গুগুল বলছিল, আপনি গোয়ালিয়রের তাপমাত্রা অনুভব করবেন ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাস্তবতায় আরো বেশি টের পাওয়ার কথা টাইগার পেসারদের।
৮ জুলাই, ২০২৩। গুনে গুনে ৪৫৩ দিন একটা ম্যাচও খেলা হয়নি ইবাদত হোসেনের। ভারতের সাথে স্কোয়াডে না থাকলেও ঠিকই ভারতে আসা হয়েছে সিলেট রকেটের। রিহ্যাব প্রক্রিয়ায় আসা এই ভারত সফরে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দিনের অনুশীলনে বাংলাদেশ পেইস ডিপার্টমেন্ট ব্যস্ত সময় পার করেছে। ইবাদত, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম সবাই ছিলেন যেখানে।
ভিন্ন ভিন্ন পেইসারের ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। একাদশে সুযোগ মিলবে কার? তা নিয়েও চলবে মধুর লড়াই।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা থেকে অনুশীলন করার কথা ছিল টাইগারদের। তীব্র গরমেও তা চলেছে টানা ঘণ্টা দুই। পেসারদের দিয়ে শুরু, শেষেও তাই। পেসাররা লম্বা সময়ের বোলিং অনুশীলনের পর শেষে করেছেন নিজেদের ব্যাটিং অনুশীলন।
মাঝে অবশ্য লিটন দাস, তানজিদ তামিম, তাওহীদ হৃদয়রাও করে গেছেন টানা ব্যাটিং অনুশীলন। ব্যস্ত দেখা গিয়েছে ভারত সিরিজের দলে ডাক পাওয়া রাকিবুল হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনরাও।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকছেন না স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। সাথে এই অভিজ্ঞ কোচের বিকল্প হিসেবে দেশি কোনো কোচও পাঠাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
অন্য জায়গায় চুক্তি থাকায় উইন্ডিজ সফরে যাবেন না বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ। এখন দিন অনুয়ায়ী চুক্তি হলেও বিসিবির ভাবনায় অবশ্য মুশতাকের সাথে লম্বা সময়ের চুক্তিতে যাওয়ার।
আরও পড়ুন
জয়-সাদমানদের অভিজ্ঞ হতে আরও সময় দিতে চান স্পিন কোচ মুশতাক |
চলতি বছরের এপ্রিলে মুশতাককে স্পিন কোচ হিসেবে উড়িয়ে আনে বিসিবি। প্রাথমিকভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি হয়। পরবর্তীতে সিরিজভিত্তিক কাজ শুরু করেন এই কোচ।
দৈনিক ৬৫০ ডলার বেতনে সিরিজ ভিত্তিক বাংলাদেশে কাজ করছেন পাকিস্তানি কোচ মুশতাক। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ও সদ্য শেষ হওয়া আফগানিস্তান সিরিজেও ছিলেন এই কোচ। মাঝে আবার ভারত সফরে ছিলেন না এই ৫৩ বছর বয়সী। এবার থাকবেন না উইন্ডিজেও।
আরও পড়ুন
বিশ্বাস রেখে জেতার মন্ত্রে খেলতে চান কোচ মুশতাক |
২২ ও ৩০ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে আর তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজটি শুরুই হবে অ্যান্টিগা টেস্ট দিয়ে।