকেই দুর্বল দলের হয়ে খেলতে গিয়ে বুঝেছিলাম, কেবল শতক যথেষ্ট নয়, জিততে হলে প্রয়োজন বড় ইনিংসের। সেই মানসিকতাই শিখিয়েছে ধৈর্য ও অধ্যবসায়।'
কোন দেশে রান করা সবচেয়ে কঠিন- সহজেই বললেন ইংল্যান্ডের কথা, ‘সবুজ উইকেটে অ্যান্ডারসন-ব্রডের বিপক্ষে খেলাই ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বলেন তিনি।' কঠিনতম বোলারদের তালিকায় পূজারা রেখেছেন ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, জেমস অ্যান্ডারসন ও প্যাট কামিন্সকে।
বাজবল যুগে নিজেকে শেষ শাস্ত্রীয় ব্যাটার মনে করেন কি না পুজারা? বললেন,
'এই উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন। এখনকার ক্রিকেটাররা হোয়াইট বল ফরম্যাট থেকে উঠে আসে, তাই তাদের স্বাভাবিক খেলা আক্রমণাত্মক। তবে পরিস্থিতি বুঝে রক্ষণাত্মক কৌশলও যোগ করছেন তারা। আমার খেলা ছিল ডিফেন্সের ওপর, এখনকার প্রজন্মের খেলা আক্রমণাত্মক, তবে দুটোই ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছে।’
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:২১ পিএম
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:১৬ পিএম

শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় ৯ মাস ধরে স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে দূরে তামিম ইকবাল। সামনের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলবেন না দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার। আর এটিই মুশফিকুর রহিমের সামনে খুলে দিয়েছে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দুয়ার।
সিলেটে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১২তম মৌসুম। যেখানে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলবেন মুশফিক। বিপিএলের নিলামে শুরুতে দল না পেলেও, দ্বিতীয় ধাপে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে কিনে নিয়েছে রাজশাহী।
এবারের বিপিএলে সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন মুশফিক।
বিপিএলের প্রথম ১১ আসর খেলে ১১৮ ম্যাচে ৩২ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৮৩৫ রান করেছেন তামিম। অন্য দিকে ১৪০ ম্যাচে ২১ ফিফটিতে মুশফিকের সংগ্রহ ৩ হাজার ৪৪৬ রান। সামনের আসরে তাই ৩৮৯ রান করলেই সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএলে তামিম ও মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারের ৩ হাজার রান নেই। নিকট ভবিষ্যতে মুশফিক ছাড়া তাই আর কারও পক্ষে তামিমের রেকর্ড ভাঙাও সম্ভব নয়।
টুর্নামেন্টের গত আসরটি তেমন ভালো যায়নি মুশফিকের। ১৪ ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১৮৪ রান। তবে এর দুই আসরে যথাক্রমে ৩৫৭ ও ৩৮০ রান। এছাড়া ২০১৯-২০ মৌসুমের বিপিএলে ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছিলেন এক আসরে নিজের সর্বোচ্চ ৪৯১ রান।
এবার তেমনই একটি বিপিএল কাটাতে পারলে তামিমকে টপকে সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
১/ তামিম ইকবাল - ৩৮৩৫
২/ মুশফিকুর রহিম - ৩৪৪৬
৩/ এনামুল হক বিজয় - ২৭৭৬
৪/ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ - ২৭২৬
৫/ লিটন দাস - ২৪৪৩

ছোটবেলায় পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু হয়ে গেলেন বিশ্বসেরা একজন ক্রিকেটার। অবশ্য পাইলট না হলেও তাঁর জীবন অনেকটা কমার্শিয়াল ফ্লাইটের বৈমানিকের মতো। আজ এখানে তো কাল ওখানে। আজ এ দেশ তো কাল ও দেশ।
অক্টোবরে সাকিব খেলেছেন কানাডা সুপার সিক্সটিতে। নভেম্বরে আবুধাবি টি-টেন, ডিসেম্বরে এখন খেলছেন আইএল টি-টোয়েন্টি। সাকিব তো ‘সুপারম্যান’ বলাই যায়! এ আর নতুন কি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে চষে বেড়ালেও লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারত সফরে।
তারপরই দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানান সাকিব। তবে দেশের পট পরিবর্তনের পর সে টেস্ট আর খেলা হয়নি তাঁর। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন এই সংস্করণে। নিজেই জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি-ই ছিল তাঁর শেষ।
তবে সাকিব এবার কথা বললেন কিছুটা উল্টো সুরে। জানিয়েছেন, কোনো সংস্করণ থেকেই এখনো অবসর নেননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান সব সংস্করণে। ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সব ফরম্যাট থেকেই অবসর নেইনি। এই প্রথমবার আমি বিষয়টি জানাচ্ছি। আমার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ানডে, টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলব এবং অবসর নেব।
মাঠ থেকেই অবসর নিতে চান সাকিব। খেলতে চান তিন ফরম্যাটের সিরিজ,
‘মানে, একটি সিরিজেই সব সংস্করণ থেকে অবসর নেওয়া সম্ভব। সেটি টি–টোয়েন্টি, ওয়ানডে, টেস্ট— এই ক্রমেও শুরু হতে পারে। আবার টেস্ট, ওয়ানডে, টি–টোয়েন্টি, এভাবেও হতে পারে। যেকোনোভাবেই আমার সমস্যা নেই। আমি শুধু পুরো সিরিজ খেলতে চাই এবং তারপর অবসর নিতে চাই। এটাই আমার ইচ্ছা।’
২০২৪ সালের মে মাসের পর থেকে দেশের বাইরে সাকিব। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টই ছিল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশে ফিরবেন কি না এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন,
‘আমি আশাবাদী। সেই কারণেই তো খেলছি (টি–টোয়েন্টি লিগগুলো)। আমার মনে হয় এটি সম্ভব হবে।’
ফলাফলের চাপ নয় এবং দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য একটি হোম সিরিজে ভক্তদের কিছু ফেরত দিতে চান সাকিব। ভক্তদের সামনে থেকে বিদায় নিতে চান। বললেন,
‘আমার মনে হয় একজন খেলোয়াড় যখন কিছু বলে, তারা সাধারণত কথায় অটল থাকার চেষ্টা করে। হুট করে বদলে ফেলে না। আমি ভালো খেলি কি না সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। চাইলে এর পর খারাপ সিরিজও খেলতে পারি। কিন্তু সেটা আমার দরকার নেই।’
আরও যোগ করেন,
‘আমার মনে হয় এটুকুই যথেষ্ট। এটি ভক্তদের বিদায় জানানোর একটু সুন্দর উপায়— যারা আমাকে সবসময় সমর্থন করেছেন। একটি হোম সিরিজ খেলে তাদেরকে কিছু ফেরত দেওয়া।’

স্বীকৃত ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতের অমিত পাসি। মাত্র ৫৫ বলে ১১৪ রান করে তিনি নাম লেখালেন টি-টোয়েন্টি অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে।
সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে সোমবার সার্ভিসেসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২৬ বছর ১০৩ দিন বয়সে স্বীকৃত ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেছেন অমিত। আর অভিষেক ম্যাচেই তিনি খেলেছেন ১০ চার ও ৯ ছক্কার বিধ্বংসী ইনিংসটি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সুপার এইট টি-টোয়েন্টি কাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৪৮ বলে ১১৪ সালের ইনিংস খেলেছিলেন শিয়ালকোটের বিলাল আসিফ। পরে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ৩ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলেন তিনি।
প্রায় দশ বছর এবার বিলালের রেকর্ডে ভাগ বসালেন অমিত। তার সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২২০ রান করে বারোডা। পরে সার্ভিসেসও দারুণ লড়াই করে। তবে শেষ পর্যন্ত ২০৭ রান করে ১৩ রানে হেরে যায় দলটি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার অমিত। ২০১০ সালে সর্বপ্রথম এই কীর্তি গড়েন হায়দরাবাদের আকশাত রেড্ডি। তিনিও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বর্তমান দলের কারও নেই। ২০০৩ সালে সবশেষ অজিরা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেয়। ২৩ বছর পর আবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
আগেরবার বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় কোনো স্টেডিয়াম নয়, নতুন ভেন্যুতে খেলে অস্ট্রেলিয়া। আর প্রায় দুই যুগ পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি নতুন মাঠেই আয়োজনের কথা ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ১২তম ভেন্যু হিসেবে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ম্যাকাইয়ের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনার উদ্বোধন হতে পারে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের মাঠ নিয়ে এমনটাই জানিয়েছে।
২০২৬ সালের আগস্টে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ। যদিও সিরিজের ভেন্যু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মের আগে হওয়ায় এই সিরিজের জন্য মূল কোন ভেন্যু পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন
| সান্তোসকে বাঁচিয়ে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা নেইমারের |
|
রিফ অ্যারেনায় একটি টেস্ট হলেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে কেয়ার্নস ও ডারউইনও। যেখানে আগে খেলেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও টাউনসভিলকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। দেশের উষ্ণ উত্তরাঞ্চলে একাধিক বিকল্প খুঁজছে সিএ, যেখানে সারা বছর উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে শীতকালেও ক্রিকেট সম্ভব।
ক্রিকেট নর্দার্ন টেরিটরির প্রধান নির্বাহী গ্যাভিন ডোভি পূর্বে ক্রিকেট ডটকম ডট অস্ট্রেলিয়াকে বলেছেন, তিনি 'আশাবাদী' যে ডারউইন ম্যাচগুলোর একটি পাবে।
ম্যাকাইয়ের ভেন্যুটি ১০ হাজার আসনের গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, সম্প্রচার এলাকা ও উচ্চমানের ট্রেনিং সুবিধা তৈরির জন্য রাজ্য সরকার থেকে ২ কোটি ডলার তহবিল পেয়েছে।
এই বছর অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দল এই মাঠে দুইটি ওয়ানডে খেলেছে। এছাড়া ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দুটি নারী টি-টোয়েন্টি এবং ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে তিনটি নারী ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল এই ভেন্যুতে।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ দিকে এসে আলো ছড়াচ্ছেন রুয়েল মিয়া ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। টানা তিন ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে অন্যরকম হ্যাটট্রিক করেছেন রুয়েল। আর মুগ্ধ টানা তিন ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রুয়েলের তোপে ২৮৭ রানে অলআউট হয়েছে সিলেট। ৫ উইকেটে ২১৪ রানে দিন শুরু করেছিল তারা। সোমবার আর মাত্র ৭৩ রান যোগ করতে পারে জাকির হাসানের দল। ১৩০ রানে অপরাজিত থেকে নতুন দিনে কোনো রান যোগ করতে পারেনি।
দারুণ বোলিংয়ে ৮৪ রানে ৫ উইকেট নেন বরিশালের বাঁহাতি পেসার রুয়েল। এর আগে সিলেটের মাঠে ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে ময়মনসিংহের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানে ৫টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রানে ৫ উইকেট নেন ২৫ ছুঁইছুঁই পেসার।
আরও পড়ুন
| পাওয়েলের সেঞ্চুরির আপসোস মিটিয়ে দিলেন মুস্তাফিজরা |
|
এ নিয়ে সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে সপ্তমবার ৫ উইকেট নিলেন রুয়েল। আর চলতি লিগে ১০ ইনিংসে তার মোট শিকার ২৭ উইকেট। এখন পর্যন্ত বোলারদের তালিকায় তিন নম্বরে আছেন বাঁহাতি এই পেসার।
অন্যদিকে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খুলনার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে আগুনঝরা বোলিং করেন রংপুরের পেসার মুগ্ধ। ১১ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার। তার তোপে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে খুলনা।
খুলনার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেও ৩ উইকেট নেন মুগ্ধ। লিগের পঞ্চম ও ষষ্ঠ রাউন্ডেও দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নেন রংপুরের পেসার। বরিশালের বিপক্ষে ৫৩ রানে ৫ উইকেট ও রাজশাহীর বিপক্ষে ৪২ রানে নেন ৫ উইকেট।
চলতি লিগে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে মাত্র ৮ ইনিংসেই ২৯ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন মুগ্ধ। বোলারদের মধ্যে তালিকায় দুই নম্বরে উঠে গেছেন তিনি।