১০ অক্টোবর ২০২৫, ২:৫০ পিএম
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন ঝুলে আছে রেয়াল মাদ্রিদের। ক্লাবটিতে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই ইংলিশ সংবাদমাধ্যম টিএনটি স্পোর্টসের প্রতিবেদন, ভিনিসিয়ুসকে বিক্রি করে আর্লিং হালান্ডকে দলে ভেড়াতে চায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
একই সঙ্গে ইংলিশ তরুণ মিডফিল্ডার অ্যাডাম হুয়ার্টনকেও নজরে রেখেছে রেয়াল। স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্টের বরাতে জানায়, মাদ্রিদ ভিনিসিয়ুসকে রাখতে চাইলেও তাঁর নতুন চুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। গত গ্রীষ্মে দুই পক্ষের আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে আছে। এখনো ১৮ মাসের চুক্তি বাকি থাকলেও খেলোয়াড় যদি নতুন শর্তে রাজি না হন, তবে ক্লাব তাঁকে বিক্রির চিন্তা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিয়ুসের চুক্তি নবায়ন এখন স্থবির অবস্থায় আছে, রিয়ালের সঙ্গে করা প্রাক-চুক্তিও ভেঙে গেছে। তবে খেলোয়াড় এখন সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছেন। তিনি জানেন, ক্লাব তাকে পাঁচ বছরের চুক্তির জন্য ২৫ মিলিয়ন ইউরো নেট বেতন দিতে রাজি নয়।
আরও পড়ুন
আর্জেন্টিনার ম্যাক অ্যালিস্টারের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে নেই ব্রাজিল |
![]() |
তবে যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, রিয়ালের বিকল্প পরিকল্পনাও প্রস্তুত—‘প্ল্যান বি’। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে বিক্রি করে আনা হবে নরওয়ের তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডকে, যিনি এই মৌসুমেও ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন।
এ পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ১৮ গোল করেছেন হালান্ড। স্পোর্টের দাবি, তাঁর নামটি রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের দীর্ঘদিনের ‘স্বপ্নের সাইনিং’ তালিকায় রয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, মাদ্রিদ হালান্ডের দলে অন্তর্ভুক্তি চায়, যদি খেলোয়াড় নিজেই দল বদলে আগ্রহী হন। এতে সিটি থেকে তাঁর বিদায় সহজ হবে। পেরেজ বহুদিন ধরে হালান্ডকে রিয়ালের জার্সিতে দেখতে চান। ভিনিসয়ুসের প্রতি সৌদি ক্লাবগুলোরও দীর্ঘদিনের আগ্রহ রয়েছে, ফলে সম্ভাব্য বিক্রি হলে তাদের দিকেই যেতে পারেন তিনি।
এদিকে, ইংলিশ মিডফিল্ডার অ্যাডাম হুয়ার্টনকেও নজরে রেখেছে রিয়াল। এএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্লাবটি চায় জুড বেলিংহামের সঙ্গে হুয়ার্টনকে জুটিতে দেখতে।
বলা হয়েছে, রিয়াল জানে, টনি ক্রুস ও লুকা মদ্রিচের বিদায়ের পর তাদের জায়গা পূরণে নতুন রক্ত দরকার। ২১ বছর বয়সী হুয়ার্টন এখন ক্রিস্টাল প্যালেসে খেলছেন। তাঁর বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ইউরো, তবে প্যালেস ৮০ মিলিয়নের নিচে বিক্রি করবে না।
হুয়ার্টনের সঙ্গে প্যালেসের চুক্তি ২০২৯ পর্যন্ত। ক্লাবটি এরই মধ্যে তাঁর চুক্তি নবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে, কারণ ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো এখন তাঁর পেছনে লেগেছে।
No posts available.
১০ অক্টোবর ২০২৫, ৩:৩৮ পিএম
১০ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪৫ পিএম
আন্তর্জাতিক বিরতিতে কাল ভোরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। দেশটির সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন, এই প্রীতি ম্যাচে কোচ লিওনেল স্কালোনি এমন কিছু খেলোয়াড়কে সুযোগ দিতে চান, যাঁরা সাধারণত শুরুর একাদশে খুব বেশি সুযোগ পান না।
স্কালোনির লক্ষ্য, ২০২৬ বিশ্বকাপের স্কোয়াড নিয়ে আগে থেকেই ধারণা নেওয়া। মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ভোর ৬টায় মাঠে নামবে আলবিসেলেস্তেরা।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ভেনেজুয়েলাকে দুটি ম্যাচেই হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে কোলম্বিয়ার কাছে ১–০ গোলে হারে তারা। তারপরও ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই বাছাইপর্ব শেষ করে লিওনেল মেসির দল।
১০ মাস দূরে বিশ্বকাপ। এই প্রীতি ম্যাচে স্কালোনি কিছু নতুন ও তরুণ খেলোয়াড়কে পরীক্ষা করে দেখতে চান। লক্ষ্য—আগামী বিশ্বকাপের মূল দলে সম্ভাব্য বিকল্প খেলোয়াড় চিহ্নিত করা এবং নতুন কম্বিনেশন গড়ে তোলা।
এই ম্যাচে মেসির খেলা অনিশ্চিত, কারণ সাম্প্রতিক এমএলএস ম্যাচগুলোর পর তিনি ক্লান্তিতে ভুগছেন। ফলে মিয়ামিতে তাঁর মাঠে নামা এখনো নিশ্চিত নয়। অনুশীলনে কোচ স্কালোনি যে একাদশ নামান, তাতে মেসি ছিলেন না। তাঁর জায়গায় নিকোলাস পাজ ছিলেন, যিনি মূল একাদশে জায়গা পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
মিডফিল্ডে এখনো একটি জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে—এনজো ফের্নান্দেজ না জিওভান্নি লো সেলসো, সেটি ঠিক করবেন ম্যাচের আগে। তবে দুজনকে দেখা যেতে পারে দুই অর্ধে।
গোলপোস্টে স্বাভাবিকভাবেই জায়গা পাওয়ার কথা এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। সাম্প্রতিক পায়ের পেশিতে চোটের কারণে তাঁর ফিটনেস নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি যদি খেলতে না পারেন, তাহলে তাঁর পরিবর্তে হেরোনিমো রুলি গোলপোস্ট সামলাবেন।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ /হেরোনিমো রুলি
রক্ষণভাগ: গনজালো মন্তিয়েল, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, মার্কোস সেনেসি, নিকোলাস গনজালেস
মধ্যমাঠ: আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, এনজো ফার্নান্দেজ/জিওভান্নি লো সেলসো
আক্রমণভাগ: নিকোলাস পাজ, লাওতারো মার্তিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ
প্রতিপক্ষের ডি বক্সের বাহিরে ঘুরপাক খাচ্ছিল বল। ক্যাসিমিরো থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, সেখান থেকে আলতো পাসে বল চলে যায় রদ্রিগোর পায়ে। ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ভুল করেননি মোটেও। তার ডান পায়ের তড়িৎগতির শট লক্ষ্যবেদ করে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে। তাতেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৪-০।
এখানেই শেষ নয় ব্রাজিলের গোল অধ্যায়। আজ দক্ষিণ কোরিয়ার জালে আরও একটি গোল ঠুকেছে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। শেষদিকে বক্সের ভেতর ভিনিসিয়ুস জুনিয়র প্রথমে ড্রিবলিং করেন প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের সঙ্গে। এরপর গোলরক্ষক হিউন-উ জো এর সঙ্গে ওয়ান টু খেলে ব্রাজিলকে ০-৫ লিড এনে দেন রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
দলের বড় লিডের পর ক্যামেরার ল্যান্স ঘুরে যায় ডাগআউটে দাঁড়িয়ে থাকা কার্লো আনচেলত্তির দিকে। ৬৬ বর্ষী ইতালিয়ান তখনও নির্ভার, চুইগাং চিবাচ্ছিলেন দেদারসে। কিছুই হয়নি, ভাবখানা এমন। যদিও ততক্ষণে সিউল ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়ামে ঢেউ খেলে গেল ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের উল্লাসে।
সিউল ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম দক্ষিণ কোরিয়ার হোম ভেন্যু। হাতে তালুর মতো চেনা ময়দান। প্যারিস সেন্ট জার্মেই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কাং ইন ও বায়ার্নের ডিফেন্ডার লি-মিন জে কিমরা অতিথিদের ভটকে দেবেন, হয়তো এমন চক কষে নেমেছিলেন তারা। কিন্তু নিজেদের মাঠে বিপর্যস্ত হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া ম্যাচের ১৩ মিনিটে ব্রাজিলকে লিড এনে দেন চেলসি তরুণ ফরোয়ার্ড এস্তেভাও উইলিয়াম। এরপর প্রথমার্ধে লিড দ্বিগুণ করে ব্রাজিল। এবারও উৎসবের ত্রাতা এস্তেভাও। তার জোড়া গোলে স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় হলুদ জার্সিধারীরা।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও ছন্দময় ফুটবল উপহার দেয় ব্রাজিল। বিরতি থেকে ফিরে দ্বিগুণ শক্তিতে ঝাপিয়ে পড়ে আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৪৭ মিনেটে গোল তিনগুণ করে ফেলে অতিথিরা। প্রথম দুই গোল করা এস্তেভাও এবার হলেন সহযোগী। রদ্রিগোকে দিয়ে গোল করালেন তিনি। বক্সের ভেতর ঘুরপাক খেতে থাকা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রদ্রিগোকে দেন ক্যাসিমিরো সেখান থেকে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান তিনি।
৪২ মিনিটে গোলের পর ৪৯ মিনিটে দর্শকদের আরও একবার আনন্দ এনে দেন রদ্রিগো। এস্তেভাওয়ের মতো তিনিও জোড়া গোল আদায় করেন। দ. কেরিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ক্লাব ফুটবলে দারুণ ছন্দে থাকা ভিনি। শেষ পর্যন্ত ০-৫ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
গোলের সংখ্যা বিচারে বুঝাই যায় বল পজিশন কিংবা মাঠের আধিক্যে ব্রাজিল কতটা এগিয়ে ছিল। প্রায় ৫৯ শতাংশ বল দখলে রাখে অতিথিরা। স্বাগতিক মুখী তাদের শট ছিল ১৪টি। গোলের জন্য ৭টি। বড় সুযোগ তৈরি করেছিল চারটি। বিপরীতে দ. কোরিয়া ঢের পিছিয়ে ছিল। তারা ব্রাজিল মুখে মোট ৪টি শট নেয়। গোলমুখে মাত্র একটি। বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা।
তিন দিন বিরতির পর ১৪ অক্টোবর টোকিওতে স্বাগতিক জাপানের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে মাঠে গড়াবে এই ম্যাচ।
টমাস টুখেল গতকালও বলেছিলেন ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া ইংল্যান্ডের কোনো গতি নেই। একক প্রচেষ্টায় কোনোদিনও তার দল বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে না। বসের যুক্তি কতটা মানছেন শিষ্যরা, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে থ্রি লায়ন্সরা যে সঠিক পথেই আছেন তা হলপ করে বলে দেওয়া যায়।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে প্রীতি ম্যাচ ওয়েলসের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচটিতে ওয়েলসকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে গোল তিনটি করে বিজয়ীরা।
এ ম্যাচে দরুণ এক কীর্তি গড়েছেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। ওয়েলসের বিপক্ষেও কোনো গোল হজম না করে রেকর্ডটি একার করে নেন এই ইংলিশ ফুটবলার। এ ম্যাচ দিয়েই ইংল্যান্ডের জার্সিতে টানা আট ম্যাচ জাল অক্ষত রাখার নতুন রেকর্ড গড়লেন এভারটন তারকা। আগের রেকর্ডটিতে এতদিন ইংলিশ গ্রেট গর্ডন ব্যাঙ্কসের পাশে ছিলেন তিনি।
পিকফোর্ডের এমন কীর্তি মন ছুঁয়েছে টুখেলের। তিনি বলেছেন,
‘প্রথমার্ধে নিজেদের অমন আধিপত্য করার মাঝেও (পোস্টে) সতর্ক থাকাটা সহজ নয়, সত্যিকার অর্থে (ওই সময়) তার কিছুই করার ছিল না। এবং এর মাঝেই হঠাৎ করে একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা বিপজ্জনক হতে পারতো।’
তিনি আরও বলেছেন,
“শট আটকানোয় সে (পিকফোর্ড) দুর্দান্ত। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ছোট পাস খেলেও আমরা চাপ এড়ানোর সুযোগ নিতে চেয়েছি, তার থেকে কেবলই লম্বা পাস দিয়ে নয়। সে খুব ভালো করেছে।”
বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খুব ভালো অবস্থানে আছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ খেলে শতভাগ সাফল্যে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘কে’ গ্রুপের শীর্ষে আছে তারা।
হংকং, চায়নার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হারে বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লাল-সবুজের বাহিনিদের এমন হারে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন কোচ হাভিয়ার কাবরেরা। ম্যাচে কোচের কৌশল আর সিদ্ধান্তকে অনেকেই হারের বড় কারণ হিসেবে দেখছেন।
শুরুর একাদশে চার প্রবাসী ফুটবলারকে নামাননি কাবরেরা। এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ে হংকং, চায়নার বিপক্ষে শমিত সোম, জামাল ভূঁইয়া, ফাহামিদুল ইসলাম ও জায়ান আহমেদকে ছাড়া মাঠে নামে বাংলাদেশ। অবশ্য ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সমালোচনা কান না দেওয়ার কথা বলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ।
আগামী ১৪ অক্টোবর এশিয়া কাপ মিশনে হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আজ হংকংয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ দল ঢাকা ছাড়ার সময় উঠে আসে কোচের সিদ্ধান্তের কথা। শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম ও জায়ান আহমেদকে নিয়েই শুরুর একাদশে খেলতে চান বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন
ভিনিকে বিক্রি করে ‘স্বপ্নের সাইনিং’ হালান্ডকে চায় রেয়াল |
![]() |
গতকাল রাতে হারের পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ছিল বাংলাদেশ দল। তবে সেই হার ভুলে পরের ম্যাচে মনোযোগি হওয়ার কথা বলেন জামাল, ‘সবার একটু মন খারাপ ছিল। সবাই একটু দেরিতে ঘুমিয়েছে। তবে আমাদের সেটা ভুলে যেতে হবে। পরের ম্যাচে ফোকাস করতে হবে।’
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় জামাল ভূঁইয়া সহ তিন প্রবাসী ফুটবলারকে। শুরুতে যদি তাদেরকে নামানো হতো তবে ফলটা কি অন্যরকম হতে পারত কিনা এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আসলে আমি জায়ান, শমিত, ফাহামিদুল আমরা একসঙ্গে যখন ওয়ার্মআপ শুরু করেছি তখন বলেছি যখন নামব খেলাটার ছন্দ পরিবর্তন করে দিতে হবে। আমরা যে চারজন পরে নেমেছি আমাদের ইমপ্যাক্ট ভালো ছিল। আমরা চারজন প্রথম একাদশে খেলতে চাই। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ভালো খেলার পর কি কোচকে ভুল প্রমাণিত করলেন জামাল ? অবশ্য সব ম্যাচ খেলতে চাইলেও কোচের সিদ্ধান্তই যে চূড়ান্ত সেটাই বললেন তিনি, ‘আমি তো সবসময়ই বলব আমি যখন না খেলি সেটাই ভুল। তবে দিনশেষে কে খেলবে সেটা কোচেরিই সিদ্ধান্ত।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এক ড্র ও দুই হারে পয়েন্ট টেবিলে মাত্র এক পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। বাকি তিন ম্যাচে জয় পেলেও এশিয়া কাপের মূলপর্ব খেলার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণই।
ঘনিয়ে আসছে ২০২৬ বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোর আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের ২৩তম আসরে ৪৮ দলের মধ্যে ২০ দল নিশ্চিত করেছে টুর্নামেন্ট খেলার যোগ্যতা।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইতোমধ্যেই ছয় দলের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্বসেরার মঞ্চে সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়ার আছে এ তালিকায়।
বিশ্বকাপের আগে স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয়বস্তু ‘বিশ্বকাপ জয়ে সেরা প্রতিদ্বন্দ্বি কারা?’ সমর্থক থেকে শুরু করে অনেক ফুটবলবোদ্ধারাই নিজেদের মতামত জানান। আর্জেন্টিনার তারকা মিডফিল্ডার ম্যাক অ্যালিস্টারও জানালেন তাঁর চোখে ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি কোন দল।
আরও পড়ুন
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে অনিশ্চিত মেসি |
![]() |
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচের আগে টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন বিশ্বকাপে তিন দলকে বেছে নেন লিভারপুলের তারকা মিডফিল্ডার অ্যালিস্টার। এবারের আসরে শিরোপা জয়ের দৌঁড়ে ব্রাজিলকে না রেখে তিনি বলেন, ‘স্পেন, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের দৌঁড়ে আছে। চার নম্বর দল হিসেবে ব্রাজিলকেও রাখা যায়। তারা ফিরে আসছে।’
গত ক’বছর নিজেদের সেরা ছন্দে নেই ব্রাজিল। এরপরও বিশ্বকাপে সবচেয়ে সাফল্য পাওয়া দলের ইতিহাস যে অনেক সমৃদ্ধ সেটাও মনে করিয়ে দিলেন অ্যালিস্টার, ‘যদিও এখন হয়তো সেরা অবস্থায় নয়, তাদের দলে দারুণ খেলোয়াড় আছে এবং এখন একজন দারুণ কোচও এসেছে। ব্রাজিলের ইতিহাস বেশ ভারীই।’
বিশ্বকাপে যে দলই এগিয়ে থাকুক নিজেদের ওপর সবসময়ই বিশ্বাস রাখেন অ্যালিস্টার, ‘আমি এখন দেখছি স্পেন এবং ফ্রান্স বিশ্বের সেরা দলের মধ্যে আছে। আমাদের দলও সেখানে আছে, আরও কয়েকটি দল যোগ হতে পারে। কিছু দলের বিশ্বকাপ নিয়ে ভালো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমরা সবসময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখি।’
ল্যাটিন আমেরিকা থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা আগামীকাল ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে। এরপর আন্তর্জাতিক বিরতিতে দ্বিতীয় ম্যাচটি পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে খেলবে লিওনেল স্কালোনির দল।