প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল সমতায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা দেখিয়েছে দাপট। ম্যাচের শেষ ত্রিশ মিনিট দশ জনের দল নিয়েও কাতালান ক্লাবটা সেভিয়াকে সুযোগ দেয়নি কোনো গোল করার। মাঠ ছাড়ে ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়ে। এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি দলটির কোচ হান্সি ফ্লিক। মুগ্ধ হয়েছেন ফুটবলারদের চাপের মুখেও লড়াই করার মানসিকতায়।
ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় বদলি হিসেব নামা ফারমিন লোপেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বাকি সময়টা একজন কম নিয়ে খেললেও বার্সার রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি সেভিয়া। যা বেশ মুগ্ধ করেছে ফ্লিককে। দশজনের দল নিয়েও লড়াই করাটাকে দেখছেন ইতিবাচক দিক হিসেবেই।
আরও পড়ুন
প্রথমবারের মত বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন হামজা |
![]() |
“এই জয়ের গুরুত্ব আমার কাছে অনেক বেশি। ফুটবলার দুর্দান্ত ছিল, সাহস দেখিয়েছে অনেক। আমরা রক্ষণেও দুর্দান্ত ছিলাম। তবে ওদের ম্যাচিউরিটি আমাকে মুগ্ধ করেছে বেশ। আমরা তাদের খেলোয়াড়দের ফ্ল্যাঙ্কে আটকে রাখতে পেরেছি, যেখানে তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক। আমার মনে হয় সব দিক থেকে আমরা বেশ ভালো করেছিলাম।”
এদিন ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় বার্সাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। এক মিনিট বাদেই সেভিয়াকে সমতায় ফেরান রুবেন ভার্গাস। প্রথমার্ধ ১-১ গোলের সমতায় শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই বার্সেলোনা দেখিয়েছে দাপট। ৪৬ মিনিটে ফারমিন লোপেজের গোলে আবারও লিড পায় ফ্লিকের দল। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রাফিনিয়া, ৮৯ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটা করেন বদলি হিসেবে নামা এরিক গার্সিয়া।
এই জয়ে বার্সেলোনা জমিয়ে তুলেছে লা লিগার শিরোপার দৌড়। ২৩ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলের তিন নম্বরে। সমান ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে শীর্ষে। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের অবস্থান দুইয়ে।
আরও পড়ুন
‘রিয়ালের প্রতিপক্ষ এখন রেফারিরাও’ |
![]() |
জমে ওঠা ত্রিমুখী এই লড়াই নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যথা নেই বার্সা কোচের। বরং নজর দিচ্ছেন নিজেদের কাজটা করার দিকেই,
“এখনো অনেক পথ বাকি। তবে আমরা আগের পরিস্থিতি থেকে ভালো অবস্থায় আছি। অন্যদের নিয়ে না ভেবে আমরা তাই নিজেদের কাজটা করার দিকেই নজরটা দিতে হবে।”
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:৪৩ পিএম
ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সোনালি যুগের শেষ যে কয়েকজন প্রতিনিধি নিজের সময়ে দেখিয়েছেন দাপট, তিনি তাদের মধ্যে সেরাদের কাতারেই থাকবেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রেট কার্টলি অ্যামব্রোসকে আধুনিক যুগের অনেক পেসাররাই তাদের আইডলও মানেন। ইতিহাদের স্মরণীয় কিছু স্পেল উপহার দেওয়া সাবেক এই পেসার নিজের দিনে ব্যাটারদের জন্য ছিলেন এক বিভীষিকার নাম। কোর্টনি ওয়ালসের সাথে নব্বইয়ে গড়েছিলেন ভয়ংকর এক পেস জুটি, যা আজও হয়ে আছে রুপকথার গল্প।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৪০ উইকেট নেওয়া সেই অ্যামব্রোস এবারের বিপিএলেও এসেছিলেন ধারাভাষ্য দিতে। দেশে ফেরার আগে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নিজের খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু করে পেস বোলিংয়ের খুটিনাটি সহ নানা বিষয়ে।
পাঠকদের জন্য অ্যামব্রোসের সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল :
প্রশ্ন : শুরুতেই জানতে চাই, বাংলাদেশে আবার আসা এবং বিপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অ্যামব্রোস : অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে যতবারই আসি, যেখানেই যাই, মানুষের যে ভালোবাসা পাই, সেটা দুর্দান্ত। দুই যুগ আগে অবসরে যাওয়া সাবেক এক পেসারকে এই দেশের মানুষ যে সম্মান দেয়, আমার কাছে সেটা অবিশ্বাস্যই লাগে। আর ধারাভাষ্য দিতে তো ভালোই লাগে। এখানে আমার পুরনো বন্ধু আতাহারের সাথে দেখা হয়, আবার অন্যদের সাথেও বোঝাপড়াটা বেশ ভালো আমার আগে কাজ করার সুবাদে। সব মিলিয়ে উপভোগ করছি।
প্রশ্ন : এই প্রশ্নটা এল আপনার কথা থেকেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের অন্যতম গ্রেট পেসার আপনি। আরও যদি বলি, ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা কয়েকজন পেসারদের একজন হিসেবে ধরা হয় আপনাকে। সেই আপনি নিজেকে যেভাবে স্রেফ সাবেক একজন পেসার হিসেবে উল্লেখ করলেন, এটা আপনার বোলিংয়ের একজন ভক্তের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন নয় কি?
অ্যামব্রোস : দেখুন, কার কী মনে হবে সেটা ভেবে তো আপনি জীবন চালাতে পারবেন না। নাকি? আমি নিজেকে যেভাবে দেখি, সেটাই বলি। আমরা যখন খেলেছি, সেই সময়ের দর্শকদের কাছে হয়ত আমার পরিচিত ছিল, হয়ত খেলাও দেখেছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে আমার পরিচয় স্রেফ একটা নাম দিয়ে, পরিসংখ্যান আর ইউটিউব ভিডিও দেখেই। আমি ধারাভাষ্যকার হিসেবে যখন থেকে কাজ করছি, তখন থেকে আমি নিজের খেলোয়াড় জীবনকে একপাশে সরিয়ে রাখি। দুটি জিনিস একসাথে মিলিয়ে ফেললে সেটা খুব ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
প্রশ্ন : জীবনকে এত সরলভাবে দেখার শিক্ষাটা কি পরিবার দেখেই পাওয়া?
অ্যামব্রোস : হয়ত। আমার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না। বাবা ছিলেন কারপেন্টার। ক্রিকেটের সাথে তিনি বা তার আগের প্রজন্মের কারও সেভাবে আগ্রহ হয়নি খেলোয়াড় হওয়ার। মায়ের উৎসাহে তাই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা যখন শুরু করলাম, তখন থেকেই বুঝতে পারছিলাম যে পথটা খুব মসৃণ হবে না। আমাদের পরিবারের ক্রিকেটে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। বাবা আমার ক্রিকেটার হওয়ার পক্ষে না থাকলেও বাধাও দেননি। তার বলা একটা কথাই মাথায় গেঁথে গিয়েছিল, ‘জীবনে যত বড় যাই কিছু হওনা কেন, কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়।’ তাই পেশাদার জীবনের অর্জন আর ব্যক্তিগত জীবনকে আমি আলাদা রাখতে পারি।
প্রশ্ন : এই যার জীবনবোধ, তার সাথে ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিখ্যাত সেই টেস্টের ঘটনার মিল পাওয়া বেশ কঠিন। ওই ম্যাচে তো আপনার সাথে রীতিমত লেগে গিয়েছিল স্টিভ ওয়াহের। একবার শুনেছিলাম, আপনি নাকি সরাসরি তাকে হুমকিও দিয়েছিলেন মাঠে। হিট অব দ্য মোমেন্ট?
অ্যামব্রোস : বলতে পারেন। এই ব্যাপারে আগেও অনেক কথা বলেছি। তবুও জানতেই যখন চাইলেন, তাই বলি। দেখুন, অজিরা অনেক কঠিন মানসিকতার। মাঠে জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে সম্ভাব্য সব উপায়ে গুঁড়িয়ে দিতে চায় ওরা। সেখানে আমি একজন মানুষ, যে আগ্রাসনকে কখনই ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে না। কিন্তু স্টিভ আমাকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলেছিল, যা আমাকে সাথে সাথেই তাতিয়ে দেয়। হুমকি কিনা জানিনা, তবে আমি তাকে সরাসরি বলে দিয়েছিলাম, ‘এই ম্যাচের পর হয়ত আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে, তবে আমি এটাও নিশ্চিত করে দেব যাতে তোমারটাও শেষ হয়।’
প্রশ্ন : আমি স্টিভ ওয়াহকে যা বলেছেন, সেই ঘটনার সাথে কি আমরা ২০০৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে জিনেদিন জিদানের সেই ঘটনার মিল ছিল?
অ্যামব্রোস : আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাচ্ছি না আসলে। তবে খেলোয়াড় হিসেবে স্টিভকে আমি আগেও সম্মান করটাম, এখনও করি। সেদিন সেই ম্যাচে আমি যা বলেছিলাম, তা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই কোনো। তবে অতীত নিয়ে পড়ে থাকার লোকও না আমি।
প্রশ্ন : নব্বইয়ের দশকে যে ম্যাচকে ঘিরে আপনাদের এই ঘটনাটি হল, ঠিক ওই সময়টাকে বলা হয় ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সূর্যাস্তের সময় আর অস্ট্রেলিয়ার সূর্যোদয়ের। এই হাতবদলটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন আপনি। মূল কারণ কি ছিল?
অ্যামব্রোস : এটা বলা আসলে কঠিন। কারণ, এখানে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। বোর্ড, সরকার, ক্রিকেট কাঠামো, তারকা খেলোয়াড়ের ইগো সহ আরও অনেক কিছুই। তবে যত্ন না নিলে হীরাও তো কয়লা হয়ে যায়, তাই না? সত্তর দশক থেকে নব্বই পর্যন্ত যে দলটা এত এত গ্রেট ক্রিকেটার উপহার দিল, আধিপত্য বিস্তার করল - এরপর হঠাৎ করে তারা শুধু পতনের দিকেই গেল। এটা তো হতে পারে না। এখন না হয় তরুণরা টি-টোয়েন্টির দিকে ঝুঁকেছে, কিন্তু নব্বই দশক থেকেই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট পথ হারাল, সেটার পেছনে ক্রিকেটীয় ছাড়াও আছে অনেক বিষয়। আমি সেসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।
প্রশ্ন : টি-টোয়েন্টির কথা বললেন, গত এক যুগে এই ফরম্যাটে যে কয়েকজন নিজেদের কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে দুজন ডোয়াইন ব্রাভো ও কিয়েরন পোলার্ড। তবে দুজনের কেউই জাতীয় দলের হয়ে একটা সময়ের পর সেভাবে সার্ভিস দেননি, বা দিতে চাননি বা পারেননি। এই তালিকায় আরও আসতে পারেন সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা। হতাশাজনক?
অ্যামব্রোস : একদমই না। যে খেলতে চায় না, আপনি তো তাকে জোর করে খেলাতে পারবেন না। হ্যাঁ, চাইলেই তারা জাতীয় দলের হয়ে লম্বা ক্যারিয়ার গড়তে পারত। কিন্তু তারা সেটা চায়নি। এখানে তো আমি দোষের কিছু দেখি না। আপনি তাদের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের কমতি নিয়ে কথা বলতে পারেন। তবে কে জাতীয় দলে খেলবে আর কে খেলবে না, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার কাছে।
প্রশ্ন : এটা কি ভালো উদাহারণ? বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য?
অ্যামব্রোস : দেখুন, ভালো উদাহারণ বলতে আপনি কি বোঝেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমি মনে করি যদি উদাহারণ তৈরি করাই যেত, তাহলে সত্তর থেকে নব্বই দশকের ওই সোনালি সময়ের পর কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল হিসেবে শুধু পিছিয়েই যাচ্ছে? আগের প্রজন্মের খেলা দেখেই তো ব্রাভো-পোলার্ডরা বড় হয়েছে। তারা সেটাই করেছে, যেটা তাদের কাছে ঠিক লেগেছে। এখানে কে ভুল আর কে ঠিক, সেই বিচার করাটা কঠিন কাজ।
প্রশ্ন : এবার একটু বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলি। সাকিব, তামিম, মাশরাফিরা যখন খেলা শুরু করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট তখনও ছিল পেছনের বেঞ্চের ছাত্র। খুব বড় উন্নতি হয়ত হয়নি, তবে তারা সহ একটা ব্যাচের হাত ধরে বাংলাদেশ দল বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছেন। লিগ্যাসির কথা যে বলা হয়, তাদের প্রভাবটা কি বাংলাদেশের ক্রিকেটে সামনে দেখা যেতে পারে?
অ্যামব্রোস : আপনি ভুল মানুষকে প্রশ্নটা করেছেন। আমি এখানে আসি স্রেফ ধারাভাষ্য দিতে। আর দূর থেকে খেলা দেখি মাঝেমধ্যে। এর বাইরে আমি সেভাবে জানি না এখানে ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে কেমন কাজ হচ্ছে বা তরুণরা সাকিব-তামিমের মানে যাওয়ার মত কিনা। তবে এটা তো বলাই যায়, যাদের নাম বললেন, তারা তো বাংলাদেশের কিংবদন্তি। আমি নিশ্চিত তাদের দেখে অনেকেই সাকিব, তামিম হতে চাইবে। সেই অনুপ্রেরণার জায়গাটা অবশ্যই এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য হয়েছে ২০০০ সালে। ওয়ানডেতে কিছু বিচ্ছিন্ন সাফল্য থাকলেও এখনও সাদা বলের ক্রিকেটে নেই আইসিসি ইভেন্টে কোনো শিরোপা। টেস্ট ক্রিকেটের চিত্রটা এত বছর পরও আশানরুপ নয়। একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের উন্নতির এই ধারা আপনি কীভাবে দেখেন?
অ্যামব্রোস : দেখুন, উন্নতি কে কতটুক করল, সেটা বোঝার আগে তার কাছে উন্নতির সংজ্ঞাটা কেমন। কেউ ক্লাসের ফার্স্ট বয় হতে চাইবে, আবার কেউ পাস করতে পারলেই খুশি। অন্য দেশগুলোকে সরিয়ে রেখে যদি শ্রীলঙ্কার দিকেও তাকান, তারা ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জিতেছিল সীমিত সামর্থ্য নিয়েই। অথবা বলা যায় ১৯৯২ বিশ্বকাপের ইমরানের খানের সেই পাকিস্তান দলের কথাও। নিজেদের ওপর বিশ্বাসটাই ওদের সবার চেয়ে এগিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ যদি এমন উচ্চতায় যেতে চায়, তাদের সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যের ওপর অমন বিশ্বাস আনতে হবে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি বা আশরাফুলের মত অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার প্রায় একই সময়ে এই দলে খেলেছে। সেই অনুযায়ী সাফল্য যে আসেনি, সেটা দৃশ্যমান। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তারা অন্তত সেই বিশ্বাসটা দিতে পেরেছে যে, তারা বড় দলগুলোর সাথে চোখে চোখ রেখে লড়তে পারে। তরুণ ক্রিকেটারদের দায়িত্ব এখন পরের ধাপে যাওয়ার।
প্রশ্ন : সেই তরুণদের একজন নাহিদ রানার ব্যাপারে আপনার কাছে একটু জানতে চাই। বাংলাদেশ তো বটেই, তরুণ এই গতিময় পেসার এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটেও অন্যতম আলোচিত এক নাম। বিপিএলে খুব কাছ দেখলেন তাকে। তাকে কি বেছে বেছে খেলানো উচিত বাংলাদেশের?
অ্যামব্রোস : সেই সিদ্ধান্ত বিসিবিকেই নিতে হবে। একজন তরুণ পেসার এত জোরে বল করছে - আপনি চাইবেন যত সম্ভব তাকে খেলাতে। কারণ, এই ধরণের পেসাররা প্রতিপক্ষকে বাড়তি দুর্ভাবনায় ফেলে দেয়। উইকেট যদি নাও পায়, এক-দুইটা স্পেলে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সক্ষমতা থাকে নাহিদের মত বোলারদের। এখন আপনি কীভাবে সেই ভারসাম্যটা রাখবেন, সেটার ওপর নির্ভর করবে সে কততুকু এগিয়ে যেতে পারবে। তার নিজেরও সচেতন হতে হবে। একজন পেসারের জীবন মোটেও সহজ নয়। খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম, সব ব্যাপারেই আপনাকে নিজের যত্ন নিতে হবে। আর এই যুগে এসে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কাড়াকাড়ি তো আছেই। সেখানেও আপনাকে সচেতন হবে। এবার আসি তার বোলিংয়ের দিকে। নাহিদের বোলিং অ্যাকশন খুব স্মুথ। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি তার অনুশীলনও। তার রানিং থেকে শুরু করে বোলিং অ্যাকশন সবই একজন ফাস্ট বোলারের জন্য আদর্শ। অনভিজ্ঞতার কারণে প্রায়ই সে খরুচে হবে, তবে তাতে প্রভাবিত হওয়া চলবে না। এই ধরণের বোলাররা যত বেশি খেলবে, তত বেশি নিজেকে গড়বে আর নতুন নতুন স্কিল রপ্ত করবে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ দলের অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদদের কেমন দেখলেন?
অ্যামব্রোস : হাসান সত্যি বলতে আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি শুনে অবাক হয়েছি যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তার জায়গা হয়নি। ডেথ ওভারে টানা ইয়র্কার করে যাওয়া এই যুগে খুব কঠিন। কারণ, ব্যাটাররা এখন অনেক স্কিলড। ইয়র্কারকেও তারা বাজে বল বানিয়ে চার-ছয় মেরে দেয়। আর তাই আপনাকে খুব নিখুঁত হতেই হবে। তাসকিনের ব্যাপারেও একই কথাই বলব। আমি ইম্প্রেসড তার বোলিংয়ে। গত দুই-তিন বছর ধরে তাসকিন খুব ভালো করছে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। যার নামটা বলেননি, সেই খালেদও (আহমেদ) দারুণ বোলার। পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশ উজ্জ্বল একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
প্রশ্ন : ২০১০ থেকে ২০২০, এই সময়ে ব্যাটারা সব ফরম্যাটেই করেছেন রাজত্ব। বিশেষ করে টেস্টে ফ্যাভ ফোর খ্যাত কোহলি, রুট, উইলিয়ামসন, স্টিভ স্মিথের পাশাপাশি বাবর আজমরাও রান করেছেন অনেক, ছিলেন ভীষণ ধারাবাহিকও। তবে কয়েক বছর ধরেই তাদের বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অন্যদিকে একই সময়ে ক্রমেই আধিপত্য দেখা যাচ্ছে বোলারদের, বিশেষ করে পেস বোলিংয়ে। বাংলাদেশের মত একসময়ের স্পিন নির্ভর দলে পেসারদের একটা বিপ্লব হয়ে গেছে। ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?
অ্যামব্রোস : আসলে যুগে যুগে এভাবেই তো চলে আসছে, তাই না? তবে এটা তো মেনে নিতেই হবে যে মাঝে খেলাটা অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যাটারদের জন্য উপযোগী হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে চিন্তা করলে এখন অনেক বদল এসেছে। অস্ট্রেলিয়া বলুন আর বাংলাদেশ, টেস্ট ম্যাচে সবাই এখন নামে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার মত বোলার নিয়েই। কারণ, সবাই ফলাফল বের করতে চায়। সব দলেই কমবেশি প্রতিভাবান বোলার থাকায় ব্যাটারদের তাই কাজটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। বোলারার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি আগ্রাসী, ফলে ব্যাটারদের তারা বাড়তি চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হচ্ছে। কিন্তু আপনার যদি স্কিল থাকে, আপনি ঠিকই উপায় একটা বের করেই ফেলবেন। যেমনটা আমরা দেখলাম (স্টিভ) স্মিথের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে। খেলাটির জন্য এই ভারসাম্য খুব জরুরি।
প্রশ্ন : টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাহলে চিন্তার খুব বেশি কিছু নেই?
অ্যামব্রোস : আমি তো এমন কোনো সম্ভাবনাই দেখি না। টেস্ট ক্রিকেট তো এখন ইতিহাসের অন্যতম সেরা সময় পার করছে। কেউই আর ড্রয়ের জন্য খেলতে নামে না। এরচেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারে! নেটফ্লিক্স যখন আসল, কিছু লোক বলা শুরু করল যে সিনেমা নাকি আর চলবে না। মানে সিনেমা হলে গিয়ে আর কেউ সিনেমা দেখবে না। কিন্তু আমরা তো দেখছি দুটোই চলছে একসাথে। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির ব্যাপারটা একই। তবে ওয়ানডের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই।
যেভাবে আর যে ধরণের গুরুতর চোট পেয়ে মাঠে ছাড়তে হয়েছিল, তাতে প্রাথমিক শঙ্কা ছিল বড়সড় চোটেরই। তবে নিউজিল্যান্ডের জন্য স্বস্তির খবর, রবীন্দ্র জাদেজার চোট সামান্যই, নিশ্চিত করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সব ঠিক থাকলে কেবল মিস করবেন চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের একটি ম্যাচই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে গত শনিবারের ম্যাচের ৩৭তম ওভারে খুশদিল শাহ স্লগ-সুইপ করলে বল চলে যায় আকাশে। ডিপ স্কোয়ার লেগে থাকা রাচিন বলের দিকেই ছুটছিলেন, তবে ফ্ল্যাডলাইটের আলোয় গতিপথ হারিয়ে ফেলেন। ফলে ক্যাচ তো ধরতেই পারেননি, উল্টো বল গিয়ে আঘাত হানে তার কপালে। দৃশ্যত হতবাক অবস্থায় এরপর মাটির নিচে তাকিয়ে থাকেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। এরপর চিকিৎসা কর্মীরা মাঠের তার দিকে ছুটে যাওয়ার পর দেখা যায়, পুরো মুখ রক্তাক্ত হয়ে গেছে।
এরপর শুয়ে পড়েন রাচিন। এই দৃশ্য দেখে নীরবতা নেমে আসে স্টেডিয়ামে। তাকে নেওয়ার জন্য একটি স্ট্রেচারও আনা হয়েছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত সেটার আর প্রয়োজন হয়নি। ওই সময় কাছেই থাকা পাকিস্তান দলের ডাক্তারও রাচিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা দিতে ছুটে আসেন।
কয়েক মিনিটের চিকিৎসা গ্রহণের চিকিৎসা কর্মীদের সহায়তায় উঠে দাঁড়ান রাচিন। মাথায় তোয়ালে ধরে মাঠ ছাড়ার সময় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে উষ্ণ করতালি দিয়ে তাকে বিদায় জানান দর্শক।
রোববার নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রাচিন ‘ভালো আছেন’ এবং তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
চোট পাওয়ার ম্যাচে রাচিন ব্যাট করতে নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। ১৯ বলে ২৫ রান করার পর বল হাতে করেন তিন ওভার। গ্লেন ফিলিপসের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ভর করে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৭৮ রানে। পরের ম্যাচে আগামী সোমবার তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
চোট থেকে সময় মত সেরে না ওঠায় আনরিখ নরকিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা আগেই শেষ হয়ে গেছে। কিছুটা বিলম্বেই তার বদলি খেলোয়াড় স্কোয়াডে যোগ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডাক পেয়েছেন বোলিং অলরাউন্ডার করবিন বোশ।
৩০ বছর বয়সী বোশ এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে। ওই ম্যাচে ৯ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে পান এক উইকেট। বোশ মূলত আলোচনায় এসেছেন এসএ২০-এর চ্যাম্পিয়ন এমআই কেপটাউনের জার্সিতে দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে। আসরে ৮ ম্যাচে তার নামের পাশে ছিল ১১ উইকেট।
এর সুবাদে এক টেস্ট ও এক ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েই জায়গা করে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াডে। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের বাকি অংশের জন্য দলে সাথে যোগ দিতে ওপেনার টনি ডি জর্জির সাথে বোশ ও কোয়েনা মাফাকা আগামী রোববার করাচির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
মাফাফা অবশ্য যাচ্ছেন ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে। এর মূল কারণ স্কোয়াডে চোটে থাকা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি। বেউরান হেনড্রিকস ও লিজাদ উইলিয়ামস দুজন আছেন চোট থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায়।
হাফ-ফিট জাসপ্রীত বুমরাহকে ভারতীয় দলে নেয়া বড় ধরনের ঝুঁকি হবে, ইতিমধ্যে সেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলটির সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিটি দেশকে তাদের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে হবে। অথচ ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার নাম জাসপ্রীত বুমরাহ। যেকারণে দল ঘোষণায় বিলম্ব করছে বিসিসিআই। ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে রেখেই দল ঘোষণা করতে পারে ভারত। সেইরকম ইঙ্গিত রয়েছে প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারের কথাতেও।
বুমরাহর চোটের সূত্রপাত বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের শেষ টেস্টে। প্রথম ইনিংসে পিঠে ব্যথা অনুভব করায় মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবে রয়েছেন তিনি। নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে তাকে। এখন যদি তিনি পুরোপুরি ফিট না হন, তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাঁকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে ভারতকে।
বুমরাহর অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে ভারতের বোলিং আক্রমণে বড় শূন্যতা তৈরি করবে। তবে মোহাম্মদ সামির দারুণভাবে ফিরে আসা কিছুটা স্বস্তির কোচ গৌতম গাম্ভীরের জন্য। যদিও বুমরাহর না থাকা ডেথ ওভারেও বড় প্রভাব ফেলবে, যেখানে তিনি ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বোলার। গ্রুপ ম্যাচে পাকিস্তান, আর নকআউট ম্যাচের জন্য হলেও বুমরাহকে দলে রাখতে চান নির্বাচকরা।
বুমরাহর স্কিলের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না! আর তাই পুরোপুরি ফিট না হয়েও ঝলক দেখাতে পারেন তিনি। আর এই আশায় গাম্ভীর-আগারকাররা শেষ পর্যন্ত বুমরাহর ফিরে আসার দিকে নজর রাখছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার মনে করেন, শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে মাথায় রেখে বুমরাহকে ফেরানো আত্মঘাতী হতে পারে। ইনজুরি আরও গভীর হয়ে উঠতে পারে এই ফার্স্ট বোলারের জন্য,
“আমার মনে হয় সে তাঁর অবস্থানকে অনেক উপরে নিয়েছে। তাঁর স্কিল সেট তাকে অসাধারণ একটি জায়গায় নিয়ে গেছে এবং সে খেলাটির জন্য দারুণ এক বিনোদন। ভারত যে পরিমাণ ম্যাচ খেলে, সেখানে তাকে আরও হিসেব করে ব্যবহার করা উচিত। নিশ্চয় তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তদারকি রয়েছে বিসিআইয়ের”
এখন দেখার শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে বুমরাহ থাকেন কিনা?
চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ফরচুন বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিপিএল ২০২৫। মাঠের ক্রিকেটে এবারের আসরটি উপহার দিয়েছে রোমাঞ্চকর সব মূহুর্ত। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন মূলত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই। তাতে হয়েছে অনেক রেকর্ড, আর পরিসংখ্যান হয়েছে সমৃদ্ধ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এবারের দারুণ কিছু সংখ্যার মাধ্যমে :
৭১৫ : মোট ছক্কা
১১৬৮ : মোট বাউন্ডারি
৪১৫ : এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান (রংপুর রাইডার্স-সিলেট স্ট্রাইকার্স)
২৫৪ : সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর (ঢাকা ক্যাপিটালস, প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহী)
১৪৯ : রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় (ঢাকা ক্যাপিটালস, প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহী)
৯ : উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় (ফরচুন বরিশাল ২ বার, খুলনা টাইগার্স ১ বার)
৮১ : বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় (ফরচুন বরিশাল, প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস)
৫১১ : সর্বোচ্চ রান (নাঈম শেখ)
১২৫* : সর্বোচ্চ একক স্কোর (লিটন দাস)
৭৩:২৫ গড় : সর্বোচ্চ গড় (রায়ান বার্ল)
২৩১.৮১ : সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট (ফাহিম আশরাফ)
৪ : সর্বোচ্চ ফিফটি (তানজিদ হাসান তামিম)
৩ : সর্বোচ্চ ডাক (আজিজুল হাকিম তামিম)
৩৬ : সর্বাচ্চ ছক্কা (তানজিদ হাসান তামিম)
৯ : ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা (সাব্বির রহমান)
৪৫৭.১৪ : এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট (নুরুল হাসান সোহান)
২৬ : সর্বোচ্চ উইকেট (তাসকিন আহমেদ)
৭/১৯ : সেরা বোলিং ফিগার (তাসকিন আহমেদ)
৪.৫৭ : সেরা ইকোনমি রেট (নাইম ইসলাম)
৬.৪০ : সেরা গড় (নাইম ইসলাম)
৬৪ : ব্যয়বহুল বোলিং ফিগার (সাদিরা সামারকুন)
১৪ : সর্বোচ্চ ডিসমিসাল (মুশফিকুর রহিম)
১৩ : সর্বোচ্চ ক্যাচ (আরিফুল হক)
২৪১ : সর্বোচ্চ রানের জুটি (লিটন দাস-তানজিদ হাসান)
১৯৫/৭ : স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড (ফরচুন বরিশাল, প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস)