১১ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২১ পিএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তার নাম ‘আকবর দ্য গ্রেট’, কেউ কেউ আবার তাকে ডাকেন ‘আকবর দ্য চ্যাম্পিয়ন’ নামে। এর পেছনে কারণ আছে যথেষ্টই। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আকবর আলির অধিনায়কত্ব মানেই যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা।
তবে আকবর নিজে এমন কিছু মানতে চান না। এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালের আগে তরুণ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বললেন, অত সহজে জেতেননি কোনো শিরোপা। তাই একই এপ্রোচ নিয়ে আরেকটি ফাইনালে নামবে তার দল।
বাংলাদেশকে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে অধিনায়ক হিসেবে আকবরের উত্থান। এরপর ২০২২ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণে রংপুরের শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার অধিনায়কত্ব ২০২৩ সালে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় নর্থ জোন।
আরও পড়ুন
খুলনাকে ট্রফি উপহার দিতে চান মিঠুন-সৌম্যরা |
![]() |
এমনকি গত বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরেও অধিনায়কত্ব করে রংপুরকে শিরোপা জেতান আকবর। এবার তার সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এনসিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রোববার বিকেলে খুলনার মুখোমুখি হবে রংপুর। ম্যাচের আগের দিন দুই অধিনায়কের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন আকবর ও মোহাম্মদ মিঠুন।
অনেক প্রশ্নের মাঝে আকবরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অধিনায়কত্ব করলেই চ্যাম্পিয়ন হন আকবর, এই বিষয়টি কীভাবে দেখেন তিনি। উত্তরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরেকটি ফাইনাল খেলার কথা বলেন রংপুর অধিনায়ক।
“আমি এরকম কিছু (আকবর অধিনায়কত্ব করলে চ্যাম্পিয়ন) বলব না। যেভাবে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ ভালো। এটা বলার জন্য বলতে গেলে বা শুনতে গেলে ভালো লাগে (হাসি)। তবে ব্যাপারটা এত সহজও না।”
“গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আমরা যেমন পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছি, একই এপ্রোচ নিয়ে আসব। অবশ্যই উইনিং মেন্টালিটি নিয়ে মাঠে নামব।”
গ্রুপ পর্ব শেষে নেট রান রেটের হিসেবে চতুর্থ হয়ে কোনোমতে প্লে-অফের টিকেট পায় রংপুর। এরপর অবশ্য স্বরুপে তারা। এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা ও পরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারকে টেবিল টপার চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পেয়েছে আকবরের দল।
এই মোমেন্টাম ধরে রেখে ফাইনালেও বাজিমাত করতে চান আকবর।
“যখন একটা টুর্নামেন্ট শুরু করবেন, আল্টিমেট লক্ষ্য তো থাকবে অবশ্যই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করা। একইসময়ে আমার মনে হয়, এটা একটু কঠিনও। তাই প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো ভালো।”
আরও পড়ুন
১০০ রানে হারের ব্যাখ্যায় অনভিজ্ঞতাকেই দুষলেন জ্যোতি |
![]() |
“আমাদেরও প্রথম লক্ষ্য ছিল, গ্রুপের যে ম্যাচগুলো ছিল, আমরা যেন সেরা দুইয়ে থেকে শেষ করতে পারি। সেটা হয়নি। তবে আমরা সঠিক সময়ে মোমেন্টাম পেয়েছি। যেটা কাজে লাগছে। একই চেষ্টা থাকবে। জাস্ট নরমাল ম্যাচের মতো পরিকল্পনা করা ও কাজে লাগানো।”
ফাইনালের তাৎপর্য একটু ভিন্ন হলেও অন্য স্বাভাবিক ম্যাচের মতো ধরেই খেলতে চান রংপুর অধিনায়ক।
“ইনশাআল্লাহ্ আমরা চেষ্টা করব। মাঠে যখন নামব, তখন অবশ্যই চেষ্টা থাকবে জেতার। ফাইনাল ম্যাচ যদিও, তবু আমি বলব এটা ৮-১০টা ম্যাচের মতোই। এটার সিগনিফিকেন্সটা হয়তো একটু বেশি। আমরা যেমন গেম প্ল্যান নিয়ে নামি, তেমন পরিকল্পনা নিয়েই নামব। চেষ্টা থাকবে ম্যাচ জেতার।”
No posts available.
১১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
১১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
মড়ার উপর খাঁরার ঘা। দক্ষিণ আফ্রিকার দশা হয়েছে এমনই। নামিবিবয়ার বিপক্ষে হেরে অঘটনের শিকার হওয়া ম্যাচে চোট পেয়েছেন জেরাল্ড কোৎজে। বুকের পেশির চোটে পড়েছেন প্রোটিয়া পেসার।
নামিবিয়ার বিপক্ষে আজ একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেটে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসির সহযোগী সদস্য দলটির বিপক্ষে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েই হার তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো প্রোটিয়াদের।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে চার উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নামিবিয়া। অঘটনের ম্যাচে ১.৩ ওভার বল করেন কোৎজে। সবমিলিয়ে ১৩ ডেলিভারির মধ্যে চারটিই ছিল ওয়াইড। এর পরই মাঠ ছাড়েন ২৫ বছর বয়সী পেসার।
পেশীর চোটে পাকিস্তান সফরের সাদা বলের সিরিজে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন কোৎজে। ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) নিশ্চিত করেছে, উইন্ডহুক থেকে দেশে ফেরার পর তার চোটের ধরণ নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে চোট যেন পিছুই ছাড়ছে না কোৎজেকে। এর আগে কুঁচকির চোটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকেও ছিটকে পড়েছিলেন তিনি। এরপর জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলে ফেরেন এই ফাস্ট বোলার। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন।
এর আগে গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক তরুণ পেসার কুইনা মাফাকাও ইনজুরিতে পড়েন। বাঁ হাতি এই পেসার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিং চোটে আক্রান্ত হন। তাতে নামিবিয়ার ম্যাচসহ পাকিস্তান সফর থেকেও ছিটকে পড়েন মাফাকা।
অবশ্য এরপরও শক্তিশালী পেস বোলিং বিকল্প আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। নান্দ্রে বার্গার ও লিজাদ উইলিয়ামস দুজনেই চোট কাটিয়ে সফলভাবে দলে ফিরেছেন । বার্গার ফিরেছেন লোয়ার ব্যাক স্ট্রেস ফ্র্যাকচার থেকে, আর উইলিয়ামস ফিরেছেন হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর ২৮ অক্টোবর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম রাউন্ডের অর্ধেকের বেশি ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমি-ফাইনালের টিকেট বিক্রি শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই সেমি-ফাইনালের টিকেট কিনতে পারছেন গুগল পে গ্রাহকরা।
বিশ্বকাপের স্পন্সর কোম্পানি গুগলের গ্রাহকদের জন্য দেওয়া হয়েছে দুই দিনের প্রি-সেল উইন্ডো। পরে ১৩ অক্টোবর থেকে সেমি-ফাইনালের টিকেট কিনতে পারবেন যে কোনো দর্শক।
গুয়াহাটিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর হবে বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনাল। সেদিন মাঠে বসে ফাইনালে ওঠার লড়াই দেখতে গুনতে হবে সর্বনিম্ন মাত্র ১০০ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬ টাকার কাছাকাছি।
তবে পাকিস্তান উঠলে, প্রথম সেমি-ফাইনাল ম্যাচ হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। সেক্ষেত্রে গুয়াহাটির টিকেট কিনে রাখা সবাইকে শতভাগ অর্থ ফেরত দেবে আইসিসি।
তবে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে যাওয়া পাকিস্তানের সেমি-ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ৩০ অক্টোবর হবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল। সেদিনের সর্বনিম্ন টিকেট মূল্য ১৫০ রুপি।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচের এরই মধ্যে ১২ অক্টোবর ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ১৯ অক্টোবর ভারত-ইংল্যান্ডের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এছাড়া ভারত- নিউ জিল্যান্ড ও ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচের টিকেটও প্রায় শেষের পথে।
এর আগে গুয়াহাটিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেরও সব টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সেদিন গ্যালারিতে ছিলেন ২২ হাজার ৮৪৩ জন দর্শক। যা কিনা মেয়েদের আইসিসি ইভেন্টে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের রেকর্ড।
নিজেদের মাঠে প্রথমবারের মতো খেলার ইতিহাসটা এরচেয়ে ভালোভাবে লিখতে পারত না নামিবিয়া। আইসিসির সহযোগি সদস্য দলটি হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এর আগে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পাওয়া নামিবিয়া এবার আফ্রিকার জায়ান্টকে হারিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে বড় অঘটনের জন্ম দিল।
১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইতিহাস গড়তে শেষ ওভারে নামিবিয়ার লাগত ১১ রান। এন্ডাইল সিমিলানের প্রথম ডেলিভারিতেই ছক্কা হাঁকান নামিবিয়া ব্যাটার জেন গ্রিন। পরের চার বল থেকে চার রান তুলে ম্যাচ টাই করে নামিবিয়া। শেষ বলে এক রান হলেই চলত তাদের। তবে দিনটাকে স্বরণীয় করে রাখার পণ করা আফ্রিকার দেশটি সিঙ্গেল নয় চার মেরেই জয় নিশ্চিত করল।
অনেক প্রথমের এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনেক কারণেই মনে রাখবে নামিবিয়া ক্রিকেটপ্রেমীরা। উইন্ডহুকে নামিবিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় জেরহার্ড ইরাসমাসের দল। আর প্রথমবারের দেখাতেই বাজিমাত করল তারা।
ঘরের মাঠে প্রথমে জয়ের ভিতটা গড়ে দেন নামিবিয়ার বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ আয়ত্তের মধ্যেই রাখে স্বাগতিকরা। অবশ্য প্রোটিয়াদের একটি দল টেস্ট খেলতে আছে পাকিস্তান সফরে, তাতে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই নামে তারা। এরপরও নামেভারে নিজেদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা দলকে ১৩৪ রানে আটকে দেওয়া কম কিসে।
দলীয় ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই যে শুরু এরপর বলার মতো তেমন কোনো জুটিই তাদের গড়তে দেয়নি নাবিমিয়ার বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান এসেছে জ্যাসন স্মিথের ব্যাট থেকে। ৩০ বলে ৩১ রান করেন ডান হাতি এই ব্যাটার। এই ম্যাচেই বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। তবে এক রান করেই আউট হওয়া তার ফেরাটা মোটেও সুখকর হয়নি।
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেশি ভুগিয়েছেন রুবেন ট্রুম্পেলম্যান। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন বাঁ হাতি এই পেসার।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি নামিবিয়ার। ২৮ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। তবে মিডল অর্ডার আর লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা হাল ধরে ভালোভাবেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একটা সময় তাদের ১০৬ রানেই ছয় ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায়। তবে সপ্তম উইকেটে ট্রুম্পেলম্যান-জেন গ্রিনের ৩৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিই শেষ পর্যন্ত ইতিহাস লিখে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশি দূর যেতে পারল না আফগানিস্তান। মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে ১৯০ রানে শেষ হয়ে গেল ইনিংস। ৩১ বল বাকি থাকতে থেমে গেল তারা।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এই মাঠে ১৯৮ রানের কম করে ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড নেই। তাই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে আফগানদের।
এই মাঠে এত দিন আগে ব্যাট করে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ভারত ও পাকিস্তানের। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ও ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল ১৯৭ রানে। দুই ম্যাচেই হেরেছিল আগে ব্যাট করা দুই দল।
ওই রেকর্ড ভেঙে এবার আবু ধাবির মাঠে প্রতিপক্ষকে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮ রান করেও জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই বাংলাদেশকে হারাতে ওই রেকর্ড নতুন করে লিখতে হবে আফগানিস্তানের।
বাংলাদেশের রেকর্ড গড়ার কারিগর অধিনায়ক মিরাজ। আগের ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং করা অফ স্পিনার এদিন ১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৪২ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া সাকিব ও রিশাদের ঝুলিতে জমা পড়ে ২টি করে উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় আফগানিস্তান। পঞ্চম ওভারে সাকিবের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আগের ম্যাচে দলকে জেতানোর নায়ক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পাওয়ার প্লের মধ্যে একই পরিণতি হয় সেদিকউল্লাহ অতলের।
আফগানিস্তানের বিপদ বাড়িয়ে ১৫তম ওভারে পায়ের চোটে মাঠ ছেড়ে যান রহমত শাহ। পরে তাদের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে বোল্ড করে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
মাত্র ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর হাল ধরার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। কিন্তু বেশি বড় হয়নি তাদের জুটি। সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করা নবী।
এরপর দলকে একাই টানতে থাকেন ইব্রাহিম। তবে তাকে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে দেননি মিরাজ। ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ১৪০ বলে ৯৫ রান করা আফগান ওপেনার। ৩ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারতে পারেন তিনি।
শেষ দিকে ১৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন এএম গাজানফার। ৯ উইকেট পতনের পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে এক বল খেলে অস্বস্তিতে ভোগায় আর চালিয়ে নিতে পারেননি। ফলে ৯ উইকেটেই শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ (গুরবাজ ১১, ইব্রাহিম ৯৫, অতল ৮, রহমত ৯ অবসর আউট, হাশমত ৪, ওমরজাই ০, নবী ২২, খারোটে ১৩, রশিদ ১, গাজানফার ২২, বশির ০*; সাকিব ৭-০-৩৫-২, মোস্তাফিজ ৮-০-৩৮-০, মিরাজ ১০-১-৪২-৩, তানভির ১০-০-৩৫-১, রিশাদ ৯.৫-০-৩৭-২)
সুগন্ধিকা কুমারির অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে চমৎকার শটে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে দিলেন ন্যাট সিবার-ব্রান্ট। এই এক শটেই তিনি পূর্ণ করলেন নিজের সেঞ্চুরি ও গড়লেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের নতুন ইতিহাস।
মেয়েদের বিশ্বকাপের ম্যাচে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৭ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছেন সিবার-ব্রান্ট। যার সৌজন্যে এখন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের তিন আসরে খেলে ১৯ ইনিংসে সিবার-ব্রান্টের সেঞ্চুরি ৫টি। এছাড়া দুইটি ফিফটিও করেছেন তিনি।
এত দিন ধরে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের জেনেট ব্রিটিন, শার্লট এডওয়ার্ডস ও নিউ জিল্যান্ডের সুজি বেটসের। তারা তিনজনই বিশ্বকাপে করেছেন ৪টি করে সেঞ্চুরি। তাদের ছাড়িয়ে এককভাবে এখন শীর্ষে সিবার-ব্রান্ট।
২০১৭ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন সিবার-ব্রান্ট। ঘরের মাঠে একই আসরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও তিন অঙ্কের জাদুকরী স্পর্শ পান ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার।
পরে ২০২২ সালের আসরে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১০৯ রান করেন সিবার-ব্রান্ট। ওই আসরের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি খেলেন ১২১ বলে ১৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডকে শিরোপা জেতাতে পারেননি।
এবার ইতিহাস গড়ার পথে ৫৭ বলে ফিফটি করেন ইংলিশ অধিনায়ক। সেঞ্চুরির আগে পঞ্চাশতম রানও তিনি করেন ছক্কা মেরে। এরপর তিন অঙ্ক ছুঁতে তার লাগে আরও ৫৩ বল। পরে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ক্যাচ আউট হন তিনি।
১২৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১১০ ইনিংসে ব্যাটিং করে সিবার-ব্রান্টের এটি দশম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের হয়ে এই ফরম্যাটে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু সতীর্থ ব্যাটার ট্যামি বাউমন্টের। ১২৫ ইনিংসে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটার।
সিবার-ব্রান্টের সেঞ্চুরি ছাড়া ইংল্যান্ডের আর কোনো ব্যাটার তেমন কিছু করতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাই ৯ উইকেটে ২৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপরা।