নিজের ৫০ তম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ এমনিতেই বিশেষ ছিল জাকের আলি অনিকের জন্য। বাংলাদেশের ১০৫তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক। তবে ৫০ তম ম্যাচে জাকের স্মরণীয় করলেন নিজের প্রথম টেস্ট ফিফটিতে। জাকেরের ফিফটিতে মিরপুরে সাউথ আফ্রিকার সাথে লড়ছে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২ বলে ৬ চারে অর্ধশতক জাকেরের ব্যাটে। বাংলাদেশ দলও পেরিয়েছে ৪০ রানের লিড।
অভিষেক নিশ্চিত করে জাকের টি স্পোর্টসকে জানিয়েছিলেন, 'চেষ্টা করব কষ্ট করে যেহেতু এখানে এসেছি, কষ্ট করে বড় পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশের জন্য কিছু করার।ইনশাআল্লাহ প্রস্তুতি ভালো হয়েছে, চেষ্টা করব ভালো করার...'
কথা রেখেছেন জাকের। অবশ্য এর আগের ৪৯ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে জাকের আলি ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৮৬২। ১৯ ফিফটির সাথে ছিল ৪ সেঞ্চুরি ক্যারিয়ার সেরা ১৭২ রান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, ৭৩ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ২৩৯। জাকের আলি অনিকের ব্যাটে অপরাজিত ৫৩ রান, মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ৬৬ রানে।
চমক জাগিয়ে টটেনহ্যাম হটস্পার ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় থেকেই আলোচনায় সন হিউং-মিনের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবে যোগ দেওয়ার বিষয়টি। সব ঠিক থাকলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই পাড়ি জমাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা ফুটবলার, দাবি ইএসপিএন সহ শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলোর।
গত শনিবার সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে সন ঘোষণা দেন টটেনহ্যামের সাথে দীর্ঘ ১০ বছরের সম্পর্কের ইতি টানার। এর পরদিন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হওয়া প্রাক-মৌসুম ম্যাচে খেলেন স্পার্সের জার্সিতে নিজের সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ। আর তাই ক্লাব কিংবদন্তিকে ৬৫তম মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় ঘিরে দাঁড়িয়ে গার্ড অব অনার দেন সতীর্থ ও প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা।
ইউরোপের পাট চুকিয়ে এবার সনের গন্তব্য হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইএসপিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ২০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে সনের লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে যোগ দেওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। কেবল মেডিকেল ও কাগজপত্র চূড়ান্ত করাটাই বাকি। আর সেটা হলে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত লিওনেল মেসির সাথে একই লিগে খেলবেন সন। যদিও আর্জেন্টিনা তারকা খেলেন ইস্টার্ন কনফারেন্সে, আর সনের দল খেলে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে।
৩৩ বছর বয়সী সন ২০১৫ সালে বায়ার লেভারকুসেন থেকে টটেনহ্যামে যোগ দেন। এরপর ক্লাবটির হয়ে ৪৫৪ ম্যাচে করেছেন ১৭৩ গোল। একবার জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট। আর সেরা অর্জন চলতি বছর অধিনায়ক হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জেতা।
ঘটা করে নিজের ১৮তম জন্মদিন পালন করতে গিয়ে সমালোচনা সইতে হয়েছে বেশ। সেটার রেশ না কাটতেই এবার লামিন ইয়ামাল পড়েছেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে পাওয়া তার একটি মুরাল নিয়ে। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ভিন্ন এক শিল্পী সেটি বিকৃতি করে দেন। শেষ পর্যন্ত ইয়ামালের মুরালটি আগের অবস্থায় ফিরে গেলেও তার আগে জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের।
গত জুলাইয়ে ইয়ামালের জন্মদিন উপলক্ষে তার একটি আর্টওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন খ্যাতনামা স্ট্রিট আর্টিস্ট ‘টিভিবয়। সেখানে বার্সেলোনা তারকাকে ‘এল’ চিহ্নিত একটি সুপারহিরো পোশাকে আঁকা হয়, যেখানে রাখা হয় লাল ব্যাকগ্রাউন্ড।
তবে অল্প সময়েই বার্সেলোনার গ্রাসিয়া অঞ্চলের এই মুরালকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক, যা শেষ পর্যন্ত গড়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবাদের দিকেও।
এর প্রেক্ষিতে কিছুদিন পরই মুরালটির চেহারা রাতারাতি বদলে যায়। সেখানে স্নো হোয়াইটের সাতটি বামনের ছবি যুক্ত করে দেন অন্য এক শিল্পী, যিনি আবার নিজের ছদ্মনাম ব্যবহার করেন এসব কাজ করে থাকেন। তার এই পদক্ষেপ ছিল ইয়ামালের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আচন্ড্রোপ্লাসিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের (বামন) বিনোদনের জন্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক সমালোচনা।
কেউ কেউ তার এই কাজের প্রশংসা করেন, কারণ তাদের কাছে এটি ছিল শিল্পকলা ও প্রতিবাদের মিশ্রণ হিসেবে। তবে অনেকে আবার আবার এটিকে ইয়ামালের প্রতি অসম্মান হিসেবেও দেখেন।
এসবের মাঝেই গত সোমবার বিকেলে টিভিবয় নিজেই আবার মুরালের পুরো ব্যাকগ্রাউন্ডটি রাঙিয়ে দেন আগের মতো লাল রঙে। সাথে মুছে দেন বামনদের ছবি এব মুরালটিকে তার আসল চেহারায় ফিরিয়ে আনেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে ইয়ামালের জন্মদিনের প্রাইভেট পার্টিতে বেশ কয়েকজন বামনকে ভাড়া করে নেওয়া হয়েছিল। ইউরোপের অনেক দেশেই এই চর্চা থাকলেও ইয়ামালের এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে স্পেনের মানবাধিকার সংস্থা, জানায় তীব্র প্রতিবাদ।
মাত্র আট মাস হলো ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এসেছেন, প্রথম মৌসুম কেটেছে একরাশ হতাশার মধ্য দিয়ে। রুবেন আমোরিমের চাকরি নিয়ে প্রায়ই তোলা হয় প্রশ্ন। তবে পর্তুগিজ এই কোচ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে দেখছেন বড় স্বপ্ন। ইংলিশ ক্লাবটিতে আরও ২০ বছর কাটিয়ে দিতে চান তিনি।
আমোরিমের সাথে ইউনাইটেডের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত। সাথে রয়েছে সেটা এক বছর বাড়ানোর সুযোগ। হাতেগোনা কয়েকজন কোচ ছাড়া আধুনিক কোচরা কেউই ২০ তো নয়ই, ৫ বছরও একটি ক্লাবের কোচ হিসেবে থাকার সুযোগ পান না। পেপ গার্দিওলার মত যারা দুহাতে সাফল্য পেয়েছেন, কেবল তারাই এক ক্লাবে প্রায় ১০ বছর কাটাচ্ছেন।
আমোরিমেরও ইচ্ছা এমন লম্বা সময় ইউনাইটেডের ডাগআউটে থাকার। প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে এভারটনের সাথে ম্যাচের পর তিনি বলেছেন সেই লক্ষ্যের কথাই।
“আমি এখানেই থাকতে চাই, আমি আরও ২০ বছর থাকতে চাই। সেটাই আমার লক্ষ্য। আমি মনে করি এটা সম্ভবও।”
গত নভেম্বর মাসে এরিক টেন হাগকে সরিয়ে আমোরিমকে দায়িত্ব দেয় ইউনাইটেড। লক্ষ্য ছিল তার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু প্রথম মৌসুমে তার নেতৃত্বে ক্লাবটির হয় ভরাডুবি, বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগে। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমের পর সবচেয়ে বাজে অবস্থানে থেকে শেষ করে তারা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে ২০টি ম্যাচ হারে ইউনাইটেড, যা ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমের পর সর্বোচ্চ পরাজয়ের রেকর্ড। ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেললেও তাই আমোরিমের অবস্থান মজবুত নয়।
এরপরও ভালো কিছু সম্ভব বলেই মানেন আমোরিম।
“আমি জানি গত মৌসুমে আমার বিশেষ কৃতিত্ব নেই। তবে আমি নতুন করে শুরু করতে প্রস্তুত।”
গেল মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪২টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন আমোরিম, যার মধ্যে জয় এসেছে মাত্র ১৭টিতে। ম্যাচ প্রতি পয়েন্টের হার ছিল মাত্র ১.৪০। আবার ইউরোপা লিগ না জিততে পারায় ২০২৫-২৬ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না, যা শেষবার হয়েছিল ২০১৪-১৫ মৌসুমে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আরও একবার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন লিওনেল মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন চিউকো। লিগস কাপ ডিসিপ্লিনারি কমিটি জানিয়েছে, ইন্টার মায়ামির এক প্রতিনিধিকে চলতি লিগস কাপ ২০২৫ টুর্নামেন্টের বাকি সময়ের জন্য সমস্ত টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ইএসপিএনের দাবি, এই প্রতিনিধিই মেসির দেহরক্ষী।
গত বুধবার রাতে ফোর্ট লডারডেলের চেইস স্টেডিয়ামে ইন্টার মায়ামি ও আটলাস ম্যাচের পর ঘটে যাওয়া এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুর্নামেন্ট কমিটি। সেখানে নাম না বলা হলেও ইএসপিএন তাদের সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে, নিষিদ্ধ সেই ব্যক্তি চিউকো।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের মধ্যে চলা কথোপকথন থামাতে গিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন চিউকো। এরপর আটলাস দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তার।
বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান আটলাসের ডিফেন্ডার ম্যাথিউস ডোরিয়া। “চিউকোর মাঠে থাকার কোনো অনুমতিই নেই, বিশেষ করে বিষয়টি যখন খেলোয়াড়দের মধ্যেই হচ্ছিল।“
উল্লেখ্য, এর আগেও মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে চিউকোকে মাঠের পাশে টাচলাইনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এরপরও তিনি তিনি ইন্টার মায়ামির নিরাপত্তা দলের একজন সদস্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে লিওনেল মেসির সাথে খেলার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে রদ্রিগো দে পলের। একসাথে জিতেছেন বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকার শিরোপা। এরপরও ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের সাথে আরও বেশি বেশি খেলার তাগিদ অনুভব করেছেন অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার। আর এই কারণেই মেসিকে অনুসরণ করে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন বলেই স্বীকারোক্তি দে পলের।
৩১ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন তারকা আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে সম্প্রতি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন ধারের চুক্তিতে। দুই বছর আগে থেকেই এই ক্লাবটিতে খেলছেন মেসি, যার যাথে দে পলের রয়েছে দারুণ বন্ধুত্ব। জাতীয় দলে খেলার সময় মাঠে ও মাঠের বাইরে সব জায়গায় দুজনকে একসাথেই দেখা যায় বেশি।
শুক্রবার মায়ামিতে নিজের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দে পল অকপটেই জানালেন, মেসির কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
“জাতীয় দলে খেলার জন্য যখনই আমরা একসাথে হই, প্রতিটি মুহূর্ত অসাধারণ কাটে। কিন্তু সেটা খুব অল্প সময়েই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু আমি সবসময় চেয়েছি সেরাদের সাথেই নিয়মিত একসাথে খেলতে, আর সেরা খেলোয়াড় তো এখানেই খেলে।”
ইউরোপিয়ান লিগে লম্বা সময় ধরে খেলা দে পল গত মৌসুমেও আতলেতিকোর হয়ে খেলেছেন বেশ ভালো। এরপরও করেছেন ঠিকানা বদল। মায়ামিতে তার চুক্তি আপাতত ২০২৫ এমএলএস মৌসুম পর্যন্ত ধারে। তবে চুক্তিতে তাকে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে দলটির সামনে, যা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়তে পারে।
মূলত মেসি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দে পল নজর রাখছিলেন এমএলএসে। নিজের ব্যস্ত সূচির মাঝেও সুযোগ পেলে ম্যাচ দেখতেন। আর সেখান থেকে আগ্রহ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। “ইউরোপের সেরা লিগগুলোতে খেলার অভিজ্ঞতা আমার জন্য দারুণ ছিল। তবে আমি নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নিতে চেয়েছি, আর চেয়েছি নতুন কিছু শিখতে। এমএলএস এখন উন্নতির পথে রয়েছে, আর আমি এই পথচলার অংশ হতে চাই।”
দে পল ইতোমধ্যেই মায়ামিতে নিজের অভিষেক সেরে ফেলেছেন। গত বুধবার লিগস কাপে আতলাসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পাওয়া ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি।