১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পিএম

ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও নতুন মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন হ্যারি কেইন। তবে এতে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন না ইংল্যান্ডের তারকা ফরোয়ার্ড। ব্যালন ডি অরের মতো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেতে দলীয় ট্রফিও জিততে জানেন তিনি।
চলতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে ২৩ গোল করে ফেলেছেন কেইন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে চার ম্যাচে তার গোল তিনটি। গত মাসে লাটভিয়ার বিপক্ষে করেন দুই গোল। ওই ম্যাচ জিতেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের।
রোববার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আলবেনিয়ার মুখোমুখি হবে ইংলিশরা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ব্যালন ডি অরের ব্যাপারে। উত্তরে তিনি জানান, দলীয় ট্রফি জিততে হবে আগে।
আরও পড়ুন
| বিশ্বকাপের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ জানালেন ব্রাজিল কোচ |
|
“আমি হয়তো এই মৌসুমে ১০০ গোল করতে পারি। কিন্তু আমি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অথবা বিশ্বকাপ না জিততে পারি, তাহলে খুব সম্ভবত ব্যালন ডি অর জিততে পারব না।”
“আর্লিং হলান্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই। যে কোনো ফুটবলারের ক্ষেত্রেই একই কথা। আপনাকে ওই বড় ট্রফিগুলো জিততে হবে।”
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে 'কে' গ্রুপে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে পূর্ণ ২১ পয়েন্ট পেয়েছে ইংল্যান্ড। জার্মান বুন্দেসলিগায় ১০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ।
মৌসুমের শেষ পর্যন্ত এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে ব্যালন ডি অর জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে বললেন কেইন।
“বায়ার্ন মিউনিখে দল হিসেবে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। তাই এটি আমার পক্ষে কিছুটা কাজ করতে পারে। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও তাই। ক্লাব ও দেশের হয়ে সব কিছু যদি ঠিকঠাক এগোয়, তাহলে ব্যালন ডি অরের মতো পুরস্কার জেতার আলাপ করা যেতে পারে।”
No posts available.
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৫ এম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম

কিছু দিন আগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোল করে 'রোবট' উদযাপন করেছিলেন আর্লিং হলান্ড। যেন বোঝাতে চেয়েছিলেন, রোবটের মতোই টানা গোল করতে পারেন তিনি। সেটি যে একবারেই মিথ্যা নয়, তা প্রতিনিয়তই প্রমাণ করছেন নরওয়ের তরুণ স্ট্রাইকার।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন হলান্ড। আর নরওয়ে পেয়ে গেছে ৪-১ গোলের জয়। এই ম্যাচে করা দুই গোলে নতুন দুইটি রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী গোলমেশিন।
বাছাইয়ে নরওয়ের ৮ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছেন হলান্ড। সব মিলিয়ে তার গোল ১৬টি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এক টুর্নামেন্টে এটিই সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হলান্ডের সমান ১৬ গোল করেছিলেন পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানডফস্কি।
সব মিলিয়ে নরওয়ের হয়ে এখন ৪৮ ম্যাচে হলান্ডের গোল ৫৫টি। জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ ১১ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোলের রেকর্ডও এটি।
আরও পড়ুন
| ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে হলান্ডের নরওয়ে, ঝুলে রইল ইতালি |
|
এত দিন এই রেকর্ডে একাই ছিলেন মালয়েশিয়ার আব্দুল গণি। ১৯৬১ সালের মে থেকে ১৯৬২ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১ ম্যাচে গোল করেছিলেন তিনি। প্রায় ৬৩ বছর পর সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন হলান্ড।
গত বছরের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত নরওয়ের হয়ে খেলা ১১ ম্যাচের প্রতিটিতেই গোল করেছেন ম্যান সিটি তারকা।
এই রেকর্ডের খুব কাছে ছিলেন লিওনেল মেসি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৮ ম্যাচে গোল করেন তিনি। এর আগে কাতার বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু গোল পাননি আর্জেন্টাইন জাদুকর।
ওই ম্যাচের আগে আবার টানা ৬ ম্যাচে গোল করেছিলেন মেসি। অর্থাৎ পোল্যান্ডের বিপক্ষে জালের দেখা পেলে টানা ১৫ ম্যাচে গোলের রেকর্ড হতে পারত তার।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখল ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। রোববার রাতে আলবেনিয়াকে ২-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। আর আজারবাইজানের বিপক্ষে শুরুতে গোল খেয়েও ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় ফ্রান্স।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে 'কে' গ্রুপে ৮ ম্যাচের সবকটি জিতে পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট পেয়েছে ইংল্যান্ড। এই গ্রুপ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকায় প্লে-অফ খেলতে হবে আলবেনিয়ার।
ম্যাচে ইংল্যান্ডের দুইটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৭৪ মিনিটে প্রথম জালের দেখা পান হ্যারি কেইন।
প্রতিপক্ষের মাঠে আট মিনিট পরে আরেকবার জাল কাঁপিয়ে আট ম্যাচে ইংল্যান্ডের অষ্টম জয় নিশ্চিত করেন তারকা ফরোয়ার্ড।
এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আট ম্যাচে কেইনের গোল হলো ৮টি। আর জাতীয় দলের হয়ে ১১২ ম্যাচে তার মোট গোল হলো ৭৮টি।
আরও পড়ুন
| ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে হলান্ডের নরওয়ে, ঝুলে রইল ইতালি |
|
আজারবাইজানের মাঠে খেলতে গিয়ে চতুর্থ মিনিটে গোল হজম করে বসে ফ্রান্স। পরে প্রথমার্ধের মধ্যেই তিন গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলে তারা।
প্রথম গোলটি করেন আজারবাইজানের রেনাত দাদাশোভ। জবাব দিতে বেশি সময় লাগেনি ফ্রান্সের। ১৭ মিনিটে সমতা ফেরান জন-ফিলিপ মাতেতা।
ম্যাচের বয়স আধঘণ্টা হতেই ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন ম্যাঘনেস অ্যাকলিউচে। আর প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলরক্ষক সাহারুদ্দিনের আত্মঘাতী গোলে আরও পিছিয়ে যায় আজারবাইজান। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল পায়নি দুই দল।
'ডি' গ্রুপে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাই শেষ করল ফ্রান্স। সমান ম্যাচে আজারবাইজানের সংগ্রহ স্রেফ ১ পয়েন্ট। এই গ্রুপ থেকে প্লে-অফ খেলবে ইউক্রেইন।

দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আর্লিং হলান্ড খেললেন আরেকটি উড়ন্ত ম্যাচ। জোড়া গোলে রেকর্ড গড়ে নরওয়েকে এনে দিলেন বিশ্বকাপের টিকেট। আর শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েও, শেষ পর্যন্ত হেরে ঝুলে রইল ইতালির বিশ্বকাপ খেলার আশা।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে রোববার রাতের ম্যাচে ইতালিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট পেয়েছে নরওয়ে। চলতি শতকে এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলবে তারা। ১৯৯৮ সালের পর ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে দেখা যায়নি তাদের।
অথচ ম্যাচের ১১ মিনিটে গোল করে ফ্রান্সেস্কো এসপোসিতোর গোলে লিড নিয়েছিল ইতালি। বিশ্বকাপের টিকেট পেতে তাদের প্রয়োজন ছিল ৯ গোলের জয়। প্রায় অসম্ভব মিশনে শুরুতে গোল করে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস পেয়েছিল তারা।
পরের সময়ে ফিকে হয় চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সব আশা। প্রথমার্ধে অবশ্য গোল করতে পারেনি হলান্ডের দল। এমনকি লক্ষ্য বরাবরও কোনো শট রাখতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন
| হাঙ্গেরির স্বপ্ন ভেঙে চুরমার, বিশ্বকাপের আশা টিকিয়ে রাখল আয়ারল্যান্ড |
|
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৬৩ মিনিটে ইতালির গোল শোধ করেন অ্যান্টনিও নুসা। পরে ৭৮ ও ৭৯ মিনিটে পরপর দুই গোল করে নরওয়ের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে দেন হলান্ড। এ নিয়ে বাছাইপর্বের ৮ ম্যাচে তার গোল হয়ে গেল ১৬টি। এটিই এক বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
ম্যাচের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে স্ট্রান্ড লারসেনের গোলে নিশ্চিত হয় নরওয়ের বড় জয়।
বাছাইয়ের 'আই' গ্রুপে ৮ ম্যাচের সবকটি জিতে পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট নিয়েই আগামী বছর কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ খেলতে যাবে নরওয়ে। এই ৮ ম্যাচে সব মিলিয়ে ৩৭টি গোল করেছে তারা।
অন্য দিকে বাকি তিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে ৬ ম্যাচ জিতলেও, নরওয়ের সঙ্গে দুই ম্যাচেই হেরে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ইতালি। তাদের এখন খেলতে হবে প্লে-অফ।
বিশ্বকাপের গত দুই আসরের বাছাইপর্বেও প্লে-অফ খেলে বাদ পড়ে গিয়েছিল সবশেষ ২০০৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের বাইরে থাকার শঙ্কায় আজ্জুরিরা।

‘যদি–কিন্তু’ আর স্বপ্ন ভাঙার সেই ঘটনাটা আজ ঘটেই গেল বিশ্ব ফুটবলে। ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাঁচা–মরার লড়াই ছিল পর্তুগালের সামনে। জিতলে সরাসরি টিকিট, হারলে প্লে–অফের দুশ্চিন্তা। তবে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা অঘটন ঘটতে দেয়নি। ঘরের মাঠ ড্রাগাও স্টেডিয়ামে অতিথিদের নাকানি–চুবানি খাইয়ে ৯–১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে তাঁরা।
পর্তুগাল–আর্মেনিয়া ম্যাচ ছিল একচেটিয়া, তবে নাটক জমেছিল গ্রুপের হাঙ্গেরি–আয়ারল্যান্ড ম্যাচে। আইরিশদের প্রার্থনা ছিল—পর্তুগাল যেন হারে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোহীন ম্যাচে পর্তুগাল যদি পা হড়কাত এবং তারা যদি হাঙ্গেরিকে হারাতে পারত, তবে বিশ্বকাপের টিকিট মিলত আয়ারল্যান্ডের।
কিন্তু তা হয়নি। প্রথমার্ধেই পর্তুগাল ৫–১ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আইরিশদের প্লে–অফের দুশ্চিন্তা বাড়ে। তার ওপর নিজেদের ম্যাচেও ৮০ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল তারা। তবে শেষ দেখতে যাওয়া দলের প্রাণ ফেরান ট্রয় প্যারট। ২৩ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার ৮০ মিনিটে সমতায় ফেরান দলকে এবং নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে (৬ষ্ঠ মিনিটে) দলকে জয়সূচক গোল উপহার দেন।
এ জয়ে মিইয়ে যাওয়া বিশ্বকাপ–স্বপ্ন নতুন করে জেগেছে আয়ারল্যান্ডের। অন্যদিকে আশা জাগিয়েও হতাশ হতে হয়েছে হাঙ্গেরিকে। গ্রুপে ৬ ম্যাচে হাঙ্গেরির জয়–ড্র–হার সমান ২টি করে। আয়ারল্যান্ডের জয় ৩টি, হার ২টি। বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিত করা পর্তুগাল সমান ম্যাচে ৪টি জয় পেয়েছে, হেরেছে একটি।

ড্রাগাও স্টেডিয়ামে মাঠে নামার আগে জটিল এক সমীকরণ মাথায় রেখে খেলতে নেমেছিল পর্তুগালের ফুটবলাররা। ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জয়-ড্রয়ের বিকল্প ছিল না রবার্তো মার্টিনেজের দলের। আর হারলে বিপদের সম্ভাবনা ছিল।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোহীন ম্যাচে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে দেননি ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও জোয়াও নেভেসরা। দুজনের হ্যাটট্রিকে ঘরের মাঠে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ৯-১ গোলে জয় পেয়েছে পর্তুগাল। একই সময়ে গ্রুপের আরেক ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ২-৩ গোলে জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড।
ম্যাচ ঘড়ির দ্বিতীয় মিনিটে প্রতিপক্ষে ডি বক্সে দারুণ সুযোগ পান ব্রুনো ফার্নান্দেজ। যদিও তাঁর জোরাল শট প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় এক ডিফেন্ডার। তাতে হতাশায় মুষড়ে পড়তে দেখা যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার।
লিড পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি পর্তুগালকে। পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ডি-বক্সের খানিক দূর থেকে স্পট কিক নেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। তাঁর শট প্রথমে আর্মেনিয়া গোলকিপার হেনরি আবাগিয়ান থামিয়ে দেন। তবে গ্লাভসে লেগে ফিরে আসা বল হেডে জালে জড়ান রেনেতাও ভিয়েগা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে অভিষেক গোলের দেখা পান ভিয়ারিয়ালের এই মিডফিল্ডার।
১৭ মিনিটে সমতায় ফেরে আর্মেনিয়া। স্বাগতিকদের উৎসব এনে দেন গ্রান্ড লিওন রেনস। মধ্যমাঠ থেকে একাই আক্রমণে যান তিনি। এরপর দারুণ এক ক্রসে স্পের্তসিয়ানকে দেন। সেখান থেকে আলতো টোকায় গোল আদায় করেন তিনি।
গোল হজমের পর মরিয়া হয়ে ওঠে পর্তুগাল। একের পর এক অ্যাটাক করে স্বাগতিকরা। ২৭ মিনিটে গোল করেন গানসালো রামোস। অনেকটা নিজেদের ভুলেই এই গোল হজম করে আর্মেনিয়া। গোলকিপারকে বল দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আনমার্কে থাকা প্যারিস সেন্ট জার্মেইর ফরোয়ার্ড রামোস সেটা পেয়ে যান এবং দলকে ২-১ লিড এনে দেন।
২৯ মিনিটে লিড আরও বাড়িয়ে নেয় পর্তুগাল। জোয়াও নেভেস বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আদায় করেন নিজের প্রথম গোল। ভিতিনহা থেকে পাওয়া বল বক্সের বাইর থেকে শট নেন পিএসজি মিডফিল্ডার। তা লক্ষ্যভেদ করে জালে যায়।
৪০ মিনিটে বক্সের সামনেই ফ্রি কিক পেয়ে যায় পর্তুগাল। ফার্নান্দেজের শট হাতে লাগে আগাসারিয়ানের। সেখান থেকে দারুণ এক স্পট কিকে জাল কাঁপান নেভেস। তাঁর এক্রোবেটিক শট বুঝে ওঠতে পারেনি আর্মেনিয়া গোলকিপার। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চার ম্যাচে এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় গোল।
প্রথমার্ধের বিরতির আগে আরও একটি গোল হজম করে অতিথিরা। ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে পর্তুগালকে ৫-১ গোলে স্বস্তি দিতে সাহায্য করেন ফার্নান্দেজ।
নেভেস হ্যাটট্রিকের সুযোগ পান ৪৮তম মিনিটে। দুর্ভাগ্যবশত, নিজেই সুযোগ হাতছাড়া করেন। সামনে কেবল গোলকিপার থাকলেও খেই হারিয়ে বল পাঠান বারের ওপর দিয়ে।
সুযোগ হাতছাড়া করেননি ফার্নান্দেজ। নিজের জোড়া পূর্ণ করেন ৫৭ মিনিটে। গানসালো ড্রিবলিং করে এগিয়ে হালকা টোকায় বল পাঠান বক্সের কাছে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডারের কাছে। সেখান থেকে দলকে আরও একটি উৎসব এনে দেন তিনি।
ফার্নান্দেজ হ্যাটট্রিক আদায় করেন ম্যাচের ৭১ মিনিটে। অসাধারণ পানেনকা শটে জালে বল জড়ান তিনি। ৮০ মিনিটে নেভেসও পান কাঙ্ক্ষিত হ্যাটট্রিক। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে আরও একটি গোল হজম করে আর্মেনিয়া। জোয়াও ফেলিক্সের পাস থেকে ডি-বক্সের বাইর থেকে জাল কাপান ফ্রান্সিস্কো কোনসেইসাও।
বল দখলের দৌড়ে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ৭৬ শতাংশ বল দখলে রেখে পর্তুগাল। আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে ৩৪টি শট নেওয়া হয়, যার মধ্যে ১৫টি লক্ষভেদ করে ফার্নান্দেজরা।