কানপুর পুড়ছে তীব্র দাবদাহে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও সেটা অনুভূত হচ্ছে ৪০ ডিগ্রির সমান। তবে কানপুরবাসীর জন্য সুখবর, স্বস্তির বৃষ্টি নামতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই। কানপুরের স্থানীয়দের জন্য স্বস্তির হলেও, খবরটা বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের জন্য একেবারেই স্বস্তি বয়ে আনছে না। কারণ, টানা বৃষ্টির সম্ভাবনায় ভেস্তে যেতে পারে কানপুর টেস্টের প্রথম দুটো দিন।
স্থানীয় আবহাওয়ার খবর বলছে, আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে একেবারে রবিবার অবধি আছে বৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা। রবিবার সকালে বৃষ্টি থামার আভাস মিললেও, শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ টেস্টের শুরুর দুইদিনই যথাক্রমে ৯৩ ও ৮০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কানপুরে।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত কানপুরে খুব যে বৃষ্টির উৎপাত- তা কিন্তু নয়। গেল ৩০ বছরের জলবায়ু ডাটা অনুযায়ী, সারা বছর গড়ে ৪১.৪ দিন বৃষ্টি হয়ে থাকে কানপুরে। এর মধ্যে গড়ে ৬ দিনের মতো বৃষ্টি হয় সেপ্টেম্বরে। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই ৬ দিনের ২ দিন হতে যাচ্ছে টেস্টের শুরুর দু’দিন। কানপুরে টেস্টের প্রায় ৭৩ বছরের ইতিহাসে এবারই সবে দ্বিতীয়বার সেপ্টেম্বরে গড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
চেন্নাইয়ে শুরুর টেস্টে ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। যেকোনোভাবেই হোক, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরতে চাইবে শান্ত-মুশফিকরা। যদিও তাঁরা ভালো করেই জানেন অতোটা সহজ হবে না সেই কাজটা। তবে একটা জায়গায় অন্তত আশা খুঁজতে পারেন ক্রিকেটাররা। চেন্নাইয়ের মতো যে লাল মাটিতে খেলা হবে না কানপুরে। বাংলাদেশের মতোই কালো মাটির উইকেটে গড়াবে খেলা।
যদিও মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামের উইকেটের সঙ্গে ঢের পার্থক্য আছে কানপুরের কালো মাটির পিচের। স্পিনবান্ধব উইকেট হলেও পিচটা যথেষ্ট ফ্ল্যাট। কাজেই খুব তীব্র কোনো টার্ন মিলবে না এই উইকেট থেকে। চেন্নাইয়ের আবহাওয়ায় শুরুতে যেমন উইকেটে আর্দ্রতা থাকার সুফল পেয়েছেন পেসাররা, কানপুরে অবশ্য সেরকম কিছুর দেখা মেলার সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টির বাগড়া যত দ্রুত সম্ভব কানপুর ও টেস্টের ভাগ্যাকাশ হতে সরে যাক- এমনটাই চাইবেন দুই দলের ক্রিকেটার ও সমর্থকরা।
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এবছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে এই ট্রফি ঘুরবে একাধিক দেশ। যেখানে থাকবে বাংলাদেশও।
এর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একাধিক ট্রফি এসেছে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার বাংলাদেশে। এবারও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আসবে বাংলাদেশে।
১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসবে ঢাকায়। থাকার কথা তিন দিন। ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশে থেকে ঘুরবে ঢাকা আর কক্সবাজার। বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে টি-স্পোর্টসকে।
৮ বছর পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।