২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়েছেন বছর চারেক হয়ে গেল। নানা নাটকীয়তার পর চোখে জল নিয়েই ছেড়েছিলেন ভালোবাসার ক্লাব। সেই ঘটনায় হুয়ান লাপোর্তার বোর্ডের সাথে মেসির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা দৃশ্যমানই। তবে কাতালান ক্লাবটির প্রতি আর্জেন্টিনা অধিনায়কের টান মোটেও কমেনি অন্য ঠিকানায় থেকেও। সেটা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন মেসির নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির মালিকানায় থাকা ডেভিড বেকহাম। দূরে থাকলেও মেসির মনে বড় অংশ জুড়েই যে বার্সা আছে, সেটাই জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে দুই মৌসুম কাটিয়েছিলেন মেসি। মাঝে বিশ্বকাপ জিতে ফুটবল ক্যারিয়ারের সব অপূর্ণতাকে দিয়েছেন পূর্ণতা। এরপর পাডি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে। সৌদি আরবে অবিশ্বাস্য অফার থাকলেও সেটি ফিরিয়ে মেসি মায়ামিকে বেছে নেন পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে। যেখানে বেশ ছন্দে আছেন আর্জেন্টাইন তারকা। তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো মায়ামি জিতেছে লিগ কাপের শিরোপাও।
মাঠের বাইরেও মেসির সময়টা যুক্তরাষ্ট্রে কাটছে দারুণ। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢু মারলেই তা বোঝা যায়। তাতে ক্যারিয়ার শেষে যুক্তরাষ্ট্রে মেসি স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন বলেও ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল।
তবে সেটা যে হচ্ছে না তাই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বেকহাম। “অবসরের পর মেসি মায়ামিতে থাকুক এটাই আমি চাইতাম। তবে মেসি আমাকে বলেছে সে ক্যাম্প নু এর আশে পাশেই থাকতে চায়। কোনো ফুটবলার তার মতো বার্সাকে ভালোবাসে না, আপনি তার পায়ে বার্সেলোনা লোগো দেখতে পাবেন, এমনকি তার পানির বোতলের দিকে তাকালেও দেখা যাবে বার্সেলোনার লোগো।”
বার্সেলোনার জার্সিতে প্রায় ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৭৭৮ ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি। করেছিলেন ৬৭২ গোল। যা ক্লাব ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর অ্যাসিস্টের সংখ্যা ৩০৩।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২:০৮ পিএম
নতুন ফরম্যাটে চলতি মৌসুম থেকে আয়োজিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। প্রথম মৌসুমেই নতুন ফরম্যাট আমেজ ছড়াচ্ছে। শেষ দিনে একসঙ্গে হয়েছে ১৮ ম্যাচ। জমজমাট লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জন্ম দেয়নি তেমন অঘটন। বাদ পড়ার শঙ্কা তৈরি হলেও ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির মতো ইউরোপিয়ান জায়ন্টরা শেষ পর্যন্ত জায়গা করে নিয়েছে নকআউট পর্বে।
নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী প্রতিটা দল খেলেছে আট ম্যাচ করে। গ্রুপের হিসেব বদলে ৩৬ দলের টেবিল আকারে লড়েছে দলগুলো। যেখান থেকে সেরা আট দল জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোতে। টেবিলের নয় থেকে ২৪-এ থাকা ক্লাবগুলো জায়গা করে নিয়েছে প্লে অফে। যেখান থেকে আট দল যাবে শেষ ষোলোতে। আর ২৫ থেকে ৩৬-এ থাকা ক্লাবগুলো বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে।
শেষ ষোলো নিশ্চিত যাদের-
সরাসরি শেষ আটে জায়গাটা আগেই নিশ্চিত করেছিল লিভারপুল আর বার্সেলোনা। শেষ দিন নজর ছিল শীর্ষস্থানের দিকে। পিএসভির সাথে হেরেও শেষ পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানটা ধরে রেখেছে আর্নে স্লটের দল। অন্যদিকে আতালান্তার বিপক্ষে ২-২ এর ড্রতে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে শেষ করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের তিন ও চার নম্বরে যথাক্রমে আর্সেনাল ও ইন্তার মিলান। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ছয় নম্বরে থাকা লেভারকুসেনের পয়েন্ট ১৬। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় সাত ও আট নম্বরে অবস্থানে লিঁল ও অ্যাস্টন ভিলা।
শীর্ষ আট দল-
লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্তার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, লেভারকুসেন, লিঁল, আ্যস্টন ভিলা।
প্লে-অফে জায়গা পেলো যারা-
অন্যদিকে প্লে অফে টিকে থাকার লড়াইটা হয়েছে জমজমাট। যেখানে শেষ পর্যন্ত গোল ব্যবধানই গড়ে দিয়েছে দলগুলোর ভাগ্য।
১৫ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে অবস্থান আতালান্তার। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ১০ নম্বরে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এরপরেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ ও এসি মিলান। তাদের পয়েন্টও সমান ১৫।
১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বর অবস্থানে ডাচ ক্লাব পিএসভি। ১৫ নম্বরে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ১৩। সমান পয়েন্ট বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ট ও ফেয়েনুর্দেরও। এখানেও দলগুলোর মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে গোলের হিসেব-নিকেশ।
১২ পয়েন্ট নিয়ে ইয়্যুভেন্তুস আছে ২০ নম্বরে, একই সমান পয়েন্ট নিয়ে ২১ নম্বরে সেলটিক। শেষ তিন দলের পয়েন্ট সমান ১১। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ২২ নম্বরে সিটি এরপরে অবস্থান স্পোর্টিং সিপি ও ক্লাব ব্রুজের।
৯ থেকে ২৪-
আতালান্তা, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, পিএসভি, পিএসজি, বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ট, ফেয়েনুর্দ, য়্যুভেন্তুস, সেলটিক, ম্যানচেস্টার সিটি, স্পোর্টিং সিপি, ক্লাব ব্রুজ।
শঙ্কাটা নাড়া দিয়েছিল প্রথমার্ধে। পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওলার দল। তাতে নিশ্চিত হয়েছে নকআউট পর্ব। অন্যদিকে স্টুর্টগার্টকে হেসে-খেলেই হারিয়েছে পিএসজি। তাতে শঙ্কা কাটিয়ে তারাও কেটেছে নকআউটের টিকেট।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। বলের দখল রেখে একের পর এক আক্রমণে ক্লাব ব্রুজকে চেপে ধরে সিটিজেনরা। তবে তাদের আক্রমণ বারবারই আটকা পড়ে ক্লাব ব্রুজের জমাট রক্ষণের সামনে। শুধুই আটকায়নি সময়ে সময়ে বেলজিয়ান ক্লাবটা পাল্টা আক্রমণে জবাবও দিয়েছে পেপ গার্দিওলার দলকে।
সেই ধারায় ম্যাচের ৪৫ মিনিটে তারা স্তব্ধ করে দেয় পুরো ইতিহাদকে। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে সিটির হৃদয় ভাঙেন ব্রুজের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল ওয়েনদেক। পাল্টা আক্রমণ থেকে সিটির রক্ষণকে নিমেষেই যেন ভেঙে দেন ওয়েনদেক। তাতে বাদ পড়ার শঙ্কা নিয়েই সিটি যায় বিরতিতে।
বিরতি থেকে ফিরেই সিটি মরিয়া হয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে। সাঁজায় একের পর এক আক্রমণের মহড়া।
৫৩ মিনিটে সিটির হতাশা কাটান কোভাচিচ। মাঝ মাঠ থেকে একাই ব্রুজের পাঁচ ফুটবলারকে বোকা বানিয়ে ডি বক্সে ডুকে পড়েন কোভাচিচ। সেখান থেকে নিচু গতির এক শটে বল জড়ান জালে। তাতে টিকিয়ে রাখেন সিটির নকআউটের স্বপ্ন।
৬২ মিনিটে সিটি প্রথমবারের মতো লিড নেয় ম্যাচে। তাও সেটা আত্মঘাতী গোলে। ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক পাসে ব্রুজের রক্ষণ ভেঙে সাভিনিয়ো বল বাড়ান ভার্দিওলের উদ্দেশ্যে। ক্রোয়েট ডিফেন্ডার সেখান থেকে বড়ান ক্রস, তার করা ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালে জড়ান জোয়েল ওর্দোনেজ।
৭৭ মিনিটে সিটির নকআউটে শঙ্কা দূর করেন বদলি হিসেবে নামা সাভিনিয়ো। স্টোনসের বল বেশ দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে পরাস্ত করেন ব্রুজ গোলকিপারকে। তাতে নিশ্চিত হয় সিটির নকআউট পর্ব। ৮ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তারা শেষ করেছে টেবিলের ২২ নম্বরে থেকে।
স্টুটগার্ড ১-৪ পিএসজি
শঙ্কা ছিল পিএসজিকে নিয়েও। অ্যাওয়ে ম্যাচ হওয়ায় কাজটা তাদের জন্য বেশ কঠিনই ছিল। তবে লুইস এনরিকের দল চাপ সামলে তুলে নিয়েছে বড় জয়। জার্মান ক্লাব স্টুর্টগার্ডকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে তারা জায়গা করে নিয়ে নকআউটে।
হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন ওসমান দেমবেলে। আর একটা গোল এসেছে বারকোলার কাছ থেকে। এই জয়ে ৮ ম্যাচে ফরাসি ক্লাবটার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৩-তে। আর টেবিলে তাদের অবস্থান ১৫ নম্বরে।
মেয়েদের ফুটবল খেলা ঠেকাতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ঘটেছে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা। তাতে চারদিকে বইছে সমালোচনার ঝড়। যা নাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেও। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। সেদিন আক্কেলপুর স্থানীয় 'টি-স্টার ক্লাব' জয়পুরহাট ও রংপুর নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এই ম্যাচের জন্য তারা টিনের বেড়া দিয়ে গ্যালারি তৈরি করে। সেই সাথে রাখা হয় টিকেটের ব্যবস্থাও। যা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি স্থানীয়দের একটি অংশ।
ম্যাচের দিন মঙ্গলবার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠের টিনের বেড়া হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তৌহিদি জনতার একটি অংশ। ফলে বাতিল করতে হয় ম্যাচ। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বাফুফে থেকে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়ে বুধবার নিন্দা জানিয়েছে বাফুফে।
“ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নারীদের ফুটবল খেলা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনাকে সমর্থন করে না। ফুটবল সবার জন্য, এবং নারী ফুটবলারদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। নারীদের খেলাধুলায় বাধা সৃষ্টি করা ক্রীড়ার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিপন্থী। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিশ্বাস করে, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করা হয়েছে বাফুফে থেকে, “আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং নারীদের ফুটবল খেলায় যেন কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করা হোক।”
বাফুফে ছাড়াও আরও বেশ কিছু সংঘঠন থেকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দার পাশাপাশি সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করা হয়েছে।
জানুয়ারির মাসের শুরুর কয়েকটা দিন দানি ওলমো নিবন্ধন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল লা লিগা ও বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় নিয়ে কোনোমতে স্প্যানিশ ফুটবলারকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলিয়েও ফেলেছা হান্সি ফ্লিকের দল। তবে বিষয়টি ভালো ঠেকছে না লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাসের। দিয়েছেন হুশিয়ারি, যেভাবেই হোক বাতিল করবেন ওলমোর নিবন্ধন।
গত ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে সময় মত লা লিগার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে বিধি (এফএফপি) মেনে চলার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। ফলে নিয়ম অনুযায়ী বাতিল হত ওলমো ও পাউ ভিক্টরের নিবন্ধন, যা আগে হয়েছিল অস্থায়ীভাবে। ফলে ১ জানুয়ারি তিনি লা লিগা ও রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) দ্বারা অনিবন্ধিত ঘোষিত হন।
তবে এক সপ্তাহ পর স্পেনের ক্রীড়া মন্ত্রনালয় (সিএসডি) বার্সেলোনার কাছ থেকে এই দুজনের নিবন্ধন করার কাগজপত্র বিশ্লেষণ করতে সম্মত হওয়ার সাথে সাথে এই দুজককে পুনরায় রেজিস্টার করতে সমর্থ হয় ক্লাবটি।
তবে বরাবরই নিয়ম কানুনের ব্যাপারে কঠোর তেবাস মঙ্গলবার বলেছেন, এক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। “আমাদের অবস্থান এই দুজনের নিবন্ধনের বিরুদ্ধে। আমরা এর সাথে যুক্ত সংস্থাগুলির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি, অনুরোধ করতে যাতে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়।”
বার্সেলোনার পক্ষে সিএসডি রায়টি দেওয়ার পর লা লিগার ক্লাবগুলো এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর মধ্যে আতলেতিকো মাদ্রিদ, এস্পানিয়ল এবং ভ্যালেন্সিয়ার মত কয়েকটি দলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
তেবাসও ক্লাবগুলোর সাথে সহমত পোষণ করেছেন। “তারা ঠিকই বলেছে। আমরা লা লিগা হিসেবে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি, এর কারণ আমরা মনে করি, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বিধিবিধান মেনে নেওয়া হয়নি।”
ওলমো নিবন্ধনের পক্ষে সিএসডি-এর রায় আসাএ পর থেকে বার্সেলোনার হয়ে তিনবার খেলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের ফাইনালও। তবে চোট পেয়ে মিস করেছেন শেষ দুটি ম্যাচ। আর ভিক্টর খেলেছেন এই মাসে মোট ৩৯ মিনিট।
সচরাচর এমনটা হয় না বললেই চলে। সাধারণত যত নিশ্চিত হোক না কেন, একজন খেলোয়াড়কে ক্লাবে নেওয়ার ঘোষণা ক্লাবগুলো দেয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমেই। তবে নেইমারের হাই-প্রোফাইল সাইনিং নিয়ে রোমাঞ্চের কারণেই কিনা, ক্লাবের আগে সান্তোস ক্লাব সভাপতি মার্সেলো টেক্সিরা ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল তারকার ক্লাবের প্রত্যাবর্তনের।
আল হিলালের সাথে চুক্তি বাতিলের পরই নিশ্চিত হয়ে গেছে নেইমারের সান্তোসে ফেরার বিষয়টি। এরই মধ্যে ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড়রা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টও দিয়েছেন। তবে ক্লাবের ব্যাপারটা সবসময়ই আলাদা। কারণ, লিখিতভাবে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল ক্লাব খেলোয়াড় দলে টানার ঘোষণা দেয়।
তবে ব্যতিক্রম ঘটালেন সান্তোস সভাপতি। নিজের ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট দিয়ে টেক্সিরা নেইমারকে সান্তোসে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ক্লাবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে নেইমারের শৈশবের ক্লাবে ফেরাটা।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর খবর অনুযায়ী, আপাতত ছয় মাসের জন্য নেইমারের সাথে চুক্তি করবে সান্তোস। সাবেক বার্সেলোনা তারকার এখনও ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাবে ফেরার ইচ্ছা রয়েছে। আর তাই সান্তোসের ইচ্ছা, সেই সুযোগ রেখে নেইমারকে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধারের চুক্তিতে খেলতে দিয়ে এরপর আবার ক্লাবে ফেরানোর।
সান্তোসের যোগ দেওয়ার জন্য নেইমার আল হিলালের সাথে চুক্তি বাতিল করে ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউরো। চোটের কারণে সৌদি ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৭ ম্যাচেই শেষ হয়েছে তার পথচলা।