৬ অক্টোবর ২০২৪, ৭:২৭ পিএম
দানি কারভাহালের ইনজুরি নিয়ে যে ভয়টা রিয়াল মাদ্রিদ পেয়েছিল, হয়েছে তাঁর চেয়েও বাজে কিছু। দানি কারভাহালের যে মেডিকেল রিপোর্ট বেরিয়েছে, সে রিপোর্টে কারভাহালের ডান হাঁটুতে তিনটি জায়গায় লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। কারভাহালের এই ‘ভয়াবহ’ ইনজুরির কারণে যে কাজটা গত ছয় বছরে রিয়াল মাদ্রিদ করেনি, সেটাই করতে যাচ্ছে।
ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে ইয়েরেমি পিনোর কাছ থেকে বলের দখল নিতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে তীব্র চিৎকারে মাঠে পড়ে যান কারভাহাল। তাঁকে ঘিরে ধরেন মাদ্রিদ সতীর্থরা, পরে স্ট্রেচারে করে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। কারভাহালের ইনজুরির কারণে মাদ্রিদের ব্যাকলাইনের ইনজুরি লিস্টে যোগ হলো আরেকটি নাম। ডিফেন্সে ঘাটতির ব্যাপারে কোচ কার্লো আনচেলত্তির দাবি-দাওয়া ছিল গত মৌসুমেও। তবে সেবার ইনজুরিময় একটা মৌসুম কাটানোর পরও ব্যাকলাইনে নতুন কাউকে সাইন করায়নি মাদ্রিদ, উল্টো সে স্কোয়াড নিয়েই জিতেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ।
কারভাহালের ইনজুরি এবং ডিফেন্সে ঘাটতির বিষয়কে এবার গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে মাদ্রিদ বোর্ড। শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে ছয় বছরে প্রথমবারের মতো কোনো খেলোয়াড় সাইন করানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, জানাচ্ছে মার্কা। একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এবং ফুল ব্যাক সাইন করানোর ব্যাপারে প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছে তারা। সর্বশেষ ছয় বছর আগে শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে মরক্কোন মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াজকে সাইন করিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ
আর খেলোয়াড় সাইন না করালে ডিফেন্সের ঘাটতিটা থেকেই যেত মাদ্রিদের, কারণ কারভাহালের ইনজুরির যে ধরন– তিনি মাঠের বাইরে থাকবেন অন্তত পক্ষে এক বছর, স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের মেডিকেল রিপোর্ট দেখে মার্কাকে তেমনটাই জানিয়েছেন রিপল অ্যান্ড দে প্রাদো ক্লিনিক, ফিফা সেন্টার অব এক্সেলেন্সের ডাক্তার পেদ্রো লুই রিপোল। শুধু এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট) নয়, সঙ্গে ধরা পড়েছে ইসিএল (এক্সটার্নাল ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট) এবং ডান পায়ে পপলিটেয়াল টেন্ডনে চিঁড়।
তবে কারভাহালের ইনজুরি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর চুক্তি নবায়ন করেছে মাদ্রিদ বোর্ড। কারভাহালের সঙ্গে মাদ্রিদের চুক্তি ছিল ২০২৫ এর গ্রীষ্ম পর্যন্ত। তাঁর ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা এবং ট্রেনিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর চুক্তি আরও এক বছর বাড়িয়েছে মাদ্রিদ বোর্ড। চুক্তি নবায়নের কৃতজ্ঞতায় মাদ্রিদকে আলাদা করে ধন্যবাদ এবং ক্লাবের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ব্যক্ত করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ক্লাবের হয়ে ২৬টি ট্রফি জেতা দানি কারভাহাল।
লম্বা মৌসুম, অনেকেই এই দীর্ঘ রেসে পড়তে পারেন ইনজুরিতে। ধরা পড়েছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সার্ভাইকাল ইনজুরিও। আপাতত ডিফেন্স লাইনকে শক্তপোক্ত করার জন্য ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ অ্যান্ড কোংকে খুঁজতে হবে সম্ভাব্য নতুন খেলোয়াড়।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:১১ পিএম
২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
ইংলিশ ফুটবলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য জর্জ ইস্টহাম ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার সাবেক ক্লাব স্টোক সিটি।
সাবেক ইংল্যান্ড ফুটবলার জর্জ সিনিয়রের ছেলে ইস্টহাম দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ইংলিশ শীর্ষ লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেড, আর্সেনাল এবং স্টোক সিটির হয়ে খেলেন। জাতীয় দলের হয়ে তার নামের পাশে ছিল ১৯টি ম্যাচ।
বাঁ পায়ের যাদুর জন্য বিখ্যাত ইস্টহামের খ্যাতি ছিল তার সৃজনশীলতার জন্য। মিডফিল্ডার হলেও খেলতে পারতেন ফরোয়ার্ড হিসেবেও। অন্য ক্লাবে খেললেও স্টোক সিটির কিংবদন্তি হিসেবেই বিবেচিত তিনি। ১৯৭২ সালে লিগ কাপ ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে তার গোলই নিশ্চিত করেছিল ক্লাবটির প্রথম মেজর শিরোপা।
ইস্টহাম আট মৌসুমে স্টোকের হয়ে ১৯৪টি লিগ ম্যাচে খেলেন। এছাড়া ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের মধ্যে কাজ করেন ক্লাবটির কোচ হিসেবেও।
ফুটবলে তার অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পুরস্কার পান ইস্টহাম।
ক্লাব কিংবদন্তিকে সম্মান জানাতে স্টোক খেলোয়াড়রা শনিবার শেফিল্ডের বিপক্ষে দলটির চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে কালো ব্যান্ড পরবেন বলে জানিয়েছেন স্টোক সিটি।
সময়ের হিসেবে এখনও ১৮ মাস বাকি পরবর্তী বিশ্বকাপের। তবে নেইমার এখনও আছেন চোট থেকে ফেরার লড়াইয়ে। এক বছরের বেশি সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। ফিরে কয়েকটি ম্যাচ খেলেই আবার ছিটকে যান নতুন চোটে। সব মিলিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল তারকার খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে নেইমার সবই উড়িয়ে দিয়েছেন। আল হিলাল তারকা বলেছেন, বিশ্বকাপে চোখ রেখে প্রস্তুত হবেন তিনি।
চোট তো বটেই, নেইমারের পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরির কারণ তিনি নিজেও। ২০২২ বিশ্বকাপের পর বলেছিলেন, এটাই হয়ত তার শেষ বিশ্বকাপ উপস্থিতি ছিল। পরে ভিন্ন কথা বললেও ধাক্কা খান গত অক্টোবরে এসিএল চোটের শিকার হয়ে। ফিটনেসের অবস্থা নাজুক হওয়ায় আল হিলালও নাকি জানুয়ারিতে ছেড়ে দিতে চায় নেইমারকে। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্নের মুখে তার আরেকটি বিশ্বকাপ খেলা।
এখন পর্যন্ত সেলেসাওদের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন নেইমার। সম্প্রতি আরএমসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে জানিয়েছেন আরেকটি বিশ্বকাপ নিয়ে তার পরিকল্পনা।
“বিশ্বকাপ খেলাটা প্রতিটা ফুটবলারেরই মূল লক্ষ্য থাকে। তিনটা বিশ্বকাপ আমি খেলেছি তবে চার নম্বরটা খেলতে মুখিয়ে আছি। সে জন্য আমাকে প্রস্তুত হতে হবে, নিজেকে আগের পর্যায়ে নিতে আমার ক্লাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
চোট কাটিয়ে এই বছরের অক্টোবরে আল হিলালের হয়ে মাঠে ফেরেন নেইমার। কয়েকটি ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলার পর ফের চোট পেয়েছেন তিনি। জানুয়ারিতে পুরোপুরি ফিট হয়ে নেইমার আবারও মাঠে নামতে পারবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠে নিজের সেরাটা দিতে চান নেইমার।
“আল হিলালের হয়ে আমি ভালো একটা মৌসুম কাটাতে চাই। কঠিন একটা চোট থেকে সেরে উঠার লড়াইয়ে আছি আমি। এখনো আমার মাঠে ফেরার জন্য কিছুটা সময় আছে এবং সবাইকে দেখানোর সুযোগ আছে আমি শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারি।”
রেকর্ড পরিমাণ বার্ষিক বেতনের অর্থ দিয়ে আল হিলাল দলে এনেছিল নেইমারকে। তবে চোটের কারণে এখন পর্যন্ত এর প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। সেই আক্ষেপও ঘোচাতে চান সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
“আমার এখন মূল লক্ষ্য মানসিক ও শাররিকভাবে পুরোপুরি সেরে উঠা এবং খেলায় ফেরা। আমি আল হিলালের হয়ে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপটা খেলতা চাই, তাদের সাহায্য করতে চাই যেটা ক্লাবের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”
ব্রাজিলের হয়ে শেষ ১৪ ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি নেইমারের। দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারকে ব্রাজিলের জার্সিতে দেখতে সমর্থকদেরও অপেক্ষা করতে হবে আগামী মার্চ পর্যন্ত।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের পাকিস্তানে খেলা নিয়ে অনেক জলঘোলার পর সেটাই হয়েছে নিয়তি, যা অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন শুরুতেই। কোনোভাবেই প্রতিবেশী দেশে খেলতে রাজি হয়নি তারা। ফলে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করা হবে অন্য আরেকটি দেশে। বিপরীতে পাকিস্তানও পাবে একই সুবিধা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের এই রেষারেষিতে বিরক্ত আহমেদ শেহজাদ। সাবেক পাকিস্তান ওপেনার তাই দিয়েছেন প্রস্তাব, দুই দেশের সীমান্তে যেন একটা স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলা হয়!
২০২১ সালেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল, পাকিস্তানে হবে পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেই সময়ে আপত্তি না জানালেও বেশ আগে থেকেই পাকিস্তানে গিয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ভারত ক্রিকেট বোর্ড। গত কয়েক মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এটি নিয়ে অনেক শক্ত কথা বললেও শেষ পর্যন্ত মেনে নেয় ভারতের হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব। আর বিপরীতে ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতে হওয়া আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানও পাবে একই সুবিধা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেল এই সমস্যার বিচিত্র এক সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন শেহজাদ।
“আমি একটা পডকাস্টে সীমান্তে স্টেডিয়াম নির্মাণের ধারণা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেখানে একটি গেট হবে ভারতের দিকে, আর অন্য গেট হবে পাকিস্তানের দিকে। খেলোয়াড়রা নিজ নিজ দেশের গেট থেকে প্রবেশ করে এসে খেলতেন। তবে আমার মনে হয়, এরপরও বিসিসিআই এবং তাদের সরকারের সমস্যা থাকবে। কারণ, তাদের খেলোয়াড়রা যখন মাঠের আমাদের অংশে আসবে, তখন তাদের ভিসা লাগবে, যেটা তারা পাবে না।”
২০১৬ সাল থেকে দুই ফরম্যাটের দুটি বিশ্বকাপ খেলতে এখন পর্যন্ত দুইবার ভারতে গেছে পাকিস্তান। তবে ভারত বরাবরই নিরাপত্তার কথা বলে এড়িয়ে গেছে পাকিস্তান সফরের দিকটি। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকেই এক্ষেত্রে দেওয়া হয় না সবুজ সংকেত। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দেখা গেছে একই চিত্র। শুরুতে পিসিবি দাবি জানিয়েছিল, তাদের দেশে না আসলে ভারতকে ছাড়াই টুর্নামেন্ট আয়োজনের। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ভারতের দাবি মেনেই আসর মাঠে গড়াবে হাইব্রিড মডেলে।
শেহজাদ তাই ক্ষোভ ঝাড়লেন পিসিবি ওপরই।
“ভারতকে নিজেদের দেশে আনার সুবর্ণ সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। সব ক্রিকেট বোর্ড ২০২১ সালে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল যে, পাকিস্তানই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করবে। তাই এখান থেকে আইসিসি পিছু হটতে পারে না। আমার মনে হয় পিসিবি বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া করেছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত, ভারতীয় দল আর কখনও পাকিস্তানে আসবে। আইসিসি ইভেন্টই ছিল পাকিস্তানের একমাত্র সুযোগ।”
কবে,কখন?
বার্সেলোনা-আতলেতিকো মাদ্রিদ
লা লিগা
২২ ডিসেম্বার, রাত: ২টা
স্টেডিয়াম: স্তাদিও অলিম্পিক লুইস
উড়তে থাকা বার্সেলোনা যেন আচমকাই পথ হারিয়েছে। শেষ ছয় লা লিগা ম্যাচে কাতালানরা জয় পেয়েছে মোটে একটা। মৌসুমের শুরুতে প্রশংসা পাওয়া হান্সি ফ্লিকের অফ সাইড ট্রেপও খুব একটা কাজে আসছে না। যা নিয়ে কিছুটা সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে জার্মান কোচকে। অন্যদিকে মৌসুমের শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও টানা ১১ ম্যাচ জিতে আতলেতিকো মাদ্রিদ জানান দিয়েছে নিজেদের শক্তিমত্তার। তাতে শনিবার রাতে জমজমাট এক লড়াইয়ের আশাই করছেন দুই দলের সমর্থকরা।
এই ম্যাচে জয় পরাজয়ে অদল-বদল হবে পয়েন্ট টেবিলে। লা লিগায় ১৮ ম্যাচ শেষে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা, অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে আতলেতিকোর পয়েন্টও সমান। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বার্সেলোনা ধরে রেখেছে শীর্ষস্থান।
অভিজ্ঞতার বিচারে বার্সেলোনা অনেকটাই পিছিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে। তবে তারুণ্যে নির্ভর দলটা নিয়ে হাল ছাড়তে চান না ফ্লিক। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদসস্মেলনে জানিয়েছেন তেমনটাই।
“বছরের শেষ সময় এখন। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে। আমরা এখনো লা লিগায় প্রথম ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছি। যা খুব একটা মন্দ না। কিছু পয়েন্ট আমরা হারিয়েছি, দল বেশ কিছু ভুল করেছে। দলটা অনেক তরুণ, আমাদের তাই উন্নতি করার মানসিকতা ধরে রাখতে হবে।”
সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় আতলেতিকো মাদ্রিদ এগিয়ে থাকলেও দলটির কোচ দিয়েগো সিমিওনে সমীহ করছেন বার্সাকে। তার দল উন্নতি করতে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে বলেই সংবাদসম্মেলনে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই কোচ,
“গেল কিছু দিন থেকে আমরা দল হিসেবে ভালো করছি। প্রতিপক্ষের দূর্বল জায়গায় আক্রমণ করার চেষ্টা করছি সেই সাথে নিজেদের উন্নতির দিকেও নিজর দিচ্ছি। তবে আমাদের প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। মিডফিল্ড তাদের বেশ শক্ত, আক্রমণভাগে রাফিনিয়া দুর্দান্ত ফর্মে আছে। তবে আমাদেরও শক্তির জায়গা আছে। আশা করছি দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
দলের খবর বার্সেলোনা
এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনার জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ লামিন ইয়ামালের না থাকা। লেগানেসের সাথে শেষ ম্যাচে চোটে পড়ে প্রায় মাসখানেক মাঠের বাইরে থাকতে হবে বার্সা ফরোয়ার্ডকে। তবে চোট কাটিয়ে আনসু ফাতি ও ক্রিস্টেনসন দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। অবশ্য তাদের একাদশে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। এছাড়াও দলের সাথে আছেন রোনাল্দ আরাউহো। শেষ কয়েক ম্যাচে বেঞ্চে দেখা গেলেও উরুগুয়ে এই ডিফেন্ডার বদলি হিসেবে মাঠে নামতে পারেন আতলেতিকোর বিপক্ষে।
দলের খবর আতলেতিকো মাদ্রিদ
সিমিওনে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। প্রতিটা দল যখন চোটের হানায় ভুগছে, তার হাতে আছে পূর্ণ শক্তির স্কোয়াডই। শেষ কয়েক ম্যাচে ৪-৪-২ ফরমেশনে দলকে খেলিয়েছেন সিমিওনে বার্সেলোনার সাথেও তেমনটাই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
হেড টু হেড
দুই দল এখন পর্যন্ত লা লিগায় মুখোমুখি হয়েছে ১৭৪ ম্যাচে। যেখানে বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ৮০ ম্যাচে বিপরীতে আতলেতিকো মাদ্রিদ জয় তুলে নিয়েছে ৫২ ম্যাচে। ড্র হয়েছে বাকি ৪২ ম্যাচ।
রোনালদোর সাথে কিলিয়ান এমবাপের গল্পটা বহু আগের। পর্তুগাল অধিনায়ককে আইডল মেনেই তো ফুটবলে হাঁটা শুরু এমবাপের। তার দেখানো পথ ধরেই তো এমবাপে খুঁটি গেড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। তবে ফরাসি অধিনায়ক রোনালদোর বিপক্ষে খেললেও কখনো খেলা হয়নি একসাথে। যা নিয়ে তার আছে কিছুটা আক্ষেপ।
পিএসজিতে লিওনেল মেসি নেইমারদের মতো তারকাদের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন এমবাপে। তবে রোনালদোর সাথে মেলেনি তেমন সুযোগ। বেশ কয়েকবার দুজন একে অপরের মুখোমুখি হলেও একসাথে খেলা হয়নি দুজনের। সম্প্রতি বেইন স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে রোনালদোর সাথে খেলতে না পারার আক্ষেপটাই তুলে ধরেছেন এমবাপে।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের পর মেসিকে দেখেই মেজাজ হারিয়েছিলেন এমবাপে! |
“আমি অনেক বড় তারকাদের সাথে খেলেছি। সেই তালিকায় আছেন, লিওনেল মেসি, নেইমার, গ্রিজমান, পগবা, বেনজেমা। রোনালদোর সঙ্গে খেলতে পারলে ব্যাপারটা দারুণ হতো, যা এখন বেশ কঠিন। তবে আমার সৌভাগ্য যে আমি তার মতো একজন কিংবদন্তীর বিপক্ষে খেলতে পেরেছি।”
৩৯ বছর বয়সী রোনালদো বর্তমানে খেলছেন সৌদি ক্লাব আল নাসরে। অন্যদিকে চলতি মৌসুমে এমবাপে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। যেটা তার স্বপ্নের ক্লাব। বেইন স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে এমবাপে জানান দিয়েছেন রিয়ালের প্রতি তার ভালোবাসার কথা।
“আমি বিশ্বের সেরা ক্লাবে যোগ দিয়েছি। সবসময়ই বলেছি রিয়াল মাদ্রিদই একমাত্র ক্লাব যার জন্য আমি পিএসজি ছাড়তে পারি। রিয়ালে না আসলে হয়তো পুরো ক্যারিয়ার পিএসজিতেই কাটাতাম। আমার সবসময়ই স্বপ্ন ছিল এই ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করার এবং আমি খুবই খুশি এখানে আসতে পেরে।”
স্বপ্নের ক্লাবে যোগ দিলেও এমবাপের শুরুটা হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতই। মাঠের পারফরম্যান্সে নিয়মিতই সমালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ২৬ বছর বয়সী এই তারকাকে। অবশ্য ধীরে ধীরে এমবাপে মানিয়ে নিচ্ছেন রিয়ালে। শেষ ম্যাচে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে পাচুকার বিপক্ষেও পেয়েছেন গোলের দেখা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ২২ ম্যাচে ১২ গোলের পাশাপাশি করেছেন দুই অ্যাসিস্ট।
আরও পড়ুন
পিএসজি চ্যাম্পিয়ন লিগ জিতুক, তা আর দেখতে চান না এমবাপে |