২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:১১ পিএম
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের পাকিস্তানে খেলা নিয়ে অনেক জলঘোলার পর সেটাই হয়েছে নিয়তি, যা অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন শুরুতেই। কোনোভাবেই প্রতিবেশী দেশে খেলতে রাজি হয়নি তারা। ফলে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করা হবে অন্য আরেকটি দেশে। বিপরীতে পাকিস্তানও পাবে একই সুবিধা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের এই রেষারেষিতে বিরক্ত আহমেদ শেহজাদ। সাবেক পাকিস্তান ওপেনার তাই দিয়েছেন প্রস্তাব, দুই দেশের সীমান্তে যেন একটা স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলা হয়!
২০২১ সালেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল, পাকিস্তানে হবে পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেই সময়ে আপত্তি না জানালেও বেশ আগে থেকেই পাকিস্তানে গিয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ভারত ক্রিকেট বোর্ড। গত কয়েক মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এটি নিয়ে অনেক শক্ত কথা বললেও শেষ পর্যন্ত মেনে নেয় ভারতের হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব। আর বিপরীতে ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতে হওয়া আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানও পাবে একই সুবিধা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেল এই সমস্যার বিচিত্র এক সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন শেহজাদ।
“আমি একটা পডকাস্টে সীমান্তে স্টেডিয়াম নির্মাণের ধারণা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেখানে একটি গেট হবে ভারতের দিকে, আর অন্য গেট হবে পাকিস্তানের দিকে। খেলোয়াড়রা নিজ নিজ দেশের গেট থেকে প্রবেশ করে এসে খেলতেন। তবে আমার মনে হয়, এরপরও বিসিসিআই এবং তাদের সরকারের সমস্যা থাকবে। কারণ, তাদের খেলোয়াড়রা যখন মাঠের আমাদের অংশে আসবে, তখন তাদের ভিসা লাগবে, যেটা তারা পাবে না।”
২০১৬ সাল থেকে দুই ফরম্যাটের দুটি বিশ্বকাপ খেলতে এখন পর্যন্ত দুইবার ভারতে গেছে পাকিস্তান। তবে ভারত বরাবরই নিরাপত্তার কথা বলে এড়িয়ে গেছে পাকিস্তান সফরের দিকটি। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকেই এক্ষেত্রে দেওয়া হয় না সবুজ সংকেত। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দেখা গেছে একই চিত্র। শুরুতে পিসিবি দাবি জানিয়েছিল, তাদের দেশে না আসলে ভারতকে ছাড়াই টুর্নামেন্ট আয়োজনের। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ভারতের দাবি মেনেই আসর মাঠে গড়াবে হাইব্রিড মডেলে।
শেহজাদ তাই ক্ষোভ ঝাড়লেন পিসিবি ওপরই।
“ভারতকে নিজেদের দেশে আনার সুবর্ণ সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। সব ক্রিকেট বোর্ড ২০২১ সালে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল যে, পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে। তাই এখান থেকে আইসিসি পিছু হটতে পারে না। আমার মনে হয় পিসিবি বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া করেছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত, ভারতীয় দল আর কখনও পাকিস্তানে আসবে। আইসিসি ইভেন্টই ছিল পাকিস্তানের একমাত্র সুযোগ।”
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
কবে,কখন?
বার্সেলোনা-আতলেতিকো মাদ্রিদ
লা লিগা
২২ ডিসেম্বার, রাত: ২টা
স্টেডিয়াম: স্তাদিও অলিম্পিক লুইস
উড়তে থাকা বার্সেলোনা যেন আচমকাই পথ হারিয়েছে। শেষ ছয় লা লিগা ম্যাচে কাতালানরা জয় পেয়েছে মোটে একটা। মৌসুমের শুরুতে প্রশংসা পাওয়া হান্সি ফ্লিকের অফ সাইড ট্রেপও খুব একটা কাজে আসছে না। যা নিয়ে কিছুটা সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে জার্মান কোচকে। অন্যদিকে মৌসুমের শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও টানা ১১ ম্যাচ জিতে আতলেতিকো মাদ্রিদ জানান দিয়েছে নিজেদের শক্তিমত্তার। তাতে শনিবার রাতে জমজমাট এক লড়াইয়ের আশাই করছেন দুই দলের সমর্থকরা।
এই ম্যাচে জয় পরাজয়ে অদল-বদল হবে পয়েন্ট টেবিলে। লা লিগায় ১৮ ম্যাচ শেষে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা, অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে আতলেতিকোর পয়েন্টও সমান। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বার্সেলোনা ধরে রেখেছে শীর্ষস্থান।
অভিজ্ঞতার বিচারে বার্সেলোনা অনেকটাই পিছিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে। তবে তারুণ্যে নির্ভর দলটা নিয়ে হাল ছাড়তে চান না ফ্লিক। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদসস্মেলনে জানিয়েছেন তেমনটাই।
“বছরের শেষ সময় এখন। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে। আমরা এখনো লা লিগায় প্রথম ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছি। যা খুব একটা মন্দ না। কিছু পয়েন্ট আমরা হারিয়েছি, দল বেশ কিছু ভুল করেছে। দলটা অনেক তরুণ, আমাদের তাই উন্নতি করার মানসিকতা ধরে রাখতে হবে।”
সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় আতলেতিকো মাদ্রিদ এগিয়ে থাকলেও দলটির কোচ দিয়েগো সিমিওনে সমীহ করছেন বার্সাকে। তার দল উন্নতি করতে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে বলেই সংবাদসম্মেলনে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই কোচ,
“গেল কিছু দিন থেকে আমরা দল হিসেবে ভালো করছি। প্রতিপক্ষের দূর্বল জায়গায় আক্রমণ করার চেষ্টা করছি সেই সাথে নিজেদের উন্নতির দিকেও নিজর দিচ্ছি। তবে আমাদের প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। মিডফিল্ড তাদের বেশ শক্ত, আক্রমণভাগে রাফিনিয়া দুর্দান্ত ফর্মে আছে। তবে আমাদেরও শক্তির জায়গা আছে। আশা করছি দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
দলের খবর বার্সেলোনা
এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনার জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ লামিন ইয়ামালের না থাকা। লেগানেসের সাথে শেষ ম্যাচে চোটে পড়ে প্রায় মাসখানেক মাঠের বাইরে থাকতে হবে বার্সা ফরোয়ার্ডকে। তবে চোট কাটিয়ে আনসু ফাতি ও ক্রিস্টেনসন দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। অবশ্য তাদের একাদশে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। এছাড়াও দলের সাথে আছেন রোনাল্দ আরাউহো। শেষ কয়েক ম্যাচে বেঞ্চে দেখা গেলেও উরুগুয়ে এই ডিফেন্ডার বদলি হিসেবে মাঠে নামতে পারেন আতলেতিকোর বিপক্ষে।
দলের খবর আতলেতিকো মাদ্রিদ
সিমিওনে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। প্রতিটা দল যখন চোটের হানায় ভুগছে, তার হাতে আছে পূর্ণ শক্তির স্কোয়াডই। শেষ কয়েক ম্যাচে ৪-৪-২ ফরমেশনে দলকে খেলিয়েছেন সিমিওনে বার্সেলোনার সাথেও তেমনটাই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হেড টু হেড
দুই দল এখন পর্যন্ত লা লিগায় মুখোমুখি হয়েছে ১৭৪ ম্যাচে। যেখানে বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ৮০ ম্যাচে বিপরীতে আতলেতিকো মাদ্রিদ জয় তুলে নিয়েছে ৫২ ম্যাচে। ড্র হয়েছে বাকি ৪২ ম্যাচ।
রোনালদোর সাথে কিলিয়ান এমবাপের গল্পটা বহু আগের। পর্তুগাল অধিনায়ককে আইডল মেনেই তো ফুটবলে হাঁটা শুরু এমবাপের। তার দেখানো পথ ধরেই তো এমবাপে খুঁটি গেড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। তবে ফরাসি অধিনায়ক রোনালদোর বিপক্ষে খেললেও কখনো খেলা হয়নি একসাথে। যা নিয়ে তার আছে কিছুটা আক্ষেপ।
পিএসজিতে লিওনেল মেসি নেইমারদের মতো তারকাদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন এমবাপে। তবে রোনালদোর সাথে মেলেনি তেমন সুযোগ। বেশ কয়েকবার দুজন একে অপরের মুখোমুখি হলেও একসাথে খেলা হয়নি দুজনের। সম্প্রতি বেইন স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে রোনালদোর সাথে খেলতে না পারার আক্ষেপটাই তুলে ধরেছেন এমবাপে।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের পর মেসিকে দেখেই মেজাজ হারিয়েছিলেন এমবাপে! |
“আমি অনেক বড় তারকাদের সাথে খেলেছি। সেই তালিকায় আছেন, লিওনেল মেসি, নেইমার, গ্রিজমান, পগবা, বেনজেমা। রোনালদোর সঙ্গে খেলতে পারলে ব্যাপারটা দারুণ হতো, যা এখন বেশ কঠিন। তবে আমার সৌভাগ্য যে আমি তার মতো একজন কিংবদন্তীর বিপক্ষে খেলতে পেরেছি।”
৩৯ বছর বয়সী রোনালদো বর্তমানে খেলছেন সৌদি ক্লাব আল নাসরে। অন্যদিকে চলতি মৌসুমে এমবাপে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। যেটা তার স্বপ্নের ক্লাব। বেইন স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে এমবাপে জানান দিয়েছেন রিয়ালের প্রতি তার ভালোবাসার কথা।
“আমি বিশ্বের সেরা ক্লাবে যোগ দিয়েছি। সবসময়ই বলেছি রিয়াল মাদ্রিদই একমাত্র ক্লাব যার জন্য আমি পিএসজি ছাড়তে পারি। রিয়ালে না আসলে হয়তো পুরো ক্যারিয়ার পিএসজিতেই কাটাতাম। আমার সবসময়ই স্বপ্ন ছিল এই ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করার এবং আমি খুবই খুশি এখানে আসতে পেরে।”
স্বপ্নের ক্লাবে যোগ দিলেও এমবাপের শুরুটা হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতই। মাঠের পারফরম্যান্সে নিয়মিতই সমালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ২৬ বছর বয়সী এই তারকাকে। অবশ্য ধীরে ধীরে এমবাপে মানিয়ে নিচ্ছেন রিয়ালে। শেষ ম্যাচে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে পাচুকার বিপক্ষেও পেয়েছেন গোলের দেখা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ২২ ম্যাচে ১২ গোলের পাশাপাশি করেছেন দুই অ্যাসিস্ট।
আরও পড়ুন
পিএসজি চ্যাম্পিয়ন লিগ জিতুক, তা আর দেখতে চান না এমবাপে |
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রান্সফার আপডেট দরকার? ঢু মেরে ফাব্রিজিও রোমানোর আইডিতে একটু ঘুরে আসলেই তো কাজ হয়ে যায়! ইতালিয়ান সাংবাদিক রীতিমত বিশ্বজুড়ে ফুটবল দলবদলের মাস্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। রোমানো অবশ্য এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাবে ফুটবলারদের দবদলের খবর নিশ্চিত করে বিখ্যাত। তবে এবার একটু ভিন্নরকমের ‘দলবদলের’ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন রোমানো। হামজা চৌধুরির বাংলাদেশের হয়ে খেলার খবরটা পোস্ট করা হয়েছে তার পেইজ থেকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামজা চৌধুরী ছাড়পত্র পেয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার। তারপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশি সমর্থকদের আগ্রহের কেন্দ্রে চলে গেছেন হামজা। শুধুমাত্র অবশ্য বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়েই খবর হয়েছে হামজার বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত। এবার সেই যাত্রায় যোগ হয়ে ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো উন্মাদনা বাড়িয়ে দিয়েছেন আরও।
আরও পড়ুন
সমর্থকদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হামজা |
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে হামজার ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,
“ লেস্টার সিটি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
লম্বা সময় ধরেই হামজাকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। নানা জটিলতা কাটিয়ে সোমবার মিটেছে সব ঝামেলা। তাতে বাংলাদেশি সমর্থকরা যেন উৎফুল্ল, তেমন হামজা চৌধুরীও। এক ভিডিও বার্তায় লেস্টার সিটি মিডফিল্ডার বাংলাদেশি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন,
“আমার তর সইছে না বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। সবার সাথে খুব শীঘ্রই দেখা হবে।”
রোমানোর পোস্টে বাংলাদেশের পতাকা হাতে হামজাকে দেখে বেশ আনন্দিতই হয়েছেন বাংলাদশের সমর্থকেরা। একের পর এক মন্তব্যও পড়ছে কমেন্ট বক্সে। আর সেই পোস্টের রিচ ক্রমেই বাড়ছে, ছাড়িয়ে যাচ্ছে রোমানোর নিয়মিত পোস্টগুলোর রিচও।
অবশ্য এর সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশি সমর্থকদের, বাংলাদেশের ফুটবল তো এখন হামজার কল্যাণে রাতারাতি অনেকেরই আগ্রহে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংসকে কখনো হারাতে পারেনি আবাহনী। শুক্রবার সেই ধারাটা ভেঙেছে আবাহনী। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়েছি আবাহনী। অন্যদিকে দিনের অন্য ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিরুদ্ধে ৩-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
শুক্রবার ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায়ই আবাহনীকে এগিয়ে দেন সাবেক কিংস ফুটবলার সুমন রেজা। যেখানে বড় কৃতিত্ব শাহরিয়ার ইমনের। লেফট উইং থেকে তার করা দারুণ এক ক্রস থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে বল জালে জড়ান সুমন রেজা। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়া কিংস এরপর বাড়ার আক্রমণের ধার। তাতে অবশ্য সফলতা মেলেনি। আবাহনীও সময়ে সময়ে উঠে এসেছে আক্রমণে, তবে গোলের দেখা মেলেনি কারোরই। তাতে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আবাহনী।
বিরতি থেকে ফিরেও বসুন্ধরা বলের দখল রেখে চাপ তৈরি করার চেষ্টা চালায়। ম্যাচের ৫১ মিনিটে তাদের সামনে আসে ম্যাচে ফেরার সুযোগ। ডি বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হাত ছুঁয়ে যায় আবাহনী অধিনায়ক মোহাম্মদ হৃদয়ের। রেফারি সাথে সাথেই বাজান পেনাল্টির বাঁশি। তবে স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে পারেননি কিংস অধিনায়ক মিগেল দামাসিনো। মিতুল মারমা দারুণভাবে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন তার নেওয়া পেনাল্টি।
আরও পড়ুন
ফেডারেশন কাপেও বসুন্ধরা কিংসের জয়, পয়েন্ট ভাগাভাগি ফর্টিস-পুলিসের |
শেষ পর্যন্ত দুই দল আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা মেলেনি কারোরই। তাতে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে আকাশী-নীলরা। ৪ ম্যাচে তিন জয় আর এক হারে আবাহনীর পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯।
দিনের অন্য ম্যাচে মোহামেডান পুলিশকে হারিয়েছে হেসে-খেলে। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে তারা জয় তুলে নিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচের ৩১ মিনিটে ইমানুয়েল টনির গোলে লিড পায় মোহামেডান। মিনিট দশেক বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানডে ইমানুয়েল। বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে পুলিশের হয়ে ব্যবধান কমান মোহাম্মদ আল আমিন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পুলিশ আর পাত্তা পায়নি মোহামেডানের কাছে। ৭৩ মিনিটে তারা দেখা পায় তিন নম্বর গোলের। শেষ গোলটা আসে সোলাইমান দিয়াবাতের পা থেকে।
টানা চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা মজবুত করেছে মোহামেডান।
লম্বা অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন হামজা চৌধুরী। হামজার আগমণের বার্তায় দেশের ফুটবল যেন নতুন করে জেগে উঠেছে। সেই সাথে হামজার মতো বিভিন্ন লিগে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরও প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তুর্ভুক্ত করার কথাও উঠছে। সেটা যে এখন সম্ভব তা বেশ ভালোভাবেই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
হামজার জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি বেশ ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থকরা। ব্যতিক্রম নন বাফুফে সভাপতি। বলছেন অন্য প্রবাসী ফটবলারদের রাস্তাটা দেখিয়েছেন হামজা, “আশা করছি হামজা চৌধুরীর মতো অন্য প্রবাসী যারা খেলছেন, তাদের আরও চিহ্নিত করে বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারবো। এ ছাড়া বাফুফে চেষ্টা করবে খেলোয়াড়দের নিয়ে নানান তথ্য দিতে।”
হামজাকে বাফুফে সভাপতি দেখছেন সুযোগ হিসেবে। তার মাধ্যমে দেশের ফুটবলারদের বিদেশি লিগে খেলার সুযোগও দেখছেন তিনি,
“হামজার মতো বড় মাপের খেলোয়াড় যখন আসে তখন দেশি খেলোয়াড়দের বিদেশে খেলার সুযোগ তৈরি হতে পারে। হামজাকে আমরা আলাদা হিসেবে দেখতে চাচ্ছি না। হামজাকে আমরা দেখতে চাই বাংলাদেশের একটা সুযোগ হিসেবে। দেশের খেলোয়াড়রা বিদেশের ভালো ভালো লিগে খেলার সুযোগ পাবে।”
হামজার অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে বলেও বিশ্বাস বাফুফে সভাপতি, “আমরা অবশ্যই খুশি। হামজার মতো খেলোয়াড় কিংবা সামনে যারা খেলবেন দেশে, তারা মান বাড়াবেন। আপাতত ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে চিন্তা করছি না। উইনিং স্পিরিট নিয়ে ভাবছি। কম গোলে হারের চিন্তা থেকে জেতার মানসিকতায় যেতে চাই। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। সবাইকে নিয়ে ব্র্যান্ডভ্যালু তৈরি করতে হবে। এই যেমন নারী দলের স্পন্সর নিয়ে কাজ চলছে। শিগগিরই তা আপনাদের জানাতে পারবো।”
আগামী ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারতের সঙ্গে। সেই ম্যাচ দিয়েই হামজার বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।