শেষবার কোনো প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল হেরেছিল কবে? উত্তর খুঁজতে কিছুটা বিপাকেই পড়ার কথা। গুগল বলছে শেষবার রিয়াল ফাইনালে হেরেছে ২০২৩ সালে। লস ব্লাঙ্কোদের হারার তেতো স্বাদটা দিয়েছিল এই বার্সেলোনাই। তাও সেই একই প্রতিযোগিতায়। ঠিক দুই বছর বাদে সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করলো বার্সেলোনা। এবার অবশ্য জয়ের ব্যবধানে রয়েছে বড় ফারাক।
জেদ্দার কিংস আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে রিয়ালকে নিয়ে ছেলে খেলায় মেতেছিল বার্সেলোনা। মরুর বুকে তপ্ত গরমে রিয়ালকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। তাতে কোচ হিসেবে বার্সেলোনার ডাগআউটে প্রথম শিরোপার দেখা পেয়েছেন এই জার্মান কোচ। স্প্যানিশ সুপার কাপে বার্সেলোনা ফিরে পেয়েছে তাদের হারানো মুকুট। রেকর্ড ১৫তম বারের মত শিরোপাটা ঘরে তুলেছে তারা।
ম্যাচটা রিয়ালের জন্য ছিল প্রতিশোধের মঞ্চ। শেষ এল ক্লাসিকোতে ঘরের মাঠে রিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বার্সেলোনা। অবশ্য মাঠে দেখা মিলেছে উল্টো চিত্রের। প্রতিশোধের জায়গায় রিয়ালকে আরও এক দুঃস্বপ্নের রাতই উপহার দিয়েছে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
রিয়ালকে উড়িয়ে দেওয়া বার্সাকে নিয়ে গর্বিত ফ্লিক |
![]() |
যার দায়টা রিয়াল সমর্থকরা দিতে পারে জোড়া তালি দিয়ে চলা তাদের রক্ষণকে। লুকাস ভাসকেজ, চুয়েমেনি কিংবা রুডিগারদের একের পর এক ভুল রিয়ালকে বিপাকে ফেলেছে। বার্সেলোনার প্রেসিং আর হাই লাইন ডিফেন্সে আরও একবার খাবি খেয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
তারকা নির্ভর রিয়ালকে প্রথমআর্ধেই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে তারুণ্য নির্ভর বার্সেলোনা। এমন চিত্র রিয়াল সমর্থকদের জন্য বেশ হৃদয়বিদারকই। বলের দখল কিংবা সুযোগ তৈরি সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল কাতালান ক্লাবটি।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। তবে চাপ সামলে ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পায় রিয়ালই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। গেল এল ক্লাসিকোতে দুইবার গোল করলেও অফ সাইডে বাতিল হয়েছিল এমবাপের গোল। তবে এদিন আর বার্সেলোনা ডিফেন্ডাররা আটকাতে পারেননি এমবাপেকে।
প্রতিআক্রমণ থেকে ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় রিয়ালকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। নিজেদের আর্ধ থেকে প্রায় একাই বার্সেলোনা ডিফেন্ডার খাবি খাইয়ে বল জালে জড়ান ফরাসি অধিনায়ক। এই একটা মুহূর্তই রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা প্রথমআর্ধে উদযাপনের সুযোগ পেয়েছিল। এরপরের গল্প পুরটাই বার্সেলোনার।
আরও পড়ুন
ফোরেন্তিনো পেরেজকে নকশীকাঁথা, জার্সি উপহার দিয়ে এলেন বাংলাদেশ সমর্থকেরা |
![]() |
যার শুরু ২২ মিনিটে লামিন ইয়ামালের হাত ধরে। এমবাপের করা চোখ ধাঁধানো গোলকে ভুলিয়ে দিতে ২০ মিনিটও সময় নেননি ১৭ বছর বয়সী এই তরুণ। রুডিগার, চুয়েমেনির মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দর্শক বানিয়ে কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে আড়াআড়ি এক শটে বার্সাকে সমতায় ফেরান ইয়ামাল।
এই একটা গোল বদলে দেয় পুরো ম্যাচের চিত্র। এরপর রিয়ালকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মাতে বার্সেলোনা। ৩৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে গাভিকে ফাউল করে বসেন রিয়াল মিডফিল্ডার কামাভিঙ্গা। ভিএআরের সাহয্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তিন মিনিটে বাদে বার্সেলোনা আবারও পায় গোলের দেখা। তিন নম্বর গোলটা আসে রাফিনিয়ার কাছ থেকে।
দুই রিয়াল ডিফেন্ডার লুকাস ভাস্কেজ ও চুয়েমেনির মাঝখানে বিরাট ফাঁকা জায়গা কাজে লাগাতে ভুল করেননি রাফিনিয়া। কুন্দের বাড়ানো বল থেকে জোরালো হেডে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ে আরও একবার গোলের দেখা মেলে বার্সেলোনার। এবার প্রতিআক্রমণে রাফিনিয়ার বাড়ানো বল থেকে ব্যবধান বাড়ান বালদে। তাতে প্রথমআর্ধেই ম্যাচ হেলে পড়ে বার্সেলোনার দিকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও বার্সেলোনা শুরু করে একই তালে। বিরতি থেকে ফেরার তিন মিনিটের মাথায় মেলে গোলের দেখা। প্রতিআক্রমণ থেকে আরও একবার গোলের দেখা পান রাফিনিয়া। তবে ম্যাচ জমে উঠে ৫৭ মিনিটে সেজনির লাল কার্ডে। কিলিয়ান এমবাপেকে ডি বক্সের বাইরে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন বার্সা গোলকিপার। সেই ফাউল থেকে গোল করে রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমান রদ্রিগো।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস হয়ে বাঁচা সহজ নয় : আনচেলত্তি |
![]() |
দশ জনের বার্সেলোনা অবশ্য এরপর আক্রমণের ধারা কমায়। তাতে গতি কমে খেলারও। রিয়ালের সামনে ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকলেও বার্সেলোনার দারুণ ডিফেন্ডিংয়ে সেটা আর হয়ে উঠেনি। বদলি হিসেবে নামা ইনাকি পেনিয়ার দারুণ কিছু সেইভে রিয়ালও আর পারেনি গোলের ব্যবধান কমাতে। তাতে ৫-২ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
৩০ জুলাই ২০২৫, ২:১০ পিএম
২৯ জুলাই ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
২৯ জুলাই ২০২৫, ৭:২৪ পিএম
দিন দুয়েক আগেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লুইস দিয়াজের লিভারপুল ছাড়ার বিষয়টি। প্রশ্নটা ছিল মূলত তিনি কবে যোগ দিচ্ছেন বায়ার্ন মিউনিখে। শেষ পর্যন্ত এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। জার্মান চ্যাম্পিয়রা নিশ্চিত করেছে কলম্বিয়ান উইঙ্গারকে দলে টানার বিষয়টি।
বিবৃতিতে বায়ার্ন জানিয়েছে, ২০২৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি হয়েছে দুই পক্ষের। ট্রান্সফার ফি অবশ্য জানায়নি তারা। তবে ইএসপিএন নিজেদের সূত্রের মাধ্যমে দাবি করেছে, এই চুক্তির মূল্য ৭৫ মিলিয়ন ইউরো, যার মধ্যে অতিরিক্ত বোনাসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে এটি বায়ার্নের এই তৃতীয় সাইনিং। এর আগে বুন্দেসলিগার ক্লাবটি লেভারকুসেনের জোনাথান তাহ এবং হফেনহাইমের মিডফিল্ডার টম বিশোফকে দলে যোগ করেছে।
ঠিকানা বদল করতে চান, এটা আগেই লিভারপুলকে জানিয়ে দেন দিয়াজ। সেই কারণেই গত শনিবার এসি মিলানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অংশ নেননি তিনি। মূলত তখন থেকেই তার সম্ভাব্য বিদায় নিয়ে জল্পনার শুরু হয়। পরে গত রবিবার তাকে ক্লাবের এশিয়া সফরের স্কোয়াড থেকেও ছেড়ে দেয় আর্নে স্লটের দল।
লিভারপুলের সাথে দিয়াজের চুক্তি ২০২৭ সাল পর্যন্ত ছিল। শুরুতে সেটা নবায়নের চিন্তা থাকলেও পরে সেই চিত্রে বদল আসে। এসবের মাঝেই বার্সেলোনা ও বায়ার্ন উভয় ক্লাবই আগ্রহ দেখালেও, লিভারপুল প্রাথমিকভাবে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
চলতি মাসের শুরুতে বায়ার্নের দেওয়া ৬৭.৫ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেয় লিভারপুল। তাদের প্রত্যাশা ছিল ১১০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। তবে জার্মান ক্লাবটি পরবর্তীতে উন্নত আর্থিক প্রস্তাব দিলে লিভারপুল শেষ পর্যন্ত তাতেই সম্মত হয়।
গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে দারুণ খেলেছেন দিয়াজ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭টি গোল করে দলটির প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে রাখেন ভালো অবদান।
দিয়াজ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এফসি পোর্তো থেকে ৪৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুলে যোগ দেন। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪৮ ম্যাচে করেন ৪১টি গোল। এবার পালা জার্মান ফুটবলে নিজেকে প্রমাণের।
বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই টমাস মুলারের ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবে চলে আসে যুক্তরাষ্ট্রের নাম, যেখানে তাকে নেওয়ার জন্য আগ্রহী ছিল মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কয়েকটি ক্লাব৷ তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড-এর দাবি, শেষ পর্যন্ত লিগ একই থাকলেও বদলে যাচ্ছে ক্লাব। কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ক্লাবে নাম লেখানোর কাছাকাছি চলে গেছেন জার্মানির কিংবদন্তি এই ফরোয়ার্ড।
এর আগে এমএলএসের লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি-এর সাথে মুলারের যোগাযোগ হয়েছিল বলে গুঞ্জন ছিল। তবে এখন সেটা বাতিলই হয়ে গেছে বলা যায়। বর্তমানে এমএলসের ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে খেলা ভ্যাঙ্কুভার ক্লাবটির সাথেই চলছে চুক্তির চূড়ান্ত আলোচনা, বিল্ড-এর প্রতিবেদনে দাবি করেছেন সাংবাদিক ক্রিশ্চিয়ান ফাল্ক। সেখানে আরও বলা হয়েছে, কানাডিয়ান ক্লাবটি মুলারকে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ করতে চায়।
তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এমএলএসের ‘ডিসকভারি রাইটস’ নিয়ম, যেখানে একজন খেলোয়াড়ের সাথে যে ক্লাব ‘ডিসকভারি রাইটস’ দাবি করে, কেবল তারাই প্রাথমিকভাবে তাকে দলে টানার আলোচনায় যেতে পারে। বর্তমানে মুলারের রাইটস রয়েছে এমএলসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের ক্লাব এফসি সিনসিন্নাটি-এর কাছে। ফলে ভ্যাঙ্কুভারকে প্রথমে সেই রাইটসটা তাদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে।
তবে মুলার যে এমএলএসে যাচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিতই। বাকি শুধু কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। আর সেটা হলে আরও সমৃদ্ধ হবে লিগটি, যেখানে আগে থেকেই ইন্টার মায়ামির জার্সিতে আলো ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। এবার তার সাথে একই লিগে খেলতে যাচ্ছেন জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী সদস্য মুলার, যিনি সুদীর্ঘ এক ক্যারিয়ারে বায়ার্নের হয়ে একাধিক বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন।
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের আর খুব বেশি বাকি নেই। তিন স্বাগতিক দেশে জোরেশোরেই চলছে প্রস্তুতি। তবে একটি জায়গায় কানাডা ও মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই প্রতিবেশী দেশের কয়েকটি শহরকে পেছনে ফেলে ড্রয়ের আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস, এমনটাই দাবি ইএসপিএনের।
সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, ড্রয়ের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ৫ ডিসেম্বর। যদিও ফিফা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ভেন্যু বা ড্রয়ের নির্দিষ্ট তারিখ নিশ্চিত করেনি।
২০২৬ সালের আসরটি অনেকদিক থেকেই ভিন্ন। প্রথমবারের মতো তিন দেশ ও ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি। ২০২২ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২টি দল অংশ নিত বিশ্বকাপে।
আর এই বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভেন্যুগুলোর তালিকায় শুরুতে ছিল লাস ভেগাসের অ্যালিজেন্ট স্টেডিয়ামের নাম। তবে পরে তা বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শহরটিকে ড্র আয়োজনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহর হোস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্যদিকে মেক্সিকো থেকে তিনটি এবং কানাডার দুইটি শহরকেও যুক্ত করা হয়েছে তালিকায়।
বিশ্বকাপের ড্রয়ে থাকবে ১২টি গ্রুপ, যেখানে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৪টি করে দল। ড্রয়ের আগেই ঠিক করা হয়েছে যে মেক্সিকো থাকবে গ্রুপ ‘এ’ তে, কানাডা থাকবে গ্রুপ ‘বি’ তে, আর যুক্তরাষ্ট্র থাকবে গ্রুপ ‘ডি’ তে।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে ১৯ জুলাই, নিউ জার্সিতে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
জেলা প্রশাসন ঢাকা আয়োজিত, ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক আন্তঃ উপজেলা ফুটবলের ফাইনালে ধামরাই উপজেলাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন কেরানীগঞ্জ উপজেলা। মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে উভয় দল। ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা। শুরুতেই নাহিদের গোলে লিড পায় তারা। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে গোল করে দলকে ২-০তে এগিয়ে দেন শান্ত। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে ধামরাই উপজেলা। শেষ মুহূর্তে শান্ত ইসলাম একটি গোল শোধ করলেও হার এড়াতে পারেনি ধামরাই। জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া, ধামরাইয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন হাসান অনিক, ঢাকার জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্রসহ অন্যরা।
চ্যাম্পিয়ন দলকে নগদ ৬০হাজার টাকা ও রানার্স আপ দলকে ৪০ হাজার টাকার প্রাইজ মানিসহ ট্রফি দেয়া হয়।
আগামীতে শুধু ফুটবল নয় নানা ধরনের গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করতে চায় ঢাকা জেলা প্রশাসন বলে জানান জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ।
ইন্টার মায়ামির শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি নিষেধাজ্ঞার কারণে। তবে মাঠের বাইরের ঘটনায় ঠিকই আলোচনায় চলে এসেছেন লিওনেল মেসি। সম্প্রতি জনপ্রিয় রক ব্যান্ড কোল্ডপ্লে-এর কনসার্টে যোগ দিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা, যেখানে তিনি সিক্ত হন ভালোবাসায়।
গত শনিবার মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মায়ামির ম্যাচে মাঠে নামেননি মেসি। তবে এর পরদিন (রবিবার) রাতে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে কোল্ডপ্লে-এর কনসার্টে সপরিবারে হাজির হন ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই ফরোয়ার্ড। মেসির সঙ্গে সেখানে ছিলেন তার স্ত্রী অন্তোনেলা রোকুজ্জো এবং তিন সন্তান। ইনস্টাগ্রামে পরিবারের সঙ্গে তোলা একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি সাবেক বার্সেলোনা অধিনায়ক, যেখানে তাকে একটি প্রাইভেট স্যুইটে বসে কনসার্ট উপভোগ করতে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে এটি ছিল কোল্ডপ্লে-এর শো ছিল এটি। আর সেখানে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসিকে দেখে আপ্লূত হয় ব্যান্ডটি। কনসার্ট চলাকালীন তাদের প্রধান ভোকালিস্ট ক্রিস মার্টিন মেসিকে মঞ্চ থেকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,
“আমাদের ব্যান্ডের শো দেখতে আসার জন্য সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
তার এই ঘোষণার পর স্টেডিয়ামে থাকা হাজারো দর্শক একযোগে চিৎকার করে ওঠেন, “মেসি, মেসি” বলে।
উল্লেখ্য, মায়ামির শেষ এমএলএস ম্যাচে সিনসিনাটির বিপক্ষে মেসি ও জর্দি আলবা ছিলেন এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায়। কারণ, এর ঠিক আগে তারা অংশ নেননি এমএলএস অল-স্টার ম্যাচে।