ময়মনসিংহ জেলা সুইমিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা। ময়মনসিংহ সুইমিং কমপ্লেক্সে নিয়মিত সাঁতার প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া প্রতিভাবান ৭০ জন বালক এবং বালিকাদের নিয়ে আয়োজন করা হয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের পুরস্কার বিতরণ করেন ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজিম উদ্দিন।
ময়মনসিংহে সাঁতারের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবং নতুন ছেলে-মেয়েদের সাঁতার শেখানো উদ্বুদ্ধ করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন বলে জানান ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া অফিসার আল-আমিন।
তিনি আরো জানান, ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের প্রতিভাবান খেলোয়াড় এবং জেলার প্রতিভাবান সাঁতারুদের নিয়ে অচিরেই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
২৬ জুলাই ২০২৫, ৯:৫৪ পিএম
২৪ জুলাই ২০২৫, ৬:৪৫ পিএম
বুধবার (৩০ জুলাই) কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ঢাকা সেনানিবাসে বিওএর ৫ম সাধারণ পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএ-এর সম্মানিত সভাপতি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। এই সভায় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ পরিষদের মোট ৮৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে সভার কার্যক্রম আরম্ভ হয়।
সভাপতি সভায় উপস্থিত সাধারণ পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দসহ সকলকে শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে তাঁর স্বাগত বক্তব্য শুরু করেন। সভায় সদস্যদের সর্বোচ্চ উপস্থিতিতে সভাপতি সম্মানিত বোধ করেন বলে জানান।
সভাপতি বলেন, আজকের এই সভাটি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে আয়োজিত হচ্ছে। সভাটি আয়োজনে বিভিন্ন কারণে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে, এ বছরে আমরা ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য খুব শীঘ্রই আরেকটি সাধারণ সভা আয়োজন করবো। সভাপতি গত ২১ মার্চ মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিমানের পাইলট এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রধান কাজ হচ্ছে অলিম্পিক আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সহযোগিতা করা। তিনি বলেন আমি বিশ্বাস করি প্রকৃত ক্রীড়াবিদ সকল সময়ই সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে। কখনো তারা বিপদগামী হন না। তাই যুব ও তরুণ সমাজকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করা জরুরী। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে এবং অলিম্পিক এসোসিয়েশন সাধ্যমতো সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিওএ-এর বর্তমান গঠনতন্ত্রটি ২৫ বছর আগে আইওসি কর্তৃক অনুমোদনকৃত। যুগোপযোগী ও হালনাগাদ করার লক্ষ্যে আমরা গঠনতন্ত্রটি রিভিউ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির সকলের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রের একটি খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী সাধারণ পরিষদের সভায় সকলের মতামত নিয়ে গঠনতন্ত্রটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আগামীতে যে সকল আন্তর্জাতিক গেমসে বাংলাদেশ থেকে খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রতি তিনি শুভকামনা জানান এবং আশা করেন তারা প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল অর্জনে সক্ষম হবেন।
সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এবং সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাংলাদেশ অলিম্পিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রনাধীন প্রায় ১৭৩ একর জায়গা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য স্পন্সরদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্য শেষে মাইলস্টোন স্কুলের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সকল নিহত ছাত্র-ছাত্রীসহ গত আগস্ট-২০২৩ হতে জুন-২০২৪ পর্যন্ত যে সকল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব পরলোকগমণ করেছেন, তাঁদের স্মরণে ও সম্মানে দাঁড়িয়ে ০১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভার আলোচ্যসূচী অনুযায়ী বিশদ আলোচনান্তে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় :
১. ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বিওএ’র সম্পাদিত কার্যক্রমের উপর মহাসচিব কর্তৃক উপস্থাপিত প্রতিবেদন সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
২. বিওএ’র ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
৩. বিওএ’র ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ১২.৪০ (বার কোটি চল্লিশ লক্ষ) কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে ঘটনাত্তোর অনুমোদিত হয়।
৪. বিওএ’র ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের হিসাব নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান অঈঘঅইওঘ কে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
৫. বিওএ-র কার্যনির্বাহী কমিটিতে ‘বিওএ এ্যাথলেট কমিশন’ এর ০১ (এক) জন সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
৬. বিওএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী নভেম্বর’২০২৫ মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
পরিশেষে, বিওএ-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতায় অলিম্পিক আন্দোলনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি বিওএ কার্যক্রমকে উত্তরোত্তর গতিশীল এবং বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আজ সকালে বিকেএসপি’তে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বিকেএসপির পরিচালনায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহত ছাত্রদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ ক্রীড়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাহবুব–উল – আলম প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করেন। তিনটি ক্রীড়া বিভাগ আর্চারি, টেবিল টেনিস ও শ্যূটিং এ নির্বাচিত ৪ জন করে ১২ জনকে প্রথমে এক মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং দেয়া হবে। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও দুই মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ শেষে প্যারা অলিম্পিক বা স্পেশাল অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের প্রথমেই জুলাই বিপ্লবে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান এবং শহীদদের দেশের জন্য জীবন বিসর্জন থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান। প্রধান অতিথি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ণের বিরুদ্ধে জুলাই যোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরেণ। তিনি জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে আহতদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দু’টি প্রকল্পের কথা বলেন। এর মধ্যে বিকেএসপি পরিচালিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও অন্যটি যুবকদেরকে সেলফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ প্রদান। বিশেষ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি ক্রীড়া বিভাগ দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনার কথা বলেন। এছাড়াও আহতদেরকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে পুনর্বাশিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম, জুলাই বিপ্লবের শহীদ জননী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শামসি আরা জামান এবং তিন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকগণ।
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ১৮তম জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপের। বিকেলে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, এনডিসি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব উশুর জন্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে গেলে উশুর সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে উশুর দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিশেষ করে এসএ গেমস ও ইসলামীক সলিডারিটি গেমসে স্বর্ণপদক জিততে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি আমরা।’
উশুর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলু বলেন, ‘ফেডারেশন চেষ্টা করছে ঢাকার অদূরেই উশুর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক ক্রীড়া স্থাপনা তৈরির জন্য কাজ করছি আমরা। তাহলে এই খেলাটা আর পেছনে পড়ে থাকবে না। উঠে আসবে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়।’
বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন কতৃক আয়োজিত ১৮তম জাতীয় উশু প্রতিযোগিতার খেলা গত ২৩ জুলাই শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনী আগামি ২৭ জুলাই।
এবারের প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং বিকেএসপি সহ মোট ২৮টি দলের প্রায় ৪১৮ জন ক্রীড়াবিদ, কোচ ও কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে এবার রয়েছে ২৭টি স্বর্ণ পদক ইভেন্ট। এরমধ্যে সান্দা ফাইটে ১৯টি এবং তাওলুতে ৮টি ইভেন্ট। প্রতিযোগিতার শেষে বিভিন্ন শ্রেণিতে সর্বমোট ১০৮টি পদক (স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র) প্রদান করা হবে।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রতিটি স্বর্ণপদক বিজয়ীকে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক পণ্য উপহার দেওয়া হবে। দলীয় চ্যাম্পিয়নদের জন্য রয়েছে ট্রফি। সকল প্রতিযোগীকে টি-শার্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
প্রতিযোগিতার সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সম্মানিত কালচারাল কাউন্সিলর জনাব লী শাওপেং বলে নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলু।
উল্লেখ্য, জাতীয় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের নিয়ে আগামী ১লা আগস্ট থেকে মিরপুর ক্রীড়া পল্লীতে একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে, যেখানে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদকজয়ীরা প্রাধান্য পাবেন। মূলত ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য এখান থেকেই নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজতে চায় বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হ'ল আরএফএল ও এসিআই পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন আয়োজিত জোড়া আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগীতার "ট্রফি উন্মোচন ও মিট দা প্রেস"। "৬স্ট বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ওপেন ২০২৫" নামের এ আসরে গত পাঁচ বারের মতই এবারও থাকছে এক সাথে দুটি আকর্ষনীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার যথা ছেলেদের "পি এস এ চ্যালেঞ্জ ট্যুর ২০২৫" এবং মেয়েদের "ডব্লিউ এস এফ এবং পি এস এ স্যাটালাইট টুনামেন্ট ২০২৫" সাহসী আয়োজন।
বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব স্কোয়াশ ফেডারেশন (ডব্লিউ এস এফ) এবং পেশাদার স্কোয়াশ এসোসিয়েশনের (পি এস এ) অনুমোদিত ০৪ দিন ব্যাপি এই প্রতিযোগীতাদ্বয় ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্স, আর্মি অফিসাস্ মেস ও ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোয়াশ কোর্টে ২৬ থেকে ২৯ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশের জাতীয় দলের শাহাদাৎ, রনি ও সুমন এবং বয়স ভিত্তিক দলের উদীয়মান স্কোয়াশ খেলোয়াড় বিকেএসপির সাইমুন, আমিনুল, পারভেজ ও সেনাবাহিনীর আপন ও আজিজের সাথে খেলবে ইরান, ভারত, শ্রীলংকা, কুয়েত ও মালয়েশিয়ার আটজন পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড়। পাশাপাশি মেয়েদের স্যাটেলাইট ট্যুরে বাংলাদেশের মারজান, চাঁদনী, নাবিলা, উর্দূ, মেঘনা, জুই, মানিকা ও পূজা রানীসহ প্রথম সারির ১৩ জন নারী খেলোয়াড় খেলবে মালয়েশিয়ার জমজ বোন পেশাদার নারী স্কোয়াশ খেলোয়াড় ভিনিকা ও ভার্টিকা এবং ইরানের রামজানজাদে নামিনি নারগোলের সাথে। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত নারী স্কোয়াশ দল তৈরি করছে। সম্প্রতি তারা নেপালে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা থেকে রৌপ্য পদক লাভ করেছে।
ঢাকা সেনানিবাসের স্কোয়াশ কমপ্লেক্স ও অফিসাস্ মেস স্কোয়াশ কোর্ট এবং বসুন্ধরায় ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ স্কোয়াশ কোর্ট- এই তিন ভ্যানুতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঢাকা সেনানিবাসের স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে ২৬ জুলাই দুপুর একটায় প্রতিযোগীতা দ্বয়ের উদ্বোধন এবং ২৯ জুলাই বিকেল চারটার সময় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াশ র্যাকেটস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রীগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিসি (অবঃ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত "মিট দ্যা প্রেস ও ট্রফি উন্মোচন" অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব মোঃ মাহবুব-উল-আলম, সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আর এফ এল-এর মার্কেটিং হেড শাহীন শফিকসহ উভয় গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তা, স্কোয়াশ খেলোয়াড় ও সাংবাদিকবৃন্দ।
নিজস্ব খেলার মাঠ ও সম্পদের সীমাবদ্ধতাসহ পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ থাকার পরেও একই সাথে দু'টো আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্যে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বাংলাদেশের স্কোয়াশ আরো এগিয়ে যাবে এবং দেশের জন্যে সম্মান নিয়ে আসবে। স্কোয়াশ ফেডারেশনের জন্যে বনানীতে নির্ধারিত স্থান উদ্ধারসহ অন্যান্য বিষয়ে মন্ত্রনালয় সব সময় বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাথে থাকবে।
আর এফ এল-এর প্রতিনিধী তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে আয়োজিত দু'টি আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ টুর্নামেন্টের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পেরে কোম্পানির পক্ষ থেকে স্কোয়াশ ফেডারেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজনের সাথে থাকার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেন।
ব্রিগ্রেডিয়ার (অবঃ) জেনারেল কামরুল ইসলাম বাংলাদেশে মৃত্যপ্রায় স্কোয়াশ খেলার দুটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া যঙ্গ স্পন্সর করার জন্যে এফ এল এবং এ এস আই গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিজস্ব কোর্টবিহীন হাজার সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে খুবই সীমিত সম্পদ দ্বারা গত প্রায় পাঁচ বছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমরা তিল তিল করে বিলুপ্ত প্রায় খেলাটির পূন:জন্ম ঘটিয়ে সামনের দিকে গৌরব আর সন্মানের যাত্রা শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগীতা এবং বনানীর প্রস্তাবিত কমপ্লেক্সটি পেলে স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক মেডেল অর্জনসহ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও গৌরব অর্জন করবে ইন-শা-আল্লাহ।
এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে আগামী বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এস এ গেইমসে অংশগ্রহণকারী দলের প্রস্তুতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন এস এ গেইমসে মেডেল পুনরুদ্ধার করতে বদ্ধ পরিকর।
দেশে স্কোয়াশ খেলাকে পূর্নজন্ম দিয়ে প্রচার, প্রসার ও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য ফেডারেশন সব সময়ই সচেষ্ট। তারা "ক্লাসরুম স্কোয়াশ" নামে অভিনব ধরণা নিযে বিভিন্ন স্কুল কলেজে স্কোয়াশ খেলা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মিত্যু ও বিলুপ্ত প্রায় স্কোয়াশ খেলার পাশে দাঁড়ানোর জন্যে আর এফ এল এবং এ এস আই গ্রুপ আন্তরিক ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় আহত-নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়ায় অংশ নেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে অনেক। তবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ বিমান বিধ্বস্ত হওয়াটা হৃদয় বিদারক! সোমবার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের স্টেশনের কাছে থাকা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন ধরে যায় বিমানে। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জ্বলন্ত বিমানের আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। তবে মাইলস্টোন কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
আরও পড়ুন
মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা : শোক প্রকাশ বিসিবি-বাফুফের |
![]() |
দুর্ঘটনাস্থল থেকে অনেককে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের একটি অংশকে প্রাথমিকভাবে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধদের অধিকাংশকে পাঠানো হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ ঘটনায় দগ্ধ শতাধিক মানুষের স্বজনদের কান্নায় আজ ভারি হয়ে উঠেছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আঙিনা। সন্তান, নাতি, ভাই-বোনের জন্য স্বজনদের আহাজারি ও আর্তনাদে চারপাশে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থালে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। অর্ধশতাধিক আহত ও দগ্ধকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, শোক পালনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
No recent posts available.