আকাশি-সাদা জার্সিতে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরার খেলা দেখতে সবসময়ই মুখিয়ে থাকে ভক্ত-সমর্থকেরা। তবে বয়স তো কম হলো না, ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে এসে লিওনেল মেসি এখন ম্যাচ খেলছেন বেছে বেছে।
বুয়েনস এইরেসে আগামী পরশু এস্তাদিও মনুমেন্তালে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ঘরের মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। জাতীয় দলের জার্সিতে চিরচেনা উঠোনে যে এটিই তাঁর শেষ ম্যাচ হতে পারে, সে কথা নিজেই এরই মধ্যে জানিয়েছেন মেসি।
‘বিশেষ’ এই ম্যাচটি ঘিরে আছে নানান পরিকল্পনাও। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার সবশেষ ম্যাচটিতে মেসিকে ছাড়াই মাঠে নামতে পারে লিওনেল স্কালোনির দল। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম মুন্দো আলবিসেলেস্তা জানিয়েছে, ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে অনিশ্চিত মেসি।
আরও পড়ুন
মেসি-রোনালদো কেন সবার চেয়ে আলাদা, বললেন স্কালোনি |
![]() |
নিজেদের মাঠে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচের পর ১০ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের মাঠে খেলবে আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ম্যাচটির বিশেষ গুরুত্ব থাকলেও ইকুয়েডরের মাঠে ম্যাচটি নিয়ে কম আগ্রহই থাকবে সমর্থকদের।
তুলনামূলক গুরুত্বহীন ইকুয়েডর ম্যাচটিতে তাই মেসির খেলার সম্ভাবনা কমই বলা যায়। গুঞ্জন আছে চোট থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মেসি। সম্প্রতি ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাঁটুর চোট প্রায়ই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামিও মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। মেজার লিগ সকারে (এমএলএস) ইস্টার্ন কনফারেন্স থেকে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে আছে মেসির ক্লাব। ২৫ ম্যাচে মায়ামির অর্জন ৪৬ পয়েন্ট। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে নিজেকে ফিট রাখতেই ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। এ ছাড়া বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে দলের নিয়মিত সদস্যদের বিশ্রামে রেখে তরুণদের বাজিয়ে দেখতে পারেন কোচ স্কালোনি।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচ খেলে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইকুয়েডর। আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলও ২৫ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে।
No posts available.
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৯ পিএম
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শতভাগ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ইংল্যান্ড। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৭৪ নম্বরে থাকা অ্যান্ডোরাকে ২-০ গোলে হারাল ১৯৬৬ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
এনিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত রইল ইংল্যান্ড। ২০০৯ সালের অক্টোবরে সবশেষ ১-০ গোলে হেরেছিল তারা। এরপর ১৬ বছর ও ৩৫ ম্যাচে তাদের জয় ২৭টি আর ড্র বাকি ৮টি।
ঘরের মাঠ ভিলা পার্কে দুই দলের র্যাংকিং বা শক্তি-সামর্থ্যের পার্থক্য বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে প্রায় ৮৩ শতাংশ সময় বলের দখল ছিল তাদের কাছে।
গোলের জন্য সব মিলিয়ে ১১টি শট করে টমাস টুখেলের দল। এর মধ্যে জাল বরাবর ছিল ৭টি। বিপরীতে অ্যান্ডোরার দুই শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না। তাই বেকার সময়ই কাটে ইংলিশ গোলরক্ষকের।
তবে মাঠের পারফরম্যান্সের দাপট ঠিক প্রতিফলিত হয়নি ম্যাচের স্কোরলাইনে। প্রথমার্ধে তো নিজেরা গোলই করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচের আগে প্রথমবার ইংল্যান্ড জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পান জেড স্পেন্স। প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
তবে ম্যাচের শুরুর একাদশ বা বদলি হিসেবেও নামার সুযোগ পাননি স্পেন্স। তাই অপেক্ষা বাড়ল ২৫ বছর বয়সী এই ফুল ব্যাকের। সার্বিয়ার বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচে তাকিয়ে স্পেন্স।
অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ইংল্যান্ড লিড পায় নিজেদের সৌভাগ্যের সুবাদে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন অ্যান্ডোরার ডিফেন্ডার গার্সিয়া।
পরে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেক্লান রাইস। এর আগে-পরে অনেক চেষ্টা করেও জালের দেখা পাননি হ্যারি কেইন, মার্কাস র্যাশফোর্ডরা। তবে জিততে কোনো অসুবিধা হয়নি।
বাছাইয়ের ‘কে’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচে জয়হীন অ্যান্ডোরার অবস্থান পাঁচ দলের মধ্যে তলানিতে।
আগামী মঙ্গলবার রাতে সার্বিয়ার মাঠে খেলতে যাবে ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুর্ধর্ষ চেহারায় পর্তুগাল। আর্মেনিয়ার মাঠে একের পর এক আক্রমণ সাজিয়ে ৫-০ গোলের বড় জয় তুলে নিল রবের্তো মার্তিনেসের দল। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স। বাকি গোলটি করেছেন জোয়াও কানসেলো।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই পর্তুগাল দেখিয়েছে একতরফা আধিপত্য। প্রথম ২১ মিনিটেই দুই গোল করে আর্মেনিয়াকে চাপে ফেলে দেয় তারা। ১০ মিনিটে হেডে গোল করে এগিয়ে দেন ফেলিক্স। ২১ মিনিটে পেদ্রো নেতোর ক্রসে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে টানা চার ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব গড়লেন এই মহাতরকা।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হবেন কে |
![]() |
৩২ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় কানসেলো। ডানদিক থেকে শট ফিরলেও গোলরক্ষকের হাত এড়িয়ে বল চলে যায় তার সামনে, সেখান থেকেই সহজ ফিনিশিং। গোলের পর প্রয়াত সতীর্থ দিয়োগো জটার স্মরণে বসে পড়ে বিশেষ ভঙ্গিতে উদযাপন করেন তিনি।
বিরতির পর আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পর্তুগিজরা। ৪৬ সেকেন্ডের মাথায় প্রায় ২২ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৪০, খেলেছেন ২২২ ম্যাচ। ২০১৫ সালে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
রোনালদো বদলি হয়ে উঠে যাওয়ার পর আক্রমণের ধারা কিছুটা কমে যায়, তবে ৬১ মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় দ্বিতীয় গোলটি পান ফেলিক্স। শেষ দিকে আর্মেনিয়া পাল্টা আক্রমণে চেষ্টা চালালেও গোলের দেখা পায়নি।
নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে শনিবার গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন সুমন রেজা। তবে শেষ পর্যন্ত সেগুলো গোলে রূপান্তর করা যায়নি। ম্যাচ শেষে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মোহামেডান ফরোয়ার্ডের; একই সঙ্গে বলেছেন- ‘এই ম্যাচে ড্র-ই ছিল ন্যায্য ফল।’
খেলার দশম মিনিটেই প্রতিপক্ষের জালে বল ঠেলে দেন সুমন রেজা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোলের উৎযাপন শুরুর আগেই অবশ্য তাকে থামিয়ে দেন রেফারি। সঙ্কেত দেওয়া হয় অফসাইডের। পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলেছেন ৩০ বছর বয়সি তারকা।
পোস্ট ম্যাচ কনফারেন্সে কোচ কাবরেরা আলাদা করে টাঙ্গাইল থেকে উঠে আসা ফুটবলারকে নিয়ে বলেন,
‘সুমন সেটাই করেছে, যেটা সে ভালোভাবে করতে পারে- অবিরাম লড়াই আর ভরপুর প্রাণশক্তি নিয়ে খেলা। আজকের ম্যাচে সেটাই দরকার ছিল আমাদের। প্রথমার্ধে সে একটা দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের যে বড় সুযোগটা এসেছিল লং থ্রো থেকে; সেখানে দারুণ হেডটা সে-ই দিয়েছে।’
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে ছিলেন না সর্বশেষ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলা হামজা চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার। তাদের অনুপুস্থিতি নিয়ে দেশ ছাড়ার আগেই কাবরেরা বলেছিলেন এটা অন্যদের জন্য সুযোগ। সুমন সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে বলে মনে করেন স্প্যানিশ কোচ,
‘আমার কাছে মনে হয়েছে, ক্যাম্পে সে খুব ভালো করেছে। আজকের সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে এবং ভালো খেলেছে।’
এই ম্যাচে দুই দলই ভালো খেলেছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলেছে মনে করেন কাবরেরা,
‘খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে, সমান লড়াই করেছে দুই দল। শুরুতে তারা (নেপার) আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। ধীরে ধীরে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবারও ভুগতে হয়েছে। আসলে পুরোটা সময়ই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা এদিক-ওদিক হেলেছে। তবে আমি মনে করি, ম্যাচটা সমানে সমান (৫০-৫০)। ড্র-ই এর ন্যায্য ফল।’
শেষে কাবরেরা প্রশংসা করেছেন অভিজ্ঞ তারকা রাকিব হোসেনের। বসুন্ধরা কিংসের উইঙ্গারকে নিয়ে বলেছেন,
‘রাকিবও একইভাবে ভালো খেলেছে। তবে ওর ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হয়তো বেশি সাবধানী ছিল, তাই ওর চারপাশে বেশি খেলোয়াড় রেখেছে। তবুও, রাকিব সবসময়ই বিপজ্জনক।’
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় তথা সফরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকং ম্যাচের আগে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া চেয়েছিলেন প্রস্তুতির পাশাপাশি দুটিতেই জয় নিয়ে দেশে ফিরতে। তবে আজ দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
নেপালের বিপক্ষে আগের দেখায় ২০২২ সালে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রায় তিন বছর পর সুযোগ পেয়েছিল প্রতিশোধ নেওয়ার। সে অপেক্ষাও বাড়ল আরও।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে মনি কুমার লামার ফ্রি কিক থেকে অনন্ত তামাংয়ের হেড ঠেকিয়ে দেন সুজন হোসেন। ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে সুযোগ পেয়েছিলেন সুমন রেজা। কিন্তু তাঁর শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ৫১ মিনিটে রহমত মিয়ার লং থ্রোয়ে সুমন রেজার হেডে বল পান তারিক কাজী। কিন্তু তিনি বল ছোঁয়ার আগেই হেডে তা ক্লিয়ার করেন নেপালের জুং কার্কি।
৬৫ মিনিটে জামালের জায়গায় কাজেম শাহ ও সাদ উদ্দীনের পরিবর্তে নামেন তাজ উদ্দীন। ৬৮ মিনিটে জুং কার্কির শট সহজেই তালুবন্দী করেন সুজন। ৭৬ মিনিটে তাজের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট খানিকটা লাফিয়ে উঠে গ্লাভসবন্দি করেন নেপালের অধিনায়ক কিরণ চেমজং।
৮১ মিনিটে রাকিব হোসেনের বাড়ানো ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি দূরের পোস্টে থাকা আরিফ হোসেন। ৮৫ মিনিটে সাদের মতো ছোট ভাই তাজও দেখেন হলুদ কার্ড। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র মেনে মাঠ ছাড়ে দুই দল। ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথেই দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।
আধিপত্য বিস্তার না করা গেলেও বল দখলে নিয়ে খেলছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশি সুযোগও তৈরি করেছেন আল আমিন-মোরছালিনরা। নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে কেবল জালের দেখা মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় আসেনি পরিবর্তন। ঢিমেতালে শুরুর পর এই অর্ধের খেলায় প্রাণ ফিরে পায় যেন শেষ ১৫ মিনিটে, তবে সেটা ইয়েমেনের দিক থেকে। বাংলাদেশ কোচ হাসান আল মামুনের কয়েকটি বদলির পরই ছন্দ হারিয়ে ফেলে অতিথিরা। অন্তিম মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়েমেন।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে (৯০+৪) ইয়েমেনের বদলি খেলোয়াড় মোহাম্মদ এসাম আল আওয়ামি পার্থক্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দুই ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট অর্জন ইয়েমেনের। সমানসংখ্যক খেলায় এখনও পয়েন্টের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে হারালে তিন পয়েন্ট পেতে পারে। তিন পয়েন্টে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার সুযোগ একেবারে ক্ষীণ। সেখানে এগারো গ্রুপের মধ্যে সেরা চার রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বলা যায়, এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার আশা প্রায় শেষ বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীকে প্রধান করে বিসিবির নির্বাচন কমিশন |
![]() |
ম্যাচের ৩২ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া মোরছালিনের গতিময় শট কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন ইয়েমেনের গোলকিপার ওসামা আলী মসরেফ। টানা দুটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। মোরছালিনের কর্নারে উড়ে আসা বল লাফিয়ে গ্লাভসবন্দি করতে গিয়ে ফেলে দেন ইয়েমেনের গোলকিপার। বাংলাদেশের কেউ বলের নাগাল পাওয়ার আগে গোলমুখের সামনে থেকে ক্লিয়ার করেন ইমেয়েনের ডিফেন্ডার ফয়সাল মোহাম্মদ মারুফ।
৬৩ মিনিটে ফাহামিদুল ও আল আমিনকে তুলে নেন কোচ। তারপরই যেন ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। বদলি হিসেবে নামেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও রাজু আহমেদ জিসান। তিন মিনিট পর ভালো একটা আক্রমণ সমাপ্তি ঘটে জিসানের লক্ষ্যহীন শটে। ৭২ মিনিটে মিরাজুল ইসলামকে তুলে মাঠে নামানো হয় আরমান ফয়সাল আকাশকে। কিন্তু আকাশও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।
৭৭ মিনিটে ইয়েমন অধিনায়ক ইমাদ হামুদের ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বাংলাদেশ গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ৮০ মিনিটে ইয়েমেন ফরোয়ার্ড নাসের মোহাম্মদ সালেহের গতিময় নিচু শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। শেষ দিকে ইয়েমেনের আক্রমণে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। জিসান-রাহুলরাও বল পায়ে ছিলেন এলোমেলো।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হবেন কে |
![]() |
৮৪ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় সালেহর আড়াআড়ি শট ঠেকালেও গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি শ্রাবণ। কর্নার পায় ইয়েমেন। সেট পিস থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ফের কর্নার উপহার দেন বদলি খেলোয়াড় আকাশ।
৮৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মজিবর রহমান জনি। বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় ইয়েমেন। সেখান থেকে গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন ইয়েমেনের বদলি খেলোয়াড় আব্দুল রহমান আল শামি। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে গোল সেভ করেন শ্রাবণ। থ্রো থেকে ফিরতি বল তৈরি করে গোলের সুযোগ, এবারও গোলবারের সামনে ভরসা হয়ে দাঁড়ান বসুন্ধরা কিংসের এই গোলকিপার।
যোগ করা সময়ের চার মিনিটের মাথায় গোল করেন এসাম আল আওয়ামি। গোলের সুযোগ তৈরি করেন আব্দুল রহমান আল শামি। বক্সের বাঁ প্রান্তের কোণ দিয়ে রিমনকে বোকা বানিয়ে বল তুলে দেন এসামের পায়ে। নিখুঁত টোকায় ডান প্রান্তের উপরের কোণা দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। সেখানে গোলকিপার শ্রাবণের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ওই সময় বাংলাদেশের পোস্টে ছিলেন ৫-৬ জন খেলোয়াড়। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁরা যেন বেশ ক্লান্ত। ওই গোলের পরই শেষ বাঁশি বাজে রেফারির।
শেষ ম্যাচ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।