ওয়ানডে রান তাড়ায় বিরাট কোহলি জ্বলে উঠবেন না, এটা যেন কোনোভাবেই হওয়ার নয়। দুবাইয়ের স্লো উইকেটে ভারতের এই ব্যাটিং তারকা আরও একবার জানান দিলেন, কেন তাকে ‘চেজ মাস্টার’ বলা হয়। স্টিভেন স্মিথ ও অ্যালেক্স কেরির ফিফটিতে অবশ্য লড়াকু পুঁজিই পেয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে দুই ওপেনার হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া ভারতের ইনিংস একাই টানলেন সেই কোহলিই। সেঞ্চুরি মিস করলেও তার ইনিংস ভর করে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিল ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। অজিরা গুটিয়ে গিয়েছিল ২৬৪ রানে, শেষের দিকে কিছুটা লড়াই ছাপিয়ে রোহিত শর্মার দল সেই টার্গেট পাড়ি দিয়েছে ১১ বল হাতে রেখে।
আইসিসি ইভেন্টের নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি এখন সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগেরটিও ছিল ভারতেরই।
আরও পড়ুন
সেমিফাইনালে মার্করামের খেলা নিয়ে সংশয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
রান তাড়ায় বেন ডুয়ারসুইসের করা ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই চার হাঁকান রোহিত। এরপর ন্যাথান এলিসকে মারেন ছক্কা। তবে ওই ওভারেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তার দেওয়া সহজ ক্যাচ ফেলে দেন কুপার কনোলি। এরপর ডুয়ারসুইসের বলে আরও একবার উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক, তবে এবার ক্যাচ ফেলে দেন মার্নাস লাবুশেন।
অন্যপ্রান্তে অস্বস্তিতে থাকা শুবমান গিল ইনসাইড-এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান ডুয়ারসুইসের বলে। দারুণ ছন্দে ব্যাট করা রোহিতকে এরপর আক্রমণে এসেই ফিরিয়ে দেন কনোলি। তার বাঁহাতি স্পিনে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে আউট হন ২৮ রানে।
এই উইকেটে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে জাগে জয়ের আশা। তবে শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ক্রমেই ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। দুজন মিলে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের সামাল দেন দারুণ দক্ষতায়। এরই মধ্যে ফিফটি হয়ে যায় কোহলি। এরপর একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি একটা, তবে কনোলির বলে মিড-অফে ডাইভ দিয়েও ক্যাচ নিতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটির ইতি টানেন শেষ পর্যন্ত অ্যাডাম জাম্পা। অভিজ্ঞ এই লেগ স্পিনার আইয়ারকে ৪৫ রানে বোল্ড করে ভাঙেন ৯১ রানের জুটি। পাঁচে নামা আকসার প্যাটেল খেলেন কার্যকর এক ক্যামিও ইনিংস। তবে সেট হওয়ার পর তাকে বোল্ড করে ম্যাচে রোমাঞ্চ ফিরিয়ে আনেন এলিস।
শেষ ১২ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৭২ রান। কোহলি ও লোকেশ রাহুল ভালোভাবেই সেট হওয়ায় ম্যাচ ক্রমেই হেলে যাচ্ছিল ভারতের দিকে। আরও একবার আক্রমণে এসে দারুণ এক গুগলিতে কোহলিকে বিভ্রান্ত করে ক্যাচ বানান জাম্পা। তবে এর আগে মাত্র ৫ চারে ৯৮ বলে ৮৪ রানের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়া ইনিংস উপহার দেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
অধিনায়কত্ব হারিয়ে টি-টোয়েন্টি দল থেকেই বাদ রিজওয়ান, নেই বাবরও |
![]() |
ওই উইকেটের পর ম্যাচে ফের রোমাঞ্চের সম্ভাবনা জাগলেও, রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে ভারতকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। জাম্পার করা শেষ ওভারে টানা দুই ছক্কায় হার্দিক দ্রুত ম্যাচ শেষের কাজ সেরে ফেলেন। শেষ মুহূর্তে ২৮ রানে তিনি আউট হলেও ভারতের জয়ে এর প্রভাব আর পড়েনি। রাহুল অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।
এর আগে দিনের শুরুতে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের বড় হাইলাইট ছিলেন ট্রাভিস হেড। ভারতের বিপক্ষে বারবার সেরা সব ইনিংস খেলা এই মারকুটে ওপেনার এদিনও উড়ন্ত ছন্দেই ব্যাট করছিলেন। চার-ছক্কার মারে আভাস দিচ্ছিলেন বড় কিছুর। তবে এবার তিনি আর পারেননি। আক্রমণে এসেই তাকে ৩৯ রানে ফিরিয়ে দেন ভারুন চক্রবর্তী।
অন্য ওপেনার কনোলি রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। এরপর ভারতের চার স্পিনার দিয়ে সাজানো আক্রমণ সামলে ইনিংস এগিয়ে নেন স্পিনের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সেরা দুই ব্যাটার স্মিথ ও লাবুশেন। জমে ওঠা এই জুটির ভাঙন ধরান রবীন্দ্র জাদেজা। তার শিকার হন লাবুশেন (২৯)।
স্মিথ একপ্রান্ত আগলে খেলেন দুর্দান্ত এক ইনিংস, যেখানে সম্ভাবনা ছিল তার সেঞ্চুরির। তবে ফিরতি স্পেলে এসে মোহাম্মদ শামি তাকে বোল্ড করে দেন ৭৩ রানে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ইনিংস সাজান মাত্র ৪টি চার ও এক ছক্কায়।
২০৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে একটা ফাইটিং স্কোরের দিকে একাই টেনে নেন কেরি। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬১ রানের লড়িয়ে এক ইনিংস। ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ছিলেন পেসার শামি।
No posts available.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৪৫ এম
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য টিকে থাকার ম্যাচ। বাঁচা-মরার ওই ম্যাচে আফগানদের ৮ রানে হারিয়ে গ্রপ ‘বি’ থেকে সুপার ফোরে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখে লিটন কুমার দাসের দল। দারুণ এই জয়ের প্রভাব পড়ল র্যাঙ্কিংয়েও। আইসিসির সবশেষ হালনাগাদে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানকে হটিয়ে নয়ে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট এখন ২২২। আফগানিস্তানের রেটিং পয়েন্টও বাংলাদেশের সমান। তবে ভগ্নাংশে হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে অন্য কোনো দেশের অবস্থানে পরিবর্তন আসে নি। ২৩২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে পাকিস্তান। আর র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করা ভারতের রেটিং পয়েন্ট ২৭১।
গত মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পাকিস্তানের বিপক্ষেও ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ। টানা বাজে পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে নেমে যায় বাংলাদেশ। দশ থেকে নয়ে ওঠে আসে আফগানিস্তান। তারপর শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কুড়ি ওভারে টানা তিনটি সিরিজ জিতে লিটন দাসের দল। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও হংকং ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক এই পারফরম্যান্সের সুফল র্যাঙ্কিংয়ে পেল তারা।
টি-টোয়েন্টিতে সমীহ করার মতো দল আফগানিস্তান। ক্রিকেটের সংক্ষীপ্ততম এই সংস্করণেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে রশীদ খানের দল। মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে আছে আফগানরা। দুই দলের ১৩ বারের দেখায় বাংলাদেশের জয় দেখেছে ৬বার আর পাকিস্তান জিতেছে ৭টি ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আইসিসি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। যার সৌজন্যে একটি চক্রপূরণ হয়েছে ভারতের। এই ফরম্যাটে এখন ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডার- তিন বিভাগেই শীর্ষে ভারতের ক্রিকেটাররা।
ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে তিন ধাপ লাফিয়ে এক নম্বরে উঠে গেছেন বরুণ। গত মার্চ থেকে শীর্ষে অবস্থান করা নিউ জিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফিকে টপকে চূড়ায় বসেছেন ৩৪ বছর বয়সী স্পিনার।
বোলারদের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠা ভারতের তৃতীয় ক্রিকেটার বরুণ। তার আগে জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবি বিষ্ণুই উঠেছিলেন এক নম্বরে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিয়ার সেরা দুই নম্বর পর্যন্ত উঠেছিলেন বরুণ।
এছাড়া ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছেন অভিষেক শর্মা। ৮৮৪ রেটিং নিয়ে ফিল সল্টের (৮৩৮) সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন ভারতের তরুণ ওপেনার। আর অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক নম্বরে আছেন ভারতের অভিজ্ঞ তারকা হার্দিক পান্ডিয়া।
র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন আছে বেশ কিছু। এশিয়া কাপে ভালো বোলিং করে ৬ ধাপ এগিয়ে ৬ নম্বরে উঠেছেন শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান থুসশারা। এছাড়া দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ১৬ ধাপ লাফিয়ে ২৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন কুলদিপ যাদব।
ভারতের আরেক বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ১ ধাপ এগিয়ে ১২, পাকিস্তানের দুই স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ৪ ধাপ এগিয়ে ১১ ও আবরার আহমেদ ১১ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৬ এবং আফগানিস্তানের স্পিনার নুর আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে উঠেছেন।
আরও পড়ুন
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তামিম-সাকিবের উন্নতি |
![]() |
পেসারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ধাপ এগিয়ে ৪০, জফ্রা আর্চার ৩ ধাপ এগিয়ে ১৩ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন ৫ ধাপ এগিয়ে এখন ৩৮ নম্বরে অবস্থান করছেন।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ করে এগিয়েছেন ফিল সল্ট ও জস বাটলার। সল্ট এখন দ্বিতীয় ও বাটলার তালিকার তৃতীয় ব্যাটার।
এর বাইরে শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কা ১ ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ২ ধাপ এগিয়ে ১১, আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২ ধাপ এগিয়ে ১৯, আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওয়াসিম ২ ধাপ এগিয়ে ২০, ভারতের শুবমান গুল ৪ ধাপ এগিয়ে ৩৯ নম্বরে আছেন।
এশিয়া কাপে ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন তানজিদ হাসান তামিম ও তানজিম হাসান সাকিব। ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে এগোলেন তামিম। আর বোলারদের তালিকায় লাফ দিলেন সাকিব।
ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ যথারীতি বুধবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।
তামিম, সাকিব ছাড়াও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে জাকের আলি অনিকের। এছাড়া পিছিয়েছেন লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদরা।
আরও পড়ুন
কেমন গেলো সাকিবের সিপিএল |
![]() |
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ৪ ধাপ এগিয়েছেন তামিম। বর্তমানে ৫৬৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩৫ নম্বরে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের তিনিই সবার ওপরে।
এছাড়া ৩ ধাপ এগিয়ে ৫৭ নম্বরে উঠেছেন অনিক। এশিয়া কাপে গড়পড়তা ব্যাটিং করা তাওহিদ হৃদয় ধরে রেখেছেন নিজের ৪৮ নম্বর জায়গা। লিটন কুমার দাস ১ ধাপ পিছিয়ে ৪২ ও পারভেজ হোসেন ইমন ৮ ধাপ পিছিয়ে ৭৫ নম্বরে নেমে গেছেন।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ভারতের অভিষেক শর্মা।
বোলারদের তালিকায় ৫ ধাপ এগিয়ে ৪২ নম্বরে উঠেছেন সাকিব। তবে পিছিয়েছেন তার সামনে থাকা বাংলাদেশের বোলাররা। ৪ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেখ মেহেদি হাসান ২ ধাপ পিছিয়ে ২০ নম্বরে আর তাসকিন এখন ৫ ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে।
রিশাদ হোসেনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিজের ২৪ নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন এই লেগ স্পিনার।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। আর অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন তার স্বদেশি হার্দিক পান্ডিয়া।
অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে থাকা তিনজনই ভারতের।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এলিমিনেটরে শেষ হয়ে গেছে অ্যান্টিগা এন্ড বারবুডা ফ্যালকনস ও সাকিব আল হাসানের এবারের যাত্রা। ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হওয়ার আসরে ব্যাটে-বলে অ্যান্টিগার সেরা পারফর্মারই ছিলেন সাকিব।
গত ১৪ আগস্ট টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অ্যান্টিগার বিদায় নেওয়া পর্যন্ত সবকটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। ১১ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ১৩৮.৪৬ গড়ে তার সংগ্রহ ১৮০ রান। আর ২৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনি শিকার করেন ৬ উইকেট।
আরও পড়ুন
বৃথা গেল সাকিবের তাণ্ডব, বিদায় নিলো দল |
![]() |
সিপিএলের এবারের আসরে অ্যান্টিগার জার্সিতে সাকিবের চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন শুধু দুজন- কারিমা গোর (১০ ইনিংসে ২১৯) ও আমির জাঙ্গু (৪ ইনিংসে ১৮৫)। তবে তাদের দুজনেরই স্ট্রাইক রেট সাকিবের চেয়ে কম।
বোলিংয়েও সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন অ্যান্টিগার দুজন ক্রিকেটার- জেডেন সিলস (১০ ইনিংসে ১০ উইকেট) ও ওবেদ ম্যাকয় (৭ ইনিংসে ৯ উইকেট)।
তবে সাকিবের মতো ব্যাটে-বলে সমান তালে পারফর্ম করতে পারেননি অ্যান্টিগার কোনো ক্রিকেটার। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তিনি দলের সেরা ক্রিকেটার। বলা যায়, অ্যান্টিগার চতুর্থ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সাকিবেরই।
আসরের শুরুটা অবশ্য ঠিক সাকিবসুলভ ছিল না। প্রথম পাঁচ ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ে তেমন অবদান রাখতে পারেননি তিনি। অবশ্য ওই ম্যাচগুলোতে তাকে বোলিংয়ে ব্যবহারই করেননি ইমাদ ওয়াসিম। পাঁচ ম্যাচে তাকে মোট ৫ ওভার বোলিং দেন অ্যান্টিগা অধিনায়ক।
শেষ পর্যন্ত গত ২৪ আগস্ট সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে প্রথম অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান সাকিব। সেদিন ২ ওভারে ১১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। পরে রান তাড়ায় ১৮ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলায় জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সাকিবের সেরা ব্যাটিংয়ের দেখা মেলে সেইন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে ৩১ আগস্টের ম্যাচে। সেদিন চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়ে ৫টি করে চার-ছক্কার মারে মাত্র ২৬ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাকিব।
সেদিন স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩৪.৬১! যা তার ক্যারিয়ারে ফিফটি করা ইনিংসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে কি খেলবে না পাকিস্তান, সিদ্ধান্ত আজ |
![]() |
বুধবার ভোরে ত্রিনবাগোর বিপক্ষে বিদায় নেওয়ার ম্যাচেও ঝড় তোলেন সাকিব। সুনিল নারিনের টানা চার বলে তিন চার ও এক ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে মাত্র ৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ২৬ রানের টর্নেডো ইনিংস। কিন্তু সেটি দলের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
সিপিএল অভিযান শেষ করে এখন কিছু দিন বিরতি পাবেন সাকিব। এরপর আগামী মাসে কানাডার সুপার সিক্সটি (টি-টেন) টুর্নামেন্টে মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের হয়ে খেলার কথা তার।
কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে কানাডা সুপার সিক্সটি টুর্নামেন্ট। ছয় দল ও ছয় দিনের আসরের পর্দা নামবে ১৩ অক্টোবর।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে পাবে না নিউ জিল্যান্ড। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাইকেল ব্রেসওয়েল।
তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য ১৪ জনের দল ঘোষণা করেছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেসি)। দলে ফিরেছেন দুই পেসার কাইল জেমিসন ও বেন সিয়ার্স।
তবে চোটের কারণে দুই অভিজ্ঞ পেসার লকি ফার্গুসন ও অ্যাডাম মিলনেকে পাবে না কিউইরা।
গত মাসে পেটের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন স্যান্টনার। আশা ছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু যথাসময়ে সেরে উঠতে পারেননি তিনি।
এছাড়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গেছেন ফার্গুসন আর পায়ের চোটে খেলতে পারবেন না মিলনে। এর আগে বিভিন্ন চোটে উইল ও'রোরক, গ্লেন ফিলিপস ও ফিন অ্যালেনকে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজে ছিলেন না জেমিসন ও সিয়ার্স। প্রথম সন্তান জন্মের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন জেমিসন। আর চোটের কারণে খেলতে পারেননি সিয়ার্স।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগামী ১, ৩ ও ৪ অক্টোবর হবে সিরিজের ম্যাচগুলো।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড স্কোয়াড:
মাইকেল ব্রেসওয়েল (অধিনায়ক), মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফোকস, ম্যাট হেনরি, বেভন জ্যাকবস, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ, টিম রবিনসন, বেন সিয়ার্স, টিম সেইফার্ট, ইশ সোধি।