৫ জুলাই ২০২৫, ৬:৫১ পিএম

শুরুটা আদর্শ না হলেও পারভেজ হোসেন ইমনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের প্রথম অংশটা ভালোই কাটল বাংলাদেশের। তবে তরুণ এই ব্যাটার পারলেন না ইনিংস বড় করতে। তাওহীদ হৃদয় কিছুটা লড়লেও অন্য ব্যাটারদের কেউই পারলেন সেভাবে অবদান রাখতে। শেষের দিকে দারুণ এক ক্যামিও খেললেন তানজিম হাসান সাকিব। আর এতে ভর করে সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে মোটামুটি একটা টার্গেট দিতে পারল সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২৪৮ রানে। সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছেন ইমনের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের জন্য শুরুটা মোটেও সুখকর হয়নি। তৃতীয় ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম। আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের ডেলিভারি তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেন মাত্র ৭ রান।
আরও পড়ুন
| তানভীরের ফাইফার, রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে টিকে রইল বাংলাদেশ |
|
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইমন মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় উইকেটে একশ’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন এই দুজন, যেখানে বেশি ইতিবাচক ছিলেন ইমনই। জুটি যখন জমে উঠছিল, তখন অফ স্পিনার চারিথ আসালাঙ্কাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত, তার আগে ১৪ রান করেন ১৯ বলে।
তবে ছন্দময় ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার বোলারদের চাপে রাখেন ইমন৷ চল্লিশ থেকে পঞ্চাশে পা রাখেন পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলিতে বোল্ড হয়ে থামে তার ইনিংস। তবে তার আগে তরুণ এই ওপেনার উপহার দেন ৬৯ বলে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস।
লিটন দাস একাদশের বাইরে থাকায় প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নামেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে পারেননি পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে। ৯ রানে দুশমন্থ চামিরার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ধরা পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তাওহীদ একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করেন খোলসবন্দী হয়েই। অনেকদিজ পর ওয়ানডে দলে ফেরা শামীম হোসেন অবশ্য ছিলেন ইতিবাচক। ব্যাট করেন ১০০ স্ট্রাইট রেটে। তবে শর্ট বলের ট্র্যাপে তাকে ফেলেন আসিথা ফার্নান্দো। ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করে।
শামীমের আউটে চাপ আরও বাড়ে বাংলাদেশের ওপর। জাকের আলি অনিককে নিয়ে সেটা মোকাবেলা করার পথে তাওহীদ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ২৫তম ব্যাটার হিসেবে ১ হাজার রানের ক্লাবে পা রাখেন। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তার লেগেছে ৩৩ ইনিংস। তার চেয়ে চেয়ে কম ইনিংসে এই কীর্তি গড়েছেন কেবল দুই ব্যাটার, শাহরিয়ার নাফিস ও এনামুল হক বিজয়। দুজনেরই লেগেছিল ২৯ ইনিংস।
আরও পড়ুন
| এক বছরের জন্য স্থগিত হয়ে গেল ভারতের বাংলাদেশ সফর |
|
রয়েসয়ে খেলা জাকেরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আসিথা ফের চাপে ফেলেন বাংলাদেশকে। তাওহীদের ওপর তাতে দায়িত্ব বর্তায় দলকে ভালো একটা স্কোর এনে দেওয়ার। তবে তিনিও হন ব্যর্থ, যদিও ভাগ্যকে দুষতেই পারেন তিনি।
আসিথার বলে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন তাওহীদ। শুরুটা সাড়া দিলেও পরে ফিরে যান তানজিম হাসান সাকিব। মাঝপথে গিয়েই আর ক্রিজে ফেরার সুযোগই পাননি তাওহীদ। রান আউটে শেষ হয় তার ২ বাউন্ডারিতে সাজানো ৫১ রানের ইনিংস।
সেই সময়ে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যাবে ২২০ রানের মধ্যেই। তবে সেটা হতে দেননি তানজিম। চোখজুড়ানো সব চার-ছক্কার বাহারে ভড়কে দেন প্রতিপক্ষকে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার এক ওভারে দুই চারের পর এক লেগ স্পিনারের স্পেলের শেষ ওভারে হাঁকান দুই ছক্কা। তবে ৪৯তম ওভারেই মুস্তাফিজুরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টানেন হাসারাঙ্গা। ২১ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে যান তানজিম।
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম

শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। চলতি মৌসুম শেষেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাঁর লাল বলের ঘরোয়া অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। তবে জাতীয় দলের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজেকে উন্মুক্ত রাখছেন তিনি।
প্রায় এক বছর ধরে সাদা জার্সি পরা হয়নি মার্শের। সবশেষ খেলেছেন গত বছর ভারতের বিপক্ষে এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্টে। ২০০৯ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় মার্শের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দলটির হয়ে শেফিল্ড শিল্ডে ৫৫ ম্যাচে ২৭৪৪ রান ও ৮২ উইকেট ঝুলিতে নিয়েছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেও মার্শের মনোযোগ বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল)। পার্থ স্কর্চার্সের হয়ে খেলছেন তিনি। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে।
এক বিবৃতিতে মার্শ বলেন,
‘ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেফিল্ড শিল্ড খেলা আমার জন্য ছিল সম্মানের। পার্থ স্কর্চার্স ও দলের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি আগের মতোই থাকবে। ডব্লিউএ ক্রিকেট আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ভবিষ্যতেও যেকোনোভাবে অবদান রাখতে চাই।’
মার্শের অবসরের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কোচ ও সাবেক ক্রিকেটার অ্যাডাম ভোজেস। তাঁর ভাষায়,
‘মিচ শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেটারের আসল উদাহরণ। সতীর্থ হিসেবে কিংবা এখন কোচ হিসেবে— সবসময়ই দেখেছি, দলকে তিনি সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর উন্নতি দেখা ছিল বিশেষ অভিজ্ঞতা। মাঠের ভেতরে-বাইরে অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী তিনি।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে যাওয়ার ৪ দিন পর শাস্তি পেল ভারত। মন্থর ওভার রেটের কারণে ভারতের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ করে কেটে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এই খবর জানিয়েছে আইসিসি। অথচ ম্যাচটি শেষ হয়েছে গত সপ্তাহের বুধবার।
রায়পুরে ওই ম্যাচে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে রেকর্ড গড়া জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ শেষ হওয়ার চার দিন পর জানা গেল, সেদিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২ ওভার পিছিয়ে ছিল ভারত।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ওভারের জন্য ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ করে মোট ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয় স্বাগতিকদের।
ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুল নিজেদের দায় স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
পরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে ট্রফি নিজেদের কাছেই রেখে দেয় ভারত।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২ থেকে ২১ ডিসেম্বর হবে ২০২৫ যুব এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন আজিজুল হাকিম তামিম।
তামিমের সহকারী হিসেবে থাকবেন জাওয়াদ আবরার। সব বিভাগে ভারসাম্য রেখে ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে নির্বাচক প্যানেল। যুবাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কোয়াড চূড়ান্ত হয়েছে। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে পাঁচ ক্রিকেটারকে।
ওয়ানডে সংস্করণে বছরটা ভালোই কেটেছে তামিম-জাওয়াদদের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়, ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জয়, ইংল্যান্ড সফরে ১-১ সমতা, নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-২ সমতা। আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের সামনে এশিয়ার সেরা মুকুট ধরে রাখার লড়াই।
দারুণ প্রস্তুতি নিয়ে আগামী পরশু দুবাইয়ের উড়ান ধরবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে কাল মিরপুরে হবে বিসিবির অফিশিয়াল ফটোসেশন। তাদের লক্ষ্যটা নিশ্চয় যুব এশিয়া কাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়! ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এবং গত বছর ভারতকে হারিয়ে টানা দুই শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এবার হ্যাটট্রিক মিশনে অভিযান তাদের।
আইসিসি একাডেমি মাঠে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও আছে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। ১৫ ডিসেম্বর নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ। ১৭ ডিসেম্বর লঙ্কানদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে আজিজুল হাকিমের দল।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), সামিউন বাসির রতুল, শেখ পারভেজ জীবন, রিজান হাসান, শাদিন ইসলাম, মো. আব্দুল্লাহ, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী আলিন, ইকবাল হোসেন ইমন, রিফাত বেগ, শাহরিয়ার আল আমিন, আহমেদ শাহরিয়ার, সাদ ইসলাম রাজিন ও মো. সবুজ।
স্ট্যান্ডবাই:
রাফি-উজ্জামান রাফি, সানজিদ মজুমদার, ফারজান আহমেদ আলিফ, ফারহান শাহরিয়ার, আব্দুর রহিম ও দেবাশীষ সরকার দেবা।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জেতার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেল রংপুর বিভাগ। লিগের সপ্তম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে তিন দিনেই তারা হারিয়ে দিল চ্যাম্পিয়নশিপে দৌড়ে থাকা আরেক দল খুলনা বিভাগকে। এখন তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে বরিশাল ও সিলেট ম্যাচের দিকে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল রংপুর। ইকবাল হোসেনের ১৭০ বলে ১১৪ রানের সৌজন্যে ২৩১ রানের লক্ষ্য ৫৫ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা।
লিগে নিজেদের সাত ম্যাচ শেষে এখন ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রংপুর। ছয় ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সিলেট। এছাড়া ছয় ম্যাচে ময়মনসিংহের ঝুলিতে ২৪ পয়েন্ট। তবে শেষ ম্যাচে ময়মনসিংহের জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাই দৌড় থেকে ছিটকে গেছে তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সিলেট তেমন সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। ম্যাচের তিন দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৭ রানে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল। তাদের বাকি রয়েছে আরও ৬ উইকেট। বরিশালকে অলআউট করে পরে সেই রান তাড়া করা সিলেটের জন্যও সহজ হওয়ার কথা নয়।
রংপুরের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে খুলনা। এদিন আর মাত্র ৫৫ রান যোগ করতে পারা। টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবার শিকার করেন ২২ রানে ৫ উইকেট।
পরে রান তাড়ায় তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন ইকবাল ও নাঈম ইসলাম। ৪৫ রান করে ফিরে যান নাঈম। আকবরকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ব্যাটার ইকবাল।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আড়াই দিনে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে ঢাকা। চট্টগ্রাম বিভাগকে ইনিংস ও ১৯২ রানে হারিয়ে তারা।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আনিসুল ইসলাম ১৮৬, মার্শাল আইয়ুব ১৬৫ ও আশিকুর রহমান শিবলি ১০০ রান করলে ৬ উইকেটে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে চট্টগ্রাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ময়মনসিংহের বিপক্ষে জয়ের দুয়ারে রাজশাহী। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ময়মনসিংহের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। শেষ দিনে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ২০১ রান।
৬ চার ও ৯ ছক্কায় ৮৯ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত আবু হায়দার রনি। শেষ দিনে তার সেঞ্চুরিটিই হয়তো হতে পারে সান্ত্বনা।
রাজশাহীতে সিলেটের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১২ রান। তাদের লিড এখন ২৩৭ রানের। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি।
এই ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন শামসুর রহমান শুভ। নিজের শেষ ইনিংসে ১৭ রান করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। পরে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় তাকে গার্ড অব অনার দেন সিলেট ও বরিশালের ক্রিকেটাররা।

শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে প্রায় ৯ মাস ধরে স্বীকৃত ক্রিকেট থেকে দূরে তামিম ইকবাল। সামনের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও খেলবেন না দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার। আর এটিই মুশফিকুর রহিমের সামনে খুলে দিয়েছে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দুয়ার।
সিলেটে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১২তম মৌসুম। যেখানে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলবেন মুশফিক। বিপিএলের নিলামে শুরুতে দল না পেলেও, দ্বিতীয় ধাপে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে কিনে নিয়েছে রাজশাহী।
এবারের বিপিএলে সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন মুশফিক।
বিপিএলের প্রথম ১১ আসর খেলে ১১৮ ম্যাচে ৩২ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৮৩৫ রান করেছেন তামিম। অন্য দিকে ১৪০ ম্যাচে ২১ ফিফটিতে মুশফিকের সংগ্রহ ৩ হাজার ৪৪৬ রান। সামনের আসরে তাই ৩৮৯ রান করলেই সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএলে তামিম ও মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটারের ৩ হাজার রান নেই। নিকট ভবিষ্যতে মুশফিক ছাড়া তাই আর কারও পক্ষে তামিমের রেকর্ড ভাঙাও সম্ভব নয়।
টুর্নামেন্টের গত আসরটি তেমন ভালো যায়নি মুশফিকের। ১৪ ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১৮৪ রান। তবে এর দুই আসরে যথাক্রমে ৩৫৭ ও ৩৮০ রান। এছাড়া ২০১৯-২০ মৌসুমের বিপিএলে ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছিলেন এক আসরে নিজের সর্বোচ্চ ৪৯১ রান।
এবার তেমনই একটি বিপিএল কাটাতে পারলে তামিমকে টপকে সবার ওপরে উঠে যাবেন মুশফিক।
বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
১/ তামিম ইকবাল - ৩৮৩৫
২/ মুশফিকুর রহিম - ৩৪৪৬
৩/ এনামুল হক বিজয় - ২৭৭৬
৪/ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ - ২৭২৬
৫/ লিটন দাস - ২৪৪৩