একাদশে আসল বেশ কয়েকটি পরিবর্তন। তবে বড় স্কোর গড়ায় তাতে পড়ল না প্রভাব। তানজিদ হাসান তামিমের দুর্দান্ত এক ফিফটির সাথে অন্য ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদানে দুইশ প্লাস স্কোর পেয়ে জয়ের সুবাসই পাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে বিশ্বাসকে সঙ্গী করে সাহসী ক্রিকেট খেলল সংযুক্ত আরব আমিরাত। অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। শেষের দিকে কিছুটা পথ হারালেও নিজের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েই মাঠ ছাড়ল স্বাগতিকরা।
শারজাহতে দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছে ২ উইকেটে। ৫ উইকেটে ২০৫ রান তুলেছিল সফরকারীরা। ১ বল হাতে রেখেই সেই রান তাড়া করেছে আমিরাত। তাতে সিরিজে সমতা এখন ১-১ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন
লম্বা হল বাংলাদেশ-আমিরাত সিরিজ |
![]() |
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী বুধবার একই ভেন্যুতে।
বিশাল রান তাড়ায় ঠিক আগের ম্যাচের মতোই ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে শুরু থেকেই চড়াও হন আমিরাতের ওপেনাররা। শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম বলেই আসে চারের মার। দ্বিতীয় ওভারে তানভীর ইসলাম হজম করেন চার ও ছক্কা।
তানজিম হাসান সাকিবের প্রথম ওভারেও আসে ১১ রান। তবে ঝড় বয়ে যায় অভিষিক্ত নাহিদ রানার ওপর দিয়ে। গতিময় এই পেসারের এই ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ডেলিভারিটিই হয় নো বল। ফ্রি-হিটে খান ছক্কা, যেটা হয় আরেকটি নো বল। আরও দুই চার হজমে শেষ পর্যন্ত ওভারে গুনেন ১৮ রান।
ছয় ওভারে ৬৮ রান তুলে আমিরাত শিবিরে জয়ের আশা বাড়িয়ে দেন ওয়াসিম ও মুহাম্মদ জোহাইব। সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি করার পথে ফিরতি স্পেলেও নাহিদকে বেদম মার দেন আমিরাত অধিনায়ক। তিনটি চার সহ এই দফায় নাহিদ দেন ১৪ রান।
শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার ৩৮ রানে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জোহাইবকে। এরপর রাহুল চোপড়াকে ফিরিরে দেন রিশাদ হোসেন।
আরও পড়ুন
পিএসএল দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার আশায় মিরাজ |
![]() |
তবে সেই চাপ সরিয়ে বড় শটের পসরা সাজিয়ে বাংলাদেশ বোলারদের দিশেহারা করে ফেলেন ওয়াসিম। সাথে যোগ দেন আগের ম্যাচে ঝড়ো এক ইনিংস খেলা আসিফ খান, তানজিমকে হাঁকান টানা দুই ছক্কা।
বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ যখন ক্রমেই ফসকে যাওয়ার পথে, সেই সময়ে ত্রাতা হিসেবে হাজির হন শরিফুল। টাইমিংয়ে গড়বর করে বিপজ্জনক ওয়াসিম ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পেছনে, যা গ্লাভসবন্দী করতে ভুল হয়নি জাকেরের। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ওয়াসিমের মাত্র ৪২ বলে ৮২ রানের টর্নেডো ইনিংস।
নিজের তৃতীয় ওভারেই খরুচে নাহিদ দুটি চার হজম করলেও ফেরান আফিফ খানকে। দুর্দান্ত এক স্পেল করা রিশাদ তার শেষ ওভারে দেখা পান উইকেটের। নাহিদকে একটি ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেওউয়া আরিয়ানশ শর্মা ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন একই বোলারের হাতে।
নাহিদ তার স্পেল শেষ করেন চার ওভারে ৫২ রানে ২ উইকেট নিয়ে। ২০ ওভারে ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে অভিষেকে ৫০ বা তার বেশি রান দিয়েছেন ইবাদত হোসেন ও শরিফুল।
১৯তম ওভারে প্রথম বলে শরিফুল উইকেট পেলেও নার্ভ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন এরপর। চার ও ছক্কা তো হয়ই, সাথে তার করা ওভারথ্রো থেকে বাড়তি চারটি রানও পেয়ে আমিরাত। শেষ ওভারে তাতে সমীকরণ দাঁড়ায় জয়ের জন্য মাত্র ১২ রানের।
তানজিমের করা দ্বিতীয় ডেলিভারি ছিল লো ফুলটস, মিড অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দেন ধ্রুব পারেশ্বর। তবে পরের বলে ঘুরে দাঁড়ান বোলার। স্লোয়ারে করে দেন বোল্ড। তবে শেষ পর্যন্ত আর তাল সামলাতে পারেননি তানজিম। প্রথমবারের মত বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় আমিরাত।
চার পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজানো বাংলাদেশ ম্যাচটি খেলতে নামে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমনকে ছাড়াই। চোটের কারণে তাকে দেওয়া হয় বিশ্রাম। অধিনায়ক লিটন ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই ছিলেন না সাবলীল।
তবে অন্যপ্রান্তে তানজিদ ছিলেন ঠিক বিপরীত ছন্দে। প্রথম ওভারেই একটি ছক্কার পাশাপাশি তার ব্যাট থেকে আসে দুটি চার। তার সাথে তাল মিলিয়ে কিছুটা আগ্রাসন দেখিয়ে টানা দুটি বাউন্ডারি হাঁকান লিটন। ১০ রানে ধ্রুভ পারেশ্বরের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
ইমনের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের |
![]() |
এরপর তাকে দর্শক বানিয়ে ঝড় তোলেন তানজিদ। চার-ছক্কার মহড়ায় মাত্র ২৫ বলে করে ফেলেন ফিফটি, যা তাকে জায়গা করে দেয় দারুণ এক রেকর্ডবুকে।
তানজিদ ফিফটি অর্ধশতক পূরণ করেন পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন কেবল দুজন। প্রথম জন ছিলেন নাজিমুদ্দিন, ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর অন্যটি লিটনের করা, ভারতের বিপক্ষে ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে।
এই ম্যাচে অবশ্য লিটন অধিকাংশ সময় জুড়েই খোলসবন্দী ছিলেন, রান করেছেন তবে ভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন কয়েকবার। ৯০ রানের জুটিতে মূল অবদান রাখা তানজিদ অবশ্য প্রতিপক্ষের বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন করেই আউট হন ৫৯ রানে। মাত্র ৩৩ বলের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৩ ছক্কায়।
এই সিরিজ দিয়েই টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর শুরুটা হয় উড়ন্ত। ক্রিজে গিয়েই কয়েকটি বড় শটে প্রথম ৯ বলে করে ফেলেন ২০ রান। তবে এরপর কিছুটা ধীরলয়ে এগিয়ে যায় তার ইনিংস।
প্রায় একই চিত্র ছিল লিটনের ব্যাটেও। ক্রিজেব ভালোভাবেই সেট হলেও পারেননি রানের গতি বাড়াতে। ৪০ রান করতে বল খেলে ফেলেন ৩২টি। তবে পাল্টা আক্রমণে আমিরাতের বোলারদের চাপে ফেলে দেন তাওহীদ হৃদয়। হায়দার আলিকে ছক্কার মারার পরের ওভারে চার ও ছক্কায় ওড়ান মুহাম্মদ ওয়াসিমকে।
২৭ রানে শান্তর বিদায়ের পরও তাই পথ হারায়নি বাংলাদেশের ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যামিও উপহার দেন জাকের আলি অনিক। মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহর শিকার হওয়ার আগে তারই ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে আদায় করেন ১৬ রান। জাকের খেলেন ৬ বলে ১৮ রানের ইনিংস।
ফিফটির দিকে এগিয়ে যাওয়া তাওহীদকে থামতে হয় পাঁচ রান দূরে থাকতে। সাঘির খানের বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪ বলে ৪৫ রান করে। তবে তার এই ইনিংসে কারণেই শেষ ওভারে মাত্র চার রান বোর্ডে জমা হওয়ার পরও বাংলাদেশ পায় ২০০ পার করা স্কোর। তবে তাতেই শেষ রক্ষা আর হয়নি।
১৩ আগস্ট ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
১৩ আগস্ট ২০২৫, ১:১১ পিএম
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে গত বছর ফাইনালে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশ এইচপির। রানার্স আপ হয়ে ফিরেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার ডারউনে এবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কাল উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে তারা। তবে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান শাহিনস। টি-টেন স্টেডিয়ামে ম্যাচটি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়ার কথা।
নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আছেন বাংলাদেশ দলে। বোলিং আক্রমণে আছেন রিপন মণ্ডল, মুশফিক হাসান, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা। জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক সার্কিটে পরীক্ষিত না হলেও ঘরোয়া লিগ ও বয়সভিত্তিক খেলায় আলো ছড়িয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের প্রস্তুতি হয়েছে বেশ দারুণ। ডারউইনে নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে স্থানীয় দল ডিআইএক্সআইকে ৩৭ রানের হারান সোহানরা। অচেনা কন্ডিশনে লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে উপকৃত হওয়ার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুলও।
আরও পড়ুন
৩০ ম্যাচে সেঞ্চুরি নেই, ৫ বছর পর তিনে নেমে গেলেন বাবর |
![]() |
ডারউইনের আবহাওয়া-উইকেট সব কিছুই বাংলাদেশের জন্য অচেনা। বাংলাদেশের সঙ্গে সেখানকার উইকেটের ধরনের পার্থক্যও ব্যাপক। প্রস্তুতি ম্যাচে সোহান-রাব্বিরা পেয়েছেন আগাম ধারণা। ম্যাচশেষে কোচ বলেছিলেন, ‘(প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার) সবচেয়ে বড় উপকার হলো খাপ খাইয়ে নেওয়া। এখানে অনেক বাতাস থাকে। তাই কোন লাইন-লেংথে বোলিং করতে হবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে যেই লেংথে বোলিং করে, এখানে সেটা সমস্যা হয়।’
বোলারদের মতো ব্যাটারদেরও হয় দারুণ অভিজ্ঞতা। সে প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘ব্যাটাররা শটস খেলার ক্ষেত্রেও চিন্তা করে যে অনেক বড় মাঠ। তাই বাতাসের পক্ষে বা বাতাসের বিপক্ষে শট খেলা নিয়ে চিন্তা থাকে। এ জন্য অনেক কিছুই বুঝে নেওয়ার বিষয় ছিল। তাই প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলে খুব উপকার হয়েছে।’
প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ তোলে ৫ উইকেটে ১৮১ রান। ধারণা পাওয়া যায়, রানপ্রসবা উইকেটই হতে পারে টুর্নামেন্টে।
বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক দিক হতে পারে সোহানের দক্ষ নেতৃত্ব। এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বিপিএল, এনসিএল, ডিপিএলে নেতৃত্ব দিয়েছেনে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ এবার টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে।
আরও পড়ুন
ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে হেনরি |
![]() |
পাকিস্তান শাহিনসে আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক মোহাম্মদ ইরফান খান, আহমেদ দানিয়াল, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রররা। সঙ্গে খাজা নাফে, উবাইদ শাহ, ফয়সাল আকরামদের মতো তরুণ্যের মিশ্রণ।
১৬ আগস্ট নেপাল, ১৭ আগস্ট পার্থ স্কর্চার্স, ১৯ অগাস্ট নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক, ২১ আগস্ট মেলবোর্ন স্টার্স এবং ২৩ আগস্ট অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলবেন নুরুল হাসান সোহানরা।
বড় ইনিংস খেলতে যেন ভুলেই গেছেন বাবর আজম। প্রায় দুই বছর ধরে ওয়ানডে তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই কোনো সেঞ্চুরি নেই পাকিস্তানের তারকা ব্যাটারের। এর মাশুল দিয়ে প্রায় ৫ বছর পর র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দুইয়ের বাইরে চলে গেলেন বাবর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে ৪৭, ০ ও ৯ রান করে আউট হন বাবর। এই ব্যর্থতার কারণে আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ পিছিয়ে গেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
র্যাঙ্কিংয়ের সবশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, ৭৫১ রেটিং নিয়ে এখন তিন নম্বরে আছেন বাবর। প্রায় পাঁচ মাস ধরে কোনো ওয়ানডে না খেললেও, বাবরের ব্যর্থতায় এক ধাপ এগিয়ে দুই নম্বরে উঠে গেছেন রোহিত শর্মা (৭৫৬)।
আরও পড়ুন
ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে হেনরি |
![]() |
আর নিজের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের তরুণ ওপেনার শুবমান গিল (৭৮৪)।
২০২০ সালের নভেম্বরের পর এবারই প্রথম সেরা দুইয়ের বাইরে গেলেন বাবর। ওই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চমৎকার সিরিজ কাটিয়ে তিন নম্বর থেকে দুইয়ে উঠে যান তিনি। এরপর টানা প্রায় পাঁচ বছর সেরা দুইয়েই থাকেন বাবর। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই তিনি ছিলেন শীর্ষে।
তবে র্যাঙ্কিংয়ে যে পতন আসবে বাবরের, সেটি বোঝাই যাচ্ছিল। কারণ গত দুই বছর ধরে ওয়ানডেতে কোনো সেঞ্চুরি নেই তার। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
এরপর ৩০ ম্যাচের ২৯ ইনিংসে ৯টি ফিফটি করলেও কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি বাবর। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে তার ফিফটি শুধু একটি। এই ৩০ ম্যাচে ৩৬.০৭ গড়ে বাবরের সংগ্রহ ৯৩৮ রান। অথচ তার ক্যারিয়ার গড় ৫৪-র বেশি।
নেপালের বিপক্ষে ওই সেঞ্চুরির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই আর সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি ৩০ বছর বয়সী তারকা ব্যাটার। এই সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে খেলা ৭২ ইনিংসে বাবরের ফিফটি মাত্র ১৮টি। এছাড়া ১৭ ম্যাচে আউট হয়েছেন দশ রান করার আগেই।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং না বোলিং- কোনটি বেশি ভালো, উত্তর দিলেন সাকিব |
![]() |
সব মিলিয়ে ব্যর্থতার ধারা ক্রমেই বাড়ছে বাবরের। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ায় সহসাই তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও পাবেন না। কেননা নিকট ভবিষ্যতে পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে বা টেস্ট সিরিজ নেই। তাই রানে ফিরতে কিছু দিন অপেক্ষাই করতে হবে বাবরের।
সাদা পোশাকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন ম্যাট হেনরি। আইসিসি টেস্ট বোলারদের তালিকায় ক্যারিয়ার সেরা তিন নম্বরে উঠে গেলেন নিউ জিল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বুধবার র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৮০০ রেটিং স্পর্শ করে চার নম্বরে ওঠেন হেনরি। পরের ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে আরও এক ধাপ লাফিয়ে ৮৪৬ রেটিং নিয়ে তিন নম্বরে উঠলেন হেনরি।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যত রেকর্ড |
![]() |
তার সামনে এখন শুধু জাসপ্রিত বুমরাহ (৮৮৯) ও কাগিসো রাবাদা (৮৫১)।
টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় বড় লাফ দিয়েছেন হেনরির তিন সতীর্থ রাচিন রাভিন্দ্রা (২৩ ধাপ এগিয়ে ১৫), ডেভন কনওয়ে (৭ ধাপ এগিয়ে ৩৭) ও হেনরি নিকোলস (৬ ধাপ এগিয়ে ৪৭)।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সেরা দশে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড। তার সতীর্থ ক্যামেরন গ্রিন ৬ ধাপ এগিয়ে ২৩ নম্বরে উঠেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি করে ৮০ ধাপ এগিয়েছেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। বর্তমানে ২১ নম্বরে আছেন তিনি। এছাড়া ১২ ধাপ এগিয়ে ২৭ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন তার স্বদেশি ট্রিস্টান স্টাবস।
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট ও বল হাতে সমান তালে পারফর্ম করা ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব বেশি নেই। জেনুইন অলরাউন্ডারদের সেই বিরল তালিকার একজন সাকিব আল হাসান। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, ব্যাটার না বোলার- কোন সাকিব এগিয়ে? উত্তর না দিয়ে দর্শকদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন সাকিব।
অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে মঙ্গলবার সেইন্ট কিটসে পৌঁছে গেছেন সাকিব। তাকে স্বাগত জানানো ভিডিওবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে অ্যান্টিগা।
আরও পড়ুন
সাকিব-হাফিজের পাশে বসার অপেক্ষায় ম্যাক্সওয়েল |
![]() |
ভিডিওতে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ব্যাটার সাকিব বেশি ভালো নাকি বোলার সাকিব। উত্তরে তিনি বলেন,
“সেটা মানুষই জাজ করুক (ব্যাটার সাকিব বেশি ভালো নাকি বোলার সাকিব)। আমি আশা করি, এবারের আসরে অ্যান্টিগার হয়ে আমি দুই দিকেই অবদান রাখতে পারব।”
সেইন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে শুরু হবে সিপিএলের নতুন। উদ্বোধনী ম্যাচে সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের মুখোমুখি হবে সাকিবের অ্যান্টিগা।
সিপিএলে সাকিবের চতুর্থ দল অ্যান্টিগা। এর আগে জ্যামাইকা তালাওয়াজ, বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে সিপিএলের মোট পাঁচটি আসরে খেলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
‘সাকিবের সাথে বিসিবির সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি’ |
![]() |
এর মধ্যে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে জ্যামাইকা এবং ২০১৭ সালে বার্বাডোজের হয়ে শিরোপা জিতেছেন সাকিব। এবার অ্যান্টিগার হয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে চান অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
“এখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। আমি অ্যান্টিগা দলে যোগ দিলাম। তারা আমাকে দলে নেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ এবং সিপিএলে খেলতে মুখিয়ে আছি। আমি একাধিক দলের হয়ে একাধিক সিপিএল জিতেছি। আশা করছি, এবার তৃতীয় দলের হয়ে শিরোপা জিততে পারব।”
৪, ৬, ৬, ৬ ও ৪- রশিদ খানের পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি মারলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। পাঁচ বলের ওভার থেকে নিয়ে নিলেন ২৬ রান। সব মিলিয়ে ২০ বলে রশিদ খরচ করলেন ৫৯ রান। যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বোলিং।
বার্মিংহামে মঙ্গলবার রাতে দা হান্ড্রেডের ম্যাচে বার্মিংহাম ফিনিক্সের বিপক্ষে এমন বেধড়ক পিটুনি হজম করেন ওভাল ইনভিন্সিবলসের হয়ে খেলতে নামা রশিদ।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং না বোলিং- কোনটি বেশি ভালো, উত্তর দিলেন সাকিব |
![]() |
একশ বলের এই টুর্নামেন্টের আগের দুই ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার। দুই ম্যাচেই তার হাতে উঠেছিল ম্যাচ সেরার পুরস্কার। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে তালগোল পাকিয়ে গড়েছেন বিব্রতকর রেকর্ড।
দা হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে আর কোনো বোলার এক ম্যাচে এত রান খরচ করেননি। ২০২২ সালে ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের বিপক্ষে ২০ বলে ৫৩ রান দিয়েছিলেন নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের হয়ে খেলতে নামা ডেভিড ভিসা।
এই টুর্নামেন্টে এক ম্যাচে পঞ্চাশের বেশি রান দেওয়ার নজির আছে শুধু ডেভিড পেইন (৫৩) ও স্টিভেন ফিনের (৫১)।
এছাড়া রশিদের ৪৮৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারেও সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০১৮ সালের আইপিএলে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লেগ স্পিনার।
রশিদের এমন বাজে বোলিংয়ের দিনে জিততে পারেনি তার দল ওভালও। ডনোভান ফেরেইরা ২৯ বলে ৬৩ ও জর্ডান কক্স ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ১০০ বলে ১৮০ রান করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ওভাল।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যত রেকর্ড |
![]() |
পরে লিভিংস্টোনের ২৭ বলে ৬৯ ও উইল স্মিডের ২৯ বলে ৫১ রানের সৌজন্যে ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় বার্মিংহাম।
এই ম্যাচে রশিদের ৯ বল খেলে ৩২ রান নেন লিভিংস্টোন। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে রশিদের ১০২ বলে লিভিংস্টোনের সংগ্রহ ২০০ রান। বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে তারকা লেগ স্পিনারের বিপক্ষে ২০০ রান নিলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
৯ ঘণ্টা আগে
১১ ঘণ্টা আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৮ দিন আগে