বিশ্বকাপের দল নিয়ে নাটকীয়তার যেন শেষ নেই বাংলাদেশ দলে। দল ঘোষণার দিন পর্যন্ত দড়ি টানাটানি চলেছে সমানে সমান। তামিম ইকবাল খেলবেন কি খেলবেন না, সাকিব ক্যাপ্টেন থাকবেন কি থাকবেন না… ইস্যুর শেষ নেই। এবারই অবশ্য প্রথম নয়, নাটকীয়তার শুরু সেই ১৯৯৯ থেকেই। প্রথমবার যেবার টাইগাররা খেলেছে বিশ্বকাপের রাজকীয় মঞ্চে।
আইসিসি ট্রফি জিতে বাংলাদেশ প্রথমবার গেছে বিশ্বকাপে খেলতে। বাংলাদেশের এখনকার বিশ্বকাপ স্কোয়াড গড়া যার হাতে, সেই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু তখন দেশসেরা এক ব্যাটার। অথচ তৎকালীন কোচ গর্ডন গ্রিনিজের ১৫ জনের স্কোয়াডে জায়গাই হয়নি তার। নানা নাটকীয়তা শেষে বিশ্বকাপের ঠিক একদিন আগে, দলে জায়গা মেলে তার।
আরও পড়ুন: কিছু কমেন্টে অবাক তামিম, বিশ্বকাপে দেখতে চান বড় স্বপ্নই
সুযোগ পেয়ে তার যথাযথ প্রতিদানটাও দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের ম্যাচটায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস। পান ম্যাচসেরার পুরষ্কার। আনবিটেন হাফ সেঞ্চুরি করেন ম্যাকগ্রা-ওয়ার্নদের শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়েও ব্যাটে-বলে ছিলো তার অবদান। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে নান্নুর সেটাই শেষ ম্যাচ।
নান্নুর মতোই ২০০৩ বিশ্বকাপে ব্রাত্য হয়েছেন আইসিসি ট্রফি জয়ী ক্যাপ্টেন আকরাম খানও। পরে অবশ্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ইনজুরিতে জায়গা মেলে তার। সুযোগ পেয়ে ৪৪ রানের একটা ইনিংস খেলেছিলেন কেনিয়ার বিপক্ষে। ততদিনে অবশ্য আশা শেষ বাংলাদেশের। আকরাম খান সুযোগ হারিয়ে ফিরে পেলেও, সেই সময়কার ওপেনার জাভেদ ওমর গোল্লার জায়গা হয়নি সে বিশ্বকাপে।
২০০৭ বিশ্বকাপেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। উইকেটকিপিংয়ে অভিজ্ঞ খালেদ মাসুদ পাইলটের বদলে মুশফিকুর রহিমকে দলে টানাটা পজিটিভলি নিতে পারেননি অনেকেই। মুশফিক অবশ্য শুরুতে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিলেন। ভারতকে হারানোর সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে তার উইলো থেকেই এসেছিলো সর্বোচ্চ ৫৬। সে ম্যাচের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ মাশরাফি মোর্তজাকে অবশ্য কাঁদতে হয়েছিলো পরের বিশ্বকাপেই। ইনজুরি নিয়ে নানা শঙ্কার পর তাকে যে বাদ দেওয়া হয় স্কোয়াড থেকে। (২২-২৮)
আরও পড়ুন: বাইরে থেকে দল নিয়ে মন্তব্য করার লোক নন তামিম
ভাগ্যের ফেরে পরের বিশ্বকাপেই টাইগারদের ক্যাপ্টেন মাশরাফি। তবে সে বিশ্বকাপেও নাটকীয়তা পিছু ছাড়েনি। হ্যাপি-কান্ডে আইনি জটিলতায় থাকা রুবেল হোসেন অবশ্য ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে বনে গিয়েছিলেন নায়ক। ম্যাশের মতোই ২০১৯ বিশ্বকাপে ইনজুরির কবলে খেলতে পারেননি তারই উত্তরসূরি তাসকিন আহমেদ। তার সেই অঝোরে কান্না ছুঁয়ে গেছে কোটি ভক্তদের মন।
ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে আরও একটা বিশ্বকাপ। নাটক অবশ্য পিছু ছাড়েনি দেশের ক্রিকেটকে। তামিম-সাকিব-রিয়াদ… তিন সিনিয়র ক্যাম্পেইনারকে কেন্দ্র করেই ডালপালা মেলেছে নানা বিতর্ক। তবে সব বিতর্ক পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে বড় কিছু করুক টিম টাইগার্স- কোটি ভক্তরা চাইবে তেমনটাই।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
৬ আগস্ট ২০২৫, ৯:২৬ পিএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে থাকায় টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজ হারিয়ে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দেয়ার গর্বে যে দলটির টেস্টে চাঙ্গা হওয়ার কথা, সেই জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের সব কটিতে বড় ব্যবধানে হারকে যেনো নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে। নিজেদের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ইনিংস ও ২৩৬ রানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টেও নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করেছে। বুলাওয়েতে অনুষ্ঠানরত সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম দিন বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে যথারীতি হাজির। প্রথম দিনে সফরকারী নিউ জিল্যান্ড নিয়েছে ৪৯ রানের লিড!
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে কিউই পেসার ম্যাট হেনরি (১৫-৩-৪০-৫) এবং ডেব্যুটেন্ট জাকারির (১৬-৫-৩৮-৪) তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে জিম্বাবুয়ে। হেনরির এটি উপর্যুপরি দুই টেস্টে ৫ উইকেটের গর্ব। বুলাওয়েতে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন এই পেসার ৬ উইকেট (৬/৩৯)।
প্রথম ইনিংসে থেমেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ১২৫ রানে। ৫ বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে ব্রান্ডন টেলর করেছেন এদিন জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর (৪৪)। তাফাজা তিগা করেছেন ৩৩ রান।
প্রথম ইনিংসে আরও বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ২য় উইকেট জুটির ২৯ রানের কল্যােনে তিন অঙ্কের নাগাল পায় জিম্বাবুয়ে।
জবাব দিতে এসে প্রথম দিনেই লিড নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ওপেনিং জুটির ১৬২ রানে তা সম্ভব হয়েছে। প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৭৪/১। দিনের অন্তিম সময়ে উইল ইয়ং গুয়াংডুকে পুল করতে যেয়ে বোল্ড আউটে থেমেছেন ৭৪ রানের মাথায় এসে। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ১১টি চার। প্রথম টেস্টে ১২ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা ডেভন কনওয়ে এখন দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৭৯ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন।
গত এক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে ‘এ’ দলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। তবুও নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাইরেই থাকতে হচ্ছে নুরুল হাসান সোহানকে। অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ তার জন্য হতে পারে নিজেকে প্রমাণের আরেকটি মঞ্চ। অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটার মনে করেন, জাতীয় দলে ফেরার জন্য তিনি কেবল নিজের কাজটাই ঠিকটাক করতে পারেন।
বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের নিয়মিত অধিনায়ক সোহান টানা দুই আসরে দলটিকে নিয়ে গেছেন গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে। একবার হয়েছেন চ্যাম্পিয়নও। এছাড়া বিপিএল, ডিপিএল, এনসিএল বা ‘এ’ দল, সব জায়গাতেই ব্যাট হাতে ও নেতা হিসেবেও নিজের মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন সোহান। সেই ধারায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে অধিনায়ক করা হয়েছে। তবে জাতীয় দলের ডাক পাওয়ার অপেক্ষা লম্বাই হচ্ছে তার।
বুধবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক সুরেই কথা বললেন সোহান।
“জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া আসলে আমার হাতে নেই। এটা নিয়ে মন্তব্য করাটাও তাই ঠিক হবে না। তবে যেখানেই খেলি না কেন, ভালো করার চেষ্টা করি। নিজের জায়গা থেকে উন্নতির চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলা ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল, এখনও সেই স্বপ্নই দেখি। সুযোগ পেলে অবশ্যই নিজের সর্বোচ্চটা দিতে চাই।”
সোহানের জন্য সেই সুযোগটা আসতে পারে এই সিরিজটি দিয়েই। জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখতেই সাজানো হয়েছে ‘এ’ দলের স্কোয়াড। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, এখানে ভালো করলে সোহান বা অন্যদের জন্য খুলে যেতে পারে নেদারল্যান্ডস সিরিজের দুয়ার। সেটা না হলেও সুযোগ মিলতে পারে এশিয়া কাপেও।
“আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছি। এখানে অনেক ভালো ভালো দল রয়েছে। আমাদের জন্য তাই দারুণ একটা সুযোগ। অবশ্যই চাইব ফাইনাল খেলতে। তবে শেখার প্রক্রিয়ায় আমি বিশ্বাস করি না। কারণ, শেখার ব্যাপারটা কিন্তু চলতেই থাকবে, এটা জীবনেরই অংশ। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, তাই সেখানে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ফাইনালে খেলা এবং শিরোপা জেতা। দলের প্রতিটি ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট এখানে সবাই চোখ রাখছে কেবল শিরোপার দিকেই।”
দুই ম্যাচ হাতে রেখে ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ফাইনালে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আগামী ১০ আগষ্ট ট্রফি নির্ধারণী ম্যাচে অবতীর্ণ হওয়ার আগে বুধবার ফাইনালের ড্রেস রিহার্সল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে পর্যুদস্ত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫ উইকেটে হারের বদলা এদিন নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জিম্বাবুয়ের হারারেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সামিউন বশিরের অলরাউন্ড পারফরমেন্স (২/২৩ও ৫২*) এবং বাঁ হাতি স্পিনার সানজিদ মজুমদারের ছোবলে ( ৪/৩৯) ১২৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে বাংলাদেশ যুবারা।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পেসার আল ফাহাদ (২/২০) এবং দুই বাঁ হাতি স্পিনার সানজিদ মজুমদার (৪/৩৯)ও সামিউন বশিরের (২/২৩) বোলিংয়ে ১২.৪ ওভার হাতে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে মাত্র ১৪৭ রানে অল আউট করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলারদের তোপে এক পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্কোর ছিল ৪৫/৫। সেখান থেকে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটির ৩৭ রানে বড় বিপর্যয় এড়িয়ে ১৪৭ পর্যন্ত ইনিংস টেনে নিতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। বান্ডিল মাবিথা করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। পল জেমস করেছেন ৩৩ রান।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টপ এবং মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এক পর্যায়ে স্কোর ছিল ৬৮/৫। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করে ৫ উইকেটের বিশাল জয় উপহার দিয়েছেন ৬ষ্ঠ জুটির দুই ব্যাটার আব্দুল্লাহ এবং সামিউন বশির। অবিচ্ছিন্ন এই জুটি যোগ করেছে ৮০ রান। আবদুল্লাহ ৪৭ বলে ২০ এবং সামিউন বশির ৩৬ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন। সামিউন বশির এই ইনিংসে মেরেছেন ৬টি চার, ৩টি ছক্কা। ওপেনার রিফাত বেগ করেছেন ৪৭ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৪৩ রান।
সদ্য সমাপ্ত রোমাঞ্চকর ওভাল টেস্টে ভারতের নাটকীয় জয়ে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ভারত পেসারের সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রতিফলন পড়েছে আইসিসির টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়েও। ১২ ধাপ উন্নতি করে উঠে এসেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫তম অবস্থানে।
বুধবার আইসিসি প্রকাশ করেছে র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ, যেখানে বাজিমাত করেছেন সিরাজ। এর আগে একবার শীর্ষ বিশের মধ্যে এসেছিলেন এই ডানহাতি পেসার। সেটা ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে।
ওভালে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়া সিরাজ পুরো সিরিজেই ছিলেন অন্যতম সেরা বোলার। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের দেওয়া ৩৭৪ রানের লক্ষ্যে দারুণভাবে এগিয়ে চলা ইংলিশদের তিনি আটকে দেন ফাইফার নিয়ে, আর দলকে মাত্র ৬ রানে। ম্যাচ সেরার খেতাবও জেতেন সিরাজই।
ভারতের এই জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন আরেক পেসার প্রাসিধ কৃষ্ণও। দুই ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে তিনি দিয়েছেন বড় লাফ। ২৫ ধাপ উন্নতিতে উঠে এসেছেন ৫৯তম স্থানে, যা তারও ক্যারিয়ার অবস্থান।
দল হারলেও ইংল্যান্ডের পেসারদের জন্যও রয়েছে ভালো পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি। ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেরা দশে (১০ নম্বর) জায়গা করে নিয়েছেন গাস আটকিনসন, যেখানে যৌথভাবে তার সাথে দশে আছেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। আরেক ডানহাতি পেসার জস টাং উঠে এসেছেন ৪৬তম স্থানে, তার উন্নতি ১৪ ধাপ।
টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ তিনে আগের মতোই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, কাগিসো রাবাদা ও প্যাট কামিন্স। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে শীর্ষ ২৫-এর মধ্যে আছেন কেবল মেহেদি হাসান মিরাজ। এক ধাপ উন্নতি করে তিনি আছেন ২৫তম স্থানে।
ভারত-ইংল্যান্ডের ২-২ সমতায় শেষ হওয়া এই সিরিজের দারুণ কিছু ইনিংস খেলা ইয়াশাশভি জয়সওয়াল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করেন শতক। তিন ধাপ উন্নতিতে ভারত ওপেনার এখন আছেন পঞ্চম স্থানে। একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জো রুট ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান।
আরেক ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে উঠে এসেছেন দুইয়ে। ফলে তিনি নেমে যেতে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনকে। ব্যাটারদের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা অবস্থান মুশফিকুর রহিমের, তিনি আছেন ৩২ নম্বরে।
আর অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক সিরিজ কাটানো ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা (৪০৫ রেটিং পয়েন্ট)। দুইয়ে আছেন মিরাজ (৩০৫ রেটিং পয়েন্ট)।