নুর আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি সোজা ছক্কা মেরে দিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এর সৌজন্যে হয়ে গেল ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। যেখানে তার সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ১৫১ রানের জবাবে ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৯ রান। এই ওভার পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও ইমনের মোট সংগ্রহ ৪০৩ রান।
১৫ ইনিংসে ১টি করে ফিফটি ও শতরানের জুটিতে এই রান করেছেন তামিম ও ইমন। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।
এত দিন রেকর্ডটি ছিল লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের। তারা দুজন মিলে ১৭ ইনিংসে ৩টি পঞ্চাশছোঁয়া উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেছেন ৩৯৫ রান।
উদ্বোধনী জুটির বিশ্ব রেকর্ড থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দুই ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ৫৬ ইনিংসে ১০টি ফিফটি ও ৮টি সেঞ্চুরিছোঁয়া উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেছেন ২ হাজার ৫২২ রান।
আর কোনো জুটির ওপেনিংয়ে ২ হাজার রানেরও নজির নেই।
সব মিলিয়ে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে ২৮ ইনিংসে জুটি বেঁধে ৫টি পঞ্চাশছোঁয়া জুটিসহ যোগ করেছিলেন ৭৫৫ রান।
No posts available.
১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৮:০০ পিএম
১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩:৪৩ পিএম
১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩:০৩ পিএম
নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পথচলায় মধুর চেয়ে অম্লের হারটাই বেশি। এ নিয়ে তিন হারের বিপরীতে এক জয় নিগার সুলতানাদের। শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখতে সামনের ম্যাচগুলোতে জয় আবশ্যক লাল-সবুজ দলের।
বিশাখাপত্তনমে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবেন নিগার সুলতানারা। অতীত মুখোমুখি রেকর্ড ও ধারে-ভারে অজি মেয়েরা এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হতে পারে কাল।
ওয়ানডে ফরম্যাটে অজিদের বিপক্ষে জয় অধরাই রয়ে গেছে বাংলাদেশের, তারপরও আশার বাণী শুনিয়েছেন সোবহানা মোস্তারি। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন দল, তাদের সঙ্গে আমাদের ভালো খেলার ইচ্ছা সবসময় থাকে। আমরা সবসময় মাঠে নামি লড়াই করার জন্য, জেতার জন্য। কখনো শুধু ভালো খেলব— এইভাবে নামি না।’
আরও পড়ুন
ভারতকে আইসিসির জরিমানা |
![]() |
গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কূলে গিয়ে তরী ডুবেছে বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়। অধিনায়ক নিগার জানিয়েছিলেন, হারের পর ড্রেসিংরুমে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়েরা। সেখান থেকে দল কীভাবে মোটিভেটেড হলো?
মোস্তারি বলেন, ‘আসলে খারাপ লাগার ব্যাপারগুলো অনেক ছিল গত ম্যাচে। তারপরও অনেক কিছু ভালো আছে, যেগুলো নিয়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আমরা কথা বলেছি। আমাদের ক্যাপ্টেন, আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের উৎসাহ দিয়েছে যে, আমরা অনেক ভালো চেষ্টা করেছি। যে ভালো দিকগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কালকের ম্যাচে অবশ্যই নামব।’
অস্ট্রেলিয়া নামেই নয়, দল হিসেবেও শক্তিশালী। এমন দলকে মোকাবিলা করতে দরকার অভিজ্ঞতা, অথচ নারী দলের বেশির ভাগই তরুণ খেলোয়াড়।
মোস্তারি বলেন, ‘শেষ চার বছর ধরে আমরা প্রায় একই দল নিয়ে খেলছি। এই সময়ে অনেক বড় দলের সঙ্গে সিরিজ খেলেছি— আমাদের ঘরে ও বাইরে। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াও ছিল আমাদের হোমে। একই দল নিয়েই আমরা খেলব। এক-দুটি পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু মূল দল একই থাকবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ছোটরা হয়তো অনেক বেশি কিছু ভাবেনা। তারা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। যেমন স্বর্ণাকে শেষ ম্যাচে দেখেছেন— ওর খেলা ও প্র্যাকটিস ঠিক যেমন, সেটাই ও দেখানোর চেষ্টা করেছে। সে দেখিয়েছে সে আসলে কী ধরনের খেলোয়াড়। আগেরবার যখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিল, হয়তো সফল হয়নি। কিন্তু শেষ ম্যাচে সে দেখিয়েছে সে কী করতে পারে।’
স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ ফি’র ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে ভারতকে। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় নেওয়ায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে হরমনপ্রীত কৌরের দলকে।
গত রোববারের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নারী ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ৩৩১ রানের লক্ষ্য এক ওভার ও তিন উইকেট হাতে রেখে তাড়া করে অজিরা।
আরও পড়ুন
বাবর-রিজওয়ানদের ওপর চটলেন কোচ |
![]() |
সেই ম্যাচে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এক ওভার কম বোলিং করে ভারত। অভিযোগ তোলেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার সু রেডফার্ন ও নিমালি পেরেরা, তৃতীয় আম্পায়ার কিম কটন এবং চতুর্থ আম্পায়ার জ্যাকুলিন উইলিয়ামস।
আইসিসি আচরণবিধির ধারা ২.২২ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বল করতে ব্যর্থ হলে দলের খেলোয়াড়দের প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর দোষ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে আইসিসির এলিট প্যানেলের রেফারি মিচেল পেরেইরা কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানি ছাড়াই শাস্তি আরোপ করেন।
জিততে হলে উপমহাদেশে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ভাঙতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে লাহোর টেস্টে শেষ পর্যন্ত সেটা পারেনি স্বাগতিকরা। ২৭৭ রানে লক্ষ্যে ব্যাটিং নামা দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়েছে ১৮৩ রানে। তাতে ৯৩ রানের বড় জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
স্পিন স্বর্গের পিচে আরও একবার ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেন নোমান আলি। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া বাঁ হাতি এই স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে নেন চার উইকেট। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মোট ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হন নোমান আলি। ইনিংসে চারটি উইকেট নিয়ে নোমানের সঙ্গে আক্রমণে যোগ্য সঙ্গ দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
চতুর্থ দিন লাহোর টেস্ট জিততে পাকিস্তানের লাগত ৮ উইকেট। ২ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে কোনো রান না যোগ করেই প্রথম উইকেট হারায়। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা টনি ডি জর্জি ফেরেন ৪৭ বলে ১৬ রান করে। বাঁ হাতি ব্যাটারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
টার্নিং উইকেটে ৫৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এবার উইকেটশিকারী নোমান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে সাময়িক সময়ের জন্য উদ্ধার করেন ট্রিসটিয়ান ব্রেভিস। রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে গড়েন ৭৩ রানের জুটি।
দলীয় ১২৮ রানে সেই জুটি ভাঙেন নোমান। ৫৪ বলে ৫৪ রান করা ব্রেভিস ফিরলে আবার খেই হারায় প্রোটিয়ারা। পরের ১৪ রানে আরও দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরেন। অষ্টম উইকেটে সাইমন হারমার ও কাইল ভেরেইনা ২৯ রানের জুটি খানিকটা চাপে পড়ে পাকিস্তান। এরপরই হাজির হন শাহিন। আক্রমনে এসে তিন উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের লোয়ার-অর্ডার মুষড়ে দেন ২৫ বছর বয়সী বাঁ হাতি পেসার।
দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে আগামী ২০ অক্টোবর।
আফগানিস্তানের তারকা লেগস্পিনার রশিদ খান আবারও ফিরেছেন আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে। আবু ধাবিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।
রশিদ তিন ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। এর মধ্যে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। পাঁচ ধাপ এগিয়ে শীর্ষে উঠেছেন তিনি। রশিদের রেটিং পয়েন্ট এখন ৭১০—দুই নম্বরে চলে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কেশভ মহারাজের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেশি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই নিয়ে তৃতীয়বার ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠছেন রশিদ। সবশেষ ২০২৪ সালের নভেম্বরে এক নম্বরে ছিলেন তিনি। ১১ ধাপ পিছিয়ে ৩৪ নম্বরে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। ৪ ধাপ টপকে ২৪ নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজ।
একই সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বড় লাফ দিয়েছেন আরেক আফগান পেসার আজমাতউল্লাহ ওমরজাই। সাত উইকেট নিয়ে ১৯ ধাপ লাফিয়ে ক্যারিয়ারসেরা ২১ নম্বরে তিনি।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়েও আফগান ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত খুলেছেন ইব্রাহিম জাদরান। সিরিজসেরা ২১৩ রানের কল্যাণে আট ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ারসেরা দ্বিতীয় স্থানে আফগান টপ অর্ডার। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৬৮৬। আগের রেকর্ডধারী রহমানউল্লাহ গুরবাজের রেটিংকেও ছাড়িয়ে গেছে। গুরবাজ নিজেও এবার দুই ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৬ নম্বরে।
শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল। বাংলাদেশের পক্ষে তাওহীদ হৃদয় সাত ধাপ এগিয়ে ৪২তম স্থানে, আর অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি ছয় ধাপ এগিয়ে ৫০তম স্থানে উঠেছেন।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়েও উজ্জ্বল আফগান জুটি। অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়েও রশিদ ও আজমাতউল্লাহর সাফল্য অব্যাহত। আজমাতউল্লাহ ফিরেছেন শীর্ষস্থানে, আর রশিদ উঠে গেছেন চার নম্বরে। এটি আজমাতউল্লাহর দ্বিতীয়বারের মতো এক নম্বরে ওঠা—এর আগে তিনি ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত শীর্ষে ছিলেন।
টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে ভারতের কুলদীপ যাদব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে আট উইকেটের কল্যাণে সাত ধাপ টপকে ১৪ নম্বরে তিনি। একই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোমেল ওয়ারিক্যান ও অধিনায়ক রোস্টন চেজও উন্নতি করেছেন, দুজনের অবস্থান ৩০তম ও ৫৭তম।
ব্যাটিংয়ে ভারতের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল দুই ধাপ এগিয়ে এখন পঞ্চম, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ ও ৫৮* রানে ভালো করেছেন লোকেশ রাহুলও—যিনি এখন ৩৩ নম্বরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের মধ্যে শাই হোপ ৩৪ ধাপ লাফিয়ে ৬৬তম স্থানে, আর জন ক্যাম্পবেল ছয় ধাপ এগিয়ে ৬৮তম স্থানে—দুজনেই শতক করেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে।
সিরিজ আগেই খুঁইয়ে শেষটা অন্তত ভালো করতে পারত বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তারের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি আরও বাজেভাবেই হারে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানের এই হারে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
ব্যাটি-বোলিং কোনো বিভাগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে নূন্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে হারানো ছন্দ খুঁজে পাওয়াটা মিরাজদের জন্য যেন অসম্ভই হয়ে পড়েছে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স থেকে বাংলাদেশ আরও ভালো দল বলছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক,
‘আসলে আমরা এত খারাপ দলও না যতটা খারাপ খেলছি। এখানে যদি উন্নতি না করতে পারি আরও কঠিন হবে। ভুলগুলো যদি বারবার রিপিট করি তাহলে আরও কঠিন হবে আমাদের জন্য।’
দলের কিছুই পরিকল্পনা মতো হচ্ছে না। সব ভুলের ম্যাচে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফরা আসলে কি করছেন? জবাবে মিরাজ বলেন,
‘সবাই কাজ করছে। ইচ্ছা করে কেউ খারাপ খেলে না। সবাই চেষ্টা করে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্যই। অনেক সময় অনেক কিছু পক্ষে আসে না। খারাপ সবাই একসাথেই খেলছি। যারাই ভালো করছে আউট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের স্কোরও ৩০-৩৫ করে আউট হচ্ছি। ব্যাটাররা এভাবে আউট হলে আমাদের জন্য কঠিন। বিশ্বাস রাখি, আমরা এতটা খারাপ দল না, যতটা খারাপ খেলছি।’
আমিরাত সফর শেষে বাংলাদেশের পরের পরীক্ষা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আফগানদের বিপক্ষে হারের ক্ষত শুকানোর আগেই ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের আগে মানসিকভাবে শক্ত হয়ে ফিরে আসার কথা বলেন মিরাজ,
‘দেখেন দলটা অবশ্যই (সবার) একটু খারাপ লাগছে যেহেতু এই সিরিজ হেরেছি। এই দুই দিন যদি ফ্যামিলির সাথে সময় কাটায় মনে হয় আমরা ফ্রেশভাবে খেলতে পারব। আমার যেটা চাওয়া থাকবে, ব্যাটাররা যেখানে উন্নতি আনা দরকার, মানসিকভাবে শক্ত থাকা দরকার। কোচিং স্টাফরা আমাদের মানসিকভাবে অনেক সাপোর্ট দিচ্ছি। অধিনায়ক হিসেবে আমারও এই কাজটাই করা উচিত।’