১৭ জুন ২০২৫, ৭:৫২ পিএম

এক যুগ আগে গল থেকে হাত ভর্তি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ৬৩৮, মুশফিকুর রহিমের ডাবল, ৫ম উইকেট জুটিতে মুশফিক-আশরাফুলের ২৬৭, জয়ের সমান ড্র। ১২ বছর পর সেই গল টেস্টের সুখস্মৃতিই যেনো ফিরে পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দিন শেষে স্কোর ৩ উইকেটে ২৯২। নাজমুল হোসেন শান্ত'র ১৩৬-এর পাশে মুশফিকুর রহিমের ১০৫, অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাদের সংগ্রহ ২৪৭ আরেকটি বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। জোড়া সেঞ্চুরির দিনটিতে শান্ত পৌছে গেছেন টেস্টে দুই হাজারী ক্লাবে। শান্ত-মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন জুটি দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড পার্টনারশিপের আবহ দিচ্ছে। আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারলেই চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পার্টনারশিপের রেকর্ডটা দেখবে বিশ্ব।
ঐতিহ্যগতভাবে গল-এর উইকেটকে নিকট অতীতে যেভাবে দেখেছে বিশ্ব, তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি মঙ্গলবারও। শুরুতে কিছুক্ষণ উইকেটে পেসার আসিথা এবং অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার থারিন্দু আতঙ্ক ছড়ালেও দিনের শেষ দুটি সেশনে শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারকে সমীহ করেননি শান্ত-মুশফিক। টেস্টে সেশন বাই সেশন খেলার পরিকল্পনায় এদিন বেশ সফল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে স্কোরশিটে ৯০ রান উঠতে ৩ উইকেট হারিয়েও হতোদ্যম হয়নি মিডল অর্ডাররা। পরের দুই সেশনে উইকেটহীন রান উঠেছে যথাক্রমে ৯২ ও ১১০।
আরও পড়ুন
| শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের |
|
নিজের ক্যারিয়ারের প্রথমই শুধু নয়, বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানও মুশফিকুর। ২০১৩ সালে সেই ইতিহাসগড়া ডাবল সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন তিনি গল-এ। সে কারণেই গল-এ যতোবার পা রেখেছেন, ততোবারই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র ৬ হাজারী ক্লাবের এই সদস্য।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দেখাতে নাজমুল হোসেন শান্ত পেয়েছেন সেঞ্চুরি। এবং জাত চেনানো ওই সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন তিনি ৪ বছর আগে পাল্লেকেলেতে। ১৬৩ রানের সেই ইনিংস থেকে টনিক নিয়ে এবার গল টেস্টে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দু'জনের ওই দুটি সুখস্মৃতি একসঙ্গে নতুন করে রোমন্থনের মঞ্চ এবার তৈরি করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সুদৃশ্য টেস্ট ভেন্যু গল। ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ কোল ঘেষেঁ দাঁড়িয়ে থাকা ভেন্যুতে মহাসাগরের গর্জনকে ছাপিয়ে গেছে এই দুই বাংলাদেশ ব্যাটারের ব্যাটের গর্জন।
পাল্লেকেলেতে ৪ বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসে সেঞ্চুরির (১৩৬) পর ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ১০টি ইনিংস ছিল হতাশার। ২টি 'ডাক' সিঙ্গল ডিজিট ৬টিতে! এই প্রথম গল-এ নেমে পাল্লেকেলের উত্তাপ পেয়েছেন। থারিন্দু রত্নায়েককে পর পর দুই বলে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা এবং কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি শটে নিজের চাঙ্গাভাব করেছিলেন প্রকাশ শান্ত। প্রবথ জয়াসুরিয়াকে সুইপ শটে ফাইন লেগ দিয়ে ২ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২৩ সালে ২ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরিতে নিজেকে অন্যভাবে চেনানো শান্ত'কে পরবর্তী সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯ মাস!
প্রিয় প্রতিপক্ষ পেলে হাতটা একটু বেশি নিশপিশ করে মুশফিকুর রহিমের। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৫৩.৮৪ গড়ে ১৩৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তা আর একবার জানিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
৯৯ রানে এসে কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর আড়মোড়া ভেঙ্গেছেন। পেসার আসিথা ফার্নান্ডোর করা বলে ইনসাইড এজ হয়েও ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গল নিতে পেরেছেন নন স্ট্রাইক ব্যাটার শান্ত'র সিগন্যালে। ওই রানের সঙ্গে পূর্ণ হয়েছে তার টেস্টে দ্বাদশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪র্থ সেঞ্চুরি।
এক যুগ আগে মুশফিকুরের ডাবল সেঞ্চুরির ম্যাচে অভিষিক্ত এনামুল হক বিজয় অভিষেক ইনিংসে ফিরেছিলেন আনলাকি থারটিনে। থেমে থেমে এক যুগে মাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন এবার নিয়ে ৭টি। আগের ৬টিতে ছিল না ফিফটি, এবার তো আরও করুণ দশা। ৯টি ডট করেও পাননি আত্মবিশ্বাস। আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে যেয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন, স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ০ রানে। আর এক ওপেনার সাদমান ইসলাম অনীকও করেছেন ভুল। বাঁ হাতি স্পিনার থারিন্দুকে অভিষেক উইকেট উপহার দিয়েছেন তিনি। লো বাউন্সি বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ১৪ রানের মাথায়।
আরও পড়ুন
| জয় দিয়েই নতুন চক্র শুরু করতে চান শান্ত |
|
মুমিনুল এদিন স্ট্রাইক রেটে মনযোগ দিয়ে ব্যাট করেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। থারিন্দুকে ব্যাকফুটে কাট করতে যেয়ে স্লিপে দিয়েছেন ক্যাচ (২৯)।
তারপরও প্রথম দিন থেকে উজ্জীবনী টনিক নিয়ে আর একটি ভাল দিন উপহার দিক ক্রিকেট দল, সে দিকেই তাকিয়ে এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
No posts available.
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম

তিনি যতটা না দৌড়েছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের টি-টোয়েন্টি লিগে বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ম্যাচে এডওয়ার্ডস ৮১টি বল মোকাবিলা করেছেন, যাতে ছিল ২৩টি ছক্কা ও ১৪টি চার। তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮২।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সাব-অর্বস চার্চেস অ্যান্ড কমিউনিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এডওয়ার্ডস।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ম্যাচটি স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল না। ফলে ২০১৩ আইপিএলে ক্রিস গেইলের খেলা ১৭৫ রানের ইনিংসই টি-টোয়েন্টিতে এখনো সর্বোচ্চ।
এদিন ২৩ বলে ফিফটি করেন এডওয়ার্ডস। ১১তম ওভারে করেন সেঞ্চুরি, ১৭তম ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২২৯ রানে, আর দলের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং থামে ১১৮ রানে।

বড় জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছেন আয়ুষ মাত্রেরা।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
এদিন দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে। এরপরের গল্প শুধুই বৈভব সূর্যবংশী-এর। মারমুখী ভঙ্গিতে চড়াও হতে থাকেন আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৫০ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন মাত্র ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে থামেন।
সূর্যবংশীর ইনিংসে ছিল ৯টি চার, ১৪টি ছয়। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে আজ সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিল-এর রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল-এর রেকর্ড।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফ্টিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। ১৪তম ওভারে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী মাধু ও উদিশ সুরি। মাধু ৫০ রানে ফিরলেও ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরি। এই দুজনের নৈপুণ্যে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় আমিরাত।

বয়স ৪৩ পেরিয়ে ৪৪ বছরের পথে। তারপরও পেশাদার ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগামী মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে অধিনায়কত্ব করবেন অ্যান্ডারসন। গত মৌসুমে দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। কিটন জেনিংসের পদত্যাগের পর এবার অ্যান্ডারসনকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে ক্লাবটি।
২০২৪ সালে ৭০৪ টেস্ট উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান অ্যান্ডারসন। তবে নিজের শেকড় ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলা থামাননি। ২০০২ সালে শুরু হওয়া তার ল্যাঙ্কাশায়ার ক্যারিয়ার এখনো চলছে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
অধিনায়কত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যান্ডারসন বলেন,
‘ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক হওয়া বিশাল সম্মানের। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের দুর্দান্ত মিশেল আছে। লক্ষ্য একটাই- প্রথম ডিভিশনে ফেরার লড়াইয়ে সফল হওয়া।’
২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু করবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৯৭ রানের রেকর্ড রান ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে সামির মিনহাজ ও আহমেদ হুসাইন সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান তোলে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
৩৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আলি রাজা ও মোহাম্মদ সায়্যামের তোপ দাগানো বোলিংয়ে মাত্র ৪৮ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। যুব ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। রানের দিক থেকে পাকিস্তান পেল নিজেদের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়, সব দল মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সপ্তম।
মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের ইনিংস ছিল ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর! কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তাঁদের ইনিংসগুলো—০, ৫, ৪, ৯, ৫, ৭, ৯, ২, ০, ১ ও ০। পাকিস্তানের দুই পেসার আলি রাজা ও মিনহাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় মালয়েশিয়া।
সেভেনহি সেভেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মালয়েশিয়ার অধিনায়ক দিয়াজ পাত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল হতাশার। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানে ফেরেন ওপেনার উসমান খান (১)।
পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে দশম ওভারে টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার আলি হাসান বালুচকেও (১৪) ফেরান পেসার নাগিনেস্বরন সাথনাকুমারান। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তোলে পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে মিনহাজ ও আহমেদের ২৩৪ বলে ২৯৩ রান জুটিতে পাকিস্তান গড়ে ৩৪৫ রানের পাহাড়সম স্কোর।
১৪৮ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার মিনহাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। ১১৪ বলে ১৩২ রান করেছেন আহমেদ। মেরেছেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়লেন বাহরাইনের পেসার আলি দাউদ। ভুটানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর ৭/১৯ বোলিং ফিগার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা।
শীর্ষে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়তে হর্ষ ভরদ্বাজ। ২০২৪ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
নাইজেরিয়ার পিটার আহো ৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে তালিকায় চারে। ২০২১ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
পাঁচ নম্বরে ভারতের পেসার দীপক চাহার। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান তোলে বাহরাইন। লক্ষ্য তাড়ায় নামার পর তৃতীয় ওভারেই আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার। নিজের প্রথম ওভারেই নেন দুই উইকেট।
মাঝে ভুটান চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু দাউদ আবারও আঘাত হানেন শেষ ভাগে। ১৬তম ওভারে নেন তিন উইকেট, পরের ওভারে নেন আরও দুই উইকেট।
দাউদের রেকর্ডে ভুটানকে ৩৫ রানে হারিয়েছে বাহরাইন।