চলছে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি। প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমনে নামা লেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে নিজেদের প্রস্তুতি সারতে পাড়ি জমিয়েছে অস্ট্রিয়াতে। যেখানে হামজা চৌধুরীরা একই দিনে খেলবে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ। লেস্টার সিটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে এমনই তথ্য।
আগামী শুক্রবার মাঠে গড়াবে দুটি ম্যাচই। প্রথমটা বাংলাদেশ সময় দুপর নাগাদ ইউক্রেনের ক্লাব কারপাতি এলবিবের সঙ্গে, দ্বিতীয় ম্যাচটি তারা খেলবে ক্লোনের বিপক্ষে। অবশ্য দুটি ম্যাচের কোনোটাই প্রতিযোগিতা মূলক ম্যাচ নয়।
লেস্টার সিটি অবশ্য বেশ আগে থেকেই নিজেদের প্রস্তুতিটা শুরু করেছে। এরই মধ্যে তিনটা প্রীতি ম্যাচও খেলেছে তারা।
গেল মৌসুমে লেস্টার প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেও সেটা সুখকর হয়নি। ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে আবারও ফিরেছে চ্যাম্পিয়নশিপে। সেই সঙ্গে দলে ফেরানো হয়েছে বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে। গেল মৌসুমের শেষভাগটা হামজা শেফিল্ডের জার্সিতে খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার খেলবেন নিজের ছোটোবেলার ক্লাবের হয়ে।
এছাড়াও রদবদল এসেছে দলটার কোচিংয়েও। গেল মৌসুমের বাজে পারফরম্যান্সের দায়ে বরখাস্ত হন রুদ ফন নিস্টলরয়। তার জায়গায় নতুন মৌসুমে হামজাদের দায়িত্ব সামলাবেন কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সাবেক কোচ মার্তি সিফুয়ন্তেস।
২৫ জুলাই ২০২৫, ২:৪৫ পিএম
ফুটবলারদের চোটের মিছিল দিন দিন লম্বা হচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের ক্ষেত্রে তো তালিকাটা বেশ লম্বা। গেল মৌসুমে একাধিক তারকা খেলোয়াড়কে ছাড়াই মৌসুম শেষ করতে হয়েছিল তাদের। একই চিত্র দেখা গেছে ইউরোপের অন্য বড় ক্লাবগুলোতেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ মৌসুম এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অভাবই ফুটবলারদের চোটের মূল কারণ। তাই নতুন মৌসুমের শুরুতে এই সমস্যা সমাধানে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু রিয়ালই নয়, ম্যানচেস্টার সিটি সহ আরও অনেক ছোটো বড় ক্লাবই হাঁটছে একই পথে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপের পর থেকেই শীর্ষ ক্লাবগুলো চিকিৎসা খাতকে আরও উন্নত করতে জোর দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তারা।
ক্লাবগুলোর বিশ্বাস, এআই ব্যবহারে ফুটবলারদের ভবিষ্যতে চোট পাওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে। একজন খেলোয়াড় কতটা অনুশীলন করছেন, তার পূর্বের চোটের ইতিহাস, ঘুমের পরিমাণ, খাবারের মান, মাঠের পারফরম্যান্স এমনকি মানসিক অবস্থা সবকিছুই বিশ্লেষণ করবে এই প্রযুক্তি।
এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হবে উন্নত ক্যামেরা, সেন্সর ও অত্যাধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে, যা ফুটবলারদের প্রতিটি খুঁটিনাটি আচরণ নির্ভুলভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম। ফলে কোচ বা ফিজিওর চেয়েও আরও গভীর ও বিশ্লেষণধর্মী তথ্য পাওয়া যাবে, যা চোটের সম্ভাবনা আগেভাগেই শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ কোচিং স্টাফের কাছে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন পৌঁছে যাবে, যাতে তারা সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করতে পারেন ভবিষ্যতের চোট প্রতিরোধে। যা ক্লাবগুলোর জন্য যেমন উপকারে আসবে তেমনি খেলোয়াড়দেরও সাহায্য করবে চোটের বিড়ম্বনা থেকে।
এই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ফলে তাৎক্ষণিক ফলও মিলবে বলে আশাবাদী ক্লাবগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, এতে চোট হার প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ভারত জাতীয় দলের ডাগআউটে জাভি হার্নান্দেস - এই চিত্রটা দেশটির ফুটবল সমর্থকদের জন্য স্বপ্নের মতোই। তবে সেটা বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তেই ছিল। আর সেটাও কিনা সাবেক বার্সেলোনা কোচের আগ্রহেই! তবে ভারত ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক সংকট সেই সম্ভাবনা ভেস্তে দিয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো নিশ্চিত করেছেন জাভির ভারতের কোচ হওয়ার আবেদনের খবর। মূলত আর্থিক জটিলতায় অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) টেকনিক্যাল কমিটি স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন রোমানো।
এআইএফএফ টেকনিক্যাল কমিটি ১৭০টি আবেদন পর্যালোচনা করে তিনজন প্রার্থীকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের খালিদ জামিল, ইংল্যান্ডের স্টিফেন কনস্টানটাইন এবং স্টেফান টারকোভিচ। অন্যদিকে বার্সেলোনার মত ক্লাবে কোচিং করানোর অসাধারণ অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, জাভির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে মূলত চুক্তির আর্থিক শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণেই।
কাতারে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা জাভি সবশেষ বার্সেলোনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে ক্লাবটির কোচ হন তিনি। স্বাদ পান লা লিগার শিরোপা জেতার। ২০২৪ সালের ট্রফিহীন মৌসুমের পর তাকে ছাঁটাই করে বার্সা বোর্ড। এর আগে কাতারের আল-সাদের কোচ হিসেবে কাজ করেন ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত।
শেষ মুহূর্তে গোল করে উদযাপন করলেও তা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ছিল হতাশা। এর সাথে যোগ হয় সান্তোসের হার। ইন্টারন্যাসিওনালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাই মেজাজ আর ধরে রাখতে পারেননি নেইমার৷ গ্যালারিতে গিয়ে এক সমর্থকের সঙ্গে লিপ্ত হন বচসায়।
গত শুক্রবার ইন্টারন্যাসিওনালের বিপক্ষে এক পর্যায়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল সান্তোস। তবে ইনজুরি টাইমে আলভারো মার্টিন বাররিয়ালের গোলে দলটি ম্যাচে ফিরে সুযোগ তৈরি করে দলটি। অন্তিম সময়ে নেইমার বাঁ পায়ের শটে বল পোস্টের ভেতর প্রবেশ করেছে ধরে নিয়ে গোলের উদযাপন শুরু করে দেন।
ঘরের মাঠ সান্তোসের সমর্থকরাও তখন উল্লাসে মেতে ওঠেন। তবে তাদের ও নেইমারকে হতাশায় ডুবিয়ে রেফারি গোলটি বাতিল ঘোষণা করে দেন। কারণ, বলটি পুরোপুরি গোললাইন অতিক্রম করেনি বলে সিদ্ধান্ত দেন তিনি। পুরোই স্টেডিয়ামে তা ক্ষোভের জন্ম দেয়। ব্রাজিল তারকাও পারেননি আবেগ সামাল দিতে।
ম্যাচ শেষে দেখা যায়, নেইমার গ্যালারিতে এক দর্শকের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন এবং হাত নেড়ে, তর্জনী তুলে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড কিছুটা উত্তেজিত অবস্থায় রয়েছেন। সেই সময়ে পাশে থাকা এক সতীর্থ নেইমারকে সরিয়ে নেন। তবে সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় তিনি ‘থাম্বস আপ’ দেখান সেই সমর্থককে।
এই ম্যাচ হেরে সান্তোস চলে গেছে ব্রাজিলিয়ান সেরি-আ’র রেলিগেশন জোনে। ফলে ৩৩ বছর নেইমারের তার বাল্যকালের ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসার পর থেকে চিত্রটা কঠিনই রয়ে গেল। চলতি বছরের শুরুতে ক্লাবে ফেরার পর থেকে চোট, নিষেধাজ্ঞা, করোনায় আক্রান্ত হওয়া - সব মিলিয়ে মাঠে নিয়মিত না হতে পারার সাথে এবার যোগ হলো গোল বাতিলকে কেন্দ্র করে দর্শকের সাথে তর্কে জড়ানোর ঘটনাও।
প্রথম মৌসুমে রিয়ালে কাটিয়েছেন ৯ নম্বর জার্সি পরে। নতুন মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপে আবারও বদলাতে যাচ্ছেন জার্সি নম্বর। ফরাসি অধিনায়ক এবার গায়ে জড়াতে যাচ্ছেন আইকনিক ১০ নম্বর জার্সি। এমন তথ্যই দিচ্ছে ইএসপিএন সহ বেশ কিছু স্প্যানিশ গণমাধ্যম।
আট বছর ধরে রিয়ালে ১০ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠ মাতিয়ে গেছেন লুকা মদ্রিচ। গেল মৌসুম শেষে লস ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে প্রায় এক যুগের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন এই মিডফিল্ডার। তাতে তার ১০ নম্বর জার্সিটা হয়েছে এখন ফাকা। যার সম্ভাব্য মালিক হিসেবে কিলিয়ান এমবাপেকেই জানাচ্ছিল গণমাধ্যমগুলো।
তবে বুধবার রাতে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে এমবাপে ১০ নম্বরের সঙ্গে একটা লাভ ইমুজি স্টোরিতে শেয়ার করেন। তাতে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সি যাচ্ছে এমবাপের কাছেই।
মোনাকোয় থাকতে ১০ নম্বর জার্সি পরতেন এমবাপে, ফ্রান্স জাতীয় দলেও এখন পরেন ১০ নম্বর জার্সি। তবে পিএসজিতে তিনি পরতেন ৭ নম্বর জার্সি। রিয়ালে এসে সেটা হয়েছিল ৯। সব ঠিক থাকলে এবার ক্লাব ও জাতীয় দল দুই জায়গায়ই ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামবেন এমবাপে।
গেল গ্রীষ্মে এমবাপে পিএসজি থেকে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। শুরটা খুব একটা ভালো না হলেও মৌসুমের শেষটা ভালোই করেছেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। সব মিলিয়ে করেছিলেন ৪৪ গোল।
মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে স্পেনের ইউরোর স্কোয়াডেই থাকার কথা ছিল না বোনমাতির। টুর্নামেন্ট শুরুর এক দিন আগেই ছাড়া পেয়েছিলেন হাসপাতাল থেকে। প্রথম দুই ম্যাচ বেঞ্চ থেকেই নেমেছিলেন, তবে সেমিফাইনালে এসে বনে গেছেন স্পেনের নায়ক। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে জার্মানিকে বিদায় করে দিয়ে স্পেনকে ফাইনালে তুলেছেন এই মিডফিল্ডার।
বল দখলে এগিয়ে থাকলেও জার্মানের জমাট রক্ষণ বেশ বিপাকে ফেলেছে স্পেনকে। ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছিল তখনই স্পেনকে আলো দেখান বোনমাতি। ১১৩ মিনিটে অ্যাথেনা দেল কাস্তিয়োর পাস থেকে গোল করে স্পেনকে প্রথমবারের মতো তোলেন ইউরোর ফাইনালে।
ম্যাচ শেষে ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা জানান এই ম্যাচের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন পুরোপুরি,
“এই ধরণের ম্যাচে খেলা বিশেষ কিছু। দলকে ইতিহাস গড়তে সাহায্য করতে পারাটাতো আরও বেশি আনন্দের। আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এই ম্যাচের জন্য নিজেকে আমি পুরোপুরি প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করেছি।”
স্পেন কোচ মোন্তেস তোমেও বেশ খুশি বোনমাতির এমন পারফরম্যান্সে,
“তার জন্য শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। তার মত সেরা ফুটবলাররা এমন কঠিন সময়ে জ্বলে উঠে। সে জন্যই বোনমাতি ব্যালন ডি’অর বিজয়ী।”
আগামী রোববার বাসেল শহরের সেন্ট জ্যাকব পার্ক স্টেডিয়ামে ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্পেন।