হাইব্রিড মডেলের এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দিন যত যাচ্ছে, ততই বিতর্ক বাড়ছে। পাকিস্তান স্বাগতিক হলেও ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে দুবাইতেই। ফলে রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে যাদের খেলা পড়ছে, তাদের স্রেফ এক ম্যাচের জন্য যেতে হচ্ছে দুবাইতে। সেমিফাইনালে যে সমস্যায় পড়েছে যেমন অস্ট্রেলিয়া। এমন সূচিকে ক্লান্তিকর মানলেও এভাবে ঘুরে ঘুরে খেলায় বড় সমস্যা দেখছেন অজি তারকা লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা।
‘এ’ গ্রুপে থাকা ভারত অনেক আগেই জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানে গিয়ে তারা খেলবে না। ফলে টুর্নামেন্টের সূচি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে ভারত যদি ফাইনালে যায়, তাহলে সেই ম্যাচটি হবে দুবাইতে। স্বাগতিক হয়েও তাই পাকিস্তানকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে যেতে হয়েছে অন্য দেশে। সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়ার পালা এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন কন্ডিশনে অল্প সময়ে মানিয়ে নেওয়ার।
আরও পড়ুন
হাইব্রিড সূচি নিয়ে আপত্তি নেই জাম্পার |
![]() |
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জাম্পা এই বিষয়টি নিয়ে খানিকটা হতাশা প্রকাশ করলেও মেনে নিয়েছেন বাস্তবতাও। “এটা তো স্পষ্ট যে আমাদের জন্য পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি ম্যাচ টানা খেলার একটা কঠিন সূচী ছিল, যেখানে যেতে হয়েছে এক শহর থেকে আরেক শহরে। তবে এখানে আসতে পারাটাও দারুণ ব্যাপার। আমরা এখানে আইসিসি একাডেমিতে দারুণ সব সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। হ্যাঁ, কন্ডিশনে এটা কিছুটা পরিবর্তন করে, তবে ছেলেরা এই ব্যাপারে অবগত বলেই মনে হচ্ছে।”
খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজন এরই মধ্যে বলেছেন, এই টুর্নামেন্টে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত। কারণ, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই হোটেলে থাকা, একই শহরে থাকা বা একই ভেন্যুতে খেলার মত সুবিধা যে আর কোনো দলের নেই। অন্য দলগুলোকে পাকিস্তানের এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে হচ্ছে। আর ভারতের সাথে ম্যাচ মানে বাড়তি ভ্রমণ।
ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের পর তাই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সমালোচনা। কারণ, এই ম্যাচের ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হত সেমিফাইনালের লাইনআপ। তাই অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই অবস্থান করছিল দুবাইতে। নিউজিল্যান্ড হেরে যাওয়া ক্লাসেন-রাবাদাদের আবার ফিরে যেতে হয়েছে পাকিস্তানে, কারণ সেমিফাইনালে কিউইদের বিপক্ষে যে তাদের ম্যাচটি পাকিস্তানের মাটিতেই। আবার ভারত যদি অস্ট্রেলিয়াকে হারায়, তাহলে এই দলের একটিকে ফের যেতে হবে দুবাইতে।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই বড় রান করবেন রোহিত, বিশ্বাস ভিভ রিচার্ডসের |
![]() |
No posts available.
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:০০ পিএম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৮ পিএম
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। মুদ্র নিক্ষেপণ পরীক্ষায় পাসে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বিন্দুমাত্র ভাবেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামের কন্ডিশন বিবেচনায় আগে ব্যাটিং নিতেন, প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক রশিদ খানেরও ছিল সহজ স্বীকারোক্তি। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার মিশনে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয় পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের জায়গায় একাদশে ডাক পড়ে সাইফ হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদের।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের পক্ষে ভুয়া মন্তব্য, মুখ খুললেন পন্টিং |
![]() |
এদিন খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে রবী শাস্ত্রি ও রাসেল আর্নল্ড বলেছেন, পিচটি এমন যে কিছু ডেলিভারি খুব গতির সঙ্গে চলে যাবে বাউন্ডারিতে। পাওয়ার প্লের পূর্ণ ফায়দা নেওয়া জরুরি। সে যাত্রায় অবশ্য সফল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান করতে পারে তারা। তবে ম্যাচ পুরোনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে ফেলে ধারাবাহিকতা।
১০ ওভারে ডিংকস বিরতির সময় পর্যন্ত দলের রান ছিল ৮৭। অর্থাৎ ওভার প্রতি রান টিম টাইগার্সের রান ছিল ৮.৭০। কিন্তু ইনিংস শেষে তা গিয়ে ঠেকে ওভারপ্রতি ৭.৭০ রানে।
আজ একাদশে ইমন না থাকাতে তানজিদ হাসান সাকিবের সঙ্গী হয়েছেন সাইফ হাসান। এশিয়া কাপে নিজেদের পূর্বের দুই ম্যাচে ব্যর্থ ছিল শুরুর জুটি। আজ যখন উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল ধরে, তখন দলীয় স্কোর পার করে ৬৩ রান। সপ্তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। আফগান অধিনায়কের বল স্লগ করতে চেয়েছিলেন সাইফ। লাইন মিসে ঘটে বিপদ। তাতে ২৮ বলে ৩০ রান করতে পারেন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ফাইনাল খেললে খুব অবাক হবো না |
![]() |
সাইফের বিদায়ের পর যথারীতি ওয়ান ডাউনে নামেন লিটন দাস। হংকং (৫৯) ও শ্রীলঙ্কার (২৮) বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক আজ সুবিধা করতে পারেননি। মূলত সেট হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। স্পেলের প্রথম বলেই লিটনকে ফেরালেন আফগান বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার নুর আহমেদ।
নুরের ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিটন। এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানিস্তান। ১১ বলে ৯ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ক্রিজে নতুন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।
দুই উইকেট পতনের পরও ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন তানজিদ হাসান। এরই মাঝে বাংলাদেশকে একটি কীর্তির সাক্ষী করেন তিনি। ২০২৫ সালে এখন সবচেয়ে বেশি ছক্কা বাংলাদেশের। আজ টাইগার ব্যাটাররা মোট ৫ টি ছক্কা হাঁকায়। সবচেয়ে বেশি ছক্কা তানজিদের (৩টি)।
১২তম ওভারে অর্ধশতকের দেখা পাওয়া তানজিদ ক্রিজ ছাড়েন পরের ওভারে। এবারও আফগানদের উৎসব এনে দেন নুর আহমেদ। তরুণ স্পিনারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন তানজিদ। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ বলে ৫২ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
আরও পড়ুন
'তোমরা আফ্রিদি হতে যেও না’ |
![]() |
তানজিদ ফেরার পরই ম্যাচ কিছুটা গতি হারায়। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি শামীম হোসেন। বাইশ গজে থিতু হয়েও ২৬ রানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উিইকেট তোলেন রশিদ খান ও নুর আহমেদ। অপর উইকেটটি ছিল আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তামিম ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, অনিক ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গাজানফার ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবী ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচটাও নিজেদের করে নিল জিম্বাবুয়ে। সফরকারী নামিবিয়াকে চেপে ধরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সিকান্দার রাজার দল। টানা দুই জয়ের ফলে আগামী বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে নিয়মরক্ষার।
আজ জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে টস জিতে অতিথিদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিকান্দার রাজা। শুরুতে ব্যাটিং নেমে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন নামিবিয়ার দুই ওপেনার জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ও ম্যালান বিনমেন ক্রুগার। ফ্রাইলিঙ্ক বোল্ড হলে দলীয় ২৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।
ওয়ানডাউনে নামা জান নিকোল লফটি-ইটনকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন ম্যালান ক্রুগার। দলকে বিপদমুক্তের পাশাপাশি নিজেদের স্কোর লম্বা করার মিশনে নামেন দুজন। এ যাত্রায় দল পায় ৭১ রানের জুটি। ওপেনার ম্যালান ৪৫ রানে সাজঘর মুখো হলে লম্বা এই জুটি ভাঙে। তার দেখানো পথে হাঁটেন লফটি-ইটনও। তিনি ৩০ বলে স্কোরকার্ডে তোলেন ৪৭ রান।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের পক্ষে ভুয়া মন্তব্য, মুখ খুললেন পন্টিং |
![]() |
টপঅর্ডারের তিন ক্রিকেটারের বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় নামিবিয়াকে।
জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার মারুমানি ও ব্রায়ান বেনেট। ইনিংসের ৫.৫ ওভারের সময় বেনেট যখন কট আউট হয়ে বাইশগজ ছাড়েন ততক্ষণে অনেকটা বিপদমুক্ত দল। ক্রিজ ছাড়ার আগে নিজ আমলনামায় ৪০ রান যোগ করেন বেনেট, তখন দলীয় স্কোর ছিল ৫৯।
পরের হিসাব সহজ করে দেন মারুমানি। ৩৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন স্বাগতিক ওপেনার। এরপর ব্রেন্ডন টেইলর ও রায়ান বার্ল মিলে জয়ের হিসাব মিলিয়ে দেন।
টস জিতে লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, ১৬০ রান করতে পারলে ভালো হবে। শেষ দিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বোলাররা পুষিয়ে দিলেন সেই ঘাটতি। আফগানিস্তানকে বেধে রেখে সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের ম্যাচে ৮ রানে জিতল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১৫৪ রানের পুঁজি পায় তারা। জবাবে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দুইশতম ম্যাচ জেতার পাশাপাশি গ্রুপে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে বাংলাদেশ। এখনও সুপার ফোরের টিকেট নিশ্চিত নয় তাদের।
'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে লড়বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা জিতলে সরাসরি সুপার ফোরে উঠে যাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আর আফগানিস্তান জয় পেলে। তিন দলের হবে সমান ৪ পয়েন্ট। তখন নেট রান রেটের বিবেচনায় পরের রাউন্ডে যাবে দুই দল।
বাংলাদেশের আশা বাঁচিয়ে রাখা জয়ের বড় কারিগর নাসুম আহমেদ। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বাঁহাতি স্পিনের জাদু দেখান তিনি। আফগান ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট মেডেনসহ ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট নেন নাসুম।
এছাড়া ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তামিম ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, অনিক ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গাজানফার ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবী ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬ (সেদিকউল্লাহ ০, গুরবাজ ৩৫, ইব্রাহিম ৫, নাইব ১৬, নবী ১৫, ওমরজাই ৩০, জানাত ৮, রশিদ ২০, নুর ১৪, গাজানফার ০, ফারুকি ২*; নাসুম ৪-১-১১-২, তাসকিন ৪-০-৩৪-১, মুস্তাফিজ ৪-০-২৮-৩, রিশাদ ৪-০-১৮-২, শামীম ১-০-১৬-০, সাইফ ৩-০-৩৯-০)
ফল: বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর থেকে দুই দলের পক্ষে-বিপক্ষে নানান মন্তব্য করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। তেমনই একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে রিকি পন্টিংয়ের নামে। তবে সেটিকে ভুয়া বলে টুইট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত রোববার মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে সহজ জয় পায় ভারত। তবে সেদিনের ফলাফলের চেয়ে মূল আলোচনায় দুই দলের ক্রিকেটারদের হাত না মেলানোর ঘটনা।
ম্যাচে টসের সময় কোনো ধরনের কথা বলেননি দুই দলের অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব ও সালমান আলি আগা। এমনকি সৌজন্যতামূলক হাতও মেলাননি। পরে ম্যাচ জিতে যাওয়ার পরও একই কাণ্ড ঘটায় ভারতের ক্রিকেটাররা। হাত না মিলিয়েই তারা চলে যায় ড্রেসিং রুমে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ফাইনাল খেললে খুব অবাক হব না |
![]() |
এই ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানান আলোচনা। সেই ধারাবাহিকতায় পন্টিংয়ের একটি ভুয়া মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে পাকিস্তানের পক্ষে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।
“এই ম্যাচ চির দিন মনে রাখা হবে। যেখানে ভারতই বড় পরাজয়ের শিকার। ম্যাচে পরাজয়ের পরও হাত মেলানোর যে সৌজন্যরা পাকিস্তান দেখিয়েছে, তা তাদেরকে ভদ্রলোকের খেলায় প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অমর করে তুলেছে। আর ভারত থেকে গেছে চিরকালীন পরাজিত হিসেবে।”
আরও পড়ুন
'তোমরা আফ্রিদি হতে যেও না’ |
![]() |
তবে এই মন্তব্যের উৎস কী তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। আর মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া বার্তায় পন্টিং নিজেই জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো মন্তব্য তিনি কোথাও করেননি।
“আমি জানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মন্তব্যের সঙ্গে আমার নাম জুড়ে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। তবে দয়া করে জেনে রাখুন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি এসব মন্তব্য করিনি। আর আসলে এশিয়া কাপ নিয়ে আমি কোনো ধরনের প্রকাশ্য মন্তব্যই করিনি এখন পর্যন্ত।”
একাধিকবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়নের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ইতিহাস বদলানোর লক্ষ্যে গেছেন লিটন দাসরা। ২০২৫ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়ায়, কাজটা সহজ হওয়ারও কথা নয়।
চ্যাম্পিয়ন হতে পারে যেকোনো দল। তবে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করলে ‘বড়’ ভুল করবে দলগুলো- টি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ ক্রিকটে বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও নারী বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যূহাইরাহ মৌ।
টানা তিন সিরিজ জিতে এশিয়া কাপে পা রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকার কথা। তবুও বর্তমানে দলের অবস্থা আসলে কেমন? এশিয়া কাপ নিয়ে দল কতটা আশাবাদী?
নাজমুল আবেদীন ফাহিম: আমার কাছে মনে হয়, এখন আমাদের যে দল, এই দলটা বেশ গোছানো এবং ওরা জানে ওদের কি করতে হবে। এটা একটা শক্তির জায়গা আমাদের দলের জন্য এবং দলটা আত্মবিশ্বাসী। এটা শুধু এই জন্য না- আমরা গত তিনটা সিরিজ জিতেছি সেজন্য না। প্রত্যেক ইন্ডিভিজুয়াল ক্যাপাসিটি ওরা এখন অনুমান করতে পারে। ওরা যে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়, আমাদের দলে অনেক আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় আছে এটা তারা জানে এবং ওরা ওদের ভূমিকাগুলো জানে। আমি খুব আশাবাদী। তারপরে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তুমি জানো না, কি কি হয়। কিন্তু আমি খুবই আশাবাদী।
কেউ কেউ এখন বাংলাদেশকে ছোট করে দেখছে। দেশের বাইরের বিভিন্ন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা খেলোয়াড়দের যোগ্যতা ও অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। সে ব্যাপারে কি কিছু বলতে চান?
ফাহিম: কেউ যদি বাংলাদেশ দলকে উপেক্ষা করে তাহলে খুব ভুল করবে। এটা আমি বলতে পারি। আশা করব যে বাংলাদেশ দল ভালো করবে। আমরা একটা জিনিস কিন্তু কনসিস্টেন্টলি দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের টপ অর্ডার রান হচ্ছে। এটা কিন্তু যদি আমরা তিন মাস চার মাস ছয় মাস আগেও দেখতাম, আমরা যেহেতু সব সময় ফেল করছি। কিন্তু গত তিন মাসে বা গত দু-মাসে আমরা দেখেছি আমাদের টপ পারফর্ম করছে। আমাদের বোলারদের পারফরম্যান্স কিন্তু খুবই প্রশংসনীয়। আমি খুব আশাবাদী এখন দেখতে হবে নির্দিষ্টি দিনে আমরা কেমন করি। আমরা মানসিকভাবে কি অবস্থায় থাকি, আমি আশাবাদী।
টপ অর্ডারের রানের কথা বললেন। সবশেষ নেদারল্যান্ডস সিরিজে বড় শট দেখিয়ে প্রশংসায় ভেসেছে বাংলাদেশ দল। টপ অর্ডারও রান পাচ্ছে বেশ কিছু সময় ধরে। সত্যিই কি এখন বলা যায় যে পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি চলে এসেছে দলে?
ফাহিম: আমি কয়েক দিন আগে দেখছিলাম একটা ডাটা দেখছিলাম যেখানে বাংলাদেশের সম্প্রতি সিক্স হিটিং এবিলিটি অন্যান্য অনেক দেশের কাছাকাছি আছে। আমরা পাওয়ার হিটিংয়ে সম্প্রকি ভালো করেছি। পাওয়ার হিটিংয়ে কাজ করার আগে থেকেই। তারপরও আমি বলব, আমরা সবাই হয়তো ওই মানের পাওয়ার হিটার না। সেখানে যারা একটু পিছিয়ে আছে তাদের জন্য এই এই কাজগুলো কাজে আসবে। আমরা পাওয়ার হিটিং কোচকে নিয়ে এসে ছিলাম, তার উপস্থিতি, পাশাপাশি যারা ভালো হিট করে তারা হয়তো কিছুটা লাভবান হয়েছে।
এটাতো অনুশীলনের ব্যাপার। সব সময় চেষ্টা করার ব্যাপার এটা করতেই থাকবে। এটা হয়তো এখন আমাদের যারা কোচ আছে তাদের অধীনে ওই কোচ যা করিয়ে গেছে সেটা চালিয়ে যাবে। আমাদের ইচ্ছা আছে আমরা ভবিষ্যতে যখন সময় সুযোগ মতো যখন ওদের ট্রেনিংয়ের প্রোগ্রামগুলো চলবে, শুধু জাতীয় দল না অন্যান্য অনূর্ধ্ব-১৫ হোক এইচপি হোক তখনও এই ধরনের কোচকে নিয়ে আসব।
অল্প সময়েও পাওয়ার হিটিং কোচের সঙ্গে কাজ করে ভালোই ফল পেয়েছে দল। সামনে টাইগারদের উন্নতিতে বিসিবির এমন আরো উদ্যোগের সম্ভাবনা আছে?
ফাহিম: শুধু পাওয়ার হেটিং কোচ না স্পেশালিস্ট হয়তো একজন লেগ স্পিন কোচ খুব বড় উঁচু মানের একজন লেগ স্পিন কোচ হোক কিংবা একজন ফাস্ট বোলিং কোচ হোক, শর্ট সময়ের জন্য নিয়ে আসব। আমাদের টপ র্যাংকিং প্লেয়ার যারা আছে এলিট প্লেয়ার যারা আছে তাদেরকে নিয়ে যেন কাজ করতে পারে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম আমাদের সিনিয়র প্লেয়ার যারা আছে এস্টাবলিশ প্লেয়ার যারা আছে ডেফিনেটলি তারা যোগ্য এবং তাদের উপরই আমাদের নির্ভরশীলতা বেশি থাকবে। অন্যরা ভালো হলেও তারা পাশে পাশেই একটা সহ অবস্থান অবস্থায় থাকবে। আসলে এভাবে একটা দল তৈরি হতে পারে না কিন্তু। ১১ জনের খেলায় ১১ জনকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এখানে সবাই হিরো, এখানে পার্শ্বচরিত্র বলে কিছু নেই কিন্তু।
অনেক পরিচিত নাম ছাড়াই এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ। সাকিব-তামিমসহ অনেক সিনিয়র প্লেয়ারই নাই এখন দলে। তাঁদের না থাকার কোনো প্রভাব কি দেখেন দলে? সেই সিনিয়রদের দায়িত্ব কি ঠিকঠাক বর্তমান খেলোয়াড়েরা নিতে পারছে?
ফাহিম: আমার মনে হয় এই দলটাতে এখন পার্শ্বচরিত্রে কেউ নেই। এখানে তানজিম সাকিবও ওই লাস্টে গিয়ে হয়তো ১২ বলে গিয়ে যদি ২৫ রান করতে পারে তাহলে হয়তো আমরা ম্যাচ জিতবো। সে সেটা জানে এবং সেভাবে সে তৈরি হচ্ছে। সো সবাই ইম্পর্টেন্ট এখানে যে খেলছে এমনকি যে খেলছে না সেও। তো প্রত্যেকে যার যার রোল সম্পর্কে অবগত আছে এবং প্রত্যেকেই সে চেষ্টাটাই করবে এবং টিম কালচারটাই ওরকম এখন, যে কেউ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ না। সেটা লিটন কুমার দাস ই হোক কিংবা তাওহীদ হৃদয় হোক কিংবা তাসকিন হোক। সবাই গুরুত্বপূর্ণ।
তিন তিনবার ফাইনাল খেলে হৃদয়ভাঙা হার জুটেছে এশিয়া কাপে। বাংলাদেশের জন্য তাই এই মঞ্চ একটু বেশি আবেগের। বাংলাদেশ কি এবার এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে?
ফাহিম: আমি যেই আত্মবিশ্বাস দেখছি, আত্মবিশ্বাস তো এমনি এমনি হয় না। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মধ্যে যে আস্থার ব্যাপারটা আছে, নিজেকে নিয়ে যে আস্থা এবং দলের যেই আবহ ড্রেসিং রুমে আবহ সবকিছু মিলে আমি আশাবাদী এই দলটাই এশিয়া কাপে ভালো খেলবে। এটা সবার ভালো লাগবে। বাংলাদেশের খেলা সবার ভালো লাগবে। ফল কি হবে এটা বলা যায় না যে আমরা কি চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কি পারব না এটা আমি জানি না এভাবে বলাটা খুব মুশকিল।
তবে যদি ফাইনাল খেলি আমরা খুব অবাক হব না। এটা মানে হঠাৎ করে হয়ে গেল এমন হবে না। আমরা যদি ফাইনাল খেলি নিজের যোগ্যতায় আমরা ফাইনাল খেলব। সে যোগ্যতা আমাদের আছে, আমরা ফাইনাল খেলার যোগ্যতা রাখি অনেক ইভেন্টে আমরা ভারতকে অবশ্যই হারাতে পারি।