ফুটবল

আমাদের লক্ষ্য ছিল ইতিহাস গড়ার : এনরিকে

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১ জুন ২০২৫, ১০:২৯ এম

news-details

তারকার হাট বসিয়েও বছরের পর বছর যার দেখা পায়নি, দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই পিএসজিকে সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন লুইস এনরিকে। একটা তারকাহীন, তরুণ দল নিয়েই তিনি চমক দেখিয়ে করেছেন বাজিমাত। এর রহস্য কী? পিএসজি কোচ জানালেন, ইতিহাস গড়ার বাসনাই তাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।


ইন্তার মিলানের সাথে ফাইনালের আগেও অবশ্য ইতিহাস গড়ার কথা বলেছিলেন এনরিকে। কারণ, তিনি আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেলেও পিএসজির জন্য তা এতদিন ছিল অধরাই। তবে যাদুর পরশে প্যারিসের ক্লাবটিকে বদলে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সাথে রেকর্ড গড়েছেন ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল জয়ের মধ্য দিয়েও।


আরও পড়ুন

আবেগময় ম্যাচে মেয়ের হয়েও শিরোপা জিতলেন এনরিকে আবেগময় ম্যাচে মেয়ের হয়েও শিরোপা জিতলেন এনরিকে


ফাইনালে ৫-০ গোলে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত এনরিকে মনে করেন, চাপের মুহূর্তে ভেঙে না পড়াই তার দলের মূল শক্তির জায়গা। 

“আমি মনে করি মৌসুমের শুরু থেকেই ইতিহাস গড়াই ছিল আমাদের লক্ষ্য। তখন থেকেই আমি খেলোয়াড় আর সমর্থকদের সাথে একটা গভীর সম্পর্ক অনুভব করেছিলাম। এটা ছিল খুব মজবুত একটা সম্পর্ক, যা পুরো মৌসুমজুড়েই ছিল আমাদের চলার পথের শক্তি। আমরা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত এবং চাপকে সবচেয়ে ভালোভাবে সামলাতে পেরেছি বলেই ধরা দিয়েছে এই সাফল্য।”


ফাইনালে ইতিহাস গড়েছেন এনরিকেও। পেপ গার্দিওলার পর মাত্র দ্বিতীয় কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জেতার কীর্তি এখন তার। এর আগে তিনি ২০১৫ সালে বার্সেলোনার হয়ে। আর এবার দায়িত্ব নিয়েই উঠলেন নতুন উচ্চতায়।


তারকা ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির কাছে এনরিকে তাদের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারিগর। 

“আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা সবাই মিলে একটা দারুণ পরিবার তৈরি করেছি। লুইস এনরিকে পিএসজিতে সবকিছু রাতারাতি বদলে দিয়েছেন। তিনি আসার পর থেকে আমাদের ফুটবল দেখার দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে গেছে। তিনি একজন বিশ্বস্ত মানুষ, এই সাফল্য তারই সবচেয়ে বেশি প্রাপ্য।”

সর্বশেষ খবর
bottom-logo

ফুটবল

দুর্দান্ত জয়ের কৃতিত্ব পুরো দলকেই দিচ্ছেন অধিনায়ক মেসি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২০ জুন ২০২৫, ৩:৪৩ পিএম

news-details

প্রথম ম্যাচে মিশরের আল আহলির সাথে ড্র করে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাডতে হয়েছিল। নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে পোর্তোকে হারিয়ে প্রথম কনকাকাফ ক্লাব হিসেবে ইন্টার মায়ামি ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। এতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল করা অধিনায়ক লিওনেল মেসি মনে করেন, দলগত প্রচেষ্টায় এসেছে এই জয়।


বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের দুইবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পোর্তোকে ২-১ গোলে হারায় মায়ামি। ১-১ সমতা থাকা অবস্থায় আটলান্টার মার্সেডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ৫৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার রদ্রিগো মোরা মেসিকে ফাউল করে ডি-বক্সের একটু বাইরে উপহার দেন ফ্রি-কিক। স্টেডিয়ামে ‘মেসি, মেসি’ ধ্বনির মধ্যেই ৮ আর্জেন্টাইন তারকার শট জাল খুঁজে নেয়।


মায়ামির জার্সিতে এটি মেসির ৫০তম গোল ছিল। ম্যাচ শেষে মেসি জয়ের কৃতিত্ব দেন পুরো দলকেই। 

“পুরো দলের চেষ্টায় এই জয়টা এসেছে। শুধু রক্ষণ সামলানোই নয়, আমরা বলের দখলও নিয়ন্ত্রণ করেছি। আল আহলির বিপক্ষে ম্যাচের পর মনের মধ্যে একটা তিক্ততা ছিল। তবে এই জয় সেই হতাশা ভুলিয়ে দিয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়, আমরা এটা উদযাপন করব।”


প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় পোর্তো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তেলাসকো সেগোভিয়া মায়ামিকে সমতায় ফেরান। এরপরেই মেসির জাদু। দুর্দান্ত এই এই জয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জন্য ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ম্যাচে ইতিবাচক ফলাফল মেসিদের নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।


দল নিয়ে বেশ আশাবাদীই মেসি। 

“দেখতেই পাচ্ছেন যে আমরা লড়াই করতে চাই। আজ আমরা একটা ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি। যদিও বিরতির আগে কিছু জায়গায় আমরা খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। যেহেতু তরুণ খেলোয়াড়দের অনেকেই এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলেছে, তারা একটু নার্ভাস ছিল। তবে তারা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।”

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ফুটবল

উড়ন্ত পিএসজিকে ধরাশায়ী করল বোতাফোগো, প্রশংসায় পঞ্চমুখ এনরিকে

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২০ জুন ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

news-details

ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম কঠিন গ্রুপ হলেও পিএসজিকে ধরা হচ্ছিল ফেভারিট হিসেবেই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই বড় ধাক্কা খেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলটি। অঘটনের জন্ম দিয়ে তাদের হারিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো। অবিশ্বাস্য এই পরাজয়ের পর পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও প্রশংসা করেছেন প্রতিপক্ষকের।

 

গত বৃহস্পতিবার রাতে রোজ বাউলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইগর জেসুসের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো। এর মধ্য দিয়ে পিএসজি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯ ম্যাচে পর প্রথমবার গোলহীন থেকে হারের স্বাদ পেয়েছে। গত মে মাসের শুরু থেকেই ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা অপরাজিত ছিল।

 

ম্যাচের পর এনরিকে বলেন, সেরা ফুটবল খেলতে পারেনি তার দল। “সব দলই আমাদের বিপক্ষে দ্বিগুণ উদ্দীপনা নিয়ে খেলে। আজ আমরা প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের সামনে সংগ্রাম করেছি। যদি ডিফেন্সের কথা বলেন, তাহলে বোতাফোগো এই টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা দল।”

 

৩৬তম মিনিটে জেসুসের দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় গোলটি আসে, যা গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। আগের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এই ম্যাচে গোলের জন্য ১৬টি শট নেয়, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বোতাফোগো মাত্র ৪টি শট নিয়েই চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেও উঠে গেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।

 

এমন জয়ের পর বোতাফোগো কোচ রেনাতো পাইভা জানান তার উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া। “আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, একসাথে আক্রমণ করো, একসাথে ডিফেন্ড করো আর খেলাটা উপভোগ করো। ছেলেরা সেটাই করেছে। পিএসজিকে তাদের নিজস্ব কৌশলে ঘায়েল করাই ছিল আমাদের মূলমন্ত্র।”

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ফুটবল

জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবলের শিরোপা জিতল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৯ জুন ২০২৫, ৭:৫১ পিএম

news-details

পর্দা নামলো জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব- ১৭) এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। দুটি বিভাগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় স্টেডিয়ামে। 


বালিকা বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ময়মনসিংহ ও রাজশাহী  বিভাগ। শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেল রাজশাহী বিভাগের মেয়েরা। প্রথমার্ধে গোল করে রাজশাহীকে এগিয়ে দেন জান্নাতুল। এরপর আরো আক্রমণ বাড়ায় রাজশাহী। একাই দুই গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মৌসুমী। শেষ পর্যন্ত মানসিংহ আর কোন গোল শোধ না করতে পারায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই জয়ের আনন্দে মাতে রাজশাহীর মেয়েরা। 


বালক বিভাগে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে মাতে ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগ। প্রথমার্ধে মোজাম্মেল হকের গোলে লিড নেয় ময়মনসিংহ। রংপুর বিভাগ বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশিরভাগ সময় বলের দখল ধরে রাখে ময়মনসিংহ বিভাগ। মেহেদী হাসানের গোলে ব্যবধান ২-০তে এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু শেষ পাঁচ মিনিটে সবকিছু এলোমেলো করে দেন রংপুরের অধিনায়ক রিয়াদ। একাই দুই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। 


নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুট আউট ভাগ্যে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে উল্লাসে মাতে রংপুরের ছেলেরা। এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসর ২০১৮ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর। 

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহবুব-উল-আলম। উপস্থিত ছিলেন জনাব মোস্তফা জামান, পরিচালক (যুগ্মসচিব) ক্রীড়া পরিদপ্তর। 


ক্রীড়া পরিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ২০২৪ সালের জুন মাসে উপজেলার খেলা দিয়ে শুরু হয়েছিলো এই টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশ নিয়েছিলো দেশের প্রায় ১,১০,২৬৪ জন খেলোয়াড়। এরপর প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় শেষ হয়োছিলো এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। জাতীয় এই আসর থেকে প্রতিভাবান ৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা বাছাই করা হবে। যাদের দীর্ঘ সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে উন্নত প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

bottom-logo

ফুটবল

জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অ- ১৭'র জাতীয় পর্যায়ের ফাইনাল কাল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৮ জুন ২০২৫, ৭:২৬ পিএম

news-details

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় গোল্ডকাপ অ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আসরের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। 

এর আগে মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে বালক বিভাগে প্রথম সেমিফাইনালে 

সিলেট বিভাগকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে ২ গোলের লিড ছিলো সিলেট বিভাগের। শেষ  ৪ মিনিটে দুই গোল পরিশোধ করে ময়মনসিংহ বিভাগ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের। 


বালকদের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় খুলনা ও রংপুর বিভাগের মধ্যে। নির্ধারিত সময় ১-১ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচ টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে রংপুর বিভাগ। 


বালিকা বিভাগে প্রথম সেমিফাইনালে রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ম্যাচ নির্ধারিত সময় গোলশূন্য ড্র ছিলো। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয় নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ বিভাগ বালিকা দল। দিনের শেষ সেমিফাইনালে সিলেট বিভাগকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে রাজশাহী বিভাগের মেয়েরা। 


আগামীকাল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ২.৩০ মিনিটে বালিকা বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগ। ছেলেদের ফাইনালে বিকাল ৪ টায় ময়মনসিংহ বনাম রংপুর বিভাগ। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার তুলে দেবেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।