
ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ার ব্যর্থতা থেকে যেন বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। দারুণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেট নিলেও, একটি ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে ঠিকই প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিয়েছে তারা। সব মিলিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে আয়ারল্যান্ড।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন চা বিরতি পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৪ রান। অথচ খুব সহজেই এটি ৫ উইকেট কিংবা আরও বেশি হতে পারত। দ্বিতীয় সেশনে ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ওভারেই পল স্টারলিংকে আউট করেন নাহিদ রানা। প্রথম সেশনে স্লিপে ক্যাচ ছাড়লেও এবার ভুল করেননি সাদমান ইসলাম। ৭৬ বলে ৬০ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ আইরিশ ওপেনার।
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজে স্মিথকে থামাতে ‘বডিলাইন’ বোলিং করবে ইংল্যান্ড! |
|
পরের ওভারে হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন কার্টিস ক্যাম্ফার ও অভিষিক্ত ক্যাড কারমাইকেল। দুজন মিলে যোগ করেন ৫৩ রান। নিজের অভিষেকেই ফিফটির দেখা পান কারমাইকেল। তবে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় বল তার ব্যাটের কানা ছুঁইয়ে উঠে যায় ওপরের দিকে। প্রথম স্লিপ থেকে কিছুটা বাম দিকে দৌড়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শান্ত। এবারও আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে ৫৩ রান করা কারমাইকেলকে ফেরায় বাংলাদেশ।
পরে লরকান টাকারকে আউট করার সুযোগ আনেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি শান্ত। ১১ রানে বেঁচে যান টাকার। প্রথম সেশনে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছিল বাংলাদেশ।
সেশনের বাকি সময়ে আর উইকেট পড়তে দেননি ক্যাম্ফার ও টাকার। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তাদের সংগ্রহ ৩৪ রান। ক্যাম্ফার ৭১ বলে ৩৫ ও টাকার ৫০ বলে ২২ রানে অপরাজিত।
এর আগে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে চতুর্থ বলে ব্যালবার্নিকে এলবিডব্লিউ করে দেন হাসান মাহমুদ। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি আইরিশ অধিনায়কের।
বল যখন ব্যাটের কাছে ছিল, তখন অবশ্য স্পাইক দেখা গিয়েছিল। তবে ব্যাট ও বলের মাঝে স্পষ্ট ফাঁকা থাকায় সেটি পাত্তা দেননি আম্পায়ার। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ব্যালবার্নি।
আরও পড়ুন
| টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, মুরাদের অভিষেক |
|
এরপর দ্রুত আউট হতে পারতেন পল স্টারলিং ও ক্যাড কারমাইকেল। চতুর্থ ওভারে নাহিদ রানার বলে দ্বিতীয় স্লিপে স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম। ৮ রানে প্রথম জীবন পান অভিজ্ঞ ব্যাটার।
পরের ওভারে হাসানের বলে শর্ট মিড উইকেটে সহজ সুযোগ পান তাইজুল ইসলাম। এবার ১০ রানে থাকা কারমাইকেল বেঁচে যান। পরে ষষ্ঠ ওভারে নাহিদের বলে তৃতীয় স্লিপে ১০ রানে থাকা স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ব্যাটারই জীবন পেয়ে সতর্ক হয়ে যান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। নবম ওভার থেকে স্পিন আক্রমণ চালান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। ১৪তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন অভিষিক্ত হাসান মুরাদ।
মধ্যাহ্ন বিরতির এক ওভার আগে তাইজুলের বলে কারমাইকেলের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কিপার ও প্রথম স্লিপের ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে চলে যায়। পরের ওভারে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অল্পের জন্য বোল্ড হননি অভিষিক্ত ব্যাটার।
এছাড়া পুরো সেশনে আর সুযোগ দেননি স্টারলিং ও কারমাইকেল।
No posts available.
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২০ পিএম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৩৩ পিএম

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে রান–পাহাড়ে চড়েছিল ভারত ‘এ’ দল। বৈভব সূর্যবংশীর ১৪৪ রানের (৪২ বল) ওপর ভর করে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে ম্যান ইন ব্লুজরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ‘এ’ দলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি ভারত ‘এ’ দল। উল্টো দেখেছে বড় হার।
কাতারের রাজধানী দোহার ওয়েস্ট ইন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান ‘এ’ দলের অধিনায়ক ইরফান খান। ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বেশিরভাগ ভারতীয় ব্যাটার। সাইদ আজিজ ও সাদ মাসুদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় জয়। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ওমানের বিপক্ষেও বড় জয় পেয়েছিল তারা।
আজ পাকিস্তান পেয়েছে দুই জয়। শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে শাহীন শাহ আফ্রিদিরা। রাওয়ালপিন্ডির পর দোহাতেও আরেক উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন সাইদ আজিজরা।
মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছে ভারত। একই দিনে দুটি বড় হার দেখেছে দেশটির ক্রিকেট। টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে শুভমান গিলের দল। আর তাদের ‘এ’ দলও হেরেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে।
এদিন ভারতের সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ঝড় তোলেন মাজ সাদাকাত। ৪৭ বলে ৭৯ রান করেন তিনি; যাতে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছয়। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সাদাকাত। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম ও ইয়াসির খানকে। দুজন ফিরে গেলে মোহাম্মদ ফাইককে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তিনি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের সামনে হিমশিম খেতে হয় সূর্যবংশীকে। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ভারতীয় তরুণ ব্যাটার এদিন সাইদ আজিজ ও সুফিয়ানদের সামনে ছিলেন অসহায়। যদিও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তিনি। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় বড় হার দেখে ভারত।

পাকিস্তান সফরে ভুলে যাওয়ার মতোই পারফরম্যান্স করছে শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে হারের পর আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচও খোয়াল কুশল মেন্ডিসের দল। এ জয় শাহীন শাহ আফ্রিদিদের ৯ বছর আগের স্মৃতিতে ফেরাল। ২০১৭ সালে লঙ্কানদের ৫-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছিল পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ ভিন্ন দুই উদ্দেশ্য নিয়ে নেমেছিল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। এক পক্ষের সম্মান বাঁচানোর, অন্য পক্ষের হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় ডুবানোর। লো-স্কোরিং ম্যাচে অবশ্য জয়টা স্বাগতিকদেরই হয়েছে। ২১১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় পায় তারা।
এদিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই হাসিবুল্লাহ খানকে হারায় পাকিস্তান। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অভিষেক হয় এই উইকেটকিপার ব্যাটারের। দুর্ভাগ্য, নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। ফেরেন ডাক মেরে।
মাত্র ৮ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও আশা জিইয়ে রাখেন ফাখার জামান। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৮ রানের ইনিংস খেলা বা-হাতি ওপেনার আজও অর্ধশতকের দেখা পান। যখন সাজঘরে ফেরেন নামের পাশে ছিল ৫৫ রান।
আগের ম্যাচে ক্যারিয়ারের ২০ তম সেঞ্চুরি হাঁকানো বাবর আজম আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি। থিতু হয়েছিলেন ঠিকই, ৩২ রানে অগত্যা জেফরি ভ্যান্ডারসের বল তাঁর স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। এরপর সালমান আলী আগা নেমে খানিক বিপদ বাড়ান। সেট হওয়ার আগেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ফেরেন।
দলের ছোট খাট ধাক্কা আমলে না নিয়ে একান্ত মনে ব্যাট চালিয়ে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানের উইকেটকিপার এই ব্যাটার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটির দিনে শেষ পর্যন্ত ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।
এর আগে স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ধারাবাহিক ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। ইনিংস ফিফটিতে রূপ দিতে পারেননি কোনো ব্যাটার। সর্বোচ্চ রান ছিল সাদেরা সামারাবিক্রমার। ৬৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন ডান হাতি এই ব্যাটার।
এদিন সফরকারী দলের উপরের সারির পাঁচ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেন। তবে মোহাম্মদ ওয়াসিম -হারিস রউফদের পরিমিত বোলিংয়ে বড় হওয়ার আগেই থেমে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। তাছাড়া লেজের সারির ব্যাটারদের কাছ থেকে আশানুরূপ রান না আশায় ২১১ রানে থেমে যায় লঙ্কানদের ইনিংস।

ছয় বছর পর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ফিরেছে টেস্ট ক্রিকেট। তবে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি শুভমান গিলরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে ভারত।
কলকাতা টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে কোনো দলই দুই শ’ রান ছুঁতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় শুভমান গিলের দল। ফলে ইডেন গার্ডেনের পিচকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও দলটির কোচ গৌতম গম্ভীর পিচ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের ইচ্ছামতোই তৈরি করা হয়েছিল পিচ।
গম্ভীর বলেন,
‘ইডেনের পিচ বিপজ্জনক ছিল না, খেলার উপযোগীই ছিল। টেম্বা বাভুমা রান করেছে, ওয়াশিংটন সুন্দরও ভালো ব্যাট করেছে। এমন উইকেট ছিল না যে খেলা যাবে না। জানি না কেন বারবার স্পিন সহায়ক বলা হচ্ছে। এই ম্যাচে তো জোরে বোলাররাই বেশি উইকেট পেয়েছে। এমন পিচে ব্যাটারদের টেকনিক, মানসিক শক্তি ও ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়—যেখানে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
কলকাতায় এসে গম্ভীর নিজেই পিচ কেমন চান তা কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন। খেলা শুরুর চার দিন আগে পিচে পানি দেওয়া বন্ধ করে তাঁর অনুরোধ অনুযায়ীই উইকেট প্রস্তুত করা হয়। যেমন পিচ চাওয়া হয়েছিল, তেমনই পেয়েছেন জানিয়ে গম্ভীর বলেন,
‘আমরা যেমন পিচ চেয়েছিলাম, ঠিক তেমনই পেয়েছি। কিউরেটর অনেক সাহায্য করেছেন। কিন্তু ভালো খেলতে না পারলে তো এমনই হবে। ১২৪ রান তাড়া করতে না পারার কোনো যুক্তি নেই।’
গত বছরও স্পিন সহায়ক পিচ বানিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত। ঘরের মাঠে ০–৩ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও সিরিজ হারার শঙ্কায় পড়েছে ভারত।

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) যুক্ত হচ্ছে আরও ২টি নতুন দল। গতকাল নিজের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে বিষয়টি জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি।
বর্তমানে ৬ দলের অংশগ্রহণে হয়ে থাকে পিএসএল। নতুন ২টি দল যুক্ত হলে লিগটিতে মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৮। ২০২৬ সালে পিএসএলের ১১তম মৌসুমে যুক্ত হবে নতুন দলগুলো।
পিএসএলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আইপিএলের মতো আরও রোমাঞ্চকর করতে দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। বর্তমানে ১০ দলের অংশগ্রহণে হয়ে থাকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ধীরে ধীরে সে পথেই হাঁটছে পিসিবি।
যদিও দল বৃদ্ধির বিষয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান নাকভি বলেন,
‘নতুন দুটি স্বপ্নের সময়। পিএসএল আরও বড় হচ্ছে। নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বিক্রির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’
পিসিবি প্রধান আরও জানান, নতুন দল নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, টেকনিক্যাল প্রপোজাল জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর।
নতুন দুটি দলের জন্য আগ্রহী বিডাররা হায়দরাবাদ, সিয়ালকোট, মুজাফরাবাদ, ফয়সালাবাদ, গিলগিট ও রাওয়ালপিন্ডি—এই শহরগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচন করতে পারবেন।
এর আগে, পিএসএলের বিদ্যমান দলগুলোর জন্য স্বাধীনভাবে নতুন করে মূল্যায়ন (ভ্যালুয়েশন) সম্পন্ন করেছে পিসিবি। নতুন ১০ বছরের চক্রের জন্য সংশোধিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি–সংক্রান্ত নবায়ন পত্র পাঠানো হয়েছে সব দলকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ২০ রান। প্রথম ৩ বলে শুধু ৫ রান দিলেন জ্যাকব ডাফি। তবে পরের বল ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচ জমানোর আভাস দিলেন রোমারিও শেফার্ড। কিন্তু বাকি দুই বলে আর বাউন্ডারি হজম করলেন না ডাফি। রোমাঞ্চকর জয় পেল নিউ জিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চে রোববার প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারায় কিউইরা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৬৯ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। জয়ের নায়ক ড্যারেল মিচেল। চার নম্বরে নেমে ১১৮ বলে ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অল্পেই ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়ং। তৃতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও মিচেল। অল্পের জন্য ফিফটি করতে পারেননি কনওয়ে। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার।
পরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টম লাথাম। মাইকেল ব্রেসওয়েলকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন মিচেল। দুইশর আগে ফেরেন ৩৫ রান করা ব্রেসওয়েল। এরপর ঝড় তোলেন মিচেল। শেষ ওভারে ফেরার আগে ১২ চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা।
আরও পড়ুন
| ২৪ ইনিংস পর ঘরের মাঠে জয়সওয়ালের শূন্য |
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেডেন সিলস। ম্যাথু ফোর্ডের শিকার ২টি।
রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আলিক আথানেজ ২৯, কেসি কার্টি ৩২, শাই হোপ ৩৭ রান করে আউট হন। পাঁচ নম্বরে নেমে ৬১ বলে ৫৫ রান করেন শেরফান রাদারফোর্ড। রস্টোন চেজের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
২০৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের সময় জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৯ বলে ৬১ রান। জাস্টিন গ্রিভস ২৪ বলে ৩৮ ও শেফার্ড ১৯ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয়ের আশা দেখা গেলেও, শেষপর্যন্ত পারেনি ক্যারিবিয়ানরা।
কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কাইল জেমিসন।
নেপিয়ারে আগামী বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।