১৯ মে ২০২৪, ৫:০১ পিএম
২০১৫ সালে যখন লিভারপুলের দায়িত্ব নেন ইয়ুর্গেন ক্লপ, তখন তাকে নিয়ে ক্লাবটির কট্টর সমর্থকও খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না। সেখান থেকে নয় বছরের অধ্যায়ে অ্যানফিল্ডে অসংখ্যা স্মরণীয় মূহুর্ত উপহার দেওয়া জার্মান কোচ শেষটাও রাঙালেন জয়ের আবির মেখে। তাতে দুর্দান্ত এক পথচলার শেষটাতে দারুণ এক রেকর্ড গড়েই বিদায় নিলেন ক্লপ।
অ্যানফিল্ডে রবিবার প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। ৩৮ ম্যাচে ২৪ জয়ে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে মৌসুম শেষ করেছে দলটি।
নিজের বিদায়ী ম্যাচে জয় পাওয়ার মধ্য দিয়ে লিভারপুলের ইতিহাসে ৯৬ বছরের পুরনো রেকর্ডের ভাগ বসিয়েছেন ক্লপ। ১৯২৮ সালের ম্যাট ম্যাককুইনের পর ক্লাবটির প্রথম কোচ হিসেবে কোচ হিসেবে শেষ ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেয়েছেন ক্লপ।
আরও পড়ুন: বিদায় বেলায় ক্লপকে নিয়ে যা বললেন সালাহ
উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৩৪তম মিনিটে লিভারপুলকে লিড এনে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। মিনিট ছয়েক বাদে ব্যবধান বাড়ান জারেল কুয়ান্সা। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রেখেই বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়ে ক্লপের শিষ্যরা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লিভারপুলের ডাগআউটে এটি ছিল ক্লপের ৪৯১তম ম্যাক্স। তাতে জয়ের দেখা পেয়েছেন ২৯৯টি ম্যাচে। মোট ৭৫টি ক্লাবের বিপক্ষে এই সময়ে খেলে লিভারপুল হারাতে ব্যর্থ হয়েছে কেবল তিনটি দলকে, রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া ও সিওন।
ক্লপের হাত ধরে লিভারপুল জিতেছে একটি প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড এবং দুটি লিগ কাপ।
ক্লপের অধীনে অ্যানফিল্ডে প্রিমিয়ার লিগে ৩৯৮টি গোল করেছে লিভারপুল। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবচেয়ে বড় জয়টি এসেছিল ২০২২ সালে প্রিমিয়ার লিগে, বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৯-০ গোলের জয়।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪২টি গোল করেছে লিভারপুল, ক্লাবটির ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম স্থানে আছে ২০২১-২২ মৌসুম (১৪৭ গোল)।
এরই মধ্যে ক্লপের উত্তরসূরি ঠিক করে ফেলেছে লিভারপুল। আগামী মৌসুম থেকে দলটির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডাচ কোচ আর্নে স্লট।
১২ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৪২ পিএম
এই বছরের ব্যালন ডি’অরের লড়াইটা মূলত হয়েছিল তাদের দুজনের মধ্যেই। পুরোটা সময় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ফেভারিট থাকলেও শেষ সময়ে এসে চমক দেখিয়ে এই খেতাব জিতেছেন রদ্রি। প্রতিবাদ জানিয়ে সেই অনুষ্ঠানই বয়কট করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ও তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। রদ্রি বলেছেন, ভিনিসিয়ুসের অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।
গত ২৮ অক্টোবর ঘোষিত হয় ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম। তার ঘণ্টাখানেক আগে অনুষ্ঠানে যাওয়া বাতিল করে গোটা রিয়াল দল। কারণ, নিশ্চিত জিততে যাওয়া বর্ষসেরার খেতাব থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, মাত্র ৪১ পয়েন্টের ব্যবধানে জিতেছেন রদ্রি। আর ভিনিসিয়ুস হন রানার্সআপ।
আরও পড়ুন
নাটক জমিয়ে রদ্রির হাতেই উঠলো ব্যালন ডি’অর |
গত সোমবার কোপে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে রদ্রি জানান, এটা নিয়ে তার কোনো খারাপ লাগা নেই-
“কেন এটা (ভিনিসিয়ুসের উপস্থিত না হওয়া) আমাকে হতাশ করবে? এটা আমার পরিবারকে নিয়ে উদযাপনের মুহূর্ত ছিল। শেষ কাজটা যা আমি করতে পারতাম তা হল, যেসব লোকেরা এখানে আসেনি বা অংশ নিতে চায়নি তাদের নিয়ে চিন্তা করা।”
গত মৌসুমটা রদ্রি ও ভিনিসিয়ুস দুজনই ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে কাটিয়েছেন দারুণ। একজন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর স্পেনের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হন ইউরো ২০২৪-তে। আর ভিনিসিয়ুস রিয়ালের হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন। তার দুই ক্লাব সতীর্থ জুড বেলিংহাম ও দানি কারভাহাল ভোটে হন যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস, রদ্রি নাকি বেলিংহাম কার হাতে উঠবে ব্যালন ডি’অর? |
এবারের ব্যালন ডি’অরের ভোট নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে বেশ। তবে বিতর্কের অবকাশ দেখছেন না রদ্রি-
“লোকেরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দিতে পেরেছে এটা আমার ভালো লেগেছে। এটা অন্যদের মতামতের ব্যাপার। আমি ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ভীষণ সম্মান করি এবং রিয়াল মাদ্রিদকেও। যারা আমাকে চেনে তারা ব্যাপারটা জানে। আমি হয়ত কারভাহাল, ভিনিসিয়ুসকে ভোট দিতাম। হয়ত কারভাহালকে দ্বিতীয় সেরা হিসেবে বেছে নিতাম।”
ইউয়েফা নেশনস লিগে গ্রুপ ‘বি’-তে ইংল্যান্ডকে নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে খেলতে হবে দুটি ম্যাচ। দায়িত্ব ছাড়ার আগে অন্তর্বর্তী কোচ লি কারসলির শেষ অ্যাসাইনমেন্ট গ্রিস আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি ম্যাচ খেলার আগে ভিন্ন এক সংকটের মুখে থ্রি লায়ন্সরা।
আরও পড়ুন
অভিষেকের প্রথম বছরেই ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা পালমার |
ইংল্যান্ড দলে ডাক পেলেও নাম এবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে না বুকায়ো সাকা, কোল পালমারদের মতো ফুটবলারদের। কারণ একটাই, চোট। একই সঙ্গে চোটের শঙ্কা থাকার কারণে লেভি কলউইল, ডেক্লান রাইসও থাকছেন না এবার। শেষ মুহূর্তে নাম সরিয়ে নিয়েছেন ফিল ফোডেনও। জ্যাক গ্রিলিশও এখনো চোট থেকে সেরে ওঠেননি। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থাকায় থাকছেন না লিভারপুলের ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আরনল্ড, আরো নেই অ্যারন র্যামসডেলও।
চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের ৮১ মিনিটে পায়ের চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন সাকা। ভাঙা আঙুলের পাতা নিয়ে সেদিন চেলসির বিপক্ষে ম্যাচ খেললেও মিকেল আর্তেতা পরে জানিয়েছেন, রাইস-সাকার ইনজুরি তার কাছে ভালো ঠেকছে না। আর লিভারপুল-অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছেড়েছিলেন ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার। তবে তার চোট খুব গুরুতর নয়, সেরে উঠে ফিরতে পারেন চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষের ম্যাচের আগেই।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের তৃতীয় ‘বিদেশি’ কোচ হলেন টুখেল |
এই আট জনের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন অ্যাস্টন ভিলার মরগান রজার্স, টিনো লিভরামেন্টো, জেমস ট্র্যাফোর্ড, জ্যারড বাওয়েন এবং জ্যারেড ব্রান্থওয়েইট।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে