লিগ ওয়ানের শিরোপা জয় যে বেশ আগেভাগেই হবে, সেটা পিএসজির দুর্দান্ত ফর্ম নিশ্চিত করে ফেলেছিল মাস দুয়েক আগেই। সেটা বজায় রেখে প্যারিসের ক্লাবটি আরও একবার লিগ চ্যাম্পিয়ন্স হয়ে গেছে পিএসজি। এমন অর্জনে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত কোচ লুইস এনরিকে। দলকে একটা নতুন লক্ষ্য দিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। বললেন, অপরাজিত থেকে মৌসুম শেষ করতে চান তিনি।
ঘরের মাঠে শনিবার রাতে অ্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ে ছয় ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করে পিএসজি। সব মিলিয়ে এটি দলটির ১৩তম লিগ জয়, আর এই নিয়ে টানা চতুর্থবার। এর মধ্য দিয়ে পিএসজি মে মাসের আগে ষষ্ঠবারের মতো লিগ ওয়ানদের শিরোপা জিতল।
আরও পড়ুন
পিএসলের ধারাভাষ্যকার প্যানেলে আতাহার আলি |
![]() |
ম্যাচ শেষে এনরিকে দলকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। “এপ্রিলের শুরুতে শিরোপা উদযাপন থেকে বোঝা যায়, আমরা এই মৌসুমে খুব উঁচু একটা স্তরে পৌঁছে গেছি। আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি, তবে আমাদের আরও অনেক ম্যাচ বাকি আছে। আমরা এখন এই মৌসুম অপরাজিত থেকে শেষ করার চেষ্টা করার জন্য অনুপ্রাণিত। ফ্রান্সে এর আগে কেউ এটা করতে পারেনি, তাই এটা এমন কিছু, যা আমরা অর্জন করতে চাই।”
২৮ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৭৪ পয়েন্ট, যা লিগ ওয়ানের ইতিহাসে মৌসুমের এই পর্যায়ে ক্লাবটির দ্বিতীয় সেরা সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনের রেকর্ড। নিজেদের বাকি ছয় ম্যাচে হার এড়াতে পারলে এনরিকের দল ভেঙে দিবে তিন দশক আগে ন্যান্তেসের ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থেকে লিগ জয়ের রেকর্ড।
গত মৌসুমের পর তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের বিদায়ের পর এনরিকের কোচিংয়ে পিএসজির সম্ভাবনা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে একরকম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে চলেছে তরুণ দলটি। ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে করেছেন ক্লাবের সর্বোচ্চ ২১টি গোল, ব্র্যাডলি বারকোলার অবদান ১৩টি গোলে। এই মৌসুমে পিএসজির ১৮ জন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় জালের দেখা পেয়েছেন। তাতে ভর করে মাত্র ২৮টি ম্যাচে ৮০টি গোল করেছে পিএসজি।
আরও পড়ুন
১ পয়েন্টও বার্সা কোচের কাছে ইতিবাচক ফলাফল |
![]() |
নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে মৌসুম পার করছেন, দলও আছে বাজে অবস্থায়। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয়ের পর পেপ গার্দিওলা তাই আরও একবার বলেছেন, এটা তাদের জন্য ভুলে যাওয়ার মত এক মৌসুম যাচ্ছে। তবে এতে আপত্তি আছে রয় কিনের। সাবেক এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলার ও ফুটবল বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দলের প্রতি কিছুটা কঠোর হয়ে গেছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ।
গত বছরের শেষের দিক থেকেই পথ হারানো সিটি বেশ আগেই ছিটকে গেছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই থেকে, যা তারা জিতেছে টানা চারবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিদায় ঘটেছে আগে। দলটি এখন টিকে আছে কেবল এফএ কাপে। আর মূল লড়াই এখন লিগে সেরা চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা নিশ্চিত করা, যা অনেকটা সুগম হয়েছে মঙ্গলবার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের মধ্য দিয়ে।
তবে ম্যাচের পর হতাশাই প্রকাশ পায় গার্দিওলার কণ্ঠে।
“এই মৌসুমটা অনেক খারাপ যাচ্ছে। আমরা এফএ কাপের ফাইনাল খেলি বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিতে পারি কিনা, তাতে কিছু যায় আসে না। বাস্তবতা হল প্রিমিয়ার লিগে আপনার অবস্থান কেমন, সেটা। লিগের ধারাবাহিকতাই বলে দেব সব। তবে এমন হয়, খারাপ সময় আসে।”
তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার কিন স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, গার্দিওলার মৌসুম নিয়ে বলা মন্তব্য বেশ নেতিবাচক ছিল।
“আমার কাছে মনে হয় তিনি সেখানে তার দলের ব্যাপারে বেশ কঠোর ছিলেন। আমি এখনও মনে করি তারা যদি এফএ কাপ জেতে আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারে, তাহলে সেটা খারাপ কিছু না। তবে এমনটা মনে হচ্ছে কারন গত কয়েক বছর ধরে তারা একটা আলাদা বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে।”
আগামী রোববার এফএ কাপ সেমিফাইনালে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে চারে থাকা থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্টের সাথে খেলবে সিটি। আর শনিবার অন্য সেমিফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা।
তবে মঙ্গলবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে সিটি ও ভিলার ম্যাচটিও বেশ জমে গিয়েছিল। প্রথমার্ধে বার্নার্ডো সিলভার গোলে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পরই সমতা টানেন মার্কাস র্যাশফোর্ডে। ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচের ইনজুরি টাইমে গার্দিওলার দলকে জয় এনে দেন ম্যাথুউস নুনেস। এই জয়ে ৬১ পয়েন্টে সিটি উঠে এসেছে তিন নম্বর স্থানে।
নানা কারণে এই মৌসুমে লা লিগার সাথে বাকযুদ্ধ চলছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার। দুই দলই লিগ কতৃপক্ষকে দুষেছে বাজে সূচির জন্য। এর বাইরে রিয়াল আবার অভিযোগ দায়ের করেছে খোদ লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাসের বিরুদ্ধে, যেখানে দোষী হলে চাকরিও চলে যেতে পারে তার। তবে অতীতের মতোই হুংকার দিয়েছেন তিনি। যথারীতি পাল্টা অভিযোগ চাপিয়েছেন দুই ক্লাবের বিপক্ষে।
সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ফর স্পোর্ট (টিএডি)-তে একটি অভিযোগ দায়ের করে, যেখানে হাই কমিটির সাবেক প্রধান মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল গ্যালান দাবি করেছেন, যদি তেবাসকে টিএডি দোষী সাব্যস্ত করে, তাহলে তাকে বরখাস্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে লা লিগার একটি ইভেন্টে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তেবাস বলেছনে, তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন।
“না, আমি এটা নিয়ে চিন্তিত নই। আমার মনে হয় আমি শাস্তি পাব। আমি বরং টিএডি-তে আমার বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা নিয়ে আমি আরও বেশি চিন্তিত। (রিয়ালের সাথে) মিটিংয়ে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই করা হয়েছে যা ঠিক ছিল না।”
তেবাসের বিরক্তি কেবল রিয়ালের দিকেই থেমে ছিল না অনুষ্ঠানে। সম্প্রতি বার্সেলোনার কোচ হান্সি ফ্লিক সরাসরি লা লিগাকে ঠাসা সূচির জন্য একহাত নেন। তার দাবি, অন্য লিগ ক্লাবগুলোর কথা চিন্তা করলেও ব্যতিক্রম লা লিগা এবং তারা যা যা করে তা ভিত্তিহীন।
ফ্লিককেও তাই ছাড় দেননি তির্যক মন্তব্যের জন্য পরিচিত তেবাস।
“আমরা ফ্লিককে মনে করিয়ে দিতে চাই যে তিনি খুবই বাজে আচরণ করেছেন। আমার প্রশ্ন, তারা কেন ইউয়েফার কাছে এসব বলে না? কেন সব দোষ লিগকেই দেওয়া হয়? তিনি কেন ইউয়েফার কাছে গিয়ে এসব বলতে পারেন না? কেন ইউয়েফাকে সব খেলা বুধবারেই রাখতে হয়? আমাদের লিগের ২০টি দল এবং দ্বিতীয় বিভাগের ২২টি ক্লাবকেও রক্ষা করতে হয়। সবার যাতে ভালো হয়, আমরা সেটাই করি।”
চোটের কারণে খেলতে পারেননি তারকা ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানদভস্কি। মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচে কয়েকজনকে বিশ্রামও দিয়েছেন হান্সি ফ্লিক। সেই কারণেই কিনা, লা লিগার এই ম্যাচটিতে আক্রমণের ঢেউ তুলেও জালের দেখা পেতে গলগধর্ম অবস্থা হয়ে গিয়েছিল দলটির। শেষ পর্যন্ত ত্রাতা হয়েছেন দানি ওলমো, এনে দিয়েছেন জয়। আক্রমণে এমন মলিন পারফরম্যান্স স্বত্ত্বেও খুব একটা হতাশ নন বার্সেলোনা কোচ।
বিরতির পর ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ওলমো, যা বার্সেলোনাকে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে দিয়েছে। যদিও কাজটা মোটেও সহজ ছিল না, কারণ এই একটা গোল পেতে মোট ৪০টি শট নিতে হয়েছে দলটির খেলোয়াড়দের। লা লিগায় এর আগে ২০১১ সালে রিয়াল জারাগোজার বিপক্ষেও রেকর্ড ৪০টি শট নিয়ে একটি গোলের দেখা পেয়েছিল বার্সেলোনা।
তবে ম্যাচের পর ফ্লিককে দেখা গেছে ইতিবাচক সুরেই। “সব মিলিয়ে ৪০টার মত শট ছিল, হয়ত সব লক্ষ্যে ছিল না। তবে ৪০টা শট তো ছিল। আমরা যেভাবে খেলেছি, সেটা আসলেই ভালো ছিল। আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। অবশ্যই আমরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি, তবে এত এত পরিবর্তনের পর একটা ক্লিন শিট ধরে রাখা, ১-০ গোলে জেতা… দল আজকে যেভাবে খেলেছে আমাকে এর প্রশংসা করতেই হবে।”
প্রথমার্ধে যেভাবে বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হচ্ছিল, তাতে শঙ্কা জাগছিল ড্রয়ের। প্রথম ৪৫ মিনিটেই দলটি গোলের জন্য নেয় ২৪টি শট। পোষ্টের নিচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক লিও রোমান, যিনি মোট ১২টি সেভ করেছেন।
এছাড়াও গোলপোস্টে বাধাপ্রাপ্ত হয় গাভির শট। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৪৬ সেকেন্ডের মাথায় দারুণ এক ফিনিশিংয়ে গোল করেন ওলমো। এই মৌসুমে বার্সেলোনার পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ১০ বা তার বেশি গোল করেছেন এই স্প্যানিশ উইঙ্গার।
স্বপ্নময় একটা বছর কাটানোর আরও একটা স্বীকৃতি পেলেন লামিন ইয়ামাল। লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে বার্সেলোনা ও স্পেনের প্রতিভাবান ফরোয়ার্ড জিতেছেন বর্ষসেরা ব্রেকথ্রু খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
সোমবার মাদ্রিদে বিজয়ী হিসেবে ইয়ামালের নাম ঘোষণা করা হয়। মর্যাদাপূর্ণ এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে ছিলেন জুলিয়েন আলফ্রেড, সামার ম্যাকিনটোশ, লেটসিল টেবোগো ও ভিক্টর ওয়েম্বানিয়ামা।
১৭ বছর বয়সী এই ইয়ামাল লা লিগায় ৬টি গোল, ১২টি অ্যাসিস্ট এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিনটি গোল করে এই মৌসুমে বার্সেলোনার দারুণ পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে বিবেচিত ইয়ামাল গত ১২ মাস ধরে স্পেনের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ১৬ বছর বয়সে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হন। আর ১৭তম জন্মদিনের একদিন পরই জেতেন টুর্নামেন্টের শিরোপাও, যেখানে তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার লড়ছে চারটি শিরোপার জন্য। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখেন ইয়ামাল। লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থাকার পাশাপাশি কোপা দেল রে ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে তরুণ এই ফরোয়ার্ডের।
রেকর্ড ৩৬তম লা লিগা এবং ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ লরিয়াস ওয়ার্ল্ড টিম অফ দ্য ইয়ার পুরষ্কার জিতেছে। এই মৌসুমে দলটি ইতিমধ্যেই ইউয়েফা সুপার কাপ এবং ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছে।
গত মৌসুমে চুক্তি নবায়ন যখন করেন, তার আগে থেকেই জোর গুঞ্জন ছিল রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হওয়ার। শেষ পর্যন্ত লেভারকুসেনেই থেকে গেলেও থেমে থাকেনি জাবি আলোনসোর স্প্যানিশ ক্লাবটির কোচ হওয়ার খবর। আগামী মৌসুমে যদি রিয়ালের প্রস্তাব আসে, তাহলে কী করবে তার বর্তমান ক্লাব? লেভারকুসেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফার্নান্দো ক্যারো স্পষ্ট জানিয়েছেন, সাবেক ক্লাবের ডাকে আলোনসোকে বাধা দেবেন না তারা।
লা লিগায় শিরোপার লড়াইয়ে থাকা রিয়ালকে কোপা দেল রের ফাইনালে নিয়ে গেলেও চাপে রয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ক্লাবটির প্রস্থানের পর থেকে বাতাসে ভাসছে তার বিদায়ের খবর। আর তার উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসছে আলোনসোর নাম, যিনি খেলোয়াড় হিসেবেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন রিয়ালকে।
সোমবার সাংবাদিকদের সাথে এক আলাপচারিতায় জার্মান ক্লাবটির ফার্নান্দো ক্যারো বলেছেন, আলোনসোর সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তারা।
“আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা আমাদের ক্লাবে কোনও কোচিং পরিবর্তন আসছে কিনা, তা জেনে যাব। তবে এখানে মূল ব্যাপার হল, আমরা খুব পেশাদার একটা ক্লাব এবং আমাদের যেকোনও কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
২০২২ সালে লেভারকুসেনের কোচ হন আলোনসো। গত বছর তার সাথে চুক্তি নবায়ন করা হয় ২০২৬ সাল পর্যন্ত। তবে ওই সময়ই খবরে এসেছিল, রিয়াল বা লিভারপুলের মত ক্লাবের প্রস্তাব এলে তিনি যৌথ সম্মতিকে ক্লাব ছাড়তে পারবেন। যদিও স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী এই মিডফিল্ডার বারবার বলেছেন, তিনি চুক্তির শেষ পর্যন্ত থাকতে চান।
ফার্নান্দো ক্যারো অবশ্য বাস্তবতাকেই এগিয়ে রাখছেন আগে, যেখানে খুব শীঘ্রই তাদের কাছে প্রস্তাব আসতে পারে রিয়ালের কাছ থেকে।
“আমরা জাবিকে সাইন করার সময় থেকেই আমরা জানতাম তিনি একজন দুর্দান্ত কোচ হতে যাচ্ছেন। আর যে মুহুর্তে তিনি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, তখন থেকেই আপনাকে অন্য আরেকজনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
নিজের সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার আলোনসোর তার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের সময় রিয়াল ছাড়াও খেলেছেন রিয়েল সোসিয়েদাদ, আইবার, লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে।
কোচ হওয়ার প্রস্তাবে আলোনসোর সাবেক ক্লাবটির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে চায় লেভারকুসেন।
“২০২৬ সাল পর্যন্ত তাকে সাইন করে আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে তিনি এখানে থাকবেন। আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি এবং যে কোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি। তার সাথে আমাদের জেন্টেলম্যান চুক্তি রয়েছে। সেখানে তিনি যে দলগুলোয়ে খেলেছেব, তারা যদি প্রস্তাব দেয় তাহলে আমরা আলোচনায় বসতে পারি।”
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে লেভারকুসেনের প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন আলোনসো। গত মৌসুমে তার কোচিংয়ে ইতিহাস গড়ে অপরাজিত থেকে প্রথমবারের মত বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতে ক্লাবটি। তার অধীনে তারা ডিএফবি-পোকাল, ডিএফএল-সুপারকাপও জেতে। আর ইউরোপা লিগ শেষ করে রানার্সআপ হয়ে।
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে