২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪:১৬ পিএম
দুই দেশেই ক্রিকেটের চেয়ে মেয়েদের নেটবল সেখানে বেশি জনপ্রিয়। ক্রিকেটটা তাদের শুধু জেতার জন্য না, টিকে থাকারও একটা লড়াই। একটা বিশ্বকাপ জেতা তাদের জন্য স্রেফ একটা ট্রফি ঘরে তোলা না, ‘ইটস মোর দ্যান দ্যাট’। প্রোটিয়াস নারী দলের পেসার আয়াবোঙ্গা খাকা এ বিষয়ে একটাই লাইন বলেছিলেন, ‘এনিথিং ইউ ওয়ান্ট, ইউ ক্যান ডু ইট’। আর এই অদম্য আত্মবিশ্বাসের বদলেই ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেতে চলেছে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা।
ক্রিকেটের ‘বিগ থ্রি’, ছেলেদের মত মেয়েদের ক্রিকেটেও থেকেছে সেই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আর ইংল্যান্ডের আধিপত্য। আপনি যদি উইকিপিডিয়া খুলে মেয়েদের বিশ্বকাপের লিস্টটা দেখেন, তাহলে ২০ ওভারের ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে আপনি অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কিছুই দেখবেন না। আর এই চিত্র শুধু টি-টোয়েন্টি লড়াইয়েই নয়, ৫০ ওভারেও একই রাজত্ব।
এই আধিপত্যের ভীড়ে এবারের বিশ্বকাপ দিয়েছে আমাদের নতুন বার্তা। ভারত আর ইংল্যান্ড দুই দল উঠতে পারেনি সেমিফাইনালেই। আর ভয়ংকর অজিরা হেরেছে সেমিতে। তবে নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা আর অনেক বাধায় মোড়ানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই তিন দল এবারের সেমি নিশ্চিত করে রং পালটে দিয়েছে এবারের আসরের। আজ রোববার দুবাই প্রস্তুত এবার আমাদের নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দিতে।
চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক, দুই দলের ফাইনাল পর্যন্ত পথচলা। গেল আসরের ফাইনালিস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও এরপর স্কটল্যান্ড আর বাংলাদেশের সঙ্গে বড় জয় নিয়ে গ্রুপ বি থেকে দ্বিতীয় হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর নিউজিল্যান্ডও তাদের বিশ্বকাপ মিশনটা শুরু করে অনেকটা চমক দিয়েই। টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেভারিট ইন্ডিয়াকে তারা হারায় একতরফাভাবে। পরের গল্পটা প্রোটিয়াদের মতই। ৬০ রানের বিশাল হার ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এরপর শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয়। আর সেমিফাইনালে ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া পাত্তা পায়নি সাউথ আফ্রিকার কাছে। একই বছরে দুইবার হার তাদের কাছে। তবে নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে উঠতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে লড়তে হয়েছে শেষ বলঅব্দি।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রাত ৮টায় শুরু হবে ফাইনালের লড়াই, যা কিনা দক্ষিণ টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। আর কিউইদের ১৪ বছর পর ৩য়তম। আসরে আধিপত্য বিস্তার করেই এই মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছে দুইদল। আপনি যদি এবারের বিশ্বকাপের টপ রান স্কোরার দেখেন সেখানে আপনি দেখবেন প্রোটিয়াদের দুই ওপেনিং ব্যাটার লরা উলভারড্ট আর টাজমিন ব্রিটসকে। আপনি যদি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকা দেখেন, সেখানে সবার ওপরে নিউজিল্যান্ড স্পিন অলরাউন্ডার অ্যামেলিয়া ক্যার। দুই নম্বরে প্রোটিয়াস স্পিনার এন এমলাবা।
এই তালিকাগুলোতে দুই দলের সমান প্রভাব দেখলেও ইতিহাস অবশ্য একটু অন্য কথা বলে। ২০০৭ থেকে গেল বছর পর্যন্ত দুই দল টি টুয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ১৬ বার। যার ১১টাই জিতেছে নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা। আর মাত্র ৪টিতে পেরে উঠেছিল সাউথ আফ্রিকা। শুধু টি টুয়েন্টিই নয়, ওয়ানডেতেও কিউই মেয়েরাও এগিয়ে। সেখানে ব্যবধানটা ১২ আর ৮ এর। এসব পরিসংখ্যান দেখে তাই ফাইনালে আপনারা এগিয়ে রাখতে পারেন নিউজিল্যান্ডকে। তবে ওই যে শুরুতে বলা প্রোটিয়াস পেসারের ওই কথাটা ভুললে চলবে না। ‘এনিথিং ইউ ওয়ান্ট, ইউ ক্যান ডু ইট’।
সেই সামর্থ্য দুই দলেরই আছে। চলুন দেখা যাক এই ম্যাচে দুই দলের কী প্লেয়ার কিংবা গেমচেঞ্জার হতে পারেন কারা। প্রোটিয়াস এ আসরে দেখিয়েছে তাদের স্ট্রং ব্যাটিং। স্পেশালি দ্য নেম ইজ লরা উলভার্ট। একমাত্র বাংলাদেশের ম্যাচ ছাড়া সব ম্যাচেই তিনি খেলেছেন চল্লিশোর্ধ ইনিংস। এই প্রোটিয়াস ওপেনার নিঃসন্দেহে হতে পারে কিউইদের ভয়ের কারণ।
আর অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের শক্তির জায়গা তাদের বোলিং লাইন আপ। আসরে প্রতি ম্যাচেই তাদের জয়ের মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছে বোলাররা। একমাত্র অজিরা গ্রুপ পর্বে তাদের সঙ্গে ১৪৮ করতে সক্ষম হয়েছিল। বাকি কোন ম্যাচে কোন প্রতিপক্ষরাই পেরোতে পারেনি ১২০-এর কোটা। পাকিস্তান তো গুটিয়েছিল মাত্র ৫৬ রানে। পেসার রোজামেরি মেইর, লিয়া তাহুহু আর স্পিন অররাউন্ডার অ্যামেলিয়া ক্যার। কিউই বোলিং লাইনআপে খাবি খেয়েছে সব দল। সঙ্গে থাকছে সোফি ডিভাইন, প্লিমারদের মত ব্যাটাররা।
এবারের আসরে আইসিসি বাড়িয়েছে প্রাইজমানির পরিমাণও। ফাইনাল জেতা দলকে আইসিসি থেকে প্রাইজমানি দেয়া হবে বাংলাদেশি টাকায় ২৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এই ফাইনাল নিশ্চয়ই কোন কমতি রাখছে না রোমাঞ্চ ছড়াতে। তবে সব ছাপিয়ে আমাদের একটা কথা মনে রাখা উচিত ফ্যাসিনেশন না ক্রিকেটটা এই মেয়েগুলোর জন্য প্রয়োজন। তাই তো একটা শিরোপা, একটা টাইটেল ওদের জন্য অনেক বাড়তি কিছু। শোকেসে রাখা ট্রফি না, বিশ্বকাপটা ওদের উঠে দাঁনোর একটা পাথেয়।
No posts available.
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৫২ পিএম
প্রায় এক যুগের অপেক্ষার পর নতুন সভাপতি পেল ক্রিকেটারদের দেখভাল করার সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জিতে এই সংগঠনের প্রধান হলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বিসিবি একাডেমি ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে হওয়া ভোটে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদকে ১৫৪-৩৪ ভোটে হারান মিঠুন। সন্ধ্যা গড়ানোর আগে ফল ঘোষণা হলে নতুন সভাপতিকে বরণ করে নেন ক্রিকেটাররা।
২০১৪ সালের অনানুষ্ঠানিক বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পর থেকেই কোয়াবের দায়িত্বে ছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় ও দেবব্রত পাল। দীর্ঘ ১১ বছর পর এবার নতুন সভাপতি ও কার্যকরী পরিষদ পেল ক্রিকেটারদের এই সংগঠন।
গত বছর সরকার পতনের পর থেকেই লোকচক্ষুর অন্তরালে দুর্জয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই চলে যায় তার সভাপতিত্ব। নতুন নেতৃত্ব পাওয়ার লক্ষ্যে গত মার্চে সেলিম শাহেদকে প্রধান করে সাজানো হয় ১৩ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি।
আরও পড়ুন
কাজাখস্থানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পথে বাংলাদেশ |
![]() |
কয়েক মাসের নানান আলোচনার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। সভাপতি ছাড়া অন্য পদগুলোতে অবশ্য ভোটের প্রয়োজন পড়েনি। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও সহ-সভাপতি হিসেবে নুরুল হাসান সোহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এর বাইরে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট ও ইমরুল কায়েস।
কোয়াবের নতুন কার্যকরী পরিষদ
সভাপতি: মোহাম্মদ মিঠুন
সিনিয়র সহ-সভাপতি: শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ
সহ-সভাপতি: নুরুল হাসান সোহান
সদস্য: নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট ও ইমরুল কায়েস
উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- কোয়াবের ভোট। দুপুর ৩টার পর শুরু হয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সভাপতি পদে ভোট দিয়েছেন সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররা।
জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের জন্য এটি অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কারণ এর আগে কখনও জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দেননি তিনি। এবার কোয়াবের নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাই বেজায় খুশি ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
বিসিবি একাডেমি ভবনে কোয়াবের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নিজের অনুভূতি জানান সোহান।
“কোয়াবের ইলেকশন আগে একটা সিলেকশনের মতো ছিলো। আমি আসলে আগে এমন ইলেকশন দেখিনি। জাতীয় নির্বাচনের ভোটও আমি দেইনি কখনও। আজকে এখানে প্রথম ভোট দিলাম। এখানে এসে ভালো লাগছে, সিনিয়র অনেক আছে যাদের সাথে কয়েক বছরে দেখাও হয়নি।”
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামেই ‘কোর্ট’ বসাবে মরক্কো |
![]() |
“আমরা যারা এখনও খেলছি, গেল কয়েক দিন থেকে এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমার মনে হয় একটা ভালো পরিবেশে হয়েছে সব। ধন্যবাদ দিতে চাই যারা এই অবস্থাটা তৈরি করতে পারছে, যারা ম্যানেজ করেছে। আমার মনে হয়, ভালো একটা পরিবেশ আমরা দেখা করতে পারছি।”
কোয়াবের এই নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ ও এখনও খেলে যাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরই মধ্যে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে গেছেন সোহান।
এর বাইরে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট ও ইমরুল কায়েস।
আরও পড়ুন
আরও বাড়ছে আইপিএলের টিকিটের দাম |
![]() |
তবে সহ-সভাপতি হিসেবে সোহানের দায়িত্বটা একটু বেশিই। ক্রিকেটারদের ভালোমন্দ দেখভাল করার সংগঠনে নতুন এই পরিচয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য খেলা সহজ করতে চান সোহান।
“যেহেতু ক্রিকেটের সঙ্গে আছি, ক্রিকেট খেলছি, আমাদেরও একটা দায়িত্ব আছে। আমাদের নিচে যারা আছে তাদের নিয়ে ঐভাবে চিন্তা করা। ক্রিকেটের মাধ্যমেই আমি আজকের সোহান হতে পেরেছি।”
“ছোট ছোট বাচ্চারা যারা আসছে, আমি যেহেতু খুলনাতে ছিলাম সেটার কথাই জানি বেশি, আমরা যে সময় প্রাকটিস করতাম, একটা পরিবেশ ছিল প্রাকটিস করার। এখন সেই ধরনের সুযোগ পাচ্ছে না বাচ্চারা। এই জায়গা থেকে ক্রিকেটার হিসেবে বলি বা মানুষ হিসেবে বলি, একটা দায়িত্ব থাকবে সবাই যেন সুযোগটা পায়।”
আইপিএল প্রেমীদের জন্য এসেছে দুঃসংবাদ। আরও স্পষ্ট করে বললে স্টেডিয়ামে বসে যারা আইপিএল উপভোগ করতে চান তাদের খরচ বাড়ছে। টিকিট কেটে বিশ্বের সেরা এই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট দেখতে হলে সামনে পকেট থেকে খসবে অতিরিক্ত অর্থ।
ভারত সরকার বুধবার ‘নতুন প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার’ ঘোষণা করেছে। ফলে এতদিন পর্যন্ত যেখানে আইপিএলের টিকিটের উপর ২৮ শতাংশ হারে কর থাক, এখন এই সংস্কারের ফলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।
আগে ১ হাজার রুপি মূল দামের একটি টিকেটের দাম করসহ দাঁড়াত ১ হাজার ২৮০ রুপি। এখন জিএসটি সংস্কারের ফলে দাঁড়াবে ১ হাজার ৪০০ রুপি।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের টিকেটে ‘ডায়মানিক প্রাইস’, ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু |
![]() |
এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আইপিএলকে ভারতের সর্বোচ্চ জিএসটি (পণ্য ও সেবা কর) শ্রেণিতে ফেলা হয়েছে। যেখানে ক্যাসিনো, রেস ক্লাব ইত্যাদি বিলাসবহুল সেবাগুলোও রয়েছে।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এই নতুন কর হার কার্যকর হবে।
তবে কম মূল্যের টিকিটের দর্শকদের জন্য আছে সুখবর। টিকিটের মূল্য যদি ৫০০ টাকার কম হয়, তাহলে কর হবে ১৮ শতাংশ, যা আগে ছিল ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপের দল ঘোষণা স্বাগতিক দলের |
![]() |
ফলে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বা লখনৌর একানা স্টেডিয়ামের কিছু স্ট্যান্ড যেখানে কম দামি টিকিট বিক্রি হয়, সেখানে তুলনামূলক কম অর্থ খরচ করেই আইপিএল দেখতে পারবেন দর্শকরা।
শুধু আইপিএলই নয়, প্রো কবাডি লিগ (পিকেএল) ও ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আএসএল) এর ম্যাচের টিকিটের দামও বাড়বে।
স্টেডিয়ামে বসে আইপিএল দেখতে অতিরিক্ত অর্থ গচ্চা গেলেও ভারতে হওয়া আন্তর্জাতিক ম্যাচের টিকিটের কর হার বাতিল করা হয়েছে। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) তাদের বিজ্ঞপ্তিতে শুধু ‘আইপিএলের মতো খেলাধুলার ইভেন্ট’ সম্পর্কে কর বৃদ্ধির কথা বলেছে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপের নতুন আসরের জন্য দল দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দল।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের ১৫ জনের দলের সঙ্গে আরও দুই বোলার যোগ করে এশিয়া কাপের দল সাজিয়েছে আমিরাত। ডানহাতি পেসার মতিউল্লাহ খান ও বাঁহাতি স্পিনার সিমরাঞ্জিত সিং স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন।
৩২ বছর বয়সী মতিউল্লাহ জাতীয় দলের হয়ে ১টি ওয়ানডে এবং ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সবশেষ জুলাইয়ে পার্ল অব আফ্রিকা সিরিজে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন এই ফাস্ট বোলার।
আরও পড়ুন
ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন আইপিএলে তিন হ্যাটট্রিকের মালিক |
![]() |
অন্যদিকে ৩৫ বছর বয়সী সিমরাঞ্জিতের ৫টি ওয়ানডে ও ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সবশেষ গত ডিসেম্বরে গালফ টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপে আমিরাতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এই ডানহাতি স্পিনার।
২০১৬ সালের পর আবার এশিয়া কাপে ফেরা সংযুক্ত আরব আমিরাত এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ ‘এ’তে আছে। তাদের গ্রুপের অন্য তিন দল ভারত, পাকিস্তান ও ওমান।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে স্বাগতিকদের এশিয়া কাপ অভিযান শুরু হবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ভারত বা পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ না পেলেও ওমানকে হারিয়েছে আমিরাত।
এশিয়া কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাত স্কোয়াড:
মোহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আলিশান শারাফু, আরিয়ানশ শর্মা (উইকেটকিপার), আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, ইথান ডি’সুজা, হায়দার আলি, হার্ষিত কৌশিক, জুনায়েদ সিদ্দিক, মতিউল্লাহ খান, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ, মোহাম্মদ জোহাইব, রাহুল চোপড়া (উইকেটকিপার), রোহিদ খান, সিমরানজিৎ সিং ও সাগির খান।
সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র। দুই দশকেরও বেশি সময়জুড়ে চলা সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের পর ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ৪২ বছর বয়সী এই স্পিনার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় এই ঘোষণা দেন মিশ্র।
“২৫ বছর পর আমি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। ক্রিকেট ছিল আমার প্রথম প্রেম, আমার শিক্ষক, আর সবচেয়ে বড় আনন্দের উৎস। এই যাত্রা ভরপুর ছিল নানান অনুভূতি, গর্বের মুহূর্ত, কষ্ট, শিক্ষা আর ভালোবাসায়।”
“আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ বিসিসিআই, হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, আমার কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, সতীর্থ আর সবচেয়ে বেশি সমর্থকদের প্রতি, যাদের বিশ্বাস আর সমর্থন প্রতিটি ধাপে আমাকে শক্তি দিয়ে গেছে।”
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সংস্করণে অভিষেক হয় মিশ্রর। মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে ২২ টেস্ট, ৩৬ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মিশ্র। সব সংস্করণ মিলিয়ে ভারতের হয়ে ১৫৬ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার।
২০১৭ সালে সবশেষ ভারতের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে নিয়মিত খেলেছেন মিশ্র। সবশেষ ২০২৪ সালে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে আইপিএলে মাঠে নামেন।
আইপিএলে ১৬২ ম্যাচে ১৭৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি, টুর্নামেন্টের সর্বকালের সেরা উইকেটশিকারিদের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছেন মিশ্র।
আইপিএলে রেকর্ড তিনবার হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, ২০১১ সালে ডেকান চার্জার্স এবং ২০১৩ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন এই লেগি।