৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
ক্রিকেট ইতিহাসে অসংখ্য কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার দাপট দেখিয়েছেন। তবে ক্যারিয়ারসেরা আইসিসি রেটিংয়ের ভিত্তিতে বাছাই করলে অনেক কিংবদন্তিই সেরা দশে জায়গা পাননি। সম্প্রতি উইজডেনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সর্বকালের সেরা ১০ পেসারের তালিকায় নেই ওয়াসিম আকরাম, জিমি অ্যান্ডারসন, জসপ্রীত বুমরাহর মতো তারকারা পেসাররা।
আইসিসি প্লেয়ার রেটিং সিস্টেম চালু হয় ১৯৮৭ সালে। পরবর্তীতে অতীতের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও এটি প্রয়োগ করা হয়। রেটিং সর্বোচ্চ ১০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত হতে পারে। কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান সর্বোচ্চ ৯৬১ রেটিং পেয়েছিলেন। বোলারদের মধ্যে সিডনি বার্নস শীর্ষে আছেন ৯৩২ রেটিং নিয়ে। এখন পর্যন্ত ১৮ জন পেসার টেস্টে ৯০০ রেটিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
আরও পড়ুন
১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট |
![]() |
আইসিসির রেটিং অনুযায়ী সর্বকালের সেরা পেসারদের তালিকা
সিড বার্নস
২৭ টেস্ট, ১৮৯ উইকেট, গড় ১৬.৪৩, ২৪ বার ইনিংসে ৫ উইকেট
সেরা রেটিং: ৯৩২
বার্নসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৯০১ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত, তাঁর ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ার দীর্ঘ ২৩ বছর, যেখানে তিনি ৭১৯ উইকেট নেন, বোলিং গড় ১৭.০৯। খেলায় সবচেয়ে ভালো বোলারদের মধ্যে বার্নসকে সবচেয়ে এগিয়ে ধরা হয়। পরিসংখ্যান বলে কোনো বোলার টেস্টে তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট নেননি এরচেয়ে কম গড়ে। আইসিসি টেস্ট বোলিং রেটিংয়ে তাঁর চেয়ে উচ্চে পৌঁছায়নি।
বার্নস প্রথমবার ৯০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেন ১৯১২ সালে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট এবং ২৯ রানে ৮ উইকেট নেওয়ার পর। এরপর তিনি কখনও ৯০০-এর নিচে নামেননি। শীর্ষ রেটিং অর্জন তাঁর শেষ টেস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে। দুই ইনিংসেই ৭টি করে উইকেট নেন, ম্যাচে ১৪-১৪৪ নিয়ে শেষ করেন।
আরও পড়ুন
ড্র-ই ম্যাচের ন্যায্য ফল, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
জর্জ লোহম্যান
১৮ টেস্ট, ১১২ উইকেট, গড় ১০.৭৫, ইনিংসে ৫ উইকেট ৯ বার
সেরা রেটিং: ৯৩১
ইমরান খান
৮৮ টেস্ট, ৩৬২ উইকেট, গড় ২২.৮, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৩ বার
সেরা রেটিং: ৯২২
যৌথভাবে গ্লেন ম্যাকগ্রা
১২৪ টেস্ট, ৫৬৩ উইকেট, গড় ২১.৬৪, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৯ বার
সেরা রেটিং: ৯১৪
যৌথভাবে প্যাট কামিন্স
৭১ টেস্ট, ৩০৯ উইকেট, গড় ২২.১০, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৪ বার
সেরা রেটিং: ৯১৪
যৌথভাবে কার্টলি অ্যামব্রোস
৯৮ টেস্ট, ৪০৫ উইকেট, গড় ২০.৯৯, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯১২
যৌথভাবে ভেরন ফিল্যান্ডার
৬৪ টেস্ট, ২২৪ উইকেট, গড় ২২.৩২, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩ বার
সেরা রেটিং: ৯১২
আরও পড়ুন
লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় জিম্বাবুয়ের |
![]() |
ইয়ান বোথাম
১০২ টেস্ট, ৩৮৩ উইকেট, গড় ২৮.৪০, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৭ বার
ক্যারিয়ারসেরা রেটিং: ৯১১
যৌথভাবে ম্যালকম মার্শাল
৮১ টেস্ট, ৩৭৬ উইকেট, গড় ২০.৯৪, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯১০
যৌথভাবে রিচার্ড হ্যাডলি
৮৬ টেস্ট, ৪৩১ উইকেট, গড় ২২.২৯, ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
শন পোলক
১০৮ টেস্ট, ৪২১ উইকেট, গড় ২৩.১১, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
ডেল স্টেইন
৯৩ টেস্ট, ৪৩৯ উইকেট, গড় ২২.৯৫, ইনিংসে ৫ উইকেট ২৬ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
ওয়াকার ইউনিস
৮৭ টেস্ট, ৩৭৩ উইকেট, গড় ২৩.৫৬,, ইনিংসে ৫ উইকেট ২২ বার
সেরা রেটিং: ৯০৯
No posts available.
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:০৫ পিএম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম
আগেই দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সিরিজের ট্রফি জেতার কোনো সুযোগ ছিল না ইংল্যান্ডের। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে তাই যেন প্রথম দুই ম্যাচের প্রতিশোধ একেবারেই নিয়ে নিলো স্বাগতিকরা।
ম্যাচ জুড়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ে শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের বিশ্ব রেকর্ড লিখেই থেমেছে হ্যারি ব্রুকের দল। জ্যাকব বেথেল ও জো রুটের সেঞ্চুরিতে ৪১৪ রানের পুঁজি নিয়ে জফ্রা আর্চার ও আদিল রশিদের বোলিং ৩৪২ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড।
বিশাল এই জয়ে রেকর্ড বইয়ে তোলপাড় করে ফেলেছে ইংলিশরা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব রেকর্ড
৩৪২
ওয়ানডে ইতিহাসে রানের হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। এত দিন রেকর্ড ছিল ভারতের। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১৭ রানে জিতেছিল তারা।
সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয়ের পঞ্চম ঘটনা এটি।
ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ছিল ২৪২ রানের। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এত বড় ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
আর দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পরাজয় ছিল ২৭৬ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই গত মাসে হেরেছিল তারা।
আরও পড়ুন
আর্চারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জিতল ইংল্যান্ড |
![]() |
৭২
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৯ রানে অল আউট হয়েছিল প্রোটিয়ারা।
২০.৫
আর্চারের গতি ঝড়, আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে মাত্র ২০.৫ ওভারে শেষ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ওয়ানডেতে এর চেয়ে দ্রুত আর মাত্র একবার অলআউট হয়েছে তারা। সেটিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ম্যানচেস্টারে ২০১৮ সালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২০.৪ ওভারে ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল সফরকারীরা।
৭ রানে ৪ উইকেট
আর্চারের তোপে মাত্র ৭ রানে প্রথম ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর চেয়ে কম রানে তাদের ৪ উইকেট হারানোর ঘটনা আছে আর মাত্র একটি।
২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার ম্যাচে ৬ রানে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ৪ উইকেট।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান করেও জিতল না জিম্বাবুয়ে |
![]() |
৪১৪
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। তাদের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৯৯ রান। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর।
৪০০
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০০ রানের দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডে ভারতের পাশে বসেছে ইংল্যান্ড। দুই দলই সমান ৭ বার করে ৪০০ রান করেছে। সবচেয়ে বেশি ৮ বার চারশ করে রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে।
ইংল্যান্ডের ৭টি চারশ রানই এসেছে ২০১৫ সালের পর। গত দশ বছরে তাদের চেয়ে বেশি চারশ রান করতে পারেনি আর কোনো দল।
কনিষ্ঠ বেথেল
স্বীকৃত ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে মাত্র ৮২ বলে ১১০ রান করেছেন জ্যাকব বেথেল। মাত্র ২২ বছর ৩১৯ দিন বয়সে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ওয়ানডেতে এখন ইংল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম ব্যাটার তিনি।
১৯৭৮ সালে ২১ দিন ৫৫ দিন বয়সে ও ১৯৭৯ সালে ২১ বছর ৩০৯ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড গাওয়ার।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড |
![]() |
কোডি ইউসুফ
ওয়ানডে অভিষেকে নিজ দলের করুণ দশা দেখলেন কোডি ইউসুফ। তিনি নিজেও ১০ ওভারে খরচ করে ফেলেন ৮০ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডে অভিষেকে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। এতদিন রেকর্ডটি ছিল ডোয়াইন অলিভারের। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৭৩ রান দিয়েছিলেন অলিভার।
নান্দ্রে বার্গার
ম্যাচে ইউসুফের চেয়েও খরুচে বোলিং করে ১০ ওভারে ৯৫ রান দেন নান্দ্রে বার্গার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় খরুচে বোলিং এটি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৬ সালে ১০ ওভারে ৯৬ রান দিয়েছিলেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি ডেল স্টেইন। আর বার্গারের সমান ৯৫ রান দেওয়ার নজির আছে ওয়েইন পার্নেলের।
ইনিংস বিরতিতে যেন ভোজবাজির মতো বদলে গেল সব। যেখানে একের পর এক বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড, সেই একই উইকেটে দাঁড়াতেই পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। জফ্রা আর্চারের আগুনঝরা বোলিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড।
সাউদাম্পটনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৪২ রানে হারাল স্বাগতিকরা। ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় জয়ের বিশ্ব রেকর্ড। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৩১৭ রানের জয় ছিল আগের রেকর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ৪১৪ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। জবাবে আর্চারের গতির ঝড় আর আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে মাত্র ৭২ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। পায়ের চোটে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি টেম্বা বাভুমা। তাই ৯ উইকেটে থামে তারা।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান করেও জিতল না জিম্বাবুয়ে |
![]() |
অল্পের জন্য আরেকটি বিব্রতকর রেকর্ডের হাত থেকে বেঁচে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। সিডনিতে ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা।
সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে ৯ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন আর্চার। এই ৪টি উইকেটই নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে নেন এই গতিতারকা। তখন তার বোলিং ফিগার ছিল ৫-৩-৫-৪! অর্থাৎ পাঁচ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট।
এছাড়া আদিল রশিদ ১৩ রানে নেন ৩ উইকেট। আর্চারের নতুন বলের সঙ্গী ব্রাইডন কার্স নেন ৩৩ রানে ২ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন সাত নম্বরে নামা কর্বিন বশ। আট নম্বরে নামা কেশভ মহারাজের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এই দুজনের কল্যাণেই মূলত পঞ্চাশের আগে গুটিয়ে যায়নি আগেই সিরিজ জিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড |
![]() |
বিশ্ব রেকর্ড গড়লেও সিরিজের ট্রফি জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। কারণ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই ২৭ বছরের অপেক্ষা দূর করেছে প্রোটিয়ারা।
এর আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৫ উইকেটে ৪১৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। এর আগে সফরকারীদের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৯৯ রান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের পঞ্চম সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
ইংল্যান্ডের রেকর্ডের দিনে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কোডি ইউসুফের। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৮০ রান, ছিল উইকেটশূন্য। ওয়ানডে অভিষকে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার এখন তিনি।
আরও পড়ুন
সিনারের পাঁচ না আলকারাজের ছয় |
![]() |
তবে এই ম্যাচে ইউসুফের চেয়েও বেশি রান বিলিয়েছেন নান্দ্রে বার্গার। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৫ রান। এটাই ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং এই পেসারের।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংলিশ ব্যাটাররা। ওপেনার জেমি স্মিথ ৪৮ বলে ৬২ ও বেন ডাকেট করেন ৩১ রান। তিন ও চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেন রুট ও বেথেল। ৯৬ বলে ১০০ রান আসে রুটের ব্যাট থেকে। ওয়ানডেতে ১৯তম সেঞ্চুরি করতে ৬টি চার মারেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
বেথেল অবশ্য আক্রমণাত্মক ছিলেন বেশি। ৮২ বলে ১১০ রান করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ছিল ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৩২ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। ৮ বলে ১৯ রান করেন উইল জ্যাকস। করবিন বোশ ও কেশভ মহারাজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
আগের দুই টি-টোয়েন্টিতে একটি করে জেতায় শেষ ম্যাচ হয়ে ওঠে অঘোষিত ফাইনাল। তবে রান বন্যার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল শ্রীলঙ্কা। হারারেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করেও বোলিংয়ের দৈন্যতায় হেরে গেছে স্বাগতিকেরা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। তাদিওয়ানাশে মারুমানির ফিফটি, সিকান্দার রাজা-শন উইলিয়ামসদের কয়েকটি কার্যকর ইনিংসের সৌজন্যে ৮ উইকেটে ১৯১ রানের বড় স্কোর তোলে জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে গত বছর কলম্বোয় করা ১৭৮ রান ছিল তাদের সর্বোচ্চ ইনিংস।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড |
![]() |
১৯২ রানের লক্ষ্য বড় হলেও সেটা মামুলি বানিয়ে ফেলেছেন লঙ্কান ব্যাটাররা। ১৭.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সে লক্ষ্য তাড়া করে তারা। ওপেনিং জুটিতে পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস যোগ করেন ৫.২ ওভারে ৫৮ রান। নিসাঙ্কা ২০ বলে ৩৩ ও কুশল ১৭ বলে ৩০ রান করেন।
তৃতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১১৭ রানের অসাধারণ এক অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কামিল মিশারা ও কুশল পেরেরা। ৩ ছক্কা ও ৬টি চারে ৪৩ বলে ৭৩ রান করেন মিশারা। ২ ছক্কা ও ৪টি চারে ২৬ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন পেরেরা।
তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মারুমানির ৫১, রাজার ২৮, উইলিয়ামসের ২৩ ও রায়ান বার্লের ২৬ রানের কল্যাণে ১৯১ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ আগেই হেরে গেছে ইংল্যান্ড। শেষ ওয়ানডেতে নিজেদের পাওয়ার তেমন কিছুই নেই। সুযোগ শুধু ধবলধোলইয়ের লজ্জা এড়ানোর। এমন ম্যাচেই তাণ্ডব চালালেন ইংলিশ ব্যাটাররা। জো রুট ও জ্যাকব বেথেলের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল তারা।
সাউদাম্পটনে শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৫ উইকেটে ৪১৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। এর আগে সফরকারীদের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৯৯ রান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের পঞ্চম সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
আরও পড়ুন
সিনারের পাঁচ না আলকারাজের ছয় |
![]() |
ইংল্যান্ডের রেকর্ডের দিনে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা হলো দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কোডি ইউসুফের। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৮০ রান, ছিল উইকেটশূন্য। ওয়ানডে অভিষকে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলার এখন তিনি। তবে এই ম্যাচে ইউসুফের চেয়েও বেশি রান বিলিয়েছেন নান্দ্রে বার্গার। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৫ রান। এটাই ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং এই পেসারের।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংলিশ ব্যাটাররা। ওপেনার জেমি স্মিথ ৪৮ বলে ৬২ ও বেন ডাকেট করেন ৩১ রান। তিন ও চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেন রুট ও বেথেল। ৯৬ বলে ১০০ রান আসে রুটের ব্যাট থেকে। ওয়ানডেতে ১৯তম সেঞ্চুরি করতে ৬টি চার মারেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
বেথেল অবশ্য আক্রমণাত্মক ছিলেন বেশি। ৮২ বলে ১১০ রান করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ছিল ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৩২ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। ৮ বলে ১৯ রান করেন উইল জ্যাকস। করবিন বোশ ও কেশভ মহারাজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে নিয়ে আগামী নভেম্বরে নিজ দেশে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করবে পাকিস্তান। তাদের ঘরের মাঠে এটিই হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ।
রাওয়ালপিন্ডিতে আগামী ১৭ নভেম্বর শুরু হবে এই সিরিজটি। ওই মাঠে হবে আসরের প্রথম দুইটি ম্যাচ। এরপর বাকি ম্যাচগুলো হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচ হবে ২৯ নভেম্বর।
রাউন্ড রবিন লিগে একে অপরের বিপক্ষে দুইটি করে ম্যাচ খেলবে দুই দল। পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে শেষ হবে এই সিরিজ।
আরও পড়ুন
বোলিং পরীক্ষায় পাস প্রোটিয়া স্পিনার |
![]() |
চলতি মৌসুমে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ বদলে হয়ে গেল ত্রিদেশীয় সিরিজ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের। সেখানে আমিরাতকে যুক্ত করে আয়োজন করা হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
একইভাবে পাকিস্তানের মাঠে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। এখন ওই টি-টোয়েন্টি সিরিজের বদলে হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। তবে ওয়ানডে সিরিজটিও বাতিল করা হয়নি। শিগগিরই ওই সিরিজের সূচি প্রকাশ করা হবে।