১৪ জুন ২০২৫, ৭:২১ পিএম
নিজের আন্তুর্জাতিক ক্যারিয়ার পরে দেখেছেন কাছ থেকে, আর আগে মাঠের বাইরে থেকেও সাক্ষী জাতীয় দলের একের পর এক হতাশার গল্পের। বারবার শিরোপার খুব কাছে গিয়ে খালি হাতে ফেরার তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেমেছিল দক্ষিন আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই লড়াইয়ে বারদুয়েক হোঁচট খেলেও শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াস অধিনায়ক মনে করেন, এবার ভাগ্য তাদের সহায় হয়েছিল বলেই মিলেছে সাফল্য।
সেই ১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর থেকে ২৭ বছরে দলটি আইসিসি ইভেন্টে সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলেছে এর আগে ২০ বার। প্রতিবারই তুমুল সম্ভাবনা জাগিয়েও তারা পারেনি শেষ হাসি হাসতে। এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এসেছিল টানা সাত ম্যাচ জিতে। এরপরও ছিল শঙ্কা। তবে সেটা উড়িয়ে দিয়ে ৫ উইকেটের জয়ে শিরোপা খরা কেটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
আরও পড়ুন
যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে বাভুমারা, মানছেন কামিন্স |
![]() |
রান তাড়ায় চোট নিয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা বাভুমা ম্যাচের পর জানালেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া।
“শেষ কয়েকটা দিন ছিল অসাধারণ। কিছু কিছু সময়ে তো মনে হচ্ছিল আমরা যেন দক্ষিণ আফ্রিকাতেই খেলছি। আমরা কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, জয়ের বিশ্বাস নিয়ে এখানে এসেছিলাম। যদিও অনেকেই আমাদের নিয়ে সন্দিহান ছিল। ভালো খেলতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমরা বারবার সাফল্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছি, আবার হতাশাও পেয়েছি। এবার সৌভাগ্য আমাদের সাথে ছিল। আশা করি এই জয় দিয়ে আরও অনেক কিছুর সূচনা হতে যাচ্ছে।”
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন পেসার কাগিসো রাবাদা ও ওপেনার এইডেন মার্করাম। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নেওয়া রাবাদা দাঁড়াতেই দেননি অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে। আর প্রথম ইনিংসে ডাক মারা মার্করাম রান তাড়ায় উপহার দেন ১৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস, যা তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস বললেও কমই বলা হবে।
আরও পড়ুন
অবশেষে দ.আফ্রিকার ‘চোকার্স’ ট্যাগ মুক্তির আনন্দ |
![]() |
দুজনের জন্যই বাড়তি প্রশংসা বরাদ্দ বাভুমার।
“কাগিসো রাবাদা আমাদের এই দলের বড় শক্তি। কয়েক দিন আগে আমি 'হল অব ফেম'-এর নতুন সদস্যদের তালিকা দেখছিলাম। আমার বিশ্বাস, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তার নামও সেখানে চলে যাবে। আর এইডেন মার্করামও অসাধারণ ছিল। দলে তার জায়গা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু তার যে মানসিক দৃঢ়তা আছে, সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রাবাদা আর এইডেন দুজনেই দলের হার না মানা মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করেছে।”
বারবার হতাশ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দেশ হিসেবে জয়ের মাহাত্ব কেমন, সেটাও অনুধাবন করতে পারছেন বাভুমা।
“যত বিভক্তই হই না কেন, এটা আমাদের জন্য, আমাদের গোটা জাতির জন্য একটা সুযোগ এক হওয়ার। এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আমরা সবাই একসাথে মিলেমিশেই এই সাফল্য উদযাপন করব।”
২৯ জুলাই ২০২৫, ৭:৪১ পিএম
২৮ জুলাই ২০২৫, ২:১০ পিএম
২৭ জুলাই ২০২৫, ২:৩৪ পিএম
২৭ জুলাই ২০২৫, ২:০২ পিএম
২৬ জুলাই ২০২৫, ৯:৫২ পিএম
প্রায় এক যুগ ধরে দেশে বা দেশের বাইরে যেখানেই অস্ট্রেলিয়া টেস্ট খেলুক না কেন, সেখানে অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টেস্টে সেই নাথান লায়নকে বাদ দিয়েই একাদশ সাজায় অস্ট্রেলিয়া। পেস সহায়ক উইকেটে বাড়তি পেসার নিয়ে খেলে অজিরা অবশ্য পায় বড় জয়ই। দলীয় দিক থেকে সিদ্ধান্তটি সমর্থন করলেও লায়নের হতাশা, এই কন্ডিশনে কেন নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেলেন না তিনি।
ক্যারিবিয়ানের মাটিতে শেষ টেস্ট দিয়ে ২০১৩ সালের পর চোট সমস্যা ছাড়া প্রথমবার টেস্ট একাদশের বাইরে থাকেন লায়নকে। তবে এখানে বড় ভূমিকা ছিল তার ক্রিকেটীয় সামর্থ্য থেকে কন্ডিশনের চাহিদার দিকটি। তৃতীয় টেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে, যা ছিল আবার গোলাপি বলের ম্যাচ। আর তাই অস্ট্রেলিয়া অফ স্পিনার লায়নকে বসিয়ে চারজন পেসার নিয়ে খেলতে নামে।
সম্প্রতি মেলবোর্নে নিজের বিগ ব্যাশ লিগ দল মেলবোর্ন রেনেগেডসের এক কর্পোরেট অনুষ্ঠানে লায়ন জানান, বাস্তবতা মেনে নিলেও বাদ পড়াটা তাকে কষ্ট দিয়েছে।
“এটা তো লুকানোর কিছু নেই। আমি এই সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ হয়েছিলাম। আমার যেটা মনে হয়, আমি বিশ্বের যেকোনো কন্ডিশনে অবদান রাখতে পারি, বলতে পারেন এটা আমার বিশ্বাস। আর মিচেল স্টার্কের সাথে মাঠে নামতে না পারাটাও আমার জন্য সত্যিই কষ্টদায়ক ছিল। আমি তার সাথে ৯০টির মতো টেস্ট খেলেছি। তার ১০০তম টেস্টে একসঙ্গে মাঠে নামতে পারলে সেটা দারুণ হত।”
গোলাপি বল আর পেস সহায়ক উইকেটে ওয়েস্ট ইন্দিজকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে হারায় অস্ট্রেলিয়ার। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে আগুন ঝড়ান স্টার্ক, নিজের ১০০তম টেস্টে বাঁহাতি এই পেসার শিকার করেন ৫ উইকেট। আর লায়নের জায়গায় খেলা স্কট বোল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচে উপহার দেন হ্যাটট্রিকও। টেস্টে ৫৬২ উইকেট পাওয়া একজন বোলারকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত তাই খুব বেশি আলোচনার জন্ম দেয়নি।
ব্যক্তিগতভাবে হতাশা থাকলেও তাই নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের সাথে শতভাগ একমত লায়ন।
“নির্বাচকদের বাহবা দিতেই হবে। তারা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। তাদের যদি আমাকে কোনো ম্যাচে বাদ দিতেই হত, তাহলে সেটা স্কট বোল্যান্ডের মতো কাউকে খেলানোর জন্যই হওয়া উচিত। সে যেভাবে বল করেছে, হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছে, সেটা অসাধারণ ছিল। প্রতিপক্ষকে ২৭ রানে অলআউট হতে দেখাটাও চমৎকার ব্যাপার ছিল।”
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর। এই আসর দিয়ে শুরু হচ্ছে মৌসুম। গতবার ৮টি বিভাগীয় দল পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছিল সিলেটের দুই ভেন্যুতে। এবার সেটি হতে পারে চার ভেন্যুতে। শুধু তাই নয় প্রথম শ্রেণির এনসিএলে প্রত্যেক দলে একজন করে বিদেশি খেলোয়াড় অর্ন্তভুক্তির বিষয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েব সাইট ক্রিকবাজকে একথা জানিয়েছে এক কর্মকর্তা।
বিসিবি’র হেড অব প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। ইতিমধ্যে বিপিএল চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেছেন গতবারের এনসিএল ছিল জমজমাট, এবারের আসরটি আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা করছেন। এই আসরের সেরা র্পাফর্মারার সুযোগ পাবেন বিপিএলের ড্রাফটে। খেলোয়াড়রা বিপিএলে ডাক পাওয়ার মঞ্চ হিসেবে দেখছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টিকে।
এরপর ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম শ্রেণির এনসিএল। এছাড়া ৪ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক বিসিএলে’র ওয়ানডে টুর্নামেন্ট (বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ)। আর বিপিএলে’র পর ফেব্রুয়ারিতে হবে চারদিনের বিসিএল, যেখানে দেখা মিলতে পারে একটি বিদেশ দলকে। জানা যাচ্ছে আফগানিস্তান এ’ দল অথবা হাইপারফরমেন্স দল আসতে পারে।
তবে এনসিএলে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন হতে পারে বিসিবি’র জন্য কারণ সে সময় ভারতে রঞ্জি ট্রফি, আর পাকিস্তানে চলবে কায়েদে আজম ট্রফি। আর তাইতো অন্য দেশগুলো থেকে ক্রিকেটার ভেড়ানোর চেষ্টা করবে বিসিবি। মূলত এনসিএলের মান বাড়াতে বিদেশি ক্রিকেটারের দিকে হাত বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ।
দুইশ’র বেশি রানে পিছিয়ে থাকা দল যখন শুন্য রানেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দরকার ভীষণ দৃঢ়তা ও নিবেদনের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিনে ঠিক সেই কাজটাই করেছেন ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল ও অভিজ্ঞ ওপেনার লোকেশ রাহুল মিলে। তাদের ব্যাটিং মনে ধরেছে সাবেক ভারত ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জারেকারের। তিনি মনে করেন, এই ম্যাচ বাঁচাতে দুই আইপিএল তারকাই হবেন ভারতের ভরসার জায়গা।
ভারতের ৩৫৮ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৬৬৯ রানের পাহাড়ে চড়ে ইংল্যান্ড লিড নেয় ৩১১ রানের। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। তবে প্রচণ্ড চাপের মুখে রাহুল (৮৭*) এবং গিল (৭৮*) দারুণ লড়াই করে দুই সেশনে ব্যাট করেন দাঁতে দাঁত চেপে। ভালো ডেলিভারিকে সম্মান জানিয়ে দুজনেই রান বের করেছেন বাজে বলেই কেবল।
জিওহটস্টারের ‘ম্যাচ সেন্টার লাইভ’-এ তাই মাঞ্জারেকার বলেছেন, ভারতের হার এড়ানোর চ্যালেঞ্জ দুজনের দিকেই ঝুঁকে থাকবে।
“এটা তাদের জন্য খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে। আমি এখনও বিশ্বাস করি এই জুটিকেই কাজটা শেষ করতে হবে। এই জুটি ছাড়া অন্যদের নিয়ে আমি তেমন একটা আশাবাদী নই।”
ভারত অধিনায়ক গিলের পাশাপাশি পঞ্চম দিনে ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে রাহুলের উইকেটও, যিনি এরই মধ্যে সিরিজে করেছেন দুই সেঞ্চুরি। পার করে ফেলেছেন ৫০০ রানও। আর ১৩ রান করলেই ইংল্যান্ডের মাটিতে তার পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখাও পেয়ে যাবেন এই স্টাইলিশ ব্যাটার। অন্যদিকে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত গিল টেস্ট মেজাজে ব্যাট চালিয়েছেন মাত্র ৪৬.৭০ স্ট্রাইক রেটে। ইংল্যান্ডের স্পিনার স্পিন ফাঁদে পা দিয়ে দুজনের কেউই খেলেননি বড় শট।
তাদের এই সংযমের প্রশংসা করেন মাঞ্জারেকার। “আমাদের মনে রাখতে হবে, তারা দুজনই কিন্তু আইপিএল তারকা। চাইলেই কিন্তু তারা (বাঁহাতি স্পিনার) লিয়াম ডসনকে প্রতি ওভারে তিনটি করে ছক্কা মারতে পারত। কিন্তু তারা সেই লোভ সামাল দিয়ে বরং উল্টো কাজটা করে গেছে। পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে, সংযমী ব্যাটিং করেছে। আমি এটার প্রশংসা করি। রাহুল প্রতিটি ইনিংসে রান করেছে, তারপরও তার সেই মানসিক শক্তি আছে অনেক সময় ধরে ব্যাটিং করার জন্য। শুভমানের স্ট্রাইক রেট চা বিরতির আগে ছিল ৬৭, কিন্তু পরে তা মাত্র ২৯ হয়ে যায়।”
ফিটনেস সমস্যার কারণে অনেকটা সময় ধরেই টেস্টে লম্বা স্পেলে বোলিং করা থেকে বিরত ছিলেন। তবে ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে বল হাতে বেন স্টোকস হাজির হচ্ছেন নিয়মিতই, উইকেটের দেখাও পাচ্ছেন বেশ। চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া ইংলিশ অধিনায়ক ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে এখন বোলিং করেননি, চোট নিয়ে ঝুঁকির কারণে। পঞ্চম দিনে অবশ্য তাকে ফের বল হাতে দেখার ব্যাপারে আশাবাদী ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিক।
ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩৫৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সামনে থেকে অবদান রাখা স্টোকস প্রথম দিনে শুরুতেই বল হাতে তুলে নেন। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত কয়েকটি স্পেলে ২৪ ওভারে ৭২ রানে নেন ৫ উইকেট। এরপর প্রথম ইনিংসে করেন লড়াকু এক সেঞ্চুরি (১৪১ রান)। এরপর শূন্য রানে ভারত ২ উইকেট হারানোর চাপ সামলে দিন শেষ করে ১৭৪ রানে। ৬৩ ওভারের মধ্যে একবারও বল হাতে নেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক, যা কিছুটা প্রশ্নের জন্ম দেয়।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ট্রেসকোথিক জানান, স্টোকসকে তারা ইচ্ছা করেই ব্যবহার করেননি এখন পর্যন্ত। “সে কিছুটা চাপ অনুভব করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে তার ওপর বেশ চাপ ছিল। এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের পর আরও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা আশা করছি, রাতভর বিশ্রাম ও ফিজিওথেরাপির পর তিনি বোলিং করার মত ফিট হয়ে উঠবেন।”
গত জানুয়ারিতে হ্যামস্ট্রিংয়ের সার্জারি করানোর পর দীর্ঘদিনের রিহ্যাব প্রোগ্রামের পর পূর্ণমাত্রায় অলরাউন্ডার হিসেবে এই সিরিজে পারফর্ম করছেন স্টোকস। চার টেস্টে ১২৯ ওভার বল করেছেন, যা তার জন্য এক সিরিজে সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের ব্যক্তিগত রেকর্ড। সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এই ডানহাতি পেসার ভারতকে বারবার ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিপদে ফেলেছেন।
চতুর্থ দিন স্টোকসকে ব্যাটিংয়ের সময় তার হ্যামস্ট্রিং চেপে ধরতে দেখা যায়। হয়ত সেই কারণেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি ইংল্যান্ড। ট্রেসকোথিক জানিয়েছেন, পঞ্চম দিন বোলিং করতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই চতুর্থ দিন স্টোকসকে তারা মাঠেই রেখেছেন।
উল্লেখ্য, রানের খাতা খোলার আগেই ২ উইকেটে হারানো ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে লোকেশ রাহুল এবং শুবমান গিলের মধ্যে ১৭৪ রানের অপরাজিত জুটিতে। সফরকারীরা এখনও পিছিয়ে আছে ১৩৭ রানে। সিরিজে ইংল্যান্ড এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে।
১৮১ রানের লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়ে ৬ বলে মাত্র ৭ রানের সমীকরণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। তবে শেষ ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে চোকার্স তকমাকে আরো একবার উজ্জীবিত করল ফর ডার ডুসেনের আফ্রিকা।
প্রথম ১০ ওভারে প্রায় একশো রান তোলা প্রোটিয়াস এগিয়ে গিয়েছিল প্রিটোরিয়াস ও হেনড্রিকসের ৯২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে। দশম ওভারে প্রথম উইকেট হারানো দলটা এরপর ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারালেও প্রত্যেকের ক্যামিও ইনিংসে রানরেট ঠিকঠাক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার।
৩৫ বলে সবোর্চ্চ ৫১ রান করেন ওপেনার প্রিটোরিয়াস। তাঁর সঙ্গী হেনড্রিকসের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৩৭ রান। শেষ ৩০ বলে ম্যাচ জিততে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ৫০ রান। ৫ম উইকেট জুটিতে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও জর্জ লিনডে ম্যাচকে নিতে থাকেন নিজেদের দিকে।
শেষ ২ ওভারে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। জ্যাকব ডাফির ১৯ তম ওভারে দুই ছক্কায় ম্যাচকে আরো ক্লোজ করেন ব্রেভিস। তবে শেষ ওভারের মাত্র ৭ রান নিতে পারেনি তারা। ম্যাট হেনরির দুর্দান্ত বোলিংয়ে উল্টো দুই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ বলে ১০ করে ফেরেন লিনডে। আর ছন্দে থাকা ব্রেভিস আউট হন ১৬ বলে ৩১ করে। ১ বলে ৪ রান আর নিতে পারেননি স্ট্রাইকে থাকা মুথুসামি।
এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার টিম সেফার্ট ও ডেভিন কনওয়ে মিলে রান তোলেন ৭৫। সেফার্ট ২৮ বলে ৩০ ও কনওয়ে আউট হন ৩১ বলে ৪৭ রান করে। কনওয়ের চেয়ে চার বল কম খেলে তাঁর সমান রানেই আউট হন রাচিন রাভিন্দ্র। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান বোর্ডে তোলে নিউজিল্যান্ড।
বোলিংয়ে লুঙ্গি এনগিডি নেন ২ উইকেট। নান্দ্রে বার্গার, এমফাকা ও মুথুসামি নেন ১ টি করে। ত্রিদেশীয় এই সিরিজে ৪ ম্যাচ খেলে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। আর সবকটি ম্যাচই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দুই ম্যাচ জিতলেও কিউইদের সঙ্গে মুখোমুছি হওয়া তিনটি ম্যাচই হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৭ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে