২৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪:৫৩ এম
চলতি মৌসুমে দুটি এল ক্লাসিকোতে ছিল না কোনো প্রাণ। হেসেখেলেই জেতে বার্সেলোনা। কোপা দেল রের ফাইনালের প্রথমার্ধে এক গোল হজম করে যেন সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুই গোল দিয়ে জয়ের আশা জাগাল লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। কিছুটা ছন্দ হারিয়ে ফেলা হান্সি ফ্লিকের দল সমতা টানল শুরুতে, এরপর জুলস কুন্দের শেষ সময়ের গোলে নিশ্চিত করল মৌসুমে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা।
সেভিয়ায় রোববার কোপা দেল রের এল ক্লাসিকো ফাইনালে রিয়ালকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ সমতায় শেষের পর অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন কুন্দে। এই মৌসুমে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে এটি ফ্লিকের দলের হ্যাটট্রিক জয়। এই ফাইনালের আগে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালেও রিয়ালকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে কোপা দেল রের শিরোপার জয়ীদের তালিকায় নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে বার্সেলোনা। তারা এই প্রতিযোগিতা জিতেছে এই নিয়ে ৩২ বার। রিয়ালের নামের পাশে রয়েছে ২০টি, তারা আছে তিনে। দুইয়ে থাকা আথলেতিক বিলবাও জিতেছে ২৪ বার।
আরও পড়ুন
ফাইনাল উপভোগ করতে চান বার্সা কোচ |
![]() |
চলতি মৌসুমে এর আগে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে খেলেছিল দুই দল। দুটিতেই ফ্লিকের দলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল। উভয় ম্যাচেই বার্সেলোনার আক্রমণাত্মক ফুটবলের কাছে মার খায় লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচেও হয়নি তার ব্যতিক্রম।
প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখে বার্সেলোনা। তৃতীয় মিনিটে কর্নার থেকে জুলস কুন্দের হেড চলে যায় পোষ্টের ওপর দিয়ে। ম্যাচের আগে রেফারি রিকার্ডো ডি বার্গোস বেনগোয়েটেক্সিয়াকে নিয়ে বিতর্কের কারণে বাড়তি চোখ ছিল তার দিকে। তবে সেই চাপ সামলে ম্যাচের প্রথম দিকে ভালো কিছু সিদ্ধান্তই নেন তিনি।
প্রথম দশ মিনিটে সেভাবে আক্রমণ শানাতে না পারা রিয়াল বড় ধাক্কা খায় ফেরলন্ড মন্ডির চোটে। ভঙ্গুর রক্ষণভাগে তার বদলি হিসেবে অনভিজ্ঞ ফ্রাঙ্ক গার্সিয়াকে নামান আনচেলত্তি। তবে তাতেও চিত্রে আসেনি কোনো বদল। বারবার উইং ধরে আক্রমণে উঠছিলেন ইয়ামাল, আর গতিতে হার মানাচ্ছিলেন রিয়ালের ডিফেন্ডারদের।
১৬তম মিনিটে রাফিনিয়ার ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের বক্সের ভেতর পড়ে যান ফেদেরিকো ভালভের্দে, তখন বল তার হাতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন জানায় বার্সেলোনা। তবে রেফারি তাতে সাড়া দেননি।
২১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ক্রসে দারুণ এক হেডার লক্ষ্যেই রেখেছিলেন কুন্দে, তবে শেষ মুহূর্তে বাম হাতে ফিস্ট করে ক্লিয়ার করে রিয়ালকে বাঁচান থিবো কোর্তোয়া।
আরও পড়ুন
এফএ কাপ জিতে ‘বড় ক্ষতি’ এড়াতে চান গার্দিওলা |
![]() |
তবে এর ৭ মিনিট পর আর শেষ রক্ষা করতে পারেননি তিনি। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে বাঁদিক থেকে গতিতে রিয়ালের খেলোয়াড়দের নিয়ে ছেলেখেলা করা ইয়ামাল বল বাড়ান বক্সের একটু বাইরে ফাঁকায় থাকা পেদ্রির দিকে। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার সময় নিয়ে খুঁজে নেন ঠিকানা।
প্রথমার্ধে রিয়ালের সেরা খেলোয়াড় জুড বেলিংহাম ৩৫তম মিনিটে দানি সেবায়োসের পাস থেকে বল জালে পাঠালেও অফসাইডে থাকায় আর মেলেনি গোল।
৪৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার কর্নার জটলার মধ্যে ডিফ্লেকশনের পর ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এর এক মিনিট বাদে আরেকটি কর্নার থেকেও বার্সেলোনা পেয়েছিল ভালো সুযোগ, তবে কাজে লাগাতে পারেনি।
একতরফা প্রথম ৪৫ মিনিটে রিয়াল গোলের জন্য নিতে পারে মাত্র একটি শট, সেটাও থাকেনি লক্ষ্যে। আর আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা ৭টি শটের চারটিই রাখে লক্ষ্যে।
বিরতিতে রদ্রিগোর জায়গায় কিলিয়ান এমবাপেকে নামায় রিয়াল। এই অর্ধের শুরুতেই ভিন্ন ছন্দে হাজির হয় দলটি। ৪৮তম মিনিটে বার্সেলোনার একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বলের দখল নিয়ে ডান দিকে ক্রস বাড়ান বেলিংহাম। প্রথম টাচে শট না নিয়ে কিছুটা কঠিন এঙ্গেল থেকে শট নেন ভিনিসিয়ুস, যা ফেরান ওজসিচ সেজেনি। ফিরতি বল পেয়ে ফের ব্রাজিল তারকা শট নিলে কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।
এমবাপে মাঠে নামার পর থেকেই বেড়ে যায় রিয়ালের আক্রমণের ধার। ৫৫তম মিনিটে ড্রিবলিং করে বক্সে প্রবেশ করে বল বাড়ান ভিনিসিয়ুসের দিকে। তবে আরও একবার প্রথম টাচে শট না করে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন ফিফার বর্ষসেরা এই ফুটবলার।
বিরতির আগে টানা আক্রমণ করে যাওয়া বার্সেলোনা এই অর্ধের শুরু থেকে কিছুটা ব্যস্ত সময় কাটায়। আর সেটা হচ্ছিল যার কারণে, সেই এমবাপেই শেষ পর্যন্ত রিয়ালকে ম্যাচ ফেরান। বক্সের বাইরে বল নিয়ে আগুয়ান গতিতে এগিয়ে যাওয়া ফরাসি তারকাকে টেনে ফেলে দেন পেদ্রি। রিয়ালের তীব্র প্রতিবাদের মুখে স্রেফ হলুদ কার্ড পান তিনি।
এরপর ফ্রি-কিক থেকে বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের দেয়ালের মধ্য দিয়ে বুলেট গতির এক শটে বল জালে পাঠান এমবাপেই। এই প্রথম পেশাদার ক্যারিয়ারে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে গোলের দেখা পেয়েছেন সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
রেফারি পরিবর্তন না হলেও ফাইনালে অংশ নেবে রিয়াল |
![]() |
একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া রিয়াল খানিক বাদে পেয়েছিল দারুণ সুযোগ। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করে ভিনিসিয়ুস পাস দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ছয় গজে ফাঁকায় থাকা এমবাপের দিকে। তবে সেযাত্রায় বার্সেলোনা ক্লিয়ার করতে সমর্থ হয়।
প্রথমার্ধের ঠিক বিপরীত ফুটবল খেলা বার্সেলোনাকে এই দ্বিতীয়ার্ধে চেনাই ছিল দায়। একটা গোল হজমের পরও গুছিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিডও নিয়ে ফেলে রিয়াল। ৭৭তম মিনিটে আর্দা গুলেরের কর্নার থেকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক হেডারে গোল করেন ফরাসি মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনি।
৮২তম মিনিটে পেদ্রির পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের কার্লিং শট নেন ইয়ামাল, যা দারুণ ক্ষিপ্রতায় থামান কোর্তোয়া। তবে এর একটু পর তার ভুলে গোল হজম করে বসে রিয়াল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বলের দখল নিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন স্রেফ ফেররান তরেস। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ব্যর্থ হন কোর্তোয়া, আর ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার পারেননি ক্লিয়ারেন্স করতে।
ম্যাচের ধারার বিপরীতে গোল করে যেন প্রাণ ফিরে পায় বার্সেলোনা শিবির। নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার একটু আগে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভিনিসিয়ুস।
ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর দিকে, ঠিক তখন ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে রিয়ালকে প্রায় বিপদে ফেলেই দিচ্ছিলেন রাউল আসেন্সিও। রাফিনিয়াকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে হজম করেন পেনাল্টি। তবে ভিএআর চেকের পর ডাইভ দেওয়ার কারণে পেনাল্টি বাতিল করে রাফিনিয়াকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম দশ মিনিট চলে আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণের মধ্য দিয়ে। ১০৩তম মিনিটে বক্সের ভেতর সতীর্থের পাস পেয়ে বাঁদিক থেকে জটলার মধ্যে শট নেন তরেস, যা অল্পের জন্য থাকেনি লক্ষ্যে। যদি থাকত, খুঁজে নিত জালের ঠিকানা। কারণ, কোর্তোয়ারও চেয়ে দেখা ছাড়া আর করার ছিল না কিছুই।
১০৭তম মিনিটে আরও একবার রিয়ালের জালে বল পাঠান তরেস। তবে তিনি অফসাইডে থাকাই এই দফায় হতাশই হতে হয় বার্সেলোনাকে। এর মিনিট পাঁচেক পর দুর্দান্ত একটি সুযোগ তৈরি করেন রিয়াল মিডফিল্ডার গুলের। তার ক্রসে ঝাঁপিয়েও হেডার দিতে পারেননি বেলিংহাম।
১১৬তম মিনিটে রিয়ালের সর্বনাশ করেন লুকা মদ্রিচ। নিজেদের অর্ধে অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারের ভুল পাস থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান কুন্দে। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে প্লেসিং শটে পরাস্ত করেন কোর্তোয়া। এর মিনিট খানেক বাদেই বার্সেলোনার বক্সে ফাউলের শিকার হন এমবাপে। শুরুতে পেনাল্টির বাঁশি বাজলেও তিনি নিজেই অফসাইড থাকায় সেটা বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগে উত্তেজনা দেখা দেয় রিয়ালের ডাগআউটে। বদলি হিসেবে আগেই উঠে যাওয়া রুডিগার রেফারিকে উদ্দেশ্য করে একটা বস্তু ছুড়ে মারেন। শাস্তি হিসেবে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয়। এরপর যোগ হয় রিয়ালের হারের দুঃখ।
৩০ জুলাই ২০২৫, ২:১০ পিএম
২৯ জুলাই ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তাঁর দুই অ্যাসিস্টে মেক্সিকান ক্লাব অ্যাটলাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। আর এই জয়ে লিগস কাপে পথচলা শুরু হল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির। সবচে বড় কথা জুলাই জুড়ে নিজের অসাধারণ ফর্ম অব্যাহত রাখলেন মেসি। মেজর লিগ সকারে এ মাসে তিনি করেছেন ৮ গোল, পাঁচটি অ্যাসিষ্ট, যেকারণে ইতিমধ্যে মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে মেসির হাতে। এখন উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ৩৬ ক্লাবের এই প্রতিযোগিতায় জয়ে মৌসুম শুরু হল মায়ামির।
ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন গোল হয়নি! ম্যাচের প্রথম গোলটি হয় ৫৮ মিনিটে। সেগোভিয়ারের করা গোলে এসিস্ট করেছিলেন মেসিই। ৮২ মিনিটে লোজানোর গোলে সমতায় ফেরে অ্যাটলাস। ইনজুরি সময়ে মেসির পাস থেকে গোল করে জয় এনে দেন মার্সেলো ভিগান্ট। যদিও অফসাইডের পতাকা উঠেছিল, তবে ভিএআরে বৈধ বলে বিবেচিত হয় গোলটি!
শেষ মূর্হুর্তে জয়সূচক গোল পাওয়ার পর মেসির সাথে আনন্দে মেতে ওঠেন প্রথমবার খেলতে নামা রদ্রিগো ডি পল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ডি পল গত সপ্তাহে মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন। মেসি ও ডি পল একসাথে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ৬২ ম্যাচ।
এই ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করেন মায়ামি গোলরক্ষক রিওস নোভো। লুইস সুয়ারেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
লিগস কাপে অদ্ভূত এক নিয়ম আছে, কোন ম্যাচই ড্র হতে পারবে না। ড্র ম্যাচের নিস্পত্তি হবে টাইব্রেকারে। এখানে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ৩ টি ম্যাচ খেলবে মেক্সিকোর লিগা এমএক্স’র তিনটি দলের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচের পর গ্রুপ পর্বে আরও দু’টি ম্যাচ বাকি থাকলো ইন্টার মায়ামির।
দিন দুয়েক আগেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লুইস দিয়াজের লিভারপুল ছাড়ার বিষয়টি। প্রশ্নটা ছিল মূলত তিনি কবে যোগ দিচ্ছেন বায়ার্ন মিউনিখে। শেষ পর্যন্ত এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। জার্মান চ্যাম্পিয়রা নিশ্চিত করেছে কলম্বিয়ান উইঙ্গারকে দলে টানার বিষয়টি।
বিবৃতিতে বায়ার্ন জানিয়েছে, ২০২৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি হয়েছে দুই পক্ষের। ট্রান্সফার ফি অবশ্য জানায়নি তারা। তবে ইএসপিএন নিজেদের সূত্রের মাধ্যমে দাবি করেছে, এই চুক্তির মূল্য ৭৫ মিলিয়ন ইউরো, যার মধ্যে অতিরিক্ত বোনাসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে এটি বায়ার্নের এই তৃতীয় সাইনিং। এর আগে বুন্দেসলিগার ক্লাবটি লেভারকুসেনের জোনাথান তাহ এবং হফেনহাইমের মিডফিল্ডার টম বিশোফকে দলে যোগ করেছে।
ঠিকানা বদল করতে চান, এটা আগেই লিভারপুলকে জানিয়ে দেন দিয়াজ। সেই কারণেই গত শনিবার এসি মিলানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অংশ নেননি তিনি। মূলত তখন থেকেই তার সম্ভাব্য বিদায় নিয়ে জল্পনার শুরু হয়। পরে গত রবিবার তাকে ক্লাবের এশিয়া সফরের স্কোয়াড থেকেও ছেড়ে দেয় আর্নে স্লটের দল।
লিভারপুলের সাথে দিয়াজের চুক্তি ২০২৭ সাল পর্যন্ত ছিল। শুরুতে সেটা নবায়নের চিন্তা থাকলেও পরে সেই চিত্রে বদল আসে। এসবের মাঝেই বার্সেলোনা ও বায়ার্ন উভয় ক্লাবই আগ্রহ দেখালেও, লিভারপুল প্রাথমিকভাবে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
চলতি মাসের শুরুতে বায়ার্নের দেওয়া ৬৭.৫ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেয় লিভারপুল। তাদের প্রত্যাশা ছিল ১১০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। তবে জার্মান ক্লাবটি পরবর্তীতে উন্নত আর্থিক প্রস্তাব দিলে লিভারপুল শেষ পর্যন্ত তাতেই সম্মত হয়।
গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে দারুণ খেলেছেন দিয়াজ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭টি গোল করে দলটির প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে রাখেন ভালো অবদান।
দিয়াজ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এফসি পোর্তো থেকে ৪৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুলে যোগ দেন। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪৮ ম্যাচে করেন ৪১টি গোল। এবার পালা জার্মান ফুটবলে নিজেকে প্রমাণের।
বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই টমাস মুলারের ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবে চলে আসে যুক্তরাষ্ট্রের নাম, যেখানে তাকে নেওয়ার জন্য আগ্রহী ছিল মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কয়েকটি ক্লাব৷ তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড-এর দাবি, শেষ পর্যন্ত লিগ একই থাকলেও বদলে যাচ্ছে ক্লাব। কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ক্লাবে নাম লেখানোর কাছাকাছি চলে গেছেন জার্মানির কিংবদন্তি এই ফরোয়ার্ড।
এর আগে এমএলএসের লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি-এর সাথে মুলারের যোগাযোগ হয়েছিল বলে গুঞ্জন ছিল। তবে এখন সেটা বাতিলই হয়ে গেছে বলা যায়। বর্তমানে এমএলসের ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে খেলা ভ্যাঙ্কুভার ক্লাবটির সাথেই চলছে চুক্তির চূড়ান্ত আলোচনা, বিল্ড-এর প্রতিবেদনে দাবি করেছেন সাংবাদিক ক্রিশ্চিয়ান ফাল্ক। সেখানে আরও বলা হয়েছে, কানাডিয়ান ক্লাবটি মুলারকে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ করতে চায়।
তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এমএলএসের ‘ডিসকভারি রাইটস’ নিয়ম, যেখানে একজন খেলোয়াড়ের সাথে যে ক্লাব ‘ডিসকভারি রাইটস’ দাবি করে, কেবল তারাই প্রাথমিকভাবে তাকে দলে টানার আলোচনায় যেতে পারে। বর্তমানে মুলারের রাইটস রয়েছে এমএলসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের ক্লাব এফসি সিনসিন্নাটি-এর কাছে। ফলে ভ্যাঙ্কুভারকে প্রথমে সেই রাইটসটা তাদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে।
তবে মুলার যে এমএলএসে যাচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিতই। বাকি শুধু কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। আর সেটা হলে আরও সমৃদ্ধ হবে লিগটি, যেখানে আগে থেকেই ইন্টার মায়ামির জার্সিতে আলো ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। এবার তার সাথে একই লিগে খেলতে যাচ্ছেন জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী সদস্য মুলার, যিনি সুদীর্ঘ এক ক্যারিয়ারে বায়ার্নের হয়ে একাধিক বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন।
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের আর খুব বেশি বাকি নেই। তিন স্বাগতিক দেশে জোরেশোরেই চলছে প্রস্তুতি। তবে একটি জায়গায় কানাডা ও মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই প্রতিবেশী দেশের কয়েকটি শহরকে পেছনে ফেলে ড্রয়ের আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস, এমনটাই দাবি ইএসপিএনের।
সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, ড্রয়ের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ৫ ডিসেম্বর। যদিও ফিফা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ভেন্যু বা ড্রয়ের নির্দিষ্ট তারিখ নিশ্চিত করেনি।
২০২৬ সালের আসরটি অনেকদিক থেকেই ভিন্ন। প্রথমবারের মতো তিন দেশ ও ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি। ২০২২ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২টি দল অংশ নিত বিশ্বকাপে।
আর এই বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভেন্যুগুলোর তালিকায় শুরুতে ছিল লাস ভেগাসের অ্যালিজেন্ট স্টেডিয়ামের নাম। তবে পরে তা বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শহরটিকে ড্র আয়োজনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহর হোস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্যদিকে মেক্সিকো থেকে তিনটি এবং কানাডার দুইটি শহরকেও যুক্ত করা হয়েছে তালিকায়।
বিশ্বকাপের ড্রয়ে থাকবে ১২টি গ্রুপ, যেখানে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৪টি করে দল। ড্রয়ের আগেই ঠিক করা হয়েছে যে মেক্সিকো থাকবে গ্রুপ ‘এ’ তে, কানাডা থাকবে গ্রুপ ‘বি’ তে, আর যুক্তরাষ্ট্র থাকবে গ্রুপ ‘ডি’ তে।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে ১৯ জুলাই, নিউ জার্সিতে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
জেলা প্রশাসন ঢাকা আয়োজিত, ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক আন্তঃ উপজেলা ফুটবলের ফাইনালে ধামরাই উপজেলাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন কেরানীগঞ্জ উপজেলা। মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে উভয় দল। ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা। শুরুতেই নাহিদের গোলে লিড পায় তারা। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে গোল করে দলকে ২-০তে এগিয়ে দেন শান্ত। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে ধামরাই উপজেলা। শেষ মুহূর্তে শান্ত ইসলাম একটি গোল শোধ করলেও হার এড়াতে পারেনি ধামরাই। জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া, ধামরাইয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন হাসান অনিক, ঢাকার জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্রসহ অন্যরা।
চ্যাম্পিয়ন দলকে নগদ ৬০হাজার টাকা ও রানার্স আপ দলকে ৪০ হাজার টাকার প্রাইজ মানিসহ ট্রফি দেয়া হয়।
আগামীতে শুধু ফুটবল নয় নানা ধরনের গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করতে চায় ঢাকা জেলা প্রশাসন বলে জানান জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ।