বিশ্বকাপ শুরু হয়ে এরই মধ্যে পার হয়ে গেছে সপ্তাহ খানেক। তবে বিশ্বকাপের আসল আমেজ দেখা যাবে শনিবার। এদিন যে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তান।
এই ম্যাচকে ঘিরে তো উত্তেজনার শেষ নেই। দুই দেশের ভক্ত সমর্থকরা ছাড়াও এই ম্যাচ নিয়ে অধীর-আগ্রহে বসে থাকে পুরো ক্রিকেট দুনিয়া। ম্যাচটা ভারতের মাটিতে হওয়ায় চাপটা যে পাকিস্তানের উপরই থাকবে বেশি। এক লক্ষ ত্রিশ হাজার দর্শক যে গলা ফাটাবে কোহলি-রোহিতদের জন্যে।
দুই দলই নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রাটা বেশ ভালোভাবেই শুরু করেছে। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানকে। অন্যদিকে পাকিস্তান জয় তুলে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলংকার বিপক্ষে।
এই ম্যাচে লড়াইটা হবে পাকিস্তানের পেসারদের সাথে ভারতের ব্যাটারদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাট করে ভারতীয় ব্যাটাররা নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানান দিতে পারলেও নতুন বলে এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি পাকিস্তানের পেসাররা। তবে ভারত পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই আলাদা উত্তেজনা। কে জানে সেই উত্তেজনাই হয়তো জ্বলে উঠবেন হাসান আলী, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা।
হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাবর আজমের দল নিশ্চয়ই পরিসংখ্যানের দিকে তাকাতে চাইবেন না। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ৭ ম্যাচ খেলে একবারও যে জয়ের দেখা পায়নি পাকিস্তান। আইসিসি ইভেন্টে ভারতের সাথে পেরে না উঠলেও ওভার অল দুই দলের লড়াইয়ের জয়ের পাল্লা ভারি পাকিস্তানের দিকে। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৩৪ বার। যার মধ্যে ৭৩ বার জয়ী দলের নাম পাকিস্তান, আর ৫৬ বার জিততে পেরেছে ভারত। পাঁচটি ম্যাচ ছিলো অমীমাংসিত।
পিচ কন্ডিশন
কালকের ম্যাচটা মাঠে গড়াবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। একসাথে যেখানে বসে খেলা দেখতে পারবেন এক লক্ষ ত্রিশ হাজার দর্শক। তবে এই মাঠে ব্যাটাররা কিছুটা হলেও সুবিধা পাবেন বেশি। বোলাররা মন খারাপ করার কারণ নেই, এই পিচে সবসময় থাকে বাউন্স। নতুন বলে পেসাররা মুভমেন্ট পাবেন সাথে বাউন্স কাজে লাগিয়ে ব্যাটারদের ভালো পরিক্ষা নেয়ার সুযোগ থাকবে। টসজয়ী অধিনায়ক প্ৰথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সম্ভাব্য একাদশ
ভারত
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ইশান কিষান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।
পাকিস্তান
আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মহম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সাউদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মহম্মদ নওয়াজ, হাসান আলি, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ।
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসারদের একজন তিনি। টেস্টে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও টিম সাউদি। তবে মেঘে মেঘে তো বেলা কম হলো না। বয়স হচ্ছে, ধার কমছে বোলিংয়ে। তাই লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। বিদায় বেলায় তার আক্ষেপ, বড্ড মিস করবেন সেরা ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটকে, যা তাকে উপহার দিয়েছেন দুর্দান্ত কিছু ম্যাচ, স্পেল ও মুহূর্তের।
এক বছরের ব্যবধানে সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপ খেলা এবং ভারতে ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ের পরই এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর জন্য সঠিক সময় বলে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সাউদি। আর এই কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এই ফরম্যাটে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার।
টেস্ট ক্রিকেটের কোন দিকটি বিশেষ করে মিস করবেন, এই প্রশ্নের উত্তরে সাউদি অনেকটাই আবেগি হয়ে গেলেন যেন।
“আমি সবকিছুই মিস করতে যাচ্ছি। টেস্ট ক্রিকেটের মত কিছুই হয় না। আমি মনে করি, প্রথম দিনে মাঠে নামার যে প্রাণশক্তি, এটা এমন একটা অনুভূতি যা আমি অবশ্যই মিস করব। যারা টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে, শুধু তারাই বুঝতে পারবে যে ড্রেসিংরুমের আবহে প্রথম দিনের প্রাণশক্তি বলতে আমি ঠিক কী বোঝাতে চাইছি। সব কিছু নিয়েই একটা অনিশ্চয়তায় থাকা, অপেক্ষা করার ব্যাপারটাই আলাদা। এমন অনেক কিছুই আছে যা আপনি মিস করবেন। তবে সবকিছুরই একটা শেষ থাকে। দেশের হয়ে ১০৪টি টেস্ট খেলতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আশা করি আরও কয়েকটা খেলতে পারব।”
সাউদি আরও বলেছেন, তিনি ভারত সফরের সময়ই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এরপর কোচ গ্যারি স্টেডের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তার শেষ তিনটি টেস্ট হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ। ভারতকে সিরিজ হারানোর পর ইংলিশদের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে পারলে নিউজিল্যান্ডের সামনে সুযোগ থাকবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইলালে খেলার। আর সেখানে কিউইরা জায়গা করে নিলে সাউদি সেখানে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই নেপিয়ারে ২০০৮ সালে সাউদির টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। ওই ম্যাচে দল হারলেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৯ ছক্কায় খেলেন মাত্র ৪০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
টেস্টে ১৯৭ ইনিংসে ২৯.৮৮ গড়ে ৩৮৫টি উইকেট নিয়েছেন সাউদি। পাঁচ উইকেট ইনিংসে ১৫ বার। আর ম্যাচে দশ উইকেট একবার।
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
২০ দিন আগে