২১ অক্টোবর ২০২৪, ৮:২৯ পিএম
ক্যারিয়ারের ১৩তম বারের মত পাঁচ উইকেট, ২০০ উইকেট স্পর্শ - এমন একটা দিনেও তাইজুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে একটা বড় অংশ জুড়ে থাকল সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গ। কিছু প্রশ্নে অভিজ্ঞ এই স্পিনারের কন্ঠে ফুটে উঠল আফসোস, আবার মাঝে মাঝে প্রকাশ করলেন একরাশ বিরক্তি।
এবারই যে সাকিবকে ছাড়া প্রথম বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দিলেন তাইজুল, তা নয়। তারকা এই অলরাউন্ডার চোট, বিশ্রাম বা ছুটিতে থাকলে তিনি সামলেছেন বড় দায়িত্ব। সফলতাও কম নয়, ঠিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্টের প্রথম দিনের মত। যেখানে দুর্দান্ত এক ফাইফারে বাংলাদেশকে ম্যাচে ধরে রেখেছেন তাইজুল।
এরপরও সংবাদ সম্মেলনে এসে একের পর এক সাকিব বিষয়ক প্রশ্নে যেন হতাশই হলেন তাইজুল।
“সাকিব ভাই থাকলেও আমি সাকিব ভাইয়ের কারণে উইকেট পাই, সাকিব ভাই না থাকলেও সাকিব ভাইয়ের কারণে উইকেট পাই। বিষয়টা এরকম আরকি। মাঠে তো খেলি আমি। আমার আক্ষেপের কিছু নেই। বড় বড় খেলোয়াড়ের সাথে খেলতে পেরে আমার ভালো লেগেছে। এটাও একটা আনন্দের বিষয়।”
সাকিবের পর তাইজুলই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকারী। ৪৮ টেস্টেই পা রেখেছেন ২০০ উইকেটের ক্লাবে। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন স্মরণীয় কিছু পারফরম্যান্স। তবে সাকিবের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাইজুলের ভালো বোলিং আড়ালে চলে গেছে সাকিবের সামনে। মিরপুর টেস্ট দিয়ে অবসর নিতে চাইলেও সেটা পারেননি সাবেক অধিনায়ক সাকিব। ফলে এখন থেকে তাইজুলকেই নিতে হবে গুরুদায়িত্বটা।
সেই কাজটা করার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তাইজুল।
“সাকিব ভাই ছাড়া আমি খেলিনি তা তো না। উনি থাকাকালেও অনেক ম্যাচ সাকিব ভাই ছাড়া খেলেছি। নিউজিল্যান্ডে যখন টেস্ট জিতেছি সাকিব ভাই ছিল না। আমাদের এখানে যখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছি তখনও সাকিব ভাই ছিল না। এরকম অনেক উদাহরণ আছে। আপনি তো একটা প্লেয়ারকে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না। একজন আসবে একজন যাবে। ১০ বছর, ১৫ বছর, বড়জোর ২০ বছর। এটা মেনে নিতেই হবে। সন্দেহ নেই, উনি অনেক ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। আমরাও দোয়া করব, আপনারাও দোয়া করবেন উনার মতো যেন আরেকজন আসে এবং এখন যারা আছে তারাও যেন ভালো পারফর্ম করে।”
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন বোলারের ২০০ উইকেট পাওয়াটা বড় ব্যাপারই৷ সাকিব আর টেস্ট খেলায় তাইজুলের এখন থেকে আরও বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন। তাতে ক্যারিয়ার শেষে তার নামের পাশে বড় একটা সংখ্যা থাকাটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।
৫-৬ বছর পর ৪০০ উইকেট হবে কী? এই প্রশ্নে তাইজুল উত্তর দিলেন কিছুটা ঘুরিয়ে।
“আগে দেখতে হবে ৫ বছরে কয়টা টেস্ট আছে, তারপর একটা হিসাব করে উত্তর দিতে পারব। এখন উত্তর দেওয়া কঠিন। টেস্ট যদি থাকে ১০টা তাহলে তো কঠিন!”