
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে ইতিমধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ ১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৪ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
এখন সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ, আর বাংলাদেশের লক্ষ্য মান রক্ষা। আগামী শুক্রবারের সেই ম্যাচে কোনো পরিবর্তন আনেনি টিম ম্যানেজমেন্ট — অপরিবর্তিত স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাশে।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল:
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
No posts available.



৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১:৫৭ পিএম


৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৯ পিএম




১৪ নভেম্বর শুরু হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভাঙবে সাদা শুভ্র পোশাকের ফরম্যাটের শত বছরের প্রথা। গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া সেই ম্যাচে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্যের কারণে উল্টে যাচ্ছে মধ্যাহ্নভোজ ও চা বিরতির ক্রম।
টেস্টে প্রথম বিরতি হিসেবে মধ্যাহ্নভোজ ও দ্বিতীয় বিরতি হিসেবে চা বিরতিকে ধরা হয়। যার প্রচলন শুরু হয়েছিল শত বছর আগে। তবে গুয়াহাটিতে উল্টে দেওয়া হয়েছে সেই ক্রম। দিনের আলো কাজে লাগাতে ও সূর্যাস্তের আগেই খেলা শেষ করতে এই সিদ্বান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বোর্ড।
এবারই প্রথমবারের মতো টেস্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়াম। ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত গুয়াহাটিতে সূর্য ওঠে তুলনামূলকভাবে আগে, আর অস্ত যায় দ্রুত। তাই ম্যাচের সর্বাধিক ওভার যেন দিনের আলোতেই সম্পন্ন হয়, সে জন্য টেস্টটি শুরু হবে সকাল ৯টায়। ভারতের অন্য টেস্ট ভেন্যুগুলোর চেয়ে আধঘণ্টা আগে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ম্যাচের প্রথম সেশন চলবে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। এরপর চা বিরতি ১১টা থেকে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেশন হবে ১১টা ২০ থেকে ১টা ২০ পর্যন্ত। তারপর মধ্যাহ্নভোজ বিরতি থাকবে ১টা ২০ থেকে ২টা পর্যন্ত। দিনের শেষ সেশন চলবে ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত।
গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ২২ নভেম্বর থেকে। সফরে দুটি টেস্ট ছাড়াও তিন ওয়ানডে ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভর্তি আছেন হাসপাতালে। আজ বেলা ১১টার দিকে সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে মাহমুদউল্লাহর জন্য দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী জান্নাতুল কাউসার।
হাসপাতালের বিছানায় ঘুমন্ত মাহমুদউল্লাহর একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে জান্নাতুল লিখেছেন, ‘আল্লাহ যখন কাউকে ভালোবাসে, তখন বিপদ-আপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ অনেক দয়ালু… আপনাদের প্রার্থনায় তাকে (মাহমুদউল্লাহ) রাখবেন।’
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন মাহমুদউল্লাহ। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পরীক্ষার পর তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার এখন সুস্থতার পথে বলে জানা গেছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। সবশেষ এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে দুটি ম্যাচ খেলে ৪৭ রান করেছিলেন। এর আগে এপ্রিলে খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। আসন্ন বিপিএলেও খেলার কথা তাঁর।
বাংলাদেশের হয়ে ৫০ টেস্ট, ২৩৯ ওয়ানডে ও ১৪১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অধ্যায় শেষ হয় তাঁর।

ভয়ংকর সেই স্মৃতি যেন আবার ফিরে এল। ২০১৪ সালে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান ফিলিপ হিউজ ঘাড়ে বলের আঘাতে মারা যান। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট তখন নেমে আসে শোকের ছায়া।
এবার মেলবোর্নে অনুশীলনের সময় বলের আঘাতে মাত্র নিভে গেল ১৭ বছর বয়সে নিভে গেল এক তরুণ প্রতিভার। নেটে অনুশীলনের সময় বলের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন উদীয়মান ক্রিকেটার বেন অস্টিন।
গত মঙ্গলবাররে ঘটনা। বিবিসি জানিয়েছে, ফার্নট্রি গালিতে ক্রিকেট নেটে অনুশীলন করছিলেন অস্টিন। মাথায় হেলমেট থাকলেও নেক গার্ড ছিল না তার। ‘ওয়্যানগার’ নামে পরিচিত স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস থেকে ছোড়া একটি বল তার ঘাড়ে আঘাত হানে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় গুরুতর অবস্থায়, কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবারই নিভে যায় এই কিশোর ক্রিকেটারের প্রাণ।
আরও পড়ুন
    
| শেষ ম্যাচে অপরিবর্তিত দল বাংলাদেশের |   | 
এই ঘটনায় পুরো দেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ফের্নট্রি গালি ক্রিকেট ক্লাব বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেনের মৃত্যুতে আমরা ভীষণভাবে মর্মাহত। ওর মৃত্যু আমাদের পুরো ক্রিকেট সম্প্রদায়ের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।’
ফের্নট্রি গালি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আর্নি ওয়াল্টার্স বলেন, ‘বেন স্থানীয় ক্রিকেটে যেমন মেধাবী ছিল, তেমনি সবার প্রিয়। আমি জানি, এ খবর আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর কতটা গভীর প্রভাব ফেলবে।’ ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া জানিয়েছে, পুরো দেশ এই কিশোরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করবে।
বেন ওয়েভারলি পার্ক হকস জুনিয়র ফুটবল ক্লাবের হয়েও ১০০-এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সে চমৎকার ফুটবল খেলোয়াড়’ ছিলেন অস্টিন।

এইস স্পোর্টস নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘স্বপ্নযাত্রা ট্যালেন্ট হান্ট’ আবাসিক ক্যাম্প। পাঁচ দিনের এ ক্যাম্পে ট্রায়াল থেকে বাছাই হওয়া ৩৫ জন তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, গেম অ্যাওয়ারনেস ও ফিটনেস—এই পাঁচ বিভাগে বিশেষজ্ঞ কোচদের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নেবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্টের কোচ হান্নান সরকার, বসুন্ধরা স্পোর্টস নেটওয়ার্কের হেড কোচ আখিনুর রহমান রুশো এবং ধানমন্ডি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান অলোকসহ আরও অনেকে।
 
    
‘স্বপ্নযাত্রা ট্রায়াল’-এ এর আগে সারাদেশ থেকে সাত হাজারের বেশি ভিডিও আবেদন জমা পড়ে। বিশেষজ্ঞদের যাচাই–বাছাই শেষে চার শতাধিক প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে ঢাকার ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দুই দিনের সরাসরি ট্রায়ালে ডাকা হয়। ট্রায়ালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। এইস স্পোর্টস নেটওয়ার্কের সহযোগী ১৩টি ক্লাবের কোচ ও কর্মকর্তারাও অংশ নেন এবং বিভিন্ন ড্রিলের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের দক্ষতা ও সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করেন।
ইতোমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব নির্বাচিত ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে আগ্রহ দেখিয়েছে। ক্যাম্প শেষে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাদের জন্য ক্লাব প্লেসমেন্টের সুযোগ তৈরি হতে পারে, যা তরুণ প্রতিভাদের সরাসরি ঢাকার ক্লাব পর্যায়ে খেলার দরজা খুলে দেবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে স্বাগতিক দলকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের সুখস্মৃতি থেকে টনিক নিতে পারেনি বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টির সাম্প্রতিক রেকর্ডও উদ্দীপ্ত করতে পারেনি লিটনের দলকে। দ্বি-পাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা ৪ জয়ে থামতে হলো বাংলাদেশ দলকে। ১০ মাস আগে নিজেদের মাটিতে হোয়াইট ওয়াশের বদলা বাংলাদেশ সফরে নিয়েছে। ২-০-তে এগিয়ে ট্রফি নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার ড্যারেন স্যামীর শিষ্যদের মিশন মধুর প্রতিশোধ, হোয়াইট ওয়াশের বদলা হোয়াইট ওয়াশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৬ রানে হেরে যাওয়ায় আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে ব্যাটারদের। সেই ম্যাচে ১৬৬ রান তাড়া করতে এসে এই হার-কে না হয় কোনোভাবে মেনে নিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচের টার্গেট ১৫০ তো মামুলিই। এই টার্গেট তাড়া করে ১৪ রানে হার! এমন হারের কী অজুহাত দিবে টিম ম্যানেজমেন্ট ?
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ডট বল এবং ছক্কার সংখ্যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেখানে ডট করেছে ৪৪টি বল, সেখানে বাংলাদেশের ইনিংসে ডট সংখ্যা ৫০ টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারদের ছক্কার সংখ্যা যেখানে ৬টি, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাটাররা সর্বসাকূল্যে ছক্কা মেরেছে ৩টি। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র প্রথম ৬ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর যেখানে ৫০/১, সেখানে অতি সাবধানী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের স্কোর ৩৭/১।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আথানেজ-হোপের ৫৯ বলে ১০৫ রানও গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। যেখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-তানজিদ হাসান তামিমের ২৩ বলে ৩৫।
মিরপুরের কালো মাটির পিচ থেকে চট্টগ্রামে বাদামী রঙের পিচ। সেই পিচের উপরের স্তরটা আবার আংশি সবুজাভ। তবে এমন চেহারার পিচই প্রতারণা করেছে স্বাগতিক দলের সাথে। শুরুতে এই পিচে ব্যাটে ঠিকঠাকমতো বল এসেছে, পেয়েছে ইভেন বাউন্স। ১০ ওভার পর্যন্ত পিচ এমন আচরণই করেছে। তবে এর পর থেকে ট্রিপিক্যাল বাংলাদেশী উইকেট! বলে ধরেছে টার্ন, বল পড়ে লো হয়েছে।
ইনিংসের ৪র্থ ওভারে হোল্ডারের এক্সটা বাউন্সে পুল করতে যেয়ে ওপেনার সাইফ হাসান দিয়েছেন এক্সট্রা কভারে ক্যাচ (১০ বলে ৫)। দলের স্কোর যখন আনলাতি থারটিন, তখন তার বিদায়ের পর কিন্তু পর পর তিনটি মাঝারিমানের পার্টনারশিপ হয়েছে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৩ বলে ৩৫, তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৮ বলে ৩৭, ৪র্থ উইকেট জুটিতে ৩০ বলে ৩২। ভাল খেলতে খেলতে অধিনায়ক লিটন আকিল হুসেইনকে ফ্রন্ট ফুটে খেলতে যেয়ে হয়েছেন বোল্ড (১৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৩)। শেফার্ডের বলে হৃদয়কে (১৪ বলে ১২) দারুণ এক রানিং ক্যাচে (১৪ বলে ১২)।
১০ ওভার পর্যন্ত পিচের ফেভার নিয়ে উইন্ডিজ ব্যাটাররা যেভাবে স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করেছে, ওই সময় পর্যন্ত স্কোর ৯৪/১, তাতে দুইশ পর্যন্ত স্কোর টেনে নেয়ার স্বপ্নই দেখেছে সফরকারীরা। তবে শেষ ১০ ওভারে নাসুম-মোস্তাফিজ-রিশাদ-তানজিম হাসান সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান যোগ করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই ম্যাচে একটা জায়গায় মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। ১৩তম ওভার থেকে ২০তম ওভার। এই ৮ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৭ রান যোগ করে হারিয়েছে ৫ উইকেট। সেখানে একই সময়ে বাংলাদেশ ৫০ রানে হারিয়েছে ৬ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ডেথ ওভারে মোস্তাফিজের স্পেলটা (২-০-১১-২) ছিল এক কথায় অসাধারণ। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ডট বলের রেকর্ড করা মোস্তাফিজ এদিন ৩ উইকেটের ইনিংসে (৪-০-২১-৩) ডট দিয়েছেন ১২টি। প্রথম ওভারে মার খেয়ে (১-০-১৫-০) লেগ স্পিনার রিশাদ দারুণভাবে ফিরেছেন দ্বিতীয় স্পেলে ( ২-০-৫-২)।
এই দুই বোলারের পাশে বাঁ হাতি স্পিনার নাসুমের শেষ ওভারে ৩ রানে ২ উইকেটও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পর্যাপ্ত পুঁজির পথে বাধার সৃষ্টি করেছে। নাসুম-মোস্তাফিজ পর পর দুই ডেলিভারিতে ২টি করে উইকেট শিকারে হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন ও দেখিয়েছেন।
তবে ৪৮ বলে ৬০ রানের টার্গেট যখন পাড়ি দেয়া দুরূহ মনে করেনি দর্শকরা, তখনই দর্শকদের সাগরিকায় ডুবে মরেছে ব্যাটাররা। শেষ ৫০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের এই তিন বোলারের অর্জন ম্লান করেছে ব্যাটাররা।
ঢাল তলোয়ারহীন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম একাই লড়েছেন। বাংলাদেশের ইনিংসে তিনটি ছক্কার তিনটিই মেরেছেন তিনি। ৩৮ বলে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ম ফিফটি পূর্ণ করে শেফার্ডের সেকেন্ড স্পেলের প্রথম বলের গতি আন্দাজ করতে পারেননি তামিম। শেফার্ডের শ্লোয়ারে অফ সাইডে খেলতে যেয়ে ব্যাটে মিডলিং হয়নি। ডিপ পয়েন্টে দিয়েছেন ক্যাচ (৪৮ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৬১)। ওই ওভারের চতুর্থ বলে জাকের আলী অনিক (১৮ বলে ১৭) পুল করতে যেয়ে ডিপ মিড উইকেটে দিয়েছেন ক্যাচ। ওখানেই সিরিজে ফেরার স্বপ্নের সমাধি হয়েছে বাংলাদেশের। ১৮তম ওভারে শেফার্ডের ২ উইকেট (১-০-৭-২) ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
৪৮ ঘন্টা আগে শেষ পাওয়ার প্লে'র ৩০ বলে হোপ-রোভমন পাওয়েল ঝড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিনা উইকেটে যোগ করেছে ৬৪ রান। সেখানে বুধবার রাতে বাংলাদেশের টার্গেট ছিল শেষ ৫ ওভারে ৫০। অথচ, ওভারপ্রতি ১০ রানের এই টার্গেট অনতিক্রমযোগ্য করেছে মিডল অর্ডার এবং লোয়ার অর্ডাররা।
উইন্ডিজ এই পেসারের কাছে (৪-০-২৯-২) হেরেছে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের পার্শ্ব অভিনেতার তালিকায় কিন্তু রাখতে হবে উইন্ডিজ টপ অর্ডার অ্যাথানেজ (৩৩ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় ৫২)- অধিনায়ক সাই হোপ (৩৬ বলে ৩ চার, ৩ ছক্বায় ৫৫), উইন্ডিজ অভিজ্ঞ পেসার জেসন হোল্ডার (৪-০-২০-২) এবং বাঁ হাতি স্পিনার আকিল হুসেইনকে (৪-০-২২-৩)।
এ বছরে যে দলটি নেপালের মতো আইসিসির সহযোগী দলের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ১-২-এ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবতীর্ন হওয়ার আগে এ বছর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে যারা মাত্র ৩টি, সেই দলটির কাছেই কিনা হারতে হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ।