৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
কম্পাউন্ডে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে আগেই হতাশ করে বাংলাদেশ। এবার কম্পাউন্ডের ব্যক্তিগত খেলায় পদক জিততে পারেনি লাল সবুজের মেয়েরা। হেরেছেন বন্যা আক্তার, কুলসুম আক্তার মনি ও পুস্পিতা জামান। তবে দুই রাউন্ড জেতার পর তৃতীয় রাউন্ডে হার মেনে কিছুটা হলেও মান বাঁচিয়েছেন বন্যা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে সোমবার প্রথম রাউন্ড ১/৪৮ পর্যায়ে ১৪৪-১৪৩ ব্যবধানে বন্যা হারিয়ে দেন স্পেনের অলিভেয়ার্স আলেক্সাকে।
পরের রাউন্ডে ১/২৪ পর্যায়ে বন্যার সঙ্গে হাড্ডাহাডি লড়াই হয় ইন্দোনেশিয়ার আর্চার রাতি ফাধলির সঙ্গে। দুজনের পয়েন্ট হয় ১৪৫-১৪৫। এরপর শ্যূটঅফে এগিয়ে যান বাংলাদেশি আর্চার।
তবে ১/১৬ পর্যায়ে চাইনিজ তাইপের আইজু হুয়াংয়ের কাছে ১৪৫-১৪৮ পয়েন্টে হেরে যান বন্যা। তাতে বিশ্ব আর্চারি থেকে পদক না নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। তবে ১/১৬ পর্যায়ে খেলে সন্তুষ্ট বন্যা আক্তার।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন তিনি।
“অভিজ্ঞতা বলতে ১/১৬ পর্যায়ে খেলেছি, এটা বাংলাদেশি কোনো আর্চারের জন্য অবশ্যই ভালো। তবে আরও ভালো হতে পারতো। এখন সামনে তাকাতে চাই। সামনে ঢাকায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ আছে, ওখানে ভালো করতে এই প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা কাজে দেবে।”
কম্পাউন্ডের ব্যক্তিগত ইভেন্টে আমনা আলাওদির বিপক্ষে মুখোমুখি হন বাংলাদেশের আরেক আর্চার পুস্পিতা জামান। কিন্তু ১৩৯-১৪১ ব্যবধানে হেরে প্রথম রাউন্ডেই হতাশ করেন তিনি।
তবে প্রথম রাউন্ডে আশার আলো দেখান বাংলাদেশের আর্চার কুলসুম আক্তার মনি। এল সালভাদরের ক্যামিলা আলভারেঙ্গাকে হারিয়ে দেন ১৪৯-১৪৩ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে।
কম্পাউন্ডে মেয়েদের দলীয় ইভেন্টে এল সালভাদরের কাছেই আগের দিন হেরেছিল বাংলাদেশ। মনি অবশ্য জয়ের ধারা পরবর্তী রাউন্ডে অব্যহত রাখতে পারেননি। ১৪৬-১৪৭ পয়েন্টে হেরেছেন ব্রাজিলিয়ান আর্চার বিয়ানকা রদ্রিগেজের কাছে।
আগের দিন কম্পাউন্ড পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টে অংশ নেন বাংলাদেশের হিমু বাছার। কাজাখস্তানের তায়ুতউন অ্যান্দ্রের কাছে ১৪৬-১৪৫ পয়েন্টে পরাজিত হন তিনি।
সোমবার অবশ্য বাংলাদেশের পুরুষ আর্চারদের কোনো ইভেন্ট ছিল না। প্রাকটিস সেশন করছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার তারা নামবেন র্যাঙ্কিং রাউন্ডে।
No posts available.
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম
২৮ আগস্ট ২০২৫, ৪:৩৫ পিএম
২৫ আগস্ট ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনের জেলা বাজাউরের একটি মাঠে স্থানীয় পর্যায়ের ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া হতাহত হয়েছেন আরও অনেকে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাকিস্তানি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর।
বাজাউর জেলার পুলিশ অফিসার ওয়াকাস রফিক, এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খার তেহসিলের কাউসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। তার মতে, উন্নত প্রযুক্তির বিস্ফোরক যন্ত্র দিয়ে এটি করা হয়েছে।
ওয়াকাস রফিকের মতে, ক্রিকেট মাঠের এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই ঘটানো হয়েছে। এই বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই একজন প্রাণ হারান। আহত হন কয়েকজন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চার পাশ। তখন নিজেদের নিরাপদ জায়গায় নিতে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন মাঠে উপস্থিত মানুষরা।
এর আগে গত সপ্তাহের শনিবার একটি কোয়াডকপ্টারের মাধ্যমে তেহসিলের একটি থানাতেও হামলা করা হয়েছিল। তাতে একজন পুলিশ সদস্যসহ দুজন আহত হন। এছাড়া প্রাঙ্গণে থাকা একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাজাউর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইসরার খান বলেছেন, বিস্ফোরণে আহতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে জেলা হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এটিকে সম্ভাব্য জঙ্গী হামলা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, কোয়াডকপ্টার দিয়ে থানায় আরও একটি হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। যেটি লক্ষ্যে আঘাত করেনি।
এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা এটি জঙ্গী হামলা হিসেবে উল্লেখ করছেন। তাদের মতে, কয়েক সপ্তাহ আগে জঙ্গী বিরোধী 'অপারেশন সারবাকাফ' এর জবাব হিসেবে করা হয়েছে এই হামলা।
খেলাধুলার ইতিহাসে বীরোচিত ঘটনার নজির আছে অনেক। অনেকের মতে খেলাধূলা নিছক কোনো প্রতিযোগিতা নয়, বিনোদনের এই বিভাগকে কেউ কেউ যুদ্ধের সঙ্গেও তুলনা করেন, যেখানে প্রতিটি খেলোয়াড় হয়ে ওঠে একেকজন যোদ্ধা।
কখনও দলের স্বার্থে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া, কখনও আবার জীবন-মৃত্যুর সীমানায় দাঁড়িয়ে দেশের জন্য লড়াই করে যাওয়ার উদাহারণ সৃষ্টি করে অনেকেই অমর হয়ে আছেন।
ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় ব্রাজিলে খেলতে খেলতে জীবন দেওয়ার মতোই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এক ফুটসাল গোলরক্ষক। ব্রাজিলের প্যারা প্রদেশে এক অপেশাদার ফুটসাল টুর্নামেন্টে ঘটেছে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা।
ব্রাজিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে গত সোমবার রাতে আয়োজিত এক ফুটসাল ম্যাচে পেনাল্টি ঠেকিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গোলরক্ষক এডসন।
আরও পড়ুন
১১ বছর পর কোয়াবের নতুন সভাপতি |
![]() |
পেনাল্টি শট ঠেকানোর সময় বলটি তার বুকে তীব্রভাবে আঘাত করে। পেনাল্টি সেভ করার পর এডসন কয়েক কদম হেঁটে তার সতীর্থদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই মাঠের মাঝেই মুখ থুবড়ে পড়ে যান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
ঘটনাস্থলে থাকা মেডিক্যাল টিম তাৎক্ষণিকভাবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এবং দ্রুতই সাও মিগেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি।
এডসনের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় টুর্নামেন্টের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং স্থানীয় জনগণের মাঝেও চরম উদ্বেগ ও শোকের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ওই বিবৃতির অপেক্ষা করছে সবাই।
ফাতেমা মুজিব- তাকে বলা হয় বাংলাদেশের ফেন্সিংয়ের পোস্টার গার্ল। বাংলাদেশে ফেন্সিং খেলা যার মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছিল, চোটের কারণে সেই ফাতেমা মুজিবকে ছাড়াই এবার শুরু হচ্ছে জুলাই রেভুলেশন ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ।
আগামী শুক্র ও শনিবার রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে হবে এই প্রতিযোগিতা।
সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ফেন্সিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম স্বর্ণপদক জেতা ফাতেমা মুজিব এবার চোটের কারণে খেলতে পারছেন না। হাঁটুর চোটের কারণে অন্তত চার মাস তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২০১৯ সালে কাঠমান্ডুতে হওয়া এসএ গেমসে প্রথমবার অংশ নিয়েই সোনা জিতে আলোচনায় আসেন ফাতেমা। ২০২৬ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমস সামনে রেখে জাতীয় ক্যাম্প শুরু হলেও সেখানে নেই এই ফেন্সার।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কা দলে নতুন মুখ ভিশেন হালামবাগে |
![]() |
প্রস্তুতি নিতে গিয়েই হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
জুলাই রেভুলেশন ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, আনসার ও ভিডিপি, বিজিবি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব সমূহ।
প্রতিযোগিতার কোনো দলগত ইভেন্ট থাকছে না। ইপি, সেবার, ফয়েল-এই তিনটি ব্যক্তিগত ইভেন্টে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে অংশ নেবে প্রায় ১৭৫ জন ফেন্সার।
শুরু থেকে আনসারের চোখে চোখ রেখেই খেলছিল পুলিশ হ্যান্ডবল টিম। একটা সময় পর্যন্ত ব্যবধানটা ছিল মাত্র এক গোলের (১০-৯)। প্রথমার্ধ শেষে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ৫ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে আর আনসারের সঙ্গে পেরে উঠেনি বাংলাদেশ পুলিশ নারী হ্যান্ডবল দল। আজ জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে তাদের হার মানতে হয় ৩৫-২৯ ব্যবধানে।
দল হারলেও প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন পুলিশের রুবিনা ইসলাম। ফাইনালে করেছেন ১৫ গোল। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোল স্কোরারকে এটা অবশ্য জানার সুযোগ নেই; আয়োজক কমিটিও সেই হিসেব রাখেনি। তবে রুবিনা জানালেন আনুমানিক তাঁর গোল সংখ্যা হতে পারে ৬০ থেকে ৭০টি। সেরা খেলোয়োড়ের পুরস্কার শেষে জানালেন সাফল্যের কথা।
পুরো ম্যাচেই খেলেছেন, গোল পেয়েছেন, রুবিনাকে অনেকেই বলে পেনাল্টি স্পেশালিস্ট। গোল করার পেছনের গল্পে রুবিনা বললেন মাইন্ড গেম খেলেই তিনি সাফল্য পান,
‘অবশ্যই হ্যান্ডবল মাইন্ড গেম, এখানে যে এগিয়ে থাকবে না সে হ্যান্ডবল খেলতে পারবে না।’
দারুণ খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি, এ জন্য আফসোস আছে রুবিনার। তবে সেরা খেলোয়াড় হয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানান এভাবে, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তো কেউ ভাবে না সেরা খেলোয়াড় হবে কি না। ভালো খেলার ইচ্ছা ছিল, সেরা খেলোয়াড় হব এটা ভাবিনি। তবে হতে পেরে অনেক খুশি। অবশ্যই আমাদের আক্ষেপ আছে, যখন বিজেএমসির টিম ছিল একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এবার আশা ছিল আনসারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবো, কিন্তু পারিনি।’
হারের কারণ হিসেবে রুবিনা দায়ী করলেন নিজেদের স্ট্যামিনা হারানোকে, ‘আমরা হেরেছি কারণ আমাদের স্ট্যামিনা ছিল না, প্রথমার্ধের আগেও ডিফেন্সে কিছু ভুল করেছি, আশা করি এসব ভুল শুধরে পরবর্তীবার ফিরে আসব।’
২০০৯ সাল থেকে হ্যান্ডবল খেলেন রুবিনা। ২০১৪ সালে প্রথমবার সুযোগ পান জাতীয় দলে। ওই বছরই পাকিস্তানে হওয়া আইএইচএফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী দল। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন পঞ্চগড় থেকে উঠে আসা রুবিনা। দুই বছর পর ২০১৬ সালে বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবল দল ভারতে হওয়া এসএ গেমসে জেতে সিলভার মেডেল। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবল দলের সেটিই বড় সাফল্য। কিন্ত দীর্ঘ সময় গেলেও এখানে আর সাফল্যের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
আরেকটি এসএ গেমসের দুয়ারে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে পাকিস্তানে হবে আগামী সংস্করণ। সেটি সামনে রেখে বাংলাদেশ থেকে সবার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছে হ্যান্ডবল ফেডারেশন। ওই টুর্নামেন্টের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩৪ জনের দলও ঘোষণা করা হয় আজ। সেখানে আছে রুবিনার নামও। তিনি মনে করেন ভারত না আসায় এবার তাদের সামনে স্বর্ণ জেতার বড় সুযোগ আছে, ‘ভারত না আশায় বাংলাদেশের জন্য সুযোগ, কারণ ভারত যে লেভেলে গিয়েছে সেখানে আমরা যেতে পারিনি, আশা করি এবার আমরা স্বর্ণপদক নিয়ে আসব।’
এসএ গেমসে ভারত সরে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশর জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। এমনটাই মনে করেন ২৯ বছর বয়সী রুবিনা। তবে কেবল এসএ গেমসেই নয় বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবল দলকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান পুলিশের এই খেলোয়াড়,
‘বাংলাদেশের হ্যান্ডবলকে আমি বিশ্বকাপে দেখতে চাই।’ রুবিনার ছোট বোনও এবারের জাতীয় হ্যান্ডবলে খেলেছেন পুলিশের হয়ে। যদিও আগেরবার জাতীয় হ্যান্ডবলে ও আনসার টিমের হয়ে খেলেছে সে।
রুবিনার মতো এই আসরে আলো কেড়েছেন পুলিশের আরেক খেলোয়াড় সাকিবা জান্নাত সাম্মি। দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। কিন্তু ফাইনালে জ্বর নিয়ে খেলতে হয় তাকে। ম্যাচ হেরে বললেন,
‘আসলে আমাদের স্ট্যামিনা ছিল না। ডিফেন্সে আমরা নামতে পারছিলাম না। আমার অনুশীলনেও ঘাটতি ছিল। সবাই ভালো ছিল। জ্বর নিয়ে খেলেছি, আগের ম্যাচেও জ্বর নিযে খেলেছি। কাউকে বুঝতে দেইনি, চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেওয়ার।
প্রথমার্ধ শেষেও পুলিশ জয়ের আশা ছাড়েনি বলে জানান সাম্মি, ‘আশা ছিল পুলিশের হয়ে এবার কিছু একটা করব, আমরা সেরাটা দিয়েছি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পারিনি।’ না পারার পেছনে অবশ্য পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে না পারাকেও দায়ী করেছেন তিনি, ‘আসলে অন্যান্য দল যেভাবে প্রাকটিস করে, পুলিশ টিম সেভাবে অনুশীলন করতে পারে না, চাকরিতে ডিউটি থাকে।’
২০১৬ সাল থেকে হ্যান্ডবলে খেলছেন সাম্মি। সিনিয়র ন্যাশনাল টিমে অভিষেক ২০২২ সাল থেকে। পরের দুই টুর্নামেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানান। এবার তাঁর লক্ষ্য এসএ গেমসে স্বর্ণ জেতা।
৩৬তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আনসার। পল্টনের শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে আজ ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশকে ৩৫-২৯ গোলে হারিয়েছে আনসার। প্রথমার্ধে আনসার ১৭-১২ গোলে এগিয়ে ছিল।
১৯৮৩ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬টি সংস্করণের মধ্যে বেশিরভাগ জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আনসার। এবারসহ সব মিলিয়ে ২৪টি শিরোপা ক্যাবিনেটে তুলেছে তারা। টানা ৮ বার চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ল তারা।
ফাইনালে প্রথমার্ধে কিছুটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। একটা সময় ১০-৯ ব্যবধানও ছিল। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে আনসারের অভিজ্ঞতার কাছে হার মেনেছে পুলিশ। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের খেলোয়াড় রুবিনা।
এর আগে ঢাকা জেলাকে ৩৪-২২ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার তৃতীয় হয়েছে পঞ্চগড় জেলা।
জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হয়েছে ট্রফির পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার। রানার্সআপ দল পেয়েছে ১৫ হাজার এবং ৩য় স্থান অর্জনকারী দল পেয়েছে ১০ হাজার টাকা।
জাতীয় হ্যান্ডবলে ফাইনাল শেষের পর আনসার ও পুলিশ টিমের মধ্যে কারা আগামী এসএ গেমসের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। গতকাল থেকে অন্যান্য জেলার খেলোয়াড়দের ডাকা হয় ক্যাম্পে। ৩৪ জন নিয়ে কাল থেকে হবে এই ক্যাম্প। এখান থেকে পূর্ণাঙ্গ টিম বাছাই করবে ফেডারেশন। আগামী বছর পাকিস্তানে হবে এসএ গেমস।