বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন, এটা নিশ্চিত করার পর থেকেই প্রতীক্ষা বাড়ছিল হামজা চৌধুরীকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখার। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মার্চে বাংলাদেশ দল ভারতের বিপক্ষে খেলবে প্রথম ম্যাচ। সে ম্যাচকে সামনে রেখে প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। আর সেখানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ডিফেন্ডারকে ।
সব মিলিয়ে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ৩৬ জনকে। যদিও সেখান থেকে পরবর্তীতে ছোটো করা হবে স্কোয়াড। তবে তার আগে ডাক পাওয়া দলের সবাইকে নিয়ে সৌদি আরবে ক্যাম্প করবে পুরো দল। সেখানে থাকবেন না হামজা। শেফিল্ডের ম্যাচ থাকায় তার সরাসরি একবারে ভারতেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি হবে আগামী ২৫ মার্চ।
বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলকিপার: মিতুল মারমা, সুজন হোসাইন, আনিসুর রহমান জিকো, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, সাকিব আল হাসান।
ডিফেন্ডার: মুরাদ হাসান, শাকিল আহাদ তপু, মেহেদী হাসান, রহমত মেয়া, শাকিল হোসাইন, ইসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মন, সাদ উদ্দিন, সুশান্ত ত্রিপুরা, ইয়াসি খান, জাহিদ হোসাইন শান্ত।
মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ হৃদয়, পাপন সিং, সায়েদ শাহ কাজেম, হোমাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা, চন্দন রয়, মাহবুবুর রহমান জনি, শেখ মুরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, ফাহমেদুল ইসলাম।
ফরোয়ার্ড: ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসাইন, রাব্বি হোসাইন রাহুল, রফিকুল ইসলাম, ইমন শাহরিয়ার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আরিফ হোসাইন, আল আমিন, পিয়েস আহমেদ নোভা।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১:৫০ পিএম
কবে, কখন, কোথায়?
ম্যানচেস্টার সিটি- রিয়াল মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়নস লিগ
স্টেডিয়াম: ইতিহাদ
মঙ্গলবার, রাত: ২টা
এ যেনো ফাইনালের আগেই আরেক ফাইনাল! চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে এই নিয়ে টানা চতুর্থবার মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। ভিন্নভাবে বললে এ যেন চূড়ান্ত নিয়তি দুই দলেরই।
রিয়াল ও সিটি যখনই মুখোমুখি হয়েছে, ফুটবল সমর্থকদের তা যুগিয়েছে বিনোদোনের খোরাক। মজার ব্যাপার হল, এই দুই দলের মাঝে জয়-পরাজয় শেষ পর্যন্ত গড়ে দিচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ভাগ্য। গেল তিনবারের ফলাফল অন্তত তাই বলে। দুই দলের মধ্যে জয়ী দলই শেষ পর্যন্ত হাতে তুলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা।
এবার দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে আগেভাগেই। নতুন ফরম্যাটে হওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা আটে জায়গা মেলেনি কারোরই। সিটি তো ছিল বাদ পড়ার শঙ্কায়। শেষ করেছিল টেবিলের ২২ নম্বরে থেকে। রিয়াল অবশ্য শুরুতে ধুকলেও শেষটা ভালোই করেছে। টেবিলের ১১ নম্বরে থেকে তারা শেষ করেছিল গ্রুপ পর্ব। তাতে দু’দলেরর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল, নিয়নে হওয়া ড্র সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত করে।
মাঠের পারফরম্যান্সেও দুই দলের অবস্থা প্রায় একই। এক ম্যাচে জয়, তো আরেক ম্যাচ নিজেদের হারিয়ে খোঁজা। মিল আছে আরও এক জায়গায়। চোটকে সঙ্গী করেই মৌসুমের শুরু থেকেই এগুচ্ছে পেপ গার্দিওলা ও কার্লো আনচেলত্তির দল।
তাতে এই ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিটের তকমা নেই কারও গায়েই। দুই কোচই ম্যাচ শুরুর আগে সমীহ করেছেন প্রতিপক্ষকে। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা মনে করিয়ে দিয়েছেন রিয়াল ফুটবলারদের অদম্য মানসিকতার কথা।
“রিয়ালের সব খেলোয়াড়ই ব্যতিক্রমী। তারা কীভাবে একসঙ্গে লড়ে, কীভাবে তারা বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে, এটা সবাই জানে। আমাদের যতটা সম্ভব মাঠে তাদের প্রভাব কমাতে হবে। তাদের সাহস আছে দারুণ কিছু করার। প্রতিপক্ষ যতই কাছাকাছি থাকুক, তারা পাস দেওয়ার উপায় ঠিকই খুঁজে নেবে। তার মাঝেই আমাদের নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে। আমাদের বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হবে, বিশেষ করে প্রথম লেগে।”
অন্যদিকে চোট কাটিয়ে কাটিয়ে সিটি এখন বেশ শক্তিশালী অবস্থানে আছে বলেই সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন আনচেলত্তি, “চোটের কারণে তারা কিছুটা কঠিন সময় পার করেছিল। তবে গেল কয়েকটা ম্যাচে দেখা মিলছে তারা কতটা শক্তিশালী। তারা দুর্বল এটা আমার কোনো ভাবেই মনে হয় না। বেশ কিছু দারুণ ফুটবলার আছে তাদের দলে, আছে বিশ্বমানের কোচ।”
দলের খবর : ম্যানচেস্টার সিটি
এসিএল চোটে মৌসুমের শুরুতেই ছিটকে গেছেন রদ্রি। সিটি তাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের বাকি থাকা পর্বের জন্য স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করলেও, মাঠে ফিরতে আরও বেশ সময় লাগার কথা। এছাড়া শীতকালীন দলবদলে পোর্তো থেকে দলে ভেড়ানো নিকো গঞ্জালেজ শেষ ম্যাচে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে ছিলেন। তাই তার খেলা নিয়েও কিছুটা শঙ্কা আছে। এছাড়া নাথান আকে ও জারেমি ডকুও ছিটকে গেছেন চোটের হানায়।
দলের খবর : রিয়াল মাদ্রিদ
এই মৌসুমে রিয়ালও যেন হয়ে গেছে মিনি হাসপাতালই। যেখানে সর্বশেষ সংযোজন ডিফেন্ডার লুকাস ভাসকেজ,যিনি মূলত রাইট উইঙ্গার। দুই লেগেই তাকে পাওয়া যাচ্ছে না তা নিশ্চিত। এর আগে থেকেই রক্ষণে রিয়ালের বেহাল দশা। দানি কারভাহাল, এদের মিলিতাও, ডেভিড আলাবারা ছিটকে গেছেন আগেই। কয়েক দিন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আন্টোনিও রুডিগারের নামও। প্রথম লেগে রুডিগারকে পাওয়া যাচ্ছে না তা নিশ্চিত, তবে দ্বিতীয় লেগে ফেরার সম্ভাবনা আছে জার্মান ডিফেন্ডারের।
হেড টু হেড:
চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই দল এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ১২ বার। যেখানে সিটি জয় পেয়েছে ৪ ম্যাচে আর রিয়ালের জয়ের সংখ্যা তিন। ম্যাচ ড্র হয়েছে পাঁচটা।
গত কয়েক বছর ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে দুই দলের সাক্ষাৎ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়মিত ঘটনা। রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ম্যাচগুলো উপহারও দিচ্ছে কিছু স্মরণীয় ও রোমাঞ্চকর মূহুর্ত। এই মৌসুমেও নকআউট পর্বের প্লে-ফের ফের মুখোমুখি দল দুটি। পেপ গার্দিওলা মনে করছেন, রিয়াল ও সিটির ম্যাচ এখন নতুন ক্লাসিকো।
২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে নকআউট পর্বে সিটিকে হারিয়েছিল রিয়াল। পরের বছর তাদেরকে হারিয়েই পরে নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পায় গার্দিওলার দল। তবে গত বছর আবার এর প্রতিশোধ নেয় রিয়াল। এবার বিজয়ী হয় কার্লো আনচেলত্তির দল, পরে হয় চ্যাম্পিয়নও।
ইউরোপের শীর্ষ দুই দলের বারবার মুখোমুখি হওয়ার মঞ্চটা উপভোগ করেছেন গার্দিওলা, সোমবার সংবাদ সম্মেলনে শোনেলন সেই কথাই। “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা একটা দুর্দান্ত লড়াই হয়ে উঠেছে। আমরা জিতেছি, আবার তারা আমাদের বিদায়ও করে দিয়েছে। গত দশকে এটি একটি ক্লাসিকোতে পরিণত হয়েছে। তবে ইতিহাসের দিক থেকে চিন্তা করলে আমরা এটিকে এল ক্লাসিকো বা মিলান ডার্বির সাথে সাথে তুলনা করতে পারি না।”
গত কয়েক মৌসুমের তুলনায় এবারের রিয়াল ও সিটির লড়াইয়ে বড় একটি আলোচনায় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই দলেই চোটের লম্বা মিছিল। ব্যালন ডি'অর জয়ী মিডফিল্ডার রদ্রি ছাড়াও সিটির মূল একাদশের অনেকেই আছেন বাইরে। আবার রিয়ালের দানি কারভাহাল, এদের মিলিতাও সহ শীর্ষ কয়েকজন চোটের কারণে আছেন মাঠের বাইরে।
এই ধাক্কার পরও রিয়াল এখন আছে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। তবে সিটি পার করছে গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারেরই সবচেয়ে বাজে সময়। স্প্যানিশ এই কোচ তাই প্রশংসা করলেন আনচেলত্তির।“আমি মনে করি রিয়াল মাদ্রিদ আমাদের চেয়ে চোট পরিস্থিতি আরও ভাল পরিচালনা করেছে। কারণ তারা লা লিগায় সবার ওপরে আছে।”
মাঠে ও মাঠের বাইরে নানা কান্ডে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র প্রায়ই ঝামেলায় জড়ান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সাথে। তবে গত সপ্তাহে লেগানেসের বিপক্ষে সতীর্থ লুকা মদ্রিচের সঙ্গেই বাক-বিতন্ডায় জড়ি পড়েন ভিনিসিয়ুস। ওই ঘটনা ও পরে ড্রেসিংরুমে ব্রাজিল তারকা যা করেছেন, তা ভালো লাগেনি তার অন্য সতীর্থদের। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমমের দাবি, ভিনিসিয়ুসের সাথে নাকি দূরত্ব তৈরি হচ্ছে রিয়ালের খেলোয়াড়দের।
কোপা দেল রের শেষ আটের ওই ম্যাচে রক্ষণে দলকে সাহায্য না করায় চটেছিলেন রিয়াল অধিনায়ক মদ্রিচ। এরপর সংবাদ সম্মেলনে কোচ কার্লো আনচেলত্তিও বলেছিলেন, মদ্রিচ কিছু বলে থাকলে তা ভালোর জন্যই বলেছিলেন। এরপর বেশ কিছু স্প্যানিশ গণমাধ্যম দাবি তোলে, সেই ম্যাচ শেষে নাকি ভিনিসিয়ুস কারও সাথে কথা না বলেই বের হয়ে যান ড্রেসিংরুম থেকে।
অবশ্য শুধু একটা ম্যাচই না, আরও বেশ কিছু ঘটনা মিলিয়েই রিয়ালের ড্রেসিংরুমে ভিনিসিয়ুসের প্রতি সতীর্থদের বিরক্তি বাড়ছে বলে জানাচ্ছে স্প্যানিশ গবমাধ্যম স্পোর্ত। বিশেষ করে রদ্রির কাছে ব্যালন ডি’অর হারানোর পর থেকেই নাকি তার আচরণে বড় পরিবর্তন আসছে বলেই মনে করছেন তার অনেক সতীর্থ।
স্পোর্তের মতে, মাঠে রেফারির সঙ্গে অযথা বিতর্কে জড়ানো, মেজাজ হারানো বা অযথাই তার কার্ড দেখা নিয়ে নিয়েও রিয়ালের অনেক সতীর্থ বিরক্তি প্রকাশ করছেন ভিনিসিয়ুসের ওপর।
এসবের মাঝেই দিন দুয়েক আগেই আথলেটিক এক প্রতিবেদনে দাবি করে, রিয়ালের নতুন চুক্তির প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস। মাসিক ১৫ মিলিয়ন ইউরোতে তাকে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছে। বেতনের অঙ্কটা আরও বাড়লে ভিনিসিয়ুস নতুন চুক্তিতে সই করবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ফর্মও পড়তির দিকে। মাঠের বাইরের কর্মকাণ্ডের ফল তার মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। লা লিগায় ভিনিসিয়ুস শেষবার গোলের দেখা পেয়েছেন সেই নভেম্বরে। শেষ নয় ম্যাচে করেছেন মোটে দুই গোল।
সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে খেলেছেন ২৯ ম্যাচ। ১৬ গোলের পাশাপাশি করেছেন ১০ অ্যাসিস্ট।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা লিভারপুল ও চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে থাকা প্লিমাউথ আর্গাইলের ম্যাচে শক্তিমত্তায় দুই দলের মাঝে ছিল বিস্তর ফারাক। অবশ্য দিন শেষে গোলের খেলায় এগিয়ে থাকা দলই জেতে। যেটা এফএ কাপে করে দেখিয়ে পুঁচকে প্লিমাউথ। তাতে তারা শুধু অঘটনই ঘটায়নি, ঘড়েছে ইতিহাসও। এমন দিনকে তো দলটার কোচ যাদুকারি দিন হিসেবেই ঘোষণা দিয়েছেন।
এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল গত রোববার রাতে। হোম পার্কে ১৯ হাজার ধারণ ক্ষমতার পুরোটাই এদিন হয়েছে পূর্ণ। যার কারণ নিজ দলের চেয়েও লিভারপুল ফুটবলারদের এক নজর দেখা। তাও তাদের অখ্যাত হোম গ্রাউন্ডে। যেখানে শেষ পর্যন্ত তারা ইতিহাসই রচনা করেছে। লিভারপুলকে হারিয়ে দিয়েছে ১-০ গোলে।
আরও পড়ুন
তরুণ বার্সার ‘ম্যাচিউরিটিতে’মুগ্ধ ফ্লিক |
এমনটা হয়তো দলটির কল্পনাতেও ছিল না। অবশ্য না থাকারই কথা। চ্যাম্পিয়নশিপে যেই দল কেবল এখন পর্যন্ত জিততে পেরেছে মোটে পাঁচ ম্যাচ। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ চলতি মৌসুমে হেরেছে কেবল দুই ম্যাচই। সেই সংখ্যাটা ম্যাচ শেষে তারা নিয়ে গেছে তিনে। রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি ইউরোপের বড় বড় জায়ন্টরা যা করতে পারেনি, তাই করে দেখিয়েছে পুঁচকে প্লিমাউথ।
ম্যাচ শেষে দলটির কোচ মিরন মুসলিক এই জয়কে আখ্যা দিয়েছে ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। “এটা আমাদের জন্য যাদুকরী দিন। লিভারপুলের সঙ্গে খেলাটাই ছিল আমাদের জন্য বিশাল ব্যাপার। এই জয়টা আমাদের ইতিহাসে সারাজীবন লিখা থাকবে। ছেলেরা এটার প্রাপ্য।”
ম্যাচ হারলেও লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট প্লিমাউথকে দিয়েচ্ছে প্রাপ্য মর্যাদা।
“প্লিমাউথের জন্য দিনটা বেশ দারুণ। তাদের পরকিল্পনা বেশ ভালো ছিল এবং এই জয়ের প্রাপ্য তারা। আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি যার ফল আমরা পেয়েছি হাতেনাতে।”
ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন স্কটিশ ফরোয়ার্ড রায়ান হার্ডি। তাতে ২০১৮ সালের পর প্লিমাউথ প্রিমিয়ার লিগের বাইরের প্রথম দল হিসেবে শীর্ষস্থানীয় দলটিকে বিদায় জানানোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো।
যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নেই - বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও (বাফুফে) এখন যেনো ঠিক তেমন অবস্থা। নারী জাতীয় ফুটবল দলের চলমান সঙ্কট নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফুটবল পাড়াতেও চলছে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা। বাতাসে ভাসছে নানা গুঞ্জনও। তবে এই বিষয়ে বাফুফে যেনো একেবারেই নিরব।
প্রশ্নটা তাই চলেই আসছে, যে বাফুফে রাখবে কাকে? কোচ পিটার বাটলার, না কি বিদ্রোহী সিনিয়র ফুটবলারদেরদের? নাকি দুই পক্ষকে রেখেই এগুবে সমঝোতার পথে? নারী দলকে ঘিরে এখন এই প্রশ্নগুলোই সবার মুখে মুখে ফিরছে। উত্তর মিলতে পারে একজনের কাছেই। তিনি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
আরও পড়ুন
প্রথমবারের মত বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন হামজা |
নারী ফুটবলের সঙ্কট নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির রিপোর্ট বাফুফে সভাপতির কাছে এখন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্তটাও নেবেন তিনি। রোববার বাফুফে ভবনে থাকলেন ঘন্টা চারেক। তবে বের হয়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কিছুই বললেন না তাবিথ আউয়াল।
ফেডারেশনে এসেছিলেন নির্বাহী কিমিটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও। কোচ-খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব নিয়ে যেনো মুখে কুলুপ এটেছেন সবাই। সাফজয়ী খেলোয়াড়রা বাটলারের অধিনে খেলতে নারাজ। প্রয়োজনে গণ অবসরের হুমকিও দিয়ে রেখেছে তারা। এদিকে কোচ পিটার বাটলারও তার পেশাদরিত্বে অটল। বেশ কিছুদিন ধরেই এক রকম অস্থিরতা নারী ফুটবলে। কিন্তু এই বিষয়ে নিয়ে কোনো আলোচনাই নাকি হয়নি মিটিংয়ে।
নানা বিষয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাফুফে সভাপতি। দু-তিন দিনের মধ্যে যাবেন দেশের বাইরে। তাহলে কি নারী ফুটবলের সঙ্কট সমাধানে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৯ দিন আগে
৩০ দিন আগে