এমন কিছুর গুঞ্জন ছিল গত মৌসুমেও। তবে আন্তর্জাতিক অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরায় ধারণা করা হচ্ছিল, খুব শীঘ্রই হয়ত অবসর নিচ্ছেন না টনি ক্রুস। তবে চমকই দিলেন অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার। ইউরো ২০২৪ খেলেই সব ধরনের ফুটবলকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন জার্মানি ও রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার।
মঙ্গলবার বিকেলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন ক্রুস। ঘরের মাটিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শেষবারের মত পেশাদার ফুটবলে দেখা যাবে তাকে।
বিশাল সেই পোস্টে রিয়ালের প্রতি ভালোবাসার কথা লিখেছেন ক্রুস। “১০ বছর পর মৌসুমের শেষে এই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। আমি সেই অবিশ্বাস্য সফল সময়টি কখনই ভুলব না! আমি বিশেষভাবে সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাকে দুহাতে স্বাগত জানিয়েছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। তবে বিশেষ করে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রিয় মাদ্রিদিস্তাসদের (রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থক) প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের সম্মান ও ভালবাসার জন্য।”
আরও পড়ুন: রিয়ালেই থেকে যাচ্ছেন ক্রুস-মদ্রিচ?
২০১৪ সালে জার্মানির জার্সিতে বিশ্বকাপ জিতে রিয়ালে নাম লেখান ক্রুস। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত জিতেছেন ৪টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ, উয়েফা সুপার কাপ, ৫টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও একটি কোপা দেল রে।
দীর্ঘ এই পথচলায় রিয়ালের মাঝমাঠের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন ক্রুস। তিনি, লুকা মদ্রিচ ও কাসেমিরো মিলে গড়ে তুলেছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এক মিডফিল্ডার ত্রয়ী। কাসেমিরো চলে গেলেও চালিয়ে যাচ্ছিলেন অন্য দুজন। এবার ক্রুসের অবসরের সিদ্ধান্তে রইলেন কেবল মদ্রিচ।
এই মৌসুম শেষেই রিয়ালে চুক্তির মেয়াদ শেষ ক্রুসের। দুই দিন আগেও শোনা যাচ্ছিল যে, এক বছরের জন্য রিয়াল তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে। কিন্তু তা আর হলো না। স্পেনের সফলতম ক্লাবটির জার্সিতে বিশ্বকাপ জয়ী এই মিডফিল্ডারের শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল আগামী ১ জুন, প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে এই প্রতিযোগিতার ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল অধ্যায়ের ইতি টানার আশা ক্রসের। “যেমনটা আমি আমি সবসময় বলেছি : রিয়াল মাদ্রিদই আমার শেষ ক্লাব হবে। আমি খুশি এবং গর্বিত এই জন্য যে, আমার মনের মধ্যে আমি নিজের সিদ্ধান্তের জন্য সঠিক সময় খুঁজে পেয়েছি এবং সিদ্ধান্তটা আমিই নিতে পেরেছি। আমার ইচ্ছা ছিল শীর্ষে থেকে ক্যারিয়ার শেষ করা। এখন থেকে শুধুমাত্র একটি চিন্তাই মুখ্য : এ পোর লা ১৫!!! (রিয়ালের ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়) আলা মাদ্রিদ!”
২০২১ ইউরোর পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছিলেন ক্রুস। এরপর চলতি বছরের মার্চে ফেরেন জাতীয় দলে। জার্মানির হয়ে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ১০৮টি।
আর রিয়ালের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬৩টি ম্যাচ খেলেছেন ক্রুস, গোল করেছেন ২৮টি, করিয়েছেন ৯৮টি।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:০৯ এম
নতুন মৌসুমে, নতুন ফরম্যাটে মাঠে গড়িয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। প্রথম ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা লিভারপুল জয়ের দেখা পেলেও ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল কিংবা বার্সেলোনা হারিয়েছে পয়েন্ট। কিলিয়ান এমবাপে এন্দ্রিকরা রিয়াল অভিষেকে পেয়েছেন গোলের দেখা, আর লামিন ইয়ামালও নাম তুলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোলের খাতায়। হ্যারি কেইন কিংবা কর্তোয়ারাও গড়েছেন নতুন কীর্তি। সংখ্যার খেলায় থাকছে সেসবই।
১৮ বছর ৫৮ দিন
স্টুর্টগার্টের সাথে ম্যাচের শেষ সময়ে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এন্দ্রিক ফিলিপে। শেষ মূহর্তে মাঠে নামলেও অভিষেকেই রিয়ালের সাদা জার্সিতে গোল পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তাতে বনে গেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা। টপকে গেছেন রিয়াল কিংবদন্তী রাউলকে।
১৭ বছর ৬৮ দিন
বার্সেলোনার জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১ তম ম্যাচ খেলতে নেমে গোলের দেখা পেয়েছেন লামিন ইয়ামাল। মোনাকোর সাথে গোল করে নতুন এক রেকর্ডে নাম তুলেছেন স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে গোল করার দিক থেকে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলারদের মধ্যে দুই নম্বরে রয়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে গোল করার কীর্তিটা তার সতীর্থ আনসু ফাতির।
১৫
স্টুর্টগার্টের সাথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে এমবাপের। ফরাসি অধিনায়ক পেয়েছেন গোলের দেখাও। তাতে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ১৫ তম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিষেকেই গোল পেয়েছেন তিনি।
২
ইন্তার মিলানের সাথে ইতিহাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীনে গত ৮ বছরে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘটলো। সব মিলিয়ে সিটির ডাগআউটে এই সময়ে ৪২ ম্যাচ দাঁড়িয়েছেন গার্দিওলা। এর আগে ২০২২ সালে ঘরের মাঠে গার্দিওলাকে গোল শূন্য ড্রয়ের স্মৃতি উপহার দিয়েছিল স্পোর্টিং সিপি।
১
দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে হ্যারি কেইন একাই করেছেন চার গোল। যার মধ্যে প্রথম তিন গোলই তিনি করেছেন পেনাল্টি থেকে। প্রথম ফুটবলার হিসেবে তিন পেনাল্টিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করার অনন্য এক নজরই গড়লেন ইংলিশ অধিনায়ক।
৯
ক্রোয়েশিয়ান ক্লাব দিনামো জাগরেবকে নিয়ে রীতিমত ছেলে খেলায়ই মেতেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ক্লাবটি প্রতিপক্ষের জালে গুণে গুণে দিয়েছে নয় গোল। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এক ম্যাচে কোনো দলের সর্বোচ্চ গোল।
৩০
থিবো কর্তোয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ৩৫ টি অন টার্গেট শটের মধ্যে ৩০টি সেইভ করেছেন।
১৫২
থমাস মুলার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫২ ম্যাচ খেলেছেন। তাতে এক ক্লাবের হয়ে প্রতিযোগিতাটিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল বার্সেলোনার সাবেক মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেসের। বার্সার জার্সিতে জাভি খেলেছিলেন ১৫১টি ম্যাচ।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনায় ফুটবলারদের ঠাঁসা সূচি। এরই মধ্যে রদ্রি তো ধর্মঘটের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তার কথার সাথে আবার একাত্মতা প্রকাশ করেছে থিবো কোর্তোয়া। এসবের মাঝেই চমক জাগানিয়া খবরই দিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তার মতে, ম্যাচের সংখ্যা কমাতে রিয়াল ফুটবলাররা নিজেদের বেতনে কমাতেও নাকি প্রস্তুত।
গত মঙ্গলবার রাতে রিয়াল মাঠে নেমেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে। দুই দিন বিরতি দিয়ে শনিবার তাদের আবার মাঠে নামতে হবে লা লিগায় এস্পানিয়লের সাথে। এমনিতেই চোটের হানায় মৌসুমে শুরু থেকেই জর্জারিত রিয়াল। তার মধ্যে এমন টানা খেলার সূচি বিপাকে ফেলছে ফুটবলারদের। বাড়ছে চোটের সংখ্যা।
যা থেকে বাঁচতে নতুন পথ বাতলে দিয়েছেন আনচেলত্তি। বেতন কমিয়ে ফুটবলারদের এমন খেলার ধকল কমানোর কথাই বলছেন ইতালিয়ান এই কোচ। “এই মৌসুমের সূচি বদলানো সম্ভব না, তবে ফুটবলাররা ভবিষ্যৎ বদলানোর কথা চিন্তা করছে। কম খেলার মূল কারণ হচ্ছে ফুটবলারদের চোটে পড়ার ঝুঁকি এড়ানো। ফুটবলাররা কম খেলতে নিজেদের বেতন কমাতেও সমস্যা নেই।”
এরপর অবশ্য আনচেলত্তি কথা বলেছেন দলের পারফরম্যান্স নিয়ে। চলতি মৌসুমে সাত ম্যাচ খেলে ফেললেও রিয়াল এখনো নিজেদের সেরা ফুটবলটা উপহার দিতে পারেনি। বিশেষ করে কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগোর মতো আক্রমণভাগ নিয়েও অগোছালো ফুটবল খেলছে লসব্লাঙ্কোরা। যা নিয়ে কিছুটা সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে রিয়াল কোচকে।
তবে সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না আনচেলত্তি, বরং তার ভাবনায় দলের উন্নতি। “আপনি কতটা সুন্দর ফুটবল খেলবেন তা নির্ভর করে আপনার দলে কেমন ধাচের ফুটবলার আছে। রক্ষণ আর আক্রমণভাগে ভালো করা মানেই সুন্দর ফুটবল। এটা শুধুই একটা ব্যাপারের ওপর নির্ভর করে না। এই নিয়ে একেকজনের একেকটা মত আছে। সুন্দর ফুটবল কোনটা ব্যাখ্যা করা কঠিন, তবে আমার দল রক্ষণে ভালো করুক আর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখুক সেটাই চাই।”
লা লিগায় এখন পর্যন্ত রিয়াল ম্যাচ খেলেছে পাঁচটি। তিন জয় আর দুই ড্র তে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে।
টানা খেলার ধকল নিয়ে দিন দুয়েক আগেই কড়া হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফুটবলাররা ধর্মঘাটের যাওয়ার কাছাকাছি আছে বলেও জানিয়েছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। এবার তার সাথে সুর মিলিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও। এমন চলতে থাকলে খেলার মান কমবে বলেই ধারণা করছেন তিনি।
রিয়াল ও সিটি দুই দলই এবার খেলছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই চলতি মৌসুমে আয়োজন হচ্ছে নতুন ফরম্যাটে। তাতে বেড়েছে ম্যাচের সংখ্যা। ফিফাও আগামী বছর থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানেও রিয়াল ও সিটি দু’দলই থাকছে। তার মধ্যে একের পর এক আন্তর্জাতিক ম্যাচের ধকল তো আছেই। সব মিলিয়ে ফুটবলারদের এখন মৌসুমে ৭০ এর বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। যা ভীতিকর হিসেবেই দেখছেন কর্তোয়া।
সম্প্রতি জনপ্রিয় স্প্যানিশ স্ট্রিমার ইবাই ল্লানোসের সাথে কথা বলার সময় রদ্রির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন কোর্তোয়া। “রদ্রি ঠিক কথাই বলেছে। প্রচুর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সমর্থকরা সেরা খেলাটাই দেখতে চায়। আমাদের ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে, বেশি ম্যাচ খেলার কারণে চোটের সংখ্যাটাও বাড়ছে।”
ম্যাচ যত বেশি, ক্লাব বা আয়োজক, সবারই আয় তত বেশি। যা বুঝতে পারছেন কোর্তোয়া। বেলজিয়ান তারকার আশা একটু সঠিক সমাধানের। “নেশন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচ যুক্ত হয়েছে নতুন করে। মানুষ বলে আমরা অনেক আয় করি, তাই অভিযোগ করতে পারবো না, যেটা সত্য। তাই আমাদের ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে। কারণ এভাবে খেলোয়াড়দের পক্ষে সেরা ফুটবল খেলা সম্ভব নয়।”
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগেই অতিরিক্ত ম্যাচ নিয়ে আলিসন বেকার, ম্যানুয়েল আকাঞ্জিরা সমালোচনা করেছিলেন। তাদের সাথে তাল মিলিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। অবশ্য খেলোয়াড়রা এ নিয়ে অপত্তি তুললেও ফিফা কিংবা ইউয়েফা এখনও নীরব ভূমিকাতেই আছে।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে