বিতর্কটা বেশ পুরনো। ভারতের মাটিতে প্রতিটি টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে থেকে সিরিজ চলাকালীন উইকেট নিয়ে চর্চা বেশ বেড়ে যায়। এর পেছনে বারবার কাঠগড়ায় তোলা হয় অতিমাত্রায় স্পিন সহায়ক উইকেটে, যেখানে থাকেনা ব্যাট-বলের ভারসাম্য। ফলে ম্যাচ আগেভাগে শেষ হওয়ার ঘটনা দেখা মেলে নিয়মিতই। তবে ভারত কোচ গৌতম গম্ভীরের কাছে বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন। বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ব্যাটার মনে করেন, সমালোচনা না করে প্রতিপক্ষ দলগুলোর উচিত ভারতে স্পিন সামলানোর দক্ষতা বাড়ানো।
উইকেট নিয়ে আলোচনা আবার ফিরে আসছে, কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম টেস্ট হবে চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। বরাবরই এখানে স্পিনাররা বাড়তি সহায়তা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত যা দেখা গেছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে প্রথম টেস্টের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে লাল মাটির উইকেট। আর এই ধরণের উইকেটে শুরুতে পেসাররা কিছুটা সহায়তা পেলেও এরপর দাপট দেখাবেন স্পিনাররা। আর অতীতে এই ধরণের উইকেটে প্রায়ই তিন দিনেই ম্যাচ শেষ হওয়ার নজিরও রয়েছে।
সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গটি আসতেই সপাটে ব্যাট চালান গম্ভীর। “ভারত যখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়, তখন দুই দিনেও টেস্ট শেষ হয়। যখন পেসারা অনেক সহায়তা পায়, তখন তো কেউ কথা বলে না। তাই এই বিতর্ক শেষ হওয়া উচিত। আপনি বলতে পারবেন না যে ভারতে দুই দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যায়। প্রতিপক্ষ দলের তাই স্পিন খেলা শেখা উচিত।”
ভারতের স্কোয়াডে আছেন মোট চারজন স্পিনার। বলার অপেক্ষা রাখে না, উইকেটকে মাথায় রেখেই স্পিন আক্রমণ শক্তিশালী রেখেছে স্বাগতিকরা। ধারণা করা হচ্ছে, চেন্নাইয়ে তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজাবে ভারত। গম্ভীর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন, সেটাও আভাস দিচ্ছে স্পিনারদের আধিমত্যময় একটি ম্যাচই হতে চলেছে। আর সেটা হলে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ, কারণ রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, আকসার প্যাটেল ও কুলদীপ যাদবরা। ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তারা ছিলেন সেরা ছন্দে।
তবে স্পিন সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশ দলের জন্যও রয়েছে ইতিবাচক খবর। কারণ, বাংলাদেশ দলে আছেন তিন অভিজ্ঞ স্পিনার সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ ও তরুণ নাঈম হাসান। চারজন টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৬২৭ উইকেট। এই শতকে ভারত সফর করা দলগুলোর স্কোয়াডে এত সমৃদ্ধ স্পিন আক্রমণ আগে দেখা যায়নি।
প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার। এই ম্যাচ ও টেস্ট সিরিজের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও সরাসরি দেখা যাবে টি-স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।