সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ বোলারদের সক্ষমতা পরখ করে দেখতে পেরেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওই দুটি ম্যাচে ১৩৭ এবং ১০৪ রানের চ্যালেঞ্জ ৩৯ এবং ৪১ বল হাতে রেখে যথাক্রমে ৮ এবং ৯ উইকেটে জিতে টপ অর্ডার ব্যাটারদের পরীক্ষাও নিয়েছে কোচিং স্টাফ। ১ ম্যাচ হাতে রেখে ডাচদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করার পর বাকি ছিল সমন্বিত টিম ব্যাটিং শক্তি দেখে নেয়া। সাইড বেঞ্চকেও পরখ করা ছিল জরুরি। সিলেটে সিরিজের শেষ ম্যাচে সেই পরীক্ষাও করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদি হাসানকে বিশ্রাম দিয়ে নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেনকে সুযোগ দিয়ে সাইড বেঞ্চের শক্তি সম্পর্কে ভালোই ধারণা পেয়েছেন ফিল সিমন্স, শন টেইট, মোহাম্মদ সালাউদ্দিনরা।
আরও পড়ুন
| হৃদয় বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, ওকে নিয়ে চিন্তিত নই: লিটন |
|
ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে থেকেও সোহানের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে, গায়ানার গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সকে ফাইনালে তুলে আনার এই কারিগরের প্রতি নির্বাচকদের অবহেলা নিয়ে মিডিয়ায় কম সমালোচনা হয়নি। গণমাধ্যমের সমালোচনায় সোহান দলে ফিরলেও নিশ্চিত ছিল না তার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরা।
সিরিজের শেষ ম্যাচে সেই সুযোগটা পেয়ে নিজের বিগ হিটিং সক্ষমতা জানিয়ে দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে। ১১ বলে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ২২ রানের হার না মানা ইনিংসে মেরেছেন কাইল ক্লেইনকে পরপর ২টি ছক্কা। যার মধ্যে প্রথমটি দর্শনীয় সুইপ শটে ফাইন লেগের উপর দিয়ে। পরেরটি ওভারপিচ ডেলিভারিতে লং অনের উপর দিয়ে। যে ছক্কার দূরত্ব ছিল ৮৭ মিটার!
শেষ ম্যাচে টসে জিতে নেদারল্যান্ডস ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে একটু বেশিই খুশি হয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। নিয়মিত দুই ওপেনার পারভেজ ইমন-তানজিদ হাসান তামিমকে বিশ্রাম দেয়ায় সাইফ হাসানকে দেয়া হয়েছে ওপেনিংয়ে সুযোগ। তবে ৬ রানের মাথায় লাইফ পাওয়ার পরও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি সাইফ। ৮ রানের মাথায় ক্লেইনকে ক্রস খেলতে যেয়ে প্যাডে বলের স্পর্শ পেয়ে বোল্ড আউটে থেমেছেন সাইফ।
হৃদয় দর্শকের হৃদয় জয় করতে পারেননি। প্রিঙ্গেলের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন মাত্র ৯ রানের মাথায়। শামীম পাটোয়ারির ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিয়ে লাভ হয়নি। ওয়ানডে মেজাজে (১৯ বলে ২১) ব্যাটিং করে ক্লেইনের এক্সট্রা বাউন্সে ফাইন লেগে দিয়েছেন ক্যাচ।
সিলেটের লোকাল হিরো জাকের আলী অনিক ব্যাটটা চওড়া করেছেন এদিন (১৩ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় ২০*)।
তবে সবাইকে ছাপিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা একান্ত নিজের করে রেখেছেন লিটন দাস। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৬ বলে ফিফটি, শেষ ম্যাচে ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন। এই সিরিজ শুরুর আগে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতোদিন বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক ১৩টি ফিফটির মালিক ছিলেন সাকিব আল হাসান (১২৯ ম্যাচে ১৩ ফিফটি)।
ডাচদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটিতে (৫৪*) সাকিবের সেই রেকর্ড স্পর্শ করেছেন লিটন। সিরিজের শেষ ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে (৪৬ বলে ৬ চার, ৪ ছক্কায় ৭৩) সাকিবকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে এখন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরির মালিক লিটন দাস (১১০ ম্যাচে ১৪ ফিফটি)।
আরও পড়ুন
| হান্ড্রেডে বাজিমাত করে জাতীয় দলে কক্স |
|
পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের দীক্ষাটা ভালই নিয়েছেন লিটন। সিরিজের শেষ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে পাওয়ার হিটিংয়ের প্রতিফলন ছিল। দোরামকে ছক্কার চুমোয় ফিফটি উদযাপন করে পেয়েছেন দর্শকের হাততালি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির আবহ ছিল তার ব্যাটিংয়ে। ক্লেইনের ইনসাইড আউট ডেলিভারিতে ফ্রন্ট ফুটে খেলতে যেয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন ৭৩ রানের মাথায়। এর পর বাংলাদেশ খেলেছে ২৬টি বল। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে থাকতে পারলে হয়তবা ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটা হয়ে যেতো লিটনের।
৩ ম্যাচের সিরিজে ১৫৫.৯১ স্টাইক রেট এবং ১৪৫.০০ গড়ে ১৪৫ রান করেছেন লিটন। ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু সাকিবের। ২০২২ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩ ম্যাচে করেছিলেন তিনি ১৫৪ রান।
সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ঝড় থামিয়ে দিয়েছে বৃষ্টি। প্রথম দফায় স্কোর যখন ৪.১ ওভারে ৬০/১, তখন লিটনদের থামিয়ে দিয়েছে বৃষ্টি। ২০০ স্কোরকে টার্গেট করে ব্যাটটা যখন চওড়া করেছেন জাকের আলী অনীক-সোহান, স্কোর যখন ১৮.২ ওভারে ১৬৪/৪, তখন দ্বিতীয় দফার ভারী বর্ষণ ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণায় ম্যাচ অফিসিয়ালদের বাধ্য করেছে। ১১০ বলের ইনিংসে ১০ চারের পাশে ৭ ছক্কা, ওভারপ্রতি ৮.৯৪ রানেও তাই সন্তুষ্টির পাশে আক্ষেপ থেকে যাচ্ছে।
No posts available.

এশিয়া কাপে হংকংয়ের শুরুটা বাজে হলেও পরের দুই ম্যাচে লড়াকু পুঁজি পায় তারা। দুটি ম্যাচই ফসকে যায় বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে হংকং। সেই রান তাড়া করতে নেমে খাদের কিনারায় পৌঁছে চারিথ আসালাঙ্কারা। যদিও শেষ পর্যন্ত হাসারাঙ্গার বদৌলতে ফল নিজেদের পক্ষে নেয় শ্রীলঙ্কা।
হংকংয়ের ম্যাচ নাগাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার মূলে ক্যাচ মিস। আজ মোট ছয়টি ক্যাচ মিস করেছে তারা। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কুড়ি কুড়ি ক্রিকেটে এমন আরও চারটি ঘটনা আছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছেড়েছিল ভারত। ২০১৭ সালে একই দলের বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। আর ২০২৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই সংখ্যক ক্যাচ মিস করে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
| শ্রীলঙ্কার জয়ে কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ |
|
টুর্নামেন্টে মোট ১২টি ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারে হংকং। ১১টি ক্যাচ মিস করে তারা। আর এই ক্যাচ মিস কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। বেজেছে বিদায়ঘণ্টাও। ক্যাচ মিস নিয়ে দলটির অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা বলেছেন,
"আমরা কয়েকটি ক্যাচ ফেলেছিলাম এবং তাতে খেলাটা হাতছাড়া হয়ে যায়। ইতিবাচক দিক হলো (আমরা) বড় মঞ্চে খেলছি, (এটা) স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই। আমরা (ফিরে যাওয়ার পর) অনেক কিছু ভাবব এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করব।"

শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটা একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠেছিল। যার কারণ, হংকংয়ের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এবং শেষ দিকে ৮ রানে ৪ উইকেট খুঁইয়ে বসা। তবে দলের পক্ষ থেকে বার্তা পরিষ্কার ছিল—জিততে হলে ঘাম ঝরাতে হবে। শেষ পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে চারিথ আসালাঙ্কারা। এ জয়ে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রেখেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে হংকংয়ের।
এশিয়া কাপে এ গ্রুপে শীর্ষে উঠে এলো শ্রীলঙ্কা। দুই জয়ে লঙ্কানদের পয়েন্ট চার। রান রেট ১.৫৪৬। দ্বিতীয়স্থানে আফগানিস্তান। রশিদ খানের দলের পয়েন্ট দুই। আফগানরা মাত্র একটি ম্যাচে অংশ নিয়েছে। তাদের রানরেট ৪.৭০০। আর তৃতীয়তে থাকা বাংলাদেশ দুই ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে। তাদের রান রেট -০.৬৫০। আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে লিটন দাসদের ম্যাচ। এই ম্যাচে হেরফের হলেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
| পিসিবির চিঠির উত্তর দেয়নি আইসিসি! |
|
এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে হংকংকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাটিং করে লঙ্কানদের ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় তারা। তবে ৭ বল হাতে রেখে সে রান টপকে যায় শ্রীলঙ্কা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হংকংকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জিশান আলী ও আনশুমান রাঠ। পাওয়ার প্লের সুযোগ নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে যথাক্রমে ১০ ও ১৩ রান তোলেন তারা। তবে দলীয় ৪১ রান জিশানকে চামিরা সাজঘরে ফেরালে ভাঙে হংকংয়ের ওপেনিং জুটি। ১৭ বলে ২৩ রান করেন জিশান। এরপর ক্রিজে এসে ধুঁকেছেন বাবর হায়াত। হাসারাঙ্গার শিকার হওয়ার আগে মাত্র ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নিজাকাত খানকে সাথে এগিয়েছেন আনশুমান রাঠ। দুইজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছে হংকং। ৪৩ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন তারা দুইজন। রাঠকে আউট করে জুটি ভাঙেন চামিরা। ৪৬ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
| সুপার ফোরে ভারত, চিন্তায় পাকিস্তান |
|
এদিন হংকংয়ের অধিনায়ক ইয়াসিম মর্তুজা ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে৷ বাকি সময়টায় হংকংয়ের ইনিংসকে টেনেছেন নিজাকাত খান। ইনিংসের শেষ ওভারে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে হংকং। ৩৮ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন নিজাকাত খান।
জবাবে ২৬ রানে প্রথম উইকেট পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার। তবে কামিল মিশরাকে নিয়ে হাল ধরেন পাথুম। কামিল ফিরলে নিজের ইনিংস বড় করার পাশাপাশি দলকে এগিয়ে নেন। যদিও দলীয় ১১৯ রানের মাথায় লঙ্কান ওপেনার রান আউটে কাটা পড়লে বিপদে পড়ে দল। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে ফিরেন তিনি। এরপর ১১৯ থেকে ১২৭ রানের মধ্যে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় লঙ্কানরা। শেষ অমঙ্গলের হাত থেকে বাঁচান দাসুন শানাকা ও হাসারাঙ্গা। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা।

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের অপসারণ দাবি করেছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রধান ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। যদিও তার অনুরোধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি যেভাবে এশিয়া কাপে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন, সেটি মানার সম্ভাবনা খুবই কম—এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নাকভির মেইলের উত্তর দেয়নি আইসিসি। ধারণা করা হচ্ছে, পিসিবির ম্যাচ রেফারি পরিবর্তনের অনুরোধ মানার মতো পর্যাপ্ত কারণ আইসিসির কাছে নেই। যদি এখনো কোনো অফিসিয়াল উত্তর দেয়নি ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই আইসিসি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
আরও পড়ুন
| সুপার ফোরে ভারত, চিন্তায় পাকিস্তান |
|
পাকিস্তানের অভিযোগ, টসের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছিলেন। যা কিনা খেলাধুলার স্পিরিটের সরাসরি বিরোধী। তাই পাইক্রফটকে দায়ী করে এক টুইট বার্তায় তার অপসারণ দাবি করেন নাকভি।
“পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে, ম্যাচ রেফারি আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এবং এমসিসি'র স্পিরিট অব ক্রিকেটসংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেছেন। এই কারণে এশিয়া কাপ থেকে ওই ম্যাচ রেফারিকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছে পিসিবি।”

খেলল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। জিতল স্বাগতিক দল। আর আখের লাভ ভারতের। অর্থাৎ আজ আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের দিনের প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ ওয়াসিমদের জয়ে সবার আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ওমান।
আরও পড়ুন
| আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মুশতাক |
|
১৭তম আসরে এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে ভারত। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের রানরেট ৪.৭৯৩। দ্বিতীয় পাকিস্তান। সমান ম্যাচে এক জয় ও এক হার তাদের। দলটির রান রেট ১.৬৪৯। রানরেটে আরব আমিরাতের (–২.০৩০) চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। ২ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ওমান আগামী শুক্রবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে। সে ম্যাচের ফল যা–ই হোক, এই গ্রুপ থেকে ভারতের সুপার ফোরে ওঠা নিশ্চিত।
আমিরাত আজ প্রথম জয় পেয়েছে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত হবে ওয়াসিমদের। অর্থাৎ শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের পর আরেকটি কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারেন সালমান আগারা। হাতের তালুর মতো চেনা ঘরের মাঠে জায়ান্ট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটলে খেরোখাতায় লেখা হবে ইতিহাস।

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ কুড়ি কুড়ি ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পায় আফগানিস্তান। সার্বিক দিক থেকেও লিটন দাসদের চেয়ে এগিয়ে রশিদ খানরা। ক্রিকেটের স্বল্প ওভারের খেলায় ১২ বারের দেখায় ৭বার জয় আনন্দ উপভোগ করেছে আফগানরা। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় জয় কঠিন হলে আত্মবিশ্বাস মুশতাক।
তিনি বলেন,
‘‘আফগানদের বিপক্ষে জয় তোলা কঠিন। রশিদদের মতো স্পিনাররা ১৫–২০ বছর ধরে খেলছে, অভিজ্ঞতায় তারা এগিয়ে। তার মানে এই নয় আমরা পিছিয়ে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের স্পিনাররাই মাঝের ওভারে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে এবং আমাদের ইকোনমি রেটে সেরা এক বা দুইয়ের মধ্যে। আমাদের শক্তি মাঝের ওভারের স্পিন আক্রমণ, সেটিই কাজে লাগাতে হবে।’’
আরও পড়ুন
| রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
|
এসময় আফগানদের বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার ব্যাপারটিও সামনে আনলেন মুশতাক। ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ আফগানরা। মুশতাক বলেন,
‘‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, আপনি চাইলে বিছানা কিনতে পারবেন কিন্তু ঘুম কিনতে পারবেন না। ঠিক সেভাবে আপনি চাইলেও অভিজ্ঞতা কিনতে পারবেন না। অভিজ্ঞতা আসে খেলার মাধ্যমে। তারা অনেক লিগ খেলে বলে এগিয়ে। তবে বাংলাদেশও কম ভালো করছে না। কিন্তু আইসিসি বা এসিসি টুর্নামেন্টে আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’