স্কোয়াডে থাকলেও গ্রুপ পর্বের আগের দুই ম্যাচে সুযোগ মেলেনি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেই ৫ উইকেট নিয়ে বাজিমাত করেছেন ভারুণ চক্রবর্তী৷ তাকে সহ চার স্পিনার নিয়ে বেশ ভালোই করে ভারতের বোলিং লাইনআপ। আর এই কারণেই দলটির অধিনায়ক রোহিত শর্মা মনে করছেন, সম্ভব হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও চার স্পিনার খেলানো উচিত তাদের।
দুবাইয়ের স্লো উইকেটে শুরু থেকেই কার্যকর ভারতের তিন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা, আকসার প্যাটেল ও কুলদীপ ইয়াদাভ। তাদের সাথে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে যোগ দেন ডানহাতি রহস্য স্পিনার ভারুণ। ম্যাচে যেভাবে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছেন তিনি, তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাদ দেওয়াটা কঠিনই হবে ভারতের জন্য।
আরও পড়ুন
হার দিয়ে ডিপিএল শুরু আবাহনী-মোহামেডানের |
![]() |
ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ রোহিত আভাস দিলেন, একাদশে থাকতেও পারেন ভারুণ।
"আমাদের আসলেই এটা নিয়ে ভাবতে হবে, এমনকি আমরা চার স্পিনার খেলতে চাইলেও.. আমরা কীভাবে চার স্পিনারকে সাজাতে পারি, তা ভেবে দেখতে হবে। যদি মনে হয় এটা কাজে দেবে না, তাহলে রাখব না। আমাদের বোলিং পরিকল্পনায় যা কাজে লাগবে, আমরা তাই করব৷ এটা বলার কারণ, আমরা এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে খুব সচেতন। আমরা ভালোভাবেই জানি এখানে কী কাজ করে আর কী কাজ করে না।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইসিসি ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বেশ ভালো রেকর্ডই রয়েছে ভারতের বিপক্ষে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল দলটি। ২০২০ সাল থেকে ওয়ানডেতে দুই দলের জয়ই সমান সমান (৭-৭)। খর্বশক্তির দল হলেও তাই অজিদের নিয়ে ভারতকে সতর্ক থাকতেই হবে।
আরও পড়ুন
হাইব্রিড সূচি নিয়ে আপত্তি নেই জাম্পার |
![]() |
রোহিত তাই সম্ভাব্য সেরা দল নিয়েই মাঠে নামার পক্ষে।
“এখন আমাদের চিন্তাভাবনা করা এবং দেখার বিষয়টা হল যে আমরা কীভাবে নিজেদের সেরা একাদশটা পেতে পারি। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ কেমন হবে এবং আমরা কীভাবে আমরা অপশনগুলো কাজে লাগাতে পারি সেটা ভেবে দেখব। তাদের বিপক্ষে খেলাটা দারুণ। তবে আমি মনে করি আমাদের দল, একজন খেলোয়াড়, ব্যাটিং ও একটি বোলিং ইউনিট হিসেবে আমাদের কী করা দরকার, সেদিকেই বেশি মনোনিবেশ করা উচিত।”
৫ মার্চ ২০২৫, ৬:৫৬ পিএম
৪ মার্চ ২০২৫, ৯:০৪ পিএম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক বেশ আগেই। তবে রাচিন রবীন্দ্র বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দেন মূলত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ভাগ্যক্রমে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে হয়ে যান নিউজিল্যান্ড তো বটেই, পাশাপাশি আসরের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারও। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আরেকটি আইসিসি ইভেন্ট, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও জ্বলে উঠছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তুলে নিয়েছেন তিন ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সব মিলিয়ে রাচিনের ওয়ানডে সেঞ্চুরি এখন পাঁচটি। মজার ব্যাপার হল, এর আগে-পরে অন্যান্য সিরিজ খেললেও তরুণ এই ব্যাটার আর কোথাও তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তবে টানা দ্বিতীয় ৫০ ওভারের আইসিসি ইভেন্টে নিজের সেরা ফর্মেই হাজির হয়েছেন রাচিন।
নিউজিল্যান্ডের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ মিস করা রাচিন একাদশে ফেরেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। রান তাড়ায় চারে নেমে ১০৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১১২ রান। এরপর ভারতের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। তবে রানের ফিরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
ইনিংসের ৩৪তম ওভারে যখন আউট হয়েছেন, তখন নামের পাশে রয়েছে ১০৮ রান। ১০১ বলের ইনিংস সাজান ১৩ চার ও ১ ছক্কায়।
সব মিলিয়ে ৩২ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে রাচিনের রান ৪৪ গড়ে ১ হাজার ১৯৬। সেঞ্চুরির চেয়ে ফিফটি কম, মোটে চারটি। সর্বোচ্চ ১২৮ রানের ইনিংসটি এসেছিল ২০২৩ বিশ্বকাপে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইব্রিড সূচি নিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই চলছে তুমুল বিতর্ক। স্বাগতিক পাকিস্তান সহ বাকি দলগুলোকে যেখানে ঘুরতে হচ্ছে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে, সেখানে ভারত ফাইনাল সহ পুরো টুর্নামেন্টই খেলছে দুবাইতে। স্বাভাবিকভাবে কন্ডিশন খুব ভালো রপ্ত হয়ে গেছে দলটির, যা অন্যাদের তুলনায় তাদের দিচ্ছে বাড়তি সুবিধা। তবে এই আলোচনায় বিরক্ত দলটির প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। সাবেক এই ওপেনারের বরং দাবি, তাদের অবস্থাও বাকি দলগুলোর মতোই।
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যেতেও অস্বীকৃতি জানায় ভারত। ফলে তাদের সব ম্যাচ রাখা হয়েছে দুবাইতে। রোহিত-কোহলির সুবিধা করে দিতে গড়ে প্রায় সব দলগুলোকে স্রেফ এক ম্যাচ খেলার জন্য যেতে হচ্ছে দুবাই। এর আগে-পরে আবার খেলতে হচ্ছে পাকিস্তানের ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন তো প্রকাশ্যেই ব্যাপারটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গটি উঠতেই যেন তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন গম্ভীর। “আমাদের অযাচিত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কী অযৌক্তিক সুবিধা পাচ্ছি আমরা? আমরা তো এখানে একদিনের জন্যও অনুশীলন করিনি। আমরা আইসিসি একাডেমিতে অনুশীলন করছি। সেখানকার এবং এখানকার কন্ডিশন ১৮০ ডিগ্রি আলাদা। কিছু লোক কেবল সব কিছুতেও দোষ খুঁজে বেড়ায়। তাদের মন বড় করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় না আমাদের তেমন কোনো বাড়তি সুবিধা ছিল।”
দুবাইয়ে শুরু থেকেই খেলা হচ্ছে তুলনামূলক স্লো উইকেটে। ফলে সেখানে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন স্পিনাররা। সেই বিবেচনায় স্কোয়াডে বেশ কজন স্পিনার রেখেছে ভারত। শেষ দুটি ম্যাচে তো একাদশ সাজিয়েছে চারজন স্পিনার দিয়ে, যারা সবাই বিশ্বমাপের। অন্য দলগুলোকে পাকিস্তানেও খেলতে হওয়ার কারণে তারা আবার স্রেফ এক ম্যাচের জন্য বেশি স্পিনার রাখতে পারেনি স্কোয়াডে।
তবে এই বিষয়েও ভিন্ন মত রয়েছে ভারত কোচের।
“আমাদের পরিকল্পনাটি ছিল যে, ১৫ সদস্যের দলে যদি দুজন ফ্রন্টলাইন স্পিনার রাখা হয়, তাহলে আমরা পাকিস্তান বা যে কোনও জায়গায় খেললেও, আমরা দুজন স্পেশালিষ্ট স্পিনার নিতে পারতাম। কারণ এটা উপমহাদেশের একটি প্রতিযোগিতা। আপনি যদি দেখেন, প্রথম দুটি ম্যাচে আমরা শুধুমাত্র একজন স্পেশালিষ্ট স্পিনার (কুলদীপ ইয়াদাভ) নিয়ে খেলেছি। আমরা শুধু এই ম্যাচে এবং আগের ম্যাচে দুজন ফ্রন্টলাইন স্পিনার (কুলদীপ ইয়াদাভ ও ভারুণ চক্রবর্তী) নিয়ে খেলেছি।"
ওয়ানডে রান তাড়ায় বিরাট কোহলি জ্বলে উঠবেন না, এটা যেন কোনোভাবেই হওয়ার নয়। দুবাইয়ের স্লো উইকেটে ভারতের এই ব্যাটিং তারকা আরও একবার জানান দিলেন, কেন তাকে ‘চেজ মাস্টার’ বলা হয়। স্টিভেন স্মিথ ও অ্যালেক্স কেরির ফিফটিতে অবশ্য লড়াকু পুঁজিই পেয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে দুই ওপেনার হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া ভারতের ইনিংস একাই টানলেন সেই কোহলিই। সেঞ্চুরি মিস করলেও তার ইনিংস ভর করে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিল ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। অজিরা গুটিয়ে গিয়েছিল ২৬৪ রানে, শেষের দিকে কিছুটা লড়াই ছাপিয়ে রোহিত শর্মার দল সেই টার্গেট পাড়ি দিয়েছে ১১ বল হাতে রেখে।
আইসিসি ইভেন্টের নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি এখন সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগেরটিও ছিল ভারতেরই।
আরও পড়ুন
সেমিফাইনালে মার্করামের খেলা নিয়ে সংশয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
রান তাড়ায় বেন ডুয়ারসুইসের করা ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই চার হাঁকান রোহিত। এরপর ন্যাথান এলিসকে মারেন ছক্কা। তবে ওই ওভারেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তার দেওয়া সহজ ক্যাচ ফেলে দেন কুপার কনোলি। এরপর ডুয়ারসুইসের বলে আরও একবার উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক, তবে এবার ক্যাচ ফেলে দেন মার্নাস লাবুশেন।
অন্যপ্রান্তে অস্বস্তিতে থাকা শুবমান গিল ইনসাইড-এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান ডুয়ারসুইসের বলে। দারুণ ছন্দে ব্যাট করা রোহিতকে এরপর আক্রমণে এসেই ফিরিয়ে দেন কনোলি। তার বাঁহাতি স্পিনে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে আউট হন ২৮ রানে।
এই উইকেটে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে জাগে জয়ের আশা। তবে শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ক্রমেই ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। দুজন মিলে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের সামাল দেন দারুণ দক্ষতায়। এরই মধ্যে ফিফটি হয়ে যায় কোহলি। এরপর একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি একটা, তবে কনোলির বলে মিড-অফে ডাইভ দিয়েও ক্যাচ নিতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটির ইতি টানেন শেষ পর্যন্ত অ্যাডাম জাম্পা। অভিজ্ঞ এই লেগ স্পিনার আইয়ারকে ৪৫ রানে বোল্ড করে ভাঙেন ৯১ রানের জুটি। পাঁচে নামা আকসার প্যাটেল খেলেন কার্যকর এক ক্যামিও ইনিংস। তবে সেট হওয়ার পর তাকে বোল্ড করে ম্যাচে রোমাঞ্চ ফিরিয়ে আনেন এলিস।
শেষ ১২ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৭২ রান। কোহলি ও লোকেশ রাহুল ভালোভাবেই সেট হওয়ায় ম্যাচ ক্রমেই হেলে যাচ্ছিল ভারতের দিকে। আরও একবার আক্রমণে এসে দারুণ এক গুগলিতে কোহলিকে বিভ্রান্ত করে ক্যাচ বানান জাম্পা। তবে এর আগে মাত্র ৫ চারে ৯৮ বলে ৮৪ রানের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়া ইনিংস উপহার দেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
অধিনায়কত্ব হারিয়ে টি-টোয়েন্টি দল থেকেই বাদ রিজওয়ান, নেই বাবরও |
![]() |
ওই উইকেটের পর ম্যাচে ফের রোমাঞ্চের সম্ভাবনা জাগলেও, রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে ভারতকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। জাম্পার করা শেষ ওভারে টানা দুই ছক্কায় হার্দিক দ্রুত ম্যাচ শেষের কাজ সেরে ফেলেন। শেষ মুহূর্তে ২৮ রানে তিনি আউট হলেও ভারতের জয়ে এর প্রভাব আর পড়েনি। রাহুল অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।
এর আগে দিনের শুরুতে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের বড় হাইলাইট ছিলেন ট্রাভিস হেড। ভারতের বিপক্ষে বারবার সেরা সব ইনিংস খেলা এই মারকুটে ওপেনার এদিনও উড়ন্ত ছন্দেই ব্যাট করছিলেন। চার-ছক্কার মারে আভাস দিচ্ছিলেন বড় কিছুর। তবে এবার তিনি আর পারেননি। আক্রমণে এসেই তাকে ৩৯ রানে ফিরিয়ে দেন ভারুন চক্রবর্তী।
অন্য ওপেনার কনোলি রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। এরপর ভারতের চার স্পিনার দিয়ে সাজানো আক্রমণ সামলে ইনিংস এগিয়ে নেন স্পিনের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সেরা দুই ব্যাটার স্মিথ ও লাবুশেন। জমে ওঠা এই জুটির ভাঙন ধরান রবীন্দ্র জাদেজা। তার শিকার হন লাবুশেন (২৯)।
স্মিথ একপ্রান্ত আগলে খেলেন দুর্দান্ত এক ইনিংস, যেখানে সম্ভাবনা ছিল তার সেঞ্চুরির। তবে ফিরতি স্পেলে এসে মোহাম্মদ শামি তাকে বোল্ড করে দেন ৭৩ রানে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ইনিংস সাজান মাত্র ৪টি চার ও এক ছক্কায়।
২০৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে একটা ফাইটিং স্কোরের দিকে একাই টেনে নেন কেরি। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬১ রানের লড়িয়ে এক ইনিংস। ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ছিলেন পেসার শামি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া চোট থেকে এখনও শতভাগ সেরে উঠতে পারেননি এইডেন মার্করাম। ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিকল্প চিন্তায় তাই তার সম্ভাব্য বদলি হিসেবে ট্রাভেল রিজার্ভ বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার জর্জ লিন্ডেকে পাকিস্তানে উড়িয়ে এনেছে প্রোটিয়াসরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মার্করাম। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেননি তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের জন্য তিনি ফিট থাকবেন কিনা, সেটা মঙ্গলবার দলীয় অনুশীলনের পরীক্ষায়।
আরও পড়ুন
অধিনায়কত্ব হারিয়ে টি-টোয়েন্টি দল থেকেই বাদ রিজওয়ান, নেই বাবরও |
![]() |
যদি শেষ পর্যন্ত মার্করাম সেমির লড়াইয়ে না খেলতে পারেন, তাহলে সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য হবে বড় এক ধাক্কা। চোটের কারণে আসরের আগেই একে একে ছিটকে যান চার পেসার আনরিখ নরকিয়া, জেরাল্ড কোয়েটজে, নান্দ্রে বার্গার ও লিজাড উইলিয়ামস।
মার্করামের চোটের কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লিন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াডে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলভুক্ত করবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। এটা নির্ভর করবে মার্করামের ফিটনেস পরীক্ষা ও আইসিসির ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনের ওপর।
লিন্ডেকে উড়িয়ে আনার পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেকটি কারণ ফাইনালের চিন্তাও। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে, আর ভারত যদি প্রতিপক্ষ হয়, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালের জন্য যেতে হবে দুবাইতে। সেখানে আবার আধিপত্য স্পিনারদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল সহ টানা দুই ম্যাচে ভারত একাদশ সাজিয়েছে চার স্পিনার নিয়ে।
আরও পড়ুন
ভারতের ‘প্রতিশোধ’, অস্ট্রেলিয়ার ‘অসম’ লড়াই |
![]() |
বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছেন। তারা হলেন কেশব মহারাজ এবং তাবরাইজ শামসি। তাদের সাথে লিন্ডে যোগ হলে স্পিনের শক্তি বাড়বে অনেকটাই। কারণ, চলতি বছরের এসএ২০-তে ১৫৩.৩৩ গড়ে ১৬১ রান করার পাশাপাশি ১১ উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ২০২৪-২৫ এর দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। রানের দেখা পেয়েছে ব্যাটাররাও, যেখানে উল্লেখযোগ্য জাতীয় দলের ব্যাটার তানজিদ হোসেন তামিমের ফিফটি। দুটি একুপেশে ম্যাচের দিনে নাটকীয় জয় পেয়েছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স শুরু থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায় ব্যাটারদের সীমাহীন ব্যর্থতায়। প্রথম পাঁচ জন এক ডিজিটে আউট হওয়ার পর কিছুটা মান বাঁচান তোফায়েল (২৪), ওয়াসি (১৮) ও সাকলাইন (২৬)। তবে তাতেও হয়নি রক্ষা। ৩৮.৫ মাত্র ৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ।
১৪ রানে ৪ উইকেট নেন লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের জাতীয় দলের পেসার শরিফুল ইসলাম। ২৩ রানে ৩ উইকেট তানভীর ইসলামের। রান তাড়ায় তানজিদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১৩.৫ ওভারেই ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয় দলটি। বাঁহাতি এই ব্যাটার ১০ চার ও ২ ছক্কায় মাত্র ৪৬ বলে করেন ৬৫ রান। আরেক ওপেনার সাইফ হাসানের স্কোর ছিল ২৭।
আরও পড়ুন
ভারতের ‘প্রতিশোধ’, অস্ট্রেলিয়ার ‘অসম’ লড়াই |
![]() |
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অবশ্য আগে ব্যাট করা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ব্যাট হাতে বেশ ভালো পারফর্মই করে। তিনে নামা অনিক সরকার উপহার দেন ৭৮ বলে ৭৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। পাঁচে নামা রায়হান রাফসানের ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান। শেষের দিকে ব্যাটাররাও ভালো অবদান রাখলে দলটি পায় ৫ উইকেটে ২৯৮ রানের বড় স্কোর।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই সংগ্রাম করে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। বড় জুটি হয়নি টপ অর্ডারে একটিও। ১০৭ রানেই চলে যায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে ছয়ে নামা জাওয়াদ রোয়েন ৪৬ রানের ইনিংসে কিছুটা লড়াই করেন। তবে তার বিদায়ে শেষ হয়ে যায় জয়ের আশা। শেষের দিকে মুক্তার আলি খেলেন ২৪ রানের ক্যামিও। ৪৯.৫ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় দলটির ইনিংস, ৭৭ রানের জয় পায় শাইনপুকুর।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের ম্যাচটি হয় জমজমাট। ব্রাদার্সের ওপেনার মাফিফিজুল ইসলাম করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮৪ রান। আরেক ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন করেন ঠিক ৫০। তিনে নামা মিজানুর রহমান রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে ৭৬ বলে উপহার দেন ৭৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সফরে আসছে নিউজিল্যান্ড |
![]() |
দলটির করা ৫ উইকেটে ২৬২ রানের জবাবে শুরুটা ভালো হয় ধানমন্ডির। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৬ রান। তবে জয়ের পথ সুগম হয় তৃতীয় উইকেটে ফজলে রাব্বি (৫৫) ও ইয়াসির আলি রাব্বির (৪১) মধ্যকার ৭৮ রানের জুটিতে। এই দুজনের বিদায়ের পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পরে গিয়েছিল দলটি। তবে মাত্র ৫৩ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়জ নুরুল হাসান সোহান। ৪৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন ইয়াসিন আরাফাত।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৭ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে