সাকিব আল হাসান নিজের আঙুল নিয়ে একটু বেশিই মনযোগী। চেন্নাই টেস্টে এই আঙুল সমস্যায় বোলিংটা করা হয়নি লম্বা সময়ে। কানপুরে অনুশীলনই করতে পারলেন না। দুই ওভারও ব্যাট করা হয়নি বাংলাদেশ পোস্টার বয়ের। এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! নাহ। জয় না করেই ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে।
সবার টানা ঘণ্টা দুইয়ের বেশি অনুশীলন চলল। সাকিব এসে থমকে গেলেন দুই ওভারের আগেই, মোটে ১০ বল। নেটে যতক্ষণ ছিলেন, তারচেয়ে বেশি যেন অপেক্ষায় ছিলেন আঙুলের দেখভালেই।
বয়স হয়ে গেছে ৩৭। এই সময়ে অনেকেই থেমে যায়। সাকিবের কবে? সেই উত্তরটা সাকিব আর সময়ের জন্যই তোলা থাক। তবে সেই সাথে জবাব দিতে হবে আরো অনেককিছু দিয়েও। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। চোখের সমস্যা প্রবল। গেলো ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই ভুগছেন। গলায় এটা-ওটা, ব্যাটিংয়ে ফিটা কামড়িয়েও যে কাজ হচ্ছে না। রানই তো নেই সাকিবের ব্যাটে। সাথে চেন্নাই টেস্টে বোলিংও ছিল ধারহীন।
আর এই কারণেই দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে সবার বাড়তি মনোযোগ ব্যাটার সাকিবের দিকে। যে সাকিব ব্যাট করতে নামা মানেই আশার বেলুন অনেকটা ফুলে যাওয়া। এখন তা অবশ্য অনেকটাই চুপসে গেছে। এই বুঝি আউট হলো। একইরকম ব্যর্থতা প্রবল হচ্ছে বোলিংয়েও। এমনকি লম্বা সময় বলটাও করাও হচ্ছে না।
সাকিব কী ফিট? খেলবেন কানপুর টেস্টে, অবশ্য প্রশ্ন ওঠার আগেই থামিয়ে দিলেন বাংলাদেশ প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। তার সোজাসাপটা জবাব, সাকিব ফিট। ব্যাটিং নিয়েও বড় ভাবনা নেই টিম ম্যানেজমেন্টের।
“সাকিবকে নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় নেই। আমি ফিজিও বা কারও কাছ থেকে তার ইঞ্জুরি সংক্রান্ত কিছু শুনিনি। সে সিলেকশনের জন্য বিবেচনায় আছে।”