১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:২৪ পিএম
জাপানের টোকিওতে বসেছে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যম্পিয়নশিপের এবারের আসর। প্রতিযোগিতার ৪০০ মিটার হার্ডলস ইভেন্টে সোমবার অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাথলেট নাজমুল হোসেন রনি। সেখানে পাঁচ নম্বর হিটে দৌড়ে তিনি সময় নেন ৫২.৪৭ সেকেন্ড।
এই হিটে ৯ জন প্রতিযোগীর মধ্যে রনি শেষ হলেও দেশের হয়ে বিশ্ব মঞ্চে অংশ নেওয়াটা তাঁর জন্য বড় অভিজ্ঞতা ও অর্জন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সামার অ্যাথলেটিকসে রনি ৫২.৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।
আরও পড়ুন
কবে খুলবে পুলিশ ক্লাব, দ্বারে দ্বারে আর্চাররা |
![]() |
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ৫টি হিটে মোট ৪৪ জন প্রতিযোগী ছিলেন, যেখানে রনি ছিলেন ৪২তম। তার হিটে প্রথম স্থান অধিকার করেন নাইজেরিয়ার নাথানিয়েল, যিনি সময় নেন ৪৮.৩৭ সেকেন্ড। যুক্তরাজ্যের এলিস্টেয়ার চেলমার্স ৪৮.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে হিটে চতুর্থ হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে জায়গা করে নেন।
রনির অংশগ্রহণ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
No posts available.
২ অক্টোবর ২০২৫, ৪:০৭ পিএম
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:০০ পিএম
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:১২ পিএম
বল হাতে শুরুতেই মারুফার ঝলক |
![]() |
ছয় বছর পর হারানো গৌরব ফিরে পেলেন নিয়াজ মোরশেদ। ৪৯তম জাতীয় দাবায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। আগেরদিন পর্যন্ত নিয়াজ ও আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমানের সমান সাড়ে ৯ পয়েন্ট ছিল। বুধবার শেষ রাউন্ডে ফিদে মাস্টার সুব্রত বিশ্বাসকে হারান নিয়াজ। সাকের উল্লাহ’র বিপক্ষে হেরে সাড়ে ৯ পয়েন্টে নিয়ে রানার্সআপ হন ফাহাদ। আর সাড়ে ১০ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৫৯ বছর বয়সী নিয়াজ।
নিয়াজ মোরশেদের এবার শিরোপা লড়াই ছিল আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমানের সঙ্গে। যিনি মূলত তার শিষ্য। গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ের পর জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নিয়াজ। ১৩ গেমের মধ্যে ৮ টিতে জয় এবং পাঁচটি ড্র করেন নিয়াজ। ২০১৯ সালের পর ফের জাতীয় দাবার সেরা হলেন নিয়াজ। এটি তার সপ্তম জাতীয় দাবার শ্রেষ্ঠত্ব।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন ছিলেন নিয়াজ। পরে গ্র্যান্ডমাস্টার হলেও উচ্চ শিক্ষার জন্য দাবা থেকে দূরে ছিলেন। বেশ কয়েক বছর পর আবার দাবা অঙ্গনে ফেরেন। ত্রিশ বছর পর ২০১২ সালে জাতীয় দাবার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করেন।
আগামী বছরের মার্চে শীতকালীন প্যারালিম্পিকের আগে সুখবর পেল রাশিয়া ও বেলারুশ। ইন্টারন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটির (আইপিসি) ভোটের পর এই দুই দেশের আংশিক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আইপিসির সাধারণ পরিষদের বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর ভোটে পূর্ণ সদস্যপদ ফিরে পায় দেশ দুটি।
রাশিয়ার সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশের বিপক্ষে ১১১-৫৫ ভোট পড়ে, আংশিক স্থগিতাদেশও ৯১-৭৭ ভোটে নাকচ হয়। বেলারুশের সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশের বিপক্ষে ভোট পড়ে ১১৯-৪৮, আর আংশিক স্থগিতাদেশ ১০৩-৬৩ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়। কিছু দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
আরও পড়ুন
বক্সারের মৃত্যু, ঘানায় সব ধরনের বক্সিং স্থগিত |
![]() |
ইতালির মিলানো কর্টিনায় হবে ২০২৬ শীতকালীন প্যারালিম্পিক। ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের জাতীয় পতাকায় অংশ নিতে পারে রাশিয়া ও বেলারুশ। তবে ইতালির প্যারলিম্পিক প্রতিযোগিতার ছয়টি খেলাধুলার নিয়ন্ত্রণকারী আন্তর্জাতিক ফেডারেশন এখনো এই দুই দেশের ক্রীড়াবিদদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে।
পূর্ণ সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে আইপিসি জানায়, আমরা রাশিয়া ও বেলারুশ এর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব, যেন যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
রাশিয়ার প্যারালিম্পিক কমিটি এই সিদ্ধান্তকে ন্যায়সঙ্গত বলে আখ্যা দিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক আন্দোলনের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং জাতীয় ও রাজনৈতিক ভিত্তিতে বৈষম্য ছাড়াই ক্রীড়াবিদদের অধিকার রক্ষা করার একটি উদাহরণ।
আরও পড়ুন
পৃথিবীর ৮ম সর্বোচ্চ চূড়া জয় বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের |
![]() |
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর প্যারালিম্পিক থেকে রাশিয়া ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের সদস্যপদ স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে আংশিক স্থগিতাদেশের পক্ষে ভোট দিয়েছিল আইপিসির সদস্য দেশগুলো। প্যারিস প্যারালিম্পিকে এই দুই দেশের ক্রীড়াবিদেরা নিরপেক্ষ হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ঘোষণা দিয়েছিল, রাশিয়া ও বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের নিরপেক্ষ পতাকার অধীনে আগামী শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে।
বর্তমানে রুশ খেলোয়াড়েরা নয়া দিল্লিতে চলমান ওয়ার্ল্ড প্যারা অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নিরপেক্ষ হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
বক্সিং ম্যাচ খেলার ১১ দিন পর এক খেলোয়াড়ের মৃত্যুতে ঘানায় সব ধরনের বক্সিং স্থগিত করা হয়েছে।
ঘানার রাজধানী আক্রার বুকোম বক্সিং এরেনায় গত ১২ সেপ্টেম্বর জ্যাকব ডিকসনের মুখোমুখি হন আর্নেস্ত আকুশে। যাকে স্থানীয়ভাবে বাহুবালি নামেও ডাকা হয়।
ওই ম্যাচের ১১ দিন পর গত মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেন আকুশে। এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক কারণ জানা যায়নি।
তবে প্রাথমিক লক্ষণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, সবশেষ বক্সিং ম্যাচে পাওয়া অভ্যন্তরীণ চোটের কারণেই হয়তো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন আকুশে।
তাই ঘানার জাতীয় ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে সব ধরনের বক্সিং স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ক্রীড়াবিদদের জীবন বাঁচাতে ও খেলাধুলার সম্মান ধরে রেখে এর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার জন্যই এটি জরুরি পদক্ষেপ।
আকুশের মৃত্যু ঘানায় ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় পেশাদার বক্সারের মারা যাওয়ার ঘটনা। গত মার্চে আক্রায় ঘানার জন বানুগুর বিপক্ষে খেলা চলাকালেই জ্ঞান হারান নাইজেরিয়ার গ্যাব্রিয়েল ওলানরেয়াজু। পরে হাসপাতালে নিয়েও বাঁচানো যায়নি তাকে।
তাই এখন বক্সারদের জন্য আরও নিরাপদ ও পেশাদার পরিবেশ তৈরির জন্য পাঁচ বছরের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ঘানার ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ।
প্রতিকূল আবহাওয়া, তীব্র শীত আর বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (মানাসলু) জয় করেছেন বাংলাদেশি পর্বতারোহী তৌফিক আহমেদ তমাল। বুধবার নেপালের স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ১৬৩ মিটারেরে এই চূড়া জয় করেন তিনি।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী পর্বতগুলোর একটি মানাসলু। মানাসলু পশ্চিম-মধ্য নেপালের মানসিরি হিমালে অবস্থিত। নামের উৎপত্তি সংস্কৃত ‘মনসা’ থেকে, যার অর্থ ‘বুদ্ধি’ বা ‘আত্মা’, তাই মানাসলুর অর্থ দাঁড়ায় ‘আত্মার পর্বত’। এই পর্বত প্রথম আরোহণ করেন তোশিও ইমানিশি ও গ্যালজেন নরবু (১৯৫৬)। উচ্চতায় ৮ম হলেও, প্রাণঘাতী পর্বতগুলোর মধ্যে এটি চতুর্থ।
বর্তমানে নিরাপদে ক্যাম্প–৪ এর পথে নেমে এসেছেন তমাল। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযানের বাংলাদেশ সমন্বয়ক মহিউদ্দিন আল মুহিত। এই অভিযান পরিচালনা করে নেপালের খ্যাতনামা পর্বতারোহণ সংস্থা ‘সেভেন সামিটস’।
মুহিত বলেন,
‘তমালের এই সাফল্য কেবল তার একার নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের অর্জন। তার একাগ্রতা, সাহস ও দীর্ঘ প্রস্তুতি আজ সার্থক হয়েছে। আমরা গর্বিত এবং তার নিরাপদে দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছি।’
গত ১ সেপ্টেম্বর এই শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেপালে রওনা দেন তিনি। সম্প্রতি রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে জাতীয় পতাকা তুলে দেন বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে পর্বতারোহণের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার সঙ্গে পরিচয় করানো।
পর্বতারোহী তৌফিক আহমেদ তমালের এই গৌরব অর্জনে এই কঠিন পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৪ বছর আগে। গত ১৪ বছর ধরে দেশে-বিদেশে নিয়মিত ট্রেকিং ও উচ্চ পর্বতারোহণে যুক্ত ছিলেন।
ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে মৌলিক ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তমাল। এর আগে, তিনি ৫০০০–৬০০০ মিটার উচ্চতার সাতটি এবং ৬৫০০ মিটার উঁচু দুটি শৃঙ্গ জয় করেন। উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে রয়েছে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শীতকালীন থার্পু চুল্লি অভিযান, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভাগীরথী-২ (৬৫১২ মিটার) জয়, এবং ২০২৪ সালে বিশ্বের অন্যতম কঠিন শৃঙ্গ মাউন্ট আমা দাবলাম (৬৮১৪ মিটার) জয়।